নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের বিরোধিতা করে সহিংস হয়ে উঠেছিল হেফাজতে ইসলাম। রাজধানীসহ বেশ কয়েকটি জেলায় তাণ্ডব চালায় সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত হেফাজতের আটজন কেন্দ্রীয় নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গ্রেপ্তারের সূত্রপাত মোদিবিরোধী তাণ্ডব থেকে হলেও সেই মামলায় গ্রেপ্তার না দেখিয়ে ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, আমরা হেফাজতের চলমান তাণ্ডবের ঘটনায় গোয়েন্দা তৎপরতা চালিয়েছি। যাদের বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগ রয়েছে। শুধু তাদেরকেই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। গ্রেপ্তারের পর দেখা যাচ্ছে এই নেতাদের বিরুদ্ধে আগেরও একাধিক মামলা রয়েছে। আমাদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সর্বশেষ রোববার দুপুরে মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে। গত ৩ এপ্রিল সোনারগাঁওয়ে রিসোর্ট কাণ্ডের পর থেকেই পুলিশ তাঁকে নজরদারির মধ্যে রেখেছিল। গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম আজকের পত্রিকাকে জানান, ২০১৩ সালের শাপলা চত্বরের মামলা এবং পল্টন থানায় সম্প্রতি নাশকতার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার ও রিমান্ডের আবেদন করবেন তারা।
শনিবার সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সহকারী মহাসচিব জালাল উদ্দিন ও বিকেলে বারিধারা থেকে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরের সভাপতি জুনায়েদ আল হাবিবকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। তাদেরও শাপলা চত্বরের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। দু’জনকেই রোববার আদালতে হাজিরের পর সাত দিন করে রিমান্ড পেয়েছে পুলিশ।
এর আগে শুক্রবার হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগরীর সহ-সভাপতি মাওলানা জুবায়েরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শনিবার মতিঝিল থানা পুলিশ মাওলানা জুবায়েরকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। এসময় আসামি পক্ষে কোনও আইনজীবী ছিলেন না। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামুনুলসহ হেফাজত ইসলামের প্রথম সারির আট নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে নারায়ণগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন জেলা-উপজেলা পর্যায়ের একাধিক নেতাকর্মীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রথম সারি নেতাদের ক্ষেত্রে ২০১৩ সালে অর্থাৎ আট বছর আগে করা ‘সরকার উৎখাতে’ উসকানি দেওয়ার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। চলমান ঘটনায় প্রথম ১১ এপ্রিল র্যাব ও গোয়েন্দা বিভাগের যৌথ অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয় কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল ইসলাম ইসলামাবাদীকে। তাকে ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতের তাণ্ডবে পল্টন থানায় দায়ের করা পুলিশের মামলার ১৫৭ নম্বর আসামি হিসেবে আটক দেখানো হয়। যদিও বলা হয়েছে, মোদিবিরোধী নাশকতার বিষয়ে পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। রোববার তিন মামলায় ২১ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে আজিজুল হককে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (মতিঝিল বিভাগ) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, আমাদের কাছে ২০১৩ সালের শাপলা চত্বরে সহিংসতার ঘটনায় বেশ কিছু মামলা তদন্তাধীন রয়েছে। সেসব মামলার দ্রুত তদন্ত শেষ করার উদ্যোগ নিয়েছি।
একই মামলায় ১৩ এপ্রিল হেফাজতের কেন্দ্রীয় সহ-প্রচার সম্পাদক মুফতি শরীফ উল্লাহকে ও ১৪ এপ্রিল সহকারী মহাসচিব মঞ্জুরুল ইসলাম ও সাখাওয়াত হোসেনকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দারা। হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-অর্থ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগরী কমিটির সহসভাপতি মুফতি ইলিয়াসকে ১১ এপ্রিল আটক করে র্যাব। তাকে অবশ্য নাশকতার পরিকল্পনা, ধর্মীয় উগ্রবাদ ছড়ানো, ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার চালানোর অভিযোগে কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর থেকে গ্রেফতার করা হয়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'আমরা হেফাজতের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সমস্ত বিচারাধীন মামলার তদন্ত ত্বরান্বিত করছি। আগামী এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে আসামীদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করার নির্দেশনা দিয়েছি।
জানা যায়, হেফাজতকে কোণঠাসা করতেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নতুন এই কৌশল নিয়েছে। একাধিক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলে সহসাই তারা কারামুক্ত হতে পারবেন না তাঁরা।
ঢাকা: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের বিরোধিতা করে সহিংস হয়ে উঠেছিল হেফাজতে ইসলাম। রাজধানীসহ বেশ কয়েকটি জেলায় তাণ্ডব চালায় সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত হেফাজতের আটজন কেন্দ্রীয় নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গ্রেপ্তারের সূত্রপাত মোদিবিরোধী তাণ্ডব থেকে হলেও সেই মামলায় গ্রেপ্তার না দেখিয়ে ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, আমরা হেফাজতের চলমান তাণ্ডবের ঘটনায় গোয়েন্দা তৎপরতা চালিয়েছি। যাদের বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগ রয়েছে। শুধু তাদেরকেই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। গ্রেপ্তারের পর দেখা যাচ্ছে এই নেতাদের বিরুদ্ধে আগেরও একাধিক মামলা রয়েছে। আমাদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সর্বশেষ রোববার দুপুরে মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে। গত ৩ এপ্রিল সোনারগাঁওয়ে রিসোর্ট কাণ্ডের পর থেকেই পুলিশ তাঁকে নজরদারির মধ্যে রেখেছিল। গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম আজকের পত্রিকাকে জানান, ২০১৩ সালের শাপলা চত্বরের মামলা এবং পল্টন থানায় সম্প্রতি নাশকতার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার ও রিমান্ডের আবেদন করবেন তারা।
শনিবার সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সহকারী মহাসচিব জালাল উদ্দিন ও বিকেলে বারিধারা থেকে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরের সভাপতি জুনায়েদ আল হাবিবকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। তাদেরও শাপলা চত্বরের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। দু’জনকেই রোববার আদালতে হাজিরের পর সাত দিন করে রিমান্ড পেয়েছে পুলিশ।
এর আগে শুক্রবার হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগরীর সহ-সভাপতি মাওলানা জুবায়েরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শনিবার মতিঝিল থানা পুলিশ মাওলানা জুবায়েরকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। এসময় আসামি পক্ষে কোনও আইনজীবী ছিলেন না। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামুনুলসহ হেফাজত ইসলামের প্রথম সারির আট নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে নারায়ণগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন জেলা-উপজেলা পর্যায়ের একাধিক নেতাকর্মীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রথম সারি নেতাদের ক্ষেত্রে ২০১৩ সালে অর্থাৎ আট বছর আগে করা ‘সরকার উৎখাতে’ উসকানি দেওয়ার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। চলমান ঘটনায় প্রথম ১১ এপ্রিল র্যাব ও গোয়েন্দা বিভাগের যৌথ অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয় কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল ইসলাম ইসলামাবাদীকে। তাকে ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতের তাণ্ডবে পল্টন থানায় দায়ের করা পুলিশের মামলার ১৫৭ নম্বর আসামি হিসেবে আটক দেখানো হয়। যদিও বলা হয়েছে, মোদিবিরোধী নাশকতার বিষয়ে পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। রোববার তিন মামলায় ২১ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে আজিজুল হককে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (মতিঝিল বিভাগ) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, আমাদের কাছে ২০১৩ সালের শাপলা চত্বরে সহিংসতার ঘটনায় বেশ কিছু মামলা তদন্তাধীন রয়েছে। সেসব মামলার দ্রুত তদন্ত শেষ করার উদ্যোগ নিয়েছি।
একই মামলায় ১৩ এপ্রিল হেফাজতের কেন্দ্রীয় সহ-প্রচার সম্পাদক মুফতি শরীফ উল্লাহকে ও ১৪ এপ্রিল সহকারী মহাসচিব মঞ্জুরুল ইসলাম ও সাখাওয়াত হোসেনকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দারা। হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-অর্থ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগরী কমিটির সহসভাপতি মুফতি ইলিয়াসকে ১১ এপ্রিল আটক করে র্যাব। তাকে অবশ্য নাশকতার পরিকল্পনা, ধর্মীয় উগ্রবাদ ছড়ানো, ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার চালানোর অভিযোগে কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর থেকে গ্রেফতার করা হয়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'আমরা হেফাজতের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সমস্ত বিচারাধীন মামলার তদন্ত ত্বরান্বিত করছি। আগামী এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে আসামীদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করার নির্দেশনা দিয়েছি।
জানা যায়, হেফাজতকে কোণঠাসা করতেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নতুন এই কৌশল নিয়েছে। একাধিক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলে সহসাই তারা কারামুক্ত হতে পারবেন না তাঁরা।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে তাঁকে পবিত্র ওমরাহ পালনের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসুফ ঈসা আল দুহাইলান। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এজেডএম জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ‘আমরা মনে করি এই অন্তর্বর্তী সরকারের সকল সিদ্ধান্ত, সকল নীতি, সকল ভূমিকার মধ্যে জনআকাঙক্ষার প্রতিফলন থাকা উচিত। কিন্তু তিন মাস অতিবাহিত হচ্ছে। আমরা লক্ষ্য করছি দুর্ভাগ্যজনক হলেও অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো কোনো নীতি, কোনো কোনো সিদ্ধ
২ ঘণ্টা আগেসংস্কার নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে বিএনপির কোনো বিরোধ নেই বলে মন্তব্য করেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, ‘সংস্কার কার্যক্রম নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে বিএনপির কোনো বিরোধ নেই। যাঁরা ‘সংস্কার আগে নাকি নির্বাচন আগে’— ধরনের প্রশ্ন তুলে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির
৫ ঘণ্টা আগেবিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেছেন, আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের অন্য নেতাকর্মীরা ভারত ও অন্য দেশে অবস্থান করে বাংলাদেশে বিশৃঙ্খলা তৈরি করে অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা করছে।
৭ ঘণ্টা আগে