Ajker Patrika

ভোটারের বয়স ১৬, প্রার্থীর বয়স ২৩ করার প্রস্তাব এনসিপির

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা            
আপডেট : ২২ মার্চ ২০২৫, ২১: ৩৬
শনিবার রাজধানীর বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন।
শনিবার রাজধানীর বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে নাগরিকের ভোটার হওয়ার ক্ষেত্রে বয়স ১৬ বছর এবং প্রার্থীর ক্ষেত্রে বয়স ২৩ বছর করার প্রস্তাব দেবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আগামী রোববার দুপুরে সংস্কার প্রস্তাবের সুপারিশমালা কমিশনে জমা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে দলটি। আজ শনিবার সকালে রাজধানীর বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সংস্কার সমন্বয় কমিটির সমন্বয়ক সারোয়ার তুষার।

সারোয়ার তুষার বলেন, ‘আমরা মনে করছি, ভোট দেওয়ার বয়স ১৬ বছর হতে পারে। এর কারণ হচ্ছে, এবারের অভ্যুত্থানকে সারা বিশ্বের জেন-জির অভ্যুত্থান বলা হচ্ছে। গণ-অভ্যুত্থানে তাদের এত বড় একটা স্টেক তৈরি হলো, এরপর পরিবর্তিত যে বাংলাদেশ এবং আসন্ন যে নির্বাচন, সেই নির্বাচনে তারা মতামত দিতে পারবে না শুধু বয়স ১৮ বছরের নিচে হওয়ার কারণে, এটা আমরা যৌক্তিক মনে করছি না। এ জন্য ১৬ বছর ভোটারের বয়স করার জন্য আগামীকাল আমরা প্রস্তাব করব।’

এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘ঐকমত্য কমিশন ছয়টি পদ্ধতিতে সংস্কারের কার্যক্রম করা সম্ভব বলে প্রস্তাবনা করেছে। এই ছয়টি পদ্ধতির মধ্যে আমরা দুটি পদ্ধতিতে একমত হয়েছি। একটি হচ্ছে- নির্বাচনের আগে অধ্যাদেশ জারি, আরেকটি হচ্ছে গণপরিষদ নির্বাচন বা আইনসভার মাধ্যমে নতুন সংসদ প্রণয়ন করে সংস্কার করতে হবে। আমরা দেখেছি, যে সকল সংস্কার সংবিধানের সাথে সম্পৃক্ত নয়, সে সকল সংস্কার নির্বাচনের আগে অধ্যাদেশ জারি করে করা যেতে পারে।’

নতুন সংবিধান রচনার দাবি জানিয়ে সারোয়ার তুষার বলেন, ‘এনসিপি মনে করে, আগামী নির্বাচন গণপরিষদ হওয়া উচিত। সংবিধান সংস্কার কাজ শেষ করে একটা নির্দিষ্ট সময় পর এই গণপরিষদই আইনসভায় রূপান্তরিত হবে।’

এদিকে ১৬৬টি সংস্কার প্রস্তাবের মধ্যে ১১১টি আলোচনা ছাড়াই বাস্তবায়ন সম্ভব বলে জানিয়েছে ঐকমত্য কমিশন। তবে এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘কিসের ভিত্তিতে তারা এই ১১১টা সুপারিশ কোনো রকম আলোচনা ছাড়া সংস্কার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে? আমরা মনে করি, এই ১১১টার মধ্যে অনেকগুলো আছে, যেগুলো আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে।’

আওয়ামী লীগের আন্দোলন-সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে সারোয়ার তুষার বলেন, ‘আওয়ামী লীগ তো আন্দোলনে আসবে না। তারা যেটা করবে, সেটাকে তো আমরা আন্দোলন বলব না। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে আন্দোলনের তো একটা সংজ্ঞা আছে। আওয়ামী লীগ পরিষ্কারভাবে একটি দেশবিরোধী শক্তি এবং ভারতের এজেন্ট। তারা যদি আন্দোলনে নামে, সেটাকে আমরা আন্দোলন বলব না। তারা দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য নামবে। সে ক্ষেত্রে পুলিশের যে বলপ্রয়োগের অধিকার আছে, সেটা থাকবে।’

সারোয়ার তুষার আরও বলেন, ‘একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে আপনি বেতনের জন্য আন্দোলনে নামছেন, কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামছেন কিংবা অন্যান্য যেকোনো ইস্যু, একটা কালাকানুন বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নামছেন, এগুলোকে আমরা আন্দোলন বলি।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংস্কার সমন্বয় কমিটির সদস্য মনিরা শারমিন, জাবেদ রাসিন, সালেহ উদ্দিন ও আরমান হোসাইন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হেলিকপ্টারে নেওয়ার অবস্থায় নেই, দ্রুত নিকটবর্তী হাসপাতালে তামিম

অর্ধশতাধিক পুলিশ কর্মকর্তার ‘বিশেষ বৈঠক’, ব্যাখ্যা চাইল সদর দপ্তর

অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়, পালানোকালে আটক ৫ পুলিশ সদস্য

বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নরের বিরুদ্ধে ৪৭ ব্রিটিশ এমপিকে ‘সন্দেহজনক’ ই-মেইল

নতুন বাহিনীর প্রস্তাবে অসন্তোষ বেবিচকে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত