নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রেলপথবিষয়ক মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন জানিয়েছেন, যারা রাজনৈতিক কর্মসূচি দিচ্ছে, তারাই রেলে সহিংসতা করছে। আজ মঙ্গলবার রেল ভবনে সাম্প্রতিক সময়ে সংঘটিত রাজনৈতিক কারণে ট্রেনে নাশকতা সৃষ্টির বিষয়ে এবং আজ সকালে তেজগাঁও রেলস্টেশনে ঢাকা-নেত্রকোনা রুটে চলাচলকারী ট্রেনে অগ্নিসংযোগের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
আন্দোলনের নামে এই কাজ করা হচ্ছে জানিয়ে রেলমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৪ সালেও এমন হয়েছে আর এখনো হচ্ছে। এখানে সম্মিলিত উদ্যোগ নেওয়া উচিত। আগে বাসে আগুন দিত, এখন রেল প্রধান আক্রমণের হাতিয়ার। এ সময় বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘তাদের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব গাজীপুরের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে। কিন্তু যখনই এমন রাজনৈতিক কর্মসূচি দিচ্ছে, তখনই এমন হচ্ছে। তার মানে, আপনি (বিএনপি) এটা না দিলেই পারেন। এর মাধ্যমে কি ধারণা পাওয়া যায় না যে, যারা কর্মসূচি দিচ্ছে তারাই সহিংসতা করছে?’
নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘নাশকতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে নিরাপদ রেলযাত্রাকে অস্থিতিশীল করা হচ্ছে। গত ২৮ অক্টোবর থেকে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো যে রাজনৈতিক কর্মসূচি দিচ্ছে, এই সময়টাতে রেল সম্পর্কিত সহিংসতা বাড়ছে। রেলকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মধ্যে ফেলে হুমকি তৈরি করেছে। এটা গ্রহণযোগ্য নয়।’ পরিকল্পিত দুর্ঘটনা ঘটাতে ফিশপ্লেট খুলে দিচ্ছে বলেও তিনি জানান।
রেলে দুর্ঘটনা কমাতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে—এমন প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী বলেন, ‘রেলের নিরাপত্তা বাহিনী, পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছি। রেলপথের ব্যাপারে যাতে সহযোগিতা করা হয়, সে বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি, বৈঠক হয়েছে। যাতে সন্ত্রাসীরা এ ধরনের কর্মকাণ্ড করে রেল চলাচলে বিঘ্ন ঘটাতে না পারে।’ মন্ত্রী জানান, আগামী এক-দুই দিনের মধ্যে ২ হাজার ৭০০ আনসার সদস্য রেলের নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত হবে। এ বিষয়েও কাজ চলছে।
রেলপথের বড় দুর্ঘটনার বিষয়ে নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘রেলপথে সরাসরি আক্রমণের প্রথম ঘটনা ঘটে ১৬ নভেম্বর। টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনের দুটি কোচে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এরপর ১৯ নভেম্বর জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে যমুনা এক্সপ্রেসে পরিকল্পিত নাশকতা করা হয়েছে। এ দুই ঘটনায় কোনো প্রাণহানি না হলেও বড় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’
পরের তিন দুর্ঘটনা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘২২ নভেম্বর সিলেটে উপবন এক্সপ্রেসে আগুন ধরানো হয়। ১৩ ডিসেম্বর গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুরে ২০ ফুট রেলওয়ে ট্র্যাক কেটে ফেলা হয়। এ ঘটনায় একজন যাত্রী মারা যায় এবং ৫০ জন আহত হয়। আরও অনেক বেশি হতাহত হতে পারত। ঘন কুয়াশার জন্য ট্রেন আস্তে চলছিল বলে রক্ষা পাওয়া যায়।’
রেলপথ মন্ত্রী বলেন, ‘এরপর আজ মঙ্গলবার বিমানবন্দর স্টেশন ছেড়ে (মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস) যখন তেজগাঁওয়ে আসে, তখন আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তিনটি কোচ পুড়ে যায়, আর এখন পর্যন্ত চারজন মারা গেছে।’ যে কেউ রাজনৈতিক কর্মসূচি দিতেই পারে, কিন্তু সহিংসতা করতে পারে না বলেও এ সময় মন্তব্য করেন নূরুল ইসলাম সুজন।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথেওতে নাশকতার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘কর্ণফুলী সেতু থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেলপথের অনেক যন্ত্রাংশ চুরি করার নামে খুলে নেওয়া হয়েছে, যেন ট্রেন চলাচল করতে না পারে। তারা মনে করছে, এ ধরনের নাশকতা ঘটিয়ে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা করা সম্ভব।’
রেলপথবিষয়ক মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন জানিয়েছেন, যারা রাজনৈতিক কর্মসূচি দিচ্ছে, তারাই রেলে সহিংসতা করছে। আজ মঙ্গলবার রেল ভবনে সাম্প্রতিক সময়ে সংঘটিত রাজনৈতিক কারণে ট্রেনে নাশকতা সৃষ্টির বিষয়ে এবং আজ সকালে তেজগাঁও রেলস্টেশনে ঢাকা-নেত্রকোনা রুটে চলাচলকারী ট্রেনে অগ্নিসংযোগের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
আন্দোলনের নামে এই কাজ করা হচ্ছে জানিয়ে রেলমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৪ সালেও এমন হয়েছে আর এখনো হচ্ছে। এখানে সম্মিলিত উদ্যোগ নেওয়া উচিত। আগে বাসে আগুন দিত, এখন রেল প্রধান আক্রমণের হাতিয়ার। এ সময় বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘তাদের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব গাজীপুরের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে। কিন্তু যখনই এমন রাজনৈতিক কর্মসূচি দিচ্ছে, তখনই এমন হচ্ছে। তার মানে, আপনি (বিএনপি) এটা না দিলেই পারেন। এর মাধ্যমে কি ধারণা পাওয়া যায় না যে, যারা কর্মসূচি দিচ্ছে তারাই সহিংসতা করছে?’
নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘নাশকতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে নিরাপদ রেলযাত্রাকে অস্থিতিশীল করা হচ্ছে। গত ২৮ অক্টোবর থেকে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো যে রাজনৈতিক কর্মসূচি দিচ্ছে, এই সময়টাতে রেল সম্পর্কিত সহিংসতা বাড়ছে। রেলকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মধ্যে ফেলে হুমকি তৈরি করেছে। এটা গ্রহণযোগ্য নয়।’ পরিকল্পিত দুর্ঘটনা ঘটাতে ফিশপ্লেট খুলে দিচ্ছে বলেও তিনি জানান।
রেলে দুর্ঘটনা কমাতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে—এমন প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী বলেন, ‘রেলের নিরাপত্তা বাহিনী, পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছি। রেলপথের ব্যাপারে যাতে সহযোগিতা করা হয়, সে বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি, বৈঠক হয়েছে। যাতে সন্ত্রাসীরা এ ধরনের কর্মকাণ্ড করে রেল চলাচলে বিঘ্ন ঘটাতে না পারে।’ মন্ত্রী জানান, আগামী এক-দুই দিনের মধ্যে ২ হাজার ৭০০ আনসার সদস্য রেলের নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত হবে। এ বিষয়েও কাজ চলছে।
রেলপথের বড় দুর্ঘটনার বিষয়ে নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘রেলপথে সরাসরি আক্রমণের প্রথম ঘটনা ঘটে ১৬ নভেম্বর। টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনের দুটি কোচে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এরপর ১৯ নভেম্বর জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে যমুনা এক্সপ্রেসে পরিকল্পিত নাশকতা করা হয়েছে। এ দুই ঘটনায় কোনো প্রাণহানি না হলেও বড় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’
পরের তিন দুর্ঘটনা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘২২ নভেম্বর সিলেটে উপবন এক্সপ্রেসে আগুন ধরানো হয়। ১৩ ডিসেম্বর গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুরে ২০ ফুট রেলওয়ে ট্র্যাক কেটে ফেলা হয়। এ ঘটনায় একজন যাত্রী মারা যায় এবং ৫০ জন আহত হয়। আরও অনেক বেশি হতাহত হতে পারত। ঘন কুয়াশার জন্য ট্রেন আস্তে চলছিল বলে রক্ষা পাওয়া যায়।’
রেলপথ মন্ত্রী বলেন, ‘এরপর আজ মঙ্গলবার বিমানবন্দর স্টেশন ছেড়ে (মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস) যখন তেজগাঁওয়ে আসে, তখন আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তিনটি কোচ পুড়ে যায়, আর এখন পর্যন্ত চারজন মারা গেছে।’ যে কেউ রাজনৈতিক কর্মসূচি দিতেই পারে, কিন্তু সহিংসতা করতে পারে না বলেও এ সময় মন্তব্য করেন নূরুল ইসলাম সুজন।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথেওতে নাশকতার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘কর্ণফুলী সেতু থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেলপথের অনেক যন্ত্রাংশ চুরি করার নামে খুলে নেওয়া হয়েছে, যেন ট্রেন চলাচল করতে না পারে। তারা মনে করছে, এ ধরনের নাশকতা ঘটিয়ে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা করা সম্ভব।’
মানবমুক্তির মহান সংগ্রামে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কমরেড হেনা দাস অবিচল ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি বলেন, ‘বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষের মুক্তির সংগ্রামে কমরেড হেনা দাস ছিলেন অগ্রসৈনিক।’
২ ঘণ্টা আগেসবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়—নীতি অনুসরণ করে ভারতসহ প্রতিবেশী সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায় বলে জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
৫ ঘণ্টা আগেকঠিন সময়ে দলের প্রতি নেতা–কর্মীদের একাগ্রতা ও ত্যাগ আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় শক্তি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় থাকুন, আমাদের পেজ থেকে প্রকাশিত প্রতিটি বার্তা ছড়িয়ে দিন। সে জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগেসশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ৯ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার, বীর সিপাহসালার মেজর এম এ জলিলকে মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য রাষ্ট্রীয় খেতাব প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলক, জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব...
৮ ঘণ্টা আগে