নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সংস্কার বাস্তবায়নসহ অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট কর্নেল (অব.) অলি আহমদ। তিনি বলেন, ‘সংস্কার বাস্তবায়নের গতি খুবই হতাশাব্যঞ্জক।’ আজ মঙ্গলবার রাজধানীর মগবাজারে এলডিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
অলি আহমদ বলেন, ‘অভ্যুত্থান-পরবর্তী দেশের সব কর্মকাণ্ড স্বচ্ছতা ও সততার সঙ্গে দ্রুতগতিতে বাস্তবায়ন না হলে সমস্যা আরও বাড়বে। অনেকগুলো নিয়োগ নিয়ে এরই মধ্যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। হুজুগের মাথায় লোকদেখানো কাজ করলে হবে না। গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে অধিকতর সতর্কতার সঙ্গে মনোনয়ন বা নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া উপদেষ্টা ও নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের অতীত ইতিহাস জানা না থাকলে বা রাজনৈতিক প্রজ্ঞার অভাব থাকলে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অন্যদিকে অথর্ব, অকর্মণ্য, ধীরগতির ব্যক্তিদের দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াও সম্ভব হবে না, ছাত্র-জনতার রক্ত বৃথা যাবে।’
জনতার সরলতাকে পুঁজি করে কোনো অন্যায় পদক্ষেপ নেওয়াও ঠিক হবে না মন্তব্য করে অলি আহমদ বলেন, ‘এ দেশে একনায়কত্ব স্বৈরশাসন কায়েমকারী, গণহত্যাকারী, দুর্নীতিবাজ, টাকা পাচারকারী, টাকা লুণ্ঠনকারী, চাঁদাবাজ এবং জঙ্গিবাদের কোনো স্থান নাই। এ দেশ এখন কারও বাপের সম্পত্তি না। যত দ্রুত সম্ভব আইনশৃঙ্খলার উন্নতি সাধন করতে হবে। আমরা জানি, বর্তমান প্রেক্ষাপটে এটি খুবই কঠিন কাজ। তবে পুলিশ প্রশাসনকে দ্রুত কার্যকর করতে হবে। তা না হলে গণহত্যাকারীরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে।’
শেখ হাসিনার এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী ও লোটা বহনকারী অনেক ব্যক্তি এখনো প্রশাসনে ঘাপটি মেরে বসে আছে উল্লেখ করে সাবেক এই সামরিক কর্মকর্তা বলেন, ‘তাদের ব্যাপারে জরুরি ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। গুম, খুন, দুর্নীতি, টাকা পাচারকারী, গণতন্ত্র হত্যাকারী এবং চাঁদাবাজদের আইনের আওতায় এনে যথোপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। প্রশাসনের মধ্যে দুর্নীতিবাজ ও টাকা পাচারকারীদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা এবং তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত করা খুবই জরুরি। সর্বোপরি, দুর্নীতিবাজ একজন ব্যক্তি এখনো পর্যন্ত দেশের ১ নম্বর আসনে বসে আছে। এটার কোনো যুক্তিসংগত কারণ নাই। সংবিধানের দোহাই দিয়ে, যারা তাঁকে এই আসনে বসিয়ে রেখেছে, তারা পক্ষান্তরে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের সঠিক মূল্যায়ন করছে না।’
শেখ হাসিনা সরকার অবৈধ ক্ষমতা কুক্ষিগত করার স্বার্থে দেশকে ভারতের কাছে নতজানু করে ফেলেছে মন্তব্য করে অলি আহমদ বলেন, ‘আমরা ইচ্ছা করলেও প্রতিবেশী বদলাতে পারব না। সুতরাং উভয় দেশের সুসম্পর্কের স্বার্থে অনতিবিলম্বে সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে হবে। আমাদের আত্মসম্মান ও মর্যাদা নিয়ে প্রতিবেশীদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে যৌথ নদীগুলোর পানির ন্যায্য হিস্যা নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া, ভারত মনে করে, তারা আমাদের তিন দিক থেকে ঘিরে রেখেছে। তাদের আমরা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে, আমরাই বরং তাদের তিন দিক থেকে ঘিরে রেখেছি।’
এক প্রশ্নের জবাবে অলি আহমদ বলেন, ‘তিনটি কারণে জাতীয় সংগীত পরিবর্তন করা প্রয়োজন। এটা (জাতীয় সংগীত) যখন বানিয়েছিল, তখন দেশ স্বাধীন হবে সম্ভাবনা ছিল না, দেশের কোনো নাগরিক রচনা করেনি, সুর নকল করা হয়েছে। এমন বিভ্রান্তজনক কিছু নিয়ে যদি জাতীয় সংগীত রচনা করা হয়, তাহলে পুরো জাতির জন্য লজ্জাজনক।’
ধর্ম উপদেষ্টার বক্তব্যকে উদ্দেশ্য করে এলডিপির প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘তাঁর জানা উচিত, জনগণের মতামতের ওপর ভিত্তি করে সবকিছু পরিবর্তন করা সম্ভব। গণভবন কারও বাপের ভবন না বরং জাতীয় প্রতিষ্ঠান। মিউজিয়াম করা অবশ্যই প্রয়োজন, তবে প্রশ্ন হলো, গণভবনে কেন? অন্য জায়গায় নয় কেন? জাতীয় প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করার আইনগত ভিত্তি এখন কোথা থেকে পেলেন? ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে স্বাধীনতা যুদ্ধের ওপর অন্য কিছুই অধিকতর গুরুত্ব পেতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে জাতি-ধর্মনির্বিশেষে আমাদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ নাই। মেজরিটি বা মাইনরিটি বলতে কিছুই নেই। সবাই বাংলাদেশের নাগরিক এবং সবার সমান অধিকার। আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।’
সংস্কার বাস্তবায়নসহ অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট কর্নেল (অব.) অলি আহমদ। তিনি বলেন, ‘সংস্কার বাস্তবায়নের গতি খুবই হতাশাব্যঞ্জক।’ আজ মঙ্গলবার রাজধানীর মগবাজারে এলডিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
অলি আহমদ বলেন, ‘অভ্যুত্থান-পরবর্তী দেশের সব কর্মকাণ্ড স্বচ্ছতা ও সততার সঙ্গে দ্রুতগতিতে বাস্তবায়ন না হলে সমস্যা আরও বাড়বে। অনেকগুলো নিয়োগ নিয়ে এরই মধ্যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। হুজুগের মাথায় লোকদেখানো কাজ করলে হবে না। গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে অধিকতর সতর্কতার সঙ্গে মনোনয়ন বা নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া উপদেষ্টা ও নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের অতীত ইতিহাস জানা না থাকলে বা রাজনৈতিক প্রজ্ঞার অভাব থাকলে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অন্যদিকে অথর্ব, অকর্মণ্য, ধীরগতির ব্যক্তিদের দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াও সম্ভব হবে না, ছাত্র-জনতার রক্ত বৃথা যাবে।’
জনতার সরলতাকে পুঁজি করে কোনো অন্যায় পদক্ষেপ নেওয়াও ঠিক হবে না মন্তব্য করে অলি আহমদ বলেন, ‘এ দেশে একনায়কত্ব স্বৈরশাসন কায়েমকারী, গণহত্যাকারী, দুর্নীতিবাজ, টাকা পাচারকারী, টাকা লুণ্ঠনকারী, চাঁদাবাজ এবং জঙ্গিবাদের কোনো স্থান নাই। এ দেশ এখন কারও বাপের সম্পত্তি না। যত দ্রুত সম্ভব আইনশৃঙ্খলার উন্নতি সাধন করতে হবে। আমরা জানি, বর্তমান প্রেক্ষাপটে এটি খুবই কঠিন কাজ। তবে পুলিশ প্রশাসনকে দ্রুত কার্যকর করতে হবে। তা না হলে গণহত্যাকারীরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে।’
শেখ হাসিনার এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী ও লোটা বহনকারী অনেক ব্যক্তি এখনো প্রশাসনে ঘাপটি মেরে বসে আছে উল্লেখ করে সাবেক এই সামরিক কর্মকর্তা বলেন, ‘তাদের ব্যাপারে জরুরি ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। গুম, খুন, দুর্নীতি, টাকা পাচারকারী, গণতন্ত্র হত্যাকারী এবং চাঁদাবাজদের আইনের আওতায় এনে যথোপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। প্রশাসনের মধ্যে দুর্নীতিবাজ ও টাকা পাচারকারীদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা এবং তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত করা খুবই জরুরি। সর্বোপরি, দুর্নীতিবাজ একজন ব্যক্তি এখনো পর্যন্ত দেশের ১ নম্বর আসনে বসে আছে। এটার কোনো যুক্তিসংগত কারণ নাই। সংবিধানের দোহাই দিয়ে, যারা তাঁকে এই আসনে বসিয়ে রেখেছে, তারা পক্ষান্তরে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের সঠিক মূল্যায়ন করছে না।’
শেখ হাসিনা সরকার অবৈধ ক্ষমতা কুক্ষিগত করার স্বার্থে দেশকে ভারতের কাছে নতজানু করে ফেলেছে মন্তব্য করে অলি আহমদ বলেন, ‘আমরা ইচ্ছা করলেও প্রতিবেশী বদলাতে পারব না। সুতরাং উভয় দেশের সুসম্পর্কের স্বার্থে অনতিবিলম্বে সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে হবে। আমাদের আত্মসম্মান ও মর্যাদা নিয়ে প্রতিবেশীদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে যৌথ নদীগুলোর পানির ন্যায্য হিস্যা নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া, ভারত মনে করে, তারা আমাদের তিন দিক থেকে ঘিরে রেখেছে। তাদের আমরা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে, আমরাই বরং তাদের তিন দিক থেকে ঘিরে রেখেছি।’
এক প্রশ্নের জবাবে অলি আহমদ বলেন, ‘তিনটি কারণে জাতীয় সংগীত পরিবর্তন করা প্রয়োজন। এটা (জাতীয় সংগীত) যখন বানিয়েছিল, তখন দেশ স্বাধীন হবে সম্ভাবনা ছিল না, দেশের কোনো নাগরিক রচনা করেনি, সুর নকল করা হয়েছে। এমন বিভ্রান্তজনক কিছু নিয়ে যদি জাতীয় সংগীত রচনা করা হয়, তাহলে পুরো জাতির জন্য লজ্জাজনক।’
ধর্ম উপদেষ্টার বক্তব্যকে উদ্দেশ্য করে এলডিপির প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘তাঁর জানা উচিত, জনগণের মতামতের ওপর ভিত্তি করে সবকিছু পরিবর্তন করা সম্ভব। গণভবন কারও বাপের ভবন না বরং জাতীয় প্রতিষ্ঠান। মিউজিয়াম করা অবশ্যই প্রয়োজন, তবে প্রশ্ন হলো, গণভবনে কেন? অন্য জায়গায় নয় কেন? জাতীয় প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করার আইনগত ভিত্তি এখন কোথা থেকে পেলেন? ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে স্বাধীনতা যুদ্ধের ওপর অন্য কিছুই অধিকতর গুরুত্ব পেতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে জাতি-ধর্মনির্বিশেষে আমাদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ নাই। মেজরিটি বা মাইনরিটি বলতে কিছুই নেই। সবাই বাংলাদেশের নাগরিক এবং সবার সমান অধিকার। আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।’
সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়—নীতি অনুসরণ করে ভারতসহ প্রতিবেশী সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায় বলে জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
২ ঘণ্টা আগেকঠিন সময়ে দলের প্রতি নেতা–কর্মীদের একাগ্রতা ও ত্যাগ আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় শক্তি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় থাকুন, আমাদের পেজ থেকে প্রকাশিত প্রতিটি বার্তা ছড়িয়ে দিন। সে জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেসশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ৯ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার, বীর সিপাহসালার মেজর এম এ জলিলকে মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য রাষ্ট্রীয় খেতাব প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলক, জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব...
৬ ঘণ্টা আগেসেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারে থাকা তিন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, আসিফ ভূঁইয়া সজীব ও নাহিদ ইসলাম। একই অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী ড. মুহাম্
১ দিন আগে