নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
গত ২৯ জুলাই ঢাকার প্রবেশমুখগুলোতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে বিএনপি। বেশ কয়েকটি পয়েন্টে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। ধোলাইখালে আহত হন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও গাবতলীতে অসুস্থ হন উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান। আমানকে দেখতে হাসপাতালে যায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধিদল এবং ডিবি অফিসে গয়েশ্বরকে করা হয় আপ্যায়ণ।
বিএনপির সেদিনের অবস্থান কর্মসূচি নিয়ে আজ শুক্রবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে সমালোচনা করেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বিএনপির সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সেই অবস্থানে আমান উল্লাহ আমান ফলের রসে বুঁদ হয়ে গেছে। সেই অবস্থানের পরিণতি গয়েশ্বরকে পুলিশ অফিসার হারুন নাকি কিশোরগঞ্জ থেকে কোরাল মাছ এনে খাইয়েছে। কোরাল মাছের ঝোল খেতে খেতে গয়েশ্বর দিশেহারা। আন্দোলনের ১২টা বেজে গেছে। সেদিন অতিরিক্ত কাপড় নিয়ে যারা এসেছিল তারাও ধান খেত, এখান দিয়ে, ওখান দিয়ে পালিয়ে যার যার বাড়ি ঘরে চলে গেছে। এই মানুষগুলো কি আর আসবে ঢাকায়?
অবস্থান কর্মসূচিতে সংঘর্ষ-সহিংসতার কথা তুলে ধরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি বসে বসে স্বপ্ন দেখে, নিষেধাজ্ঞার আতঙ্ক ছড়ায়। ভিসা নীতির আতঙ্ক ছড়ায়। বিএনপি রাস্তা বন্ধ করেছে, প্রবেশপথে অবস্থান করেছে, এর জন্যতো ভিসানীতির হওয়া দরকার। তাঁদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আসা দরকার। আমেরিকা বলেছে সুষ্ঠু নির্বাচনে যারা বাধা দেবে তাঁদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেবে, বিএনপির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয় না কেন? সে প্রশ্ন আমরা করতে চাই।’
রোহিঙ্গাদের প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতিসংঘ আগে ১২ ডলার দিত এখন সাহায্য কমে ৮ ডলার দেয়। কীভাবে চলবে? কেউ সাহায্য করে না, শুধু মুখে সুন্দর সুন্দর কথা বলে, রোহিঙ্গাদের জন্য মায়া কান্না কাঁদে। তাঁরা তাঁদের দেশের অন্য দেশের মাইগ্রেট জায়গা দিতে পারে, কিন্তু রোহিঙ্গাদের জায়গা হয় না।
রোহিঙ্গাদের কারণে দেশের বড় সমুদ্র সৈকত এবং সেখানকার জীবন বিপন্ন, অর্থনীতি ও পর্যটন ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে মুখে সুন্দর সুন্দর বাণী উচ্চারণ করে, আমাদের নেত্রীর প্রশংসা করে কিন্তু বাস্তবে সাহায্য করার জন্য কেউ আসে না।’
দলীয় নেতা কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে বাংলাদেশের আর কোনো রাজনৈতিক শক্তি নেই যারা আমাদের পরাজিত করতে পারে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আবারও ক্ষমতায় আসবে।’
বিএনপি দেশকে আবারও অস্থিতিশীল করতে চায় উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, ‘আন্দোলনের নামে দেশে কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে। বিএনপির মতো সন্ত্রাসী দলের হাতে এ দেশের হাল আমরা ছেড়ে দিতে পারি না।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীরের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন—আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন প্রমুখ।
আরও পড়ুন:
গত ২৯ জুলাই ঢাকার প্রবেশমুখগুলোতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে বিএনপি। বেশ কয়েকটি পয়েন্টে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। ধোলাইখালে আহত হন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও গাবতলীতে অসুস্থ হন উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান। আমানকে দেখতে হাসপাতালে যায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধিদল এবং ডিবি অফিসে গয়েশ্বরকে করা হয় আপ্যায়ণ।
বিএনপির সেদিনের অবস্থান কর্মসূচি নিয়ে আজ শুক্রবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে সমালোচনা করেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বিএনপির সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সেই অবস্থানে আমান উল্লাহ আমান ফলের রসে বুঁদ হয়ে গেছে। সেই অবস্থানের পরিণতি গয়েশ্বরকে পুলিশ অফিসার হারুন নাকি কিশোরগঞ্জ থেকে কোরাল মাছ এনে খাইয়েছে। কোরাল মাছের ঝোল খেতে খেতে গয়েশ্বর দিশেহারা। আন্দোলনের ১২টা বেজে গেছে। সেদিন অতিরিক্ত কাপড় নিয়ে যারা এসেছিল তারাও ধান খেত, এখান দিয়ে, ওখান দিয়ে পালিয়ে যার যার বাড়ি ঘরে চলে গেছে। এই মানুষগুলো কি আর আসবে ঢাকায়?
অবস্থান কর্মসূচিতে সংঘর্ষ-সহিংসতার কথা তুলে ধরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি বসে বসে স্বপ্ন দেখে, নিষেধাজ্ঞার আতঙ্ক ছড়ায়। ভিসা নীতির আতঙ্ক ছড়ায়। বিএনপি রাস্তা বন্ধ করেছে, প্রবেশপথে অবস্থান করেছে, এর জন্যতো ভিসানীতির হওয়া দরকার। তাঁদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আসা দরকার। আমেরিকা বলেছে সুষ্ঠু নির্বাচনে যারা বাধা দেবে তাঁদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেবে, বিএনপির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয় না কেন? সে প্রশ্ন আমরা করতে চাই।’
রোহিঙ্গাদের প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতিসংঘ আগে ১২ ডলার দিত এখন সাহায্য কমে ৮ ডলার দেয়। কীভাবে চলবে? কেউ সাহায্য করে না, শুধু মুখে সুন্দর সুন্দর কথা বলে, রোহিঙ্গাদের জন্য মায়া কান্না কাঁদে। তাঁরা তাঁদের দেশের অন্য দেশের মাইগ্রেট জায়গা দিতে পারে, কিন্তু রোহিঙ্গাদের জায়গা হয় না।
রোহিঙ্গাদের কারণে দেশের বড় সমুদ্র সৈকত এবং সেখানকার জীবন বিপন্ন, অর্থনীতি ও পর্যটন ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে মুখে সুন্দর সুন্দর বাণী উচ্চারণ করে, আমাদের নেত্রীর প্রশংসা করে কিন্তু বাস্তবে সাহায্য করার জন্য কেউ আসে না।’
দলীয় নেতা কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে বাংলাদেশের আর কোনো রাজনৈতিক শক্তি নেই যারা আমাদের পরাজিত করতে পারে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আবারও ক্ষমতায় আসবে।’
বিএনপি দেশকে আবারও অস্থিতিশীল করতে চায় উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, ‘আন্দোলনের নামে দেশে কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে। বিএনপির মতো সন্ত্রাসী দলের হাতে এ দেশের হাল আমরা ছেড়ে দিতে পারি না।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীরের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন—আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন প্রমুখ।
আরও পড়ুন:
মানবমুক্তির মহান সংগ্রামে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কমরেড হেনা দাস অবিচল ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি বলেন, ‘বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষের মুক্তির সংগ্রামে কমরেড হেনা দাস ছিলেন অগ্রসৈনিক।’
১ ঘণ্টা আগেসবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়—নীতি অনুসরণ করে ভারতসহ প্রতিবেশী সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায় বলে জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
৩ ঘণ্টা আগেকঠিন সময়ে দলের প্রতি নেতা–কর্মীদের একাগ্রতা ও ত্যাগ আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় শক্তি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় থাকুন, আমাদের পেজ থেকে প্রকাশিত প্রতিটি বার্তা ছড়িয়ে দিন। সে জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেসশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ৯ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার, বীর সিপাহসালার মেজর এম এ জলিলকে মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য রাষ্ট্রীয় খেতাব প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলক, জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব...
৭ ঘণ্টা আগে