নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য ক্ষমতাসীন দলের সিন্ডিকেটকে দায়ী করে এই ব্যর্থতার দায়ে সরকারকে ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দেশ ও দেশের মানুষের অস্তিত্ব রক্ষায় এই সরকারকে পরাজিত করারও আহ্বান জানান তিনি। শনিবার দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের বিএনপির প্রতীকী অনশনের উদ্বোধনী বক্তৃতায় তিনি এই আহ্বান জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘চাল, ডাল, তেল, আটা, সবজিসহ সমস্ত জিনিসের যে হারে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, তা এখন মানুষের সহ্যের বাইরে চলে গেছে। এর মধ্য দিয়ে যে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে তাতে এই অনির্বাচিত সরকারকে যদি পরাজিত করতে না পারি, তাদের যদি ক্ষমতা থেকে সরাতে না পারি তাহলে এ দেশের মানুষের অস্তিত্ব থাকবে না।’
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির পেছনে ক্ষমতাসীনদের সিন্ডিকেটকে দায়ী করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আসুন আমরা আজ এই গণ অনশনের মধ্য দিয়ে আমাদের যে প্রতিবাদ—তা দেশের সকল মানুষের কাছে পৌঁছে দেই। এই গণ অনশন পালন করে সরকারকে জানিয়ে দেই যে—আপনাদের প্রতি জনগণের কোনো আস্থা নেই। ব্যর্থতায় দায় স্বীকার করে আপনারা সরে যান, ক্ষমতা ছেড়ে নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন।’
ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির যৌথ উদ্যোগে এই অনশন শুরু হয় সকাল ১০টায়। বিকেল তিনটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ারুল্লাহ চৌধুরী বিএনপির মহাসচিব এবং স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে পানি খাইয়ে অনশন ভঙ্গ করান। পাঁচ ঘণ্টার কর্মসূচিতে দলীয় নেতাদের পাশাপাশি সমমনা দলের অনেক নেতাও সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন। যদিও সময়ের অভাবে সমাপনী বক্তৃতা দেওয়ার সুযোগ পাননি অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘সব কথার এক কথা, সরকারের পদত্যাগ, একটা সুষ্ঠু নির্বাচন। এই লক্ষ্যে আমাদের মধ্যে বিভেদ নেই। এই তর্কেরও বোধ হয় প্রয়োজন নাই। কারণ এই সরকারকে সরাতে না পারলে যে ধরনের সরকারই চান, তা হবে না। আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে সরকারের পতন ঘটাই। তারপর সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন করি, তারপরে দেশটা মেরামত করি।’
দলটির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য আবদুল মঈন খান বলেন, ‘লগি-বইঠা বিএনপির অস্ত্র নয়। এই অস্ত্রের প্রয়োজন আছে আজকে যারা সরকার চালায়, তাদের। আমাদের অস্ত্র লগি-বইঠা নয়। বিএনপির অস্ত্র হচ্ছে জনগণ। এই জনগণকে নিয়ে আমরা এই সরকারের পতন ঘটিয়ে এ দেশে জনগণের সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করব।’
সমাবেশে সংহতি জানিয়ে সব গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোকে সরকার পতনের আন্দোলনের জন্য ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান নাগরিক ঐক্যর আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, ‘একটাই কাজ করতে হবে, এমন আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে সরকার যাতে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয় এবং পালাবার কোনো পথ না পায়। মানুষ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে। আমি আপনাদের কাছে প্রশ্ন করছি ১৭ কোটি মানুষ আপনাদের পেছনে সেই দল সরকারের নির্দেশের অপেক্ষার আর প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। ওরা অনুমতি দেবে না, আমি অনুমতি চাইও না।’
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে মাঠের কর্মসূচিতে সক্রিয় হওয়ায় বিএনপিকে সাধুবাদ জানান বিএনপির অন্যতম মিত্র সংগঠন জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুল।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে অনশনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালামসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন। সংহতি প্রকাশ করে বক্তৃতা করেন জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপির) মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এনপিপির সভাপতি ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) খন্দকার লুৎফর রহমানসহ আরও অনেকে।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য ক্ষমতাসীন দলের সিন্ডিকেটকে দায়ী করে এই ব্যর্থতার দায়ে সরকারকে ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দেশ ও দেশের মানুষের অস্তিত্ব রক্ষায় এই সরকারকে পরাজিত করারও আহ্বান জানান তিনি। শনিবার দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের বিএনপির প্রতীকী অনশনের উদ্বোধনী বক্তৃতায় তিনি এই আহ্বান জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘চাল, ডাল, তেল, আটা, সবজিসহ সমস্ত জিনিসের যে হারে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, তা এখন মানুষের সহ্যের বাইরে চলে গেছে। এর মধ্য দিয়ে যে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে তাতে এই অনির্বাচিত সরকারকে যদি পরাজিত করতে না পারি, তাদের যদি ক্ষমতা থেকে সরাতে না পারি তাহলে এ দেশের মানুষের অস্তিত্ব থাকবে না।’
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির পেছনে ক্ষমতাসীনদের সিন্ডিকেটকে দায়ী করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আসুন আমরা আজ এই গণ অনশনের মধ্য দিয়ে আমাদের যে প্রতিবাদ—তা দেশের সকল মানুষের কাছে পৌঁছে দেই। এই গণ অনশন পালন করে সরকারকে জানিয়ে দেই যে—আপনাদের প্রতি জনগণের কোনো আস্থা নেই। ব্যর্থতায় দায় স্বীকার করে আপনারা সরে যান, ক্ষমতা ছেড়ে নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন।’
ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির যৌথ উদ্যোগে এই অনশন শুরু হয় সকাল ১০টায়। বিকেল তিনটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ারুল্লাহ চৌধুরী বিএনপির মহাসচিব এবং স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে পানি খাইয়ে অনশন ভঙ্গ করান। পাঁচ ঘণ্টার কর্মসূচিতে দলীয় নেতাদের পাশাপাশি সমমনা দলের অনেক নেতাও সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন। যদিও সময়ের অভাবে সমাপনী বক্তৃতা দেওয়ার সুযোগ পাননি অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘সব কথার এক কথা, সরকারের পদত্যাগ, একটা সুষ্ঠু নির্বাচন। এই লক্ষ্যে আমাদের মধ্যে বিভেদ নেই। এই তর্কেরও বোধ হয় প্রয়োজন নাই। কারণ এই সরকারকে সরাতে না পারলে যে ধরনের সরকারই চান, তা হবে না। আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে সরকারের পতন ঘটাই। তারপর সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন করি, তারপরে দেশটা মেরামত করি।’
দলটির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য আবদুল মঈন খান বলেন, ‘লগি-বইঠা বিএনপির অস্ত্র নয়। এই অস্ত্রের প্রয়োজন আছে আজকে যারা সরকার চালায়, তাদের। আমাদের অস্ত্র লগি-বইঠা নয়। বিএনপির অস্ত্র হচ্ছে জনগণ। এই জনগণকে নিয়ে আমরা এই সরকারের পতন ঘটিয়ে এ দেশে জনগণের সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করব।’
সমাবেশে সংহতি জানিয়ে সব গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোকে সরকার পতনের আন্দোলনের জন্য ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান নাগরিক ঐক্যর আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, ‘একটাই কাজ করতে হবে, এমন আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে সরকার যাতে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয় এবং পালাবার কোনো পথ না পায়। মানুষ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে। আমি আপনাদের কাছে প্রশ্ন করছি ১৭ কোটি মানুষ আপনাদের পেছনে সেই দল সরকারের নির্দেশের অপেক্ষার আর প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। ওরা অনুমতি দেবে না, আমি অনুমতি চাইও না।’
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে মাঠের কর্মসূচিতে সক্রিয় হওয়ায় বিএনপিকে সাধুবাদ জানান বিএনপির অন্যতম মিত্র সংগঠন জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুল।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে অনশনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালামসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন। সংহতি প্রকাশ করে বক্তৃতা করেন জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপির) মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এনপিপির সভাপতি ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) খন্দকার লুৎফর রহমানসহ আরও অনেকে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে ঢাকা সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দীর্ঘ এক যুগ পর গুরুত্বপূর্ণ এ দিবসের কর্মসূচিতে তাঁর অংশগ্রহণকে রাজনীতির জন্য ইতিবাচক ঘটনা বলে মনে করছেন বিশ্লেষক ও রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা
৫ মিনিট আগেমানবমুক্তির মহান সংগ্রামে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কমরেড হেনা দাস অবিচল ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি বলেন, ‘বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষের মুক্তির সংগ্রামে কমরেড হেনা দাস ছিলেন অগ্রসৈনিক।’
১১ ঘণ্টা আগেসবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়—নীতি অনুসরণ করে ভারতসহ প্রতিবেশী সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায় বলে জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
১৪ ঘণ্টা আগেকঠিন সময়ে দলের প্রতি নেতা–কর্মীদের একাগ্রতা ও ত্যাগ আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় শক্তি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় থাকুন, আমাদের পেজ থেকে প্রকাশিত প্রতিটি বার্তা ছড়িয়ে দিন। সে জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগে