সাখাওয়াত ফাহাদ, ফরিদপুর থেকে
ফরিদপুরে বিএনপির গণসমাবেশের বাকি আর এক দিন। তবে পরিবহন বন্ধ থাকার কারণে দলীয় নেতা-কর্মীরা গত বুধবার থেকেই সমাবেশস্থলে দলে দলে এসে জড়ো হচ্ছেন। মাঠের পাশেই চলছে রান্না ও খাওয়াদাওয়ার প্রস্তুতি। একটু পরপরই সমাবেশস্থলে মিছিল নিয়ে আসছেন বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে বিএনপির নেতা কর্মীরা।
নেতৃবৃন্দ বলছেন, কোনো বাধাই তাঁদের দমাতে পারবে না। শনিবার (১২ নভেম্বর) লক্ষাধিক লোকের সমাগম হবে ফরিদপুর শহর থেকে ছয় কিলোমিটার দূরের কোমরপুর আবদুল আজিজ ইনস্টিটিউশন মাঠে।
শুক্রবার দুপুরে সমাবেশস্থলে গিয়ে দেখা যায়, সমাবেশে আগতরা খাবার খাচ্ছেন। খাবারের দায়িত্বে থাকা নেতৃবৃন্দ জানান, প্রতিটি জেলা-উপজেলার নেতা-কর্মীরা নিজেরা চাঁদা দিয়ে খাবারের ব্যবস্থা করেছেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক খোকন তালুকদার বলেন, ‘মাঠে প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ হাজার মানুষের খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ ছাড়া সকালের নাশতারও ব্যবস্থা করা হয়েছে। নেতা-কর্মীরা নিজেরাই চাঁদা দিয়ে খাবারের ব্যবস্থা করছেন।’
সমাবেশে যোগ দিতে গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, রাজবাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতা-কর্মীরা এসেছেন। তাঁদের অনেকেই গল্প, আলোচনা করছেন। অনেকেই স্লোগান, মিছিলে ব্যস্ত। রাতে যাঁরা বিশ্রামের সুযোগ পাননি, তাঁরা বিশ্রাম নিচ্ছেন, ঘুমাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজবাড়ীর পাংশা থেকে সমাবেশে যোগ দিতে এসেছেন কৃষক আহমদ আলী শেখ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কৃষিকাজ করি, কিন্তু ঠিকমতো খাইতে পাই না। ফসলের দাম ঠিকমতো পাই না। তাই অন্য সবার সঙ্গে এইখানে আইছি।’ পাংশার আরেক কৃষক নবাব হোসেন বলেন, ‘সারের দাম বাড়ছে, সেচের দাম বাড়ছে। বিএনপির আমলে তো এত দাম ছিল না। বেশি দামে ফসল ফলায়ে সেই টাকা ওঠে না। আমরা বাঁচব কীভাবে?’
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটি সাবেক সহছাত্রীবিষয়ক সম্পাদক শওকত আরা উর্মি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাংলাদের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই নাজুক। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, ব্যাংকের দেউলিয়াপনা, সরকারের নির্যাতনে মানুষ অতিষ্ঠ। মানুষ এই সরকারের পরিবর্তন চায় বলেই এত দুর্ভোগের শিকার হয়েও দূরদূরান্ত থেকে গণসমাবেশে যোগ দিতে আসছে। আমরা চাই, দেশে গণতন্ত্র ও জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হোক।’
শুক্রবার দুপুরে কোমরপুর স্কুল মসজিদ ও মাঠে নামাজের আয়োজন করা হয়। এতে সমাবেশে আগত শত শত নেতা-কর্মী অংশগ্রহণ করেন। নামাজ শেষে আবারও পুরো সমাবেশস্থল মিছিল, স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। এ সময়, ‘বাংলাদেশ যাবে কোন পথে, ফয়সালা হবে রাজপথে’, ‘খালেদা জিয়া, তারেক রহমান’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন নেতা-কর্মীরা।
জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই সরকার মানুষের কাছে যা ওয়াদা করেছিল তার একটিও রাখতে পারেনি। ১০ টাকার চাল ৮০ টাকা। দুর্নীতির ফলে রিজার্ভ শূন্যের কোঠায় প্রায়। এই সরকার এখন জনবিচ্ছিন্ন। এরা নির্যাতন-নিপীড়ন করে টিকে থাকতে চায়। কিন্তু যারা আওয়ামী লীগ সমর্থন করে, তারাও এখন আর আওয়ামী লীগকে চায় না। তাই ধর্মঘট, হরতাল দিয়ে গণমানুষের এই স্রোত সরকার আটকাতে পারবে না।’
ফরিদপুরে বিএনপির গণসমাবেশের বাকি আর এক দিন। তবে পরিবহন বন্ধ থাকার কারণে দলীয় নেতা-কর্মীরা গত বুধবার থেকেই সমাবেশস্থলে দলে দলে এসে জড়ো হচ্ছেন। মাঠের পাশেই চলছে রান্না ও খাওয়াদাওয়ার প্রস্তুতি। একটু পরপরই সমাবেশস্থলে মিছিল নিয়ে আসছেন বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে বিএনপির নেতা কর্মীরা।
নেতৃবৃন্দ বলছেন, কোনো বাধাই তাঁদের দমাতে পারবে না। শনিবার (১২ নভেম্বর) লক্ষাধিক লোকের সমাগম হবে ফরিদপুর শহর থেকে ছয় কিলোমিটার দূরের কোমরপুর আবদুল আজিজ ইনস্টিটিউশন মাঠে।
শুক্রবার দুপুরে সমাবেশস্থলে গিয়ে দেখা যায়, সমাবেশে আগতরা খাবার খাচ্ছেন। খাবারের দায়িত্বে থাকা নেতৃবৃন্দ জানান, প্রতিটি জেলা-উপজেলার নেতা-কর্মীরা নিজেরা চাঁদা দিয়ে খাবারের ব্যবস্থা করেছেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক খোকন তালুকদার বলেন, ‘মাঠে প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ হাজার মানুষের খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ ছাড়া সকালের নাশতারও ব্যবস্থা করা হয়েছে। নেতা-কর্মীরা নিজেরাই চাঁদা দিয়ে খাবারের ব্যবস্থা করছেন।’
সমাবেশে যোগ দিতে গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, রাজবাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতা-কর্মীরা এসেছেন। তাঁদের অনেকেই গল্প, আলোচনা করছেন। অনেকেই স্লোগান, মিছিলে ব্যস্ত। রাতে যাঁরা বিশ্রামের সুযোগ পাননি, তাঁরা বিশ্রাম নিচ্ছেন, ঘুমাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজবাড়ীর পাংশা থেকে সমাবেশে যোগ দিতে এসেছেন কৃষক আহমদ আলী শেখ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কৃষিকাজ করি, কিন্তু ঠিকমতো খাইতে পাই না। ফসলের দাম ঠিকমতো পাই না। তাই অন্য সবার সঙ্গে এইখানে আইছি।’ পাংশার আরেক কৃষক নবাব হোসেন বলেন, ‘সারের দাম বাড়ছে, সেচের দাম বাড়ছে। বিএনপির আমলে তো এত দাম ছিল না। বেশি দামে ফসল ফলায়ে সেই টাকা ওঠে না। আমরা বাঁচব কীভাবে?’
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটি সাবেক সহছাত্রীবিষয়ক সম্পাদক শওকত আরা উর্মি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাংলাদের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই নাজুক। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, ব্যাংকের দেউলিয়াপনা, সরকারের নির্যাতনে মানুষ অতিষ্ঠ। মানুষ এই সরকারের পরিবর্তন চায় বলেই এত দুর্ভোগের শিকার হয়েও দূরদূরান্ত থেকে গণসমাবেশে যোগ দিতে আসছে। আমরা চাই, দেশে গণতন্ত্র ও জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হোক।’
শুক্রবার দুপুরে কোমরপুর স্কুল মসজিদ ও মাঠে নামাজের আয়োজন করা হয়। এতে সমাবেশে আগত শত শত নেতা-কর্মী অংশগ্রহণ করেন। নামাজ শেষে আবারও পুরো সমাবেশস্থল মিছিল, স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। এ সময়, ‘বাংলাদেশ যাবে কোন পথে, ফয়সালা হবে রাজপথে’, ‘খালেদা জিয়া, তারেক রহমান’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন নেতা-কর্মীরা।
জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই সরকার মানুষের কাছে যা ওয়াদা করেছিল তার একটিও রাখতে পারেনি। ১০ টাকার চাল ৮০ টাকা। দুর্নীতির ফলে রিজার্ভ শূন্যের কোঠায় প্রায়। এই সরকার এখন জনবিচ্ছিন্ন। এরা নির্যাতন-নিপীড়ন করে টিকে থাকতে চায়। কিন্তু যারা আওয়ামী লীগ সমর্থন করে, তারাও এখন আর আওয়ামী লীগকে চায় না। তাই ধর্মঘট, হরতাল দিয়ে গণমানুষের এই স্রোত সরকার আটকাতে পারবে না।’
গণফোরামের চেয়ারম্যান মোস্তফা মহসিন মন্টু বলেছেন, ‘যে ছাত্ররা একসময় স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করেছে, আজ তাদেরই সোহরাওয়ার্দী ও কবি নজরুল কলেজসহ বিভিন্ন স্থানে সংঘাতে জড়াতে দেখা যাচ্ছে। এটি দুঃখজনক ও অগ্রহণযোগ্য। আমরা ছাত্রদের মধ্যে জাতীয় ঐক্য চাই এবং বিশ্বাস করি, তাদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন
৯ ঘণ্টা আগেদেশের স্বার্থে বিএনপি যে জাতীয় ঐক্যের প্রস্তাব দিয়েছে, তার সঙ্গে জামায়াতে ইসলামী একমত। এমনটাই জানিয়েছেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেছেন, ‘আমরা একমত হয়েছি, দেশের সকল মানুষকে নিয়ে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। দেশের স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে যারা জড়িত, তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনত
১০ ঘণ্টা আগেসংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ প্রসঙ্গে জি এম কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশে সংসদীয় গণতন্ত্রব্যবস্থা চালুর প্রথম থেকেই প্রধানমন্ত্রী বা সরকারের প্রধান নির্বাহীকে সংসদের ওপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা দেওয়া আছে, যা সংবিধানে অনুচ্ছেদ ৭০–এর মাধ্যমে প্রয়োগের সুযোগ রয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগেফ্যাসিবাদকে ফিরিয়ে আনতে পরিকল্পিতভাবে ভয়াবহ অবস্থা তৈরির চেষ্টা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘এমন কিছু কাজ হচ্ছে, যার মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদের ফিরে আসার সম্ভাবনা বেড়ে গেছে।’ আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় কবিতা পরিষদ আয়োজিত ‘রাষ্ট্র
১৪ ঘণ্টা আগে