এমপি না হয়ে থাকলে মন্ত্রীদের শপথ কীভাবে পড়ানো হলো, প্রশ্ন ব্যারিস্টার খোকনের 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ২১: ৫০
আপডেট : ১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ২২: ৩৯

এমপি না হয়ে থাকলে মন্ত্রীদের শপথ কীভাবে পড়ানো হলো—এমন প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আইন মানে না, সংবিধান মানে না। এখন শপথ নিয়ে নিছে। কীভাবে শপথ নিলেন আপনারা?’

আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের অ্যানেক্স ভবনের সামনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন।

খোকন বলেন, ‘সংবিধানের ৭২ (৩) অনুচ্ছেদে বলা আছে, রাষ্ট্রপতি ভেঙে না দিলে প্রথম বৈঠকের তারিখ থেকে ৫ বছর অতিক্রান্ত হলে সংসদ ভেঙে যাবে। সংসদ তো ভাঙেনি। ৫ বছর অতিক্রান্ত হয়নি। প্রথম বৈঠক হয়েছিল ২০১৯ সালের ২৯ জানুয়ারি। রাতের ভোটে যে এমপিরা হয়েছিলেন তাদের মেয়াদ তো ৫ বছর হয়নি। এখন যে আবার ৩০০ এমপি শপথ নিলেন–এটার বৈধতা কোথায়? এখন তো ৬০০ এমপি হয়ে গেল। এমপি না হয়ে থাকলে মন্ত্রীদের শপথ কীভাবে পড়ানো হলো?’

জাতীয় সংসদের স্পিকারকে উদ্দেশ্য করে খোকন বলেন, ‘স্পিকার আইনের ছাত্র। সংবিধান সম্পর্কে আপনার ভালো ধারণা থাকার কথা। আমি বিশ্বাস করি আছে। ৭২ (৩) কি করবেন আপনি? ১৯ দিন আগে এমপিদের শপথ পড়ানো হয়েছে। আগের ৩০০ এমপির কি হবে? এদের কোনো সাংবিধানিক বৈধতা নেই।’

খোকন বলেন, সংবিধানে পরিষ্কার বলা আছে, ৫ বছর মেয়াদ শেষ হলে সংসদ ভাঙবে। মেয়াদ তো শেষ হয়নি। না ভাঙতেই আবারও ৩০০ জনের শপথ পড়ানো হলো কীভাবে? এর আগে এই প্রশ্নটি এসেছিল। সুপ্রিম কোর্ট বলেছেন, থিওরিক্যালি নিয়েছিল, প্র্যাকটিক্যালি নেয়নি। আমি মনে করি প্রশ্ন থেকে গেল।’

মন্ত্রিসভা নিয়ে খোকন বলেন, ‘আমি মনে করি প্র্যাকটিক্যালি নিয়েছে। ১০ জানুয়ারি এমপিরা শপথ নিয়ে ১১ তারিখ মন্ত্রিসভা হলো। মন্ত্রিসভায় টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী ১০ শতাংশ। অনেকেই নতুন এমপি হিসেবে শপথ নিয়ে মন্ত্রী হলেন। মন্ত্রিসভারই তো কোনো বৈধতা নেই। আমি মনে করি এটি সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক। এখন ৬০০ এমপি। এটি অবৈধ। এর উত্তর চাই। যদি সংবিধান ও আইনের শাসনের প্রতি সম্মান থাকে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিসভার সদস্যরা ও ৩০০ জন এমপি দ্রুত পদত্যাগ করুন। নতুবা সংবিধান লঙ্ঘন করা হবে। এটি রাষ্ট্রদ্রোহীতার শামীল। এগুলোর জন্য বিচারের সম্মুখীন হতে হবে।’

ব্যারিস্টার খোকন নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, ‘আইনের দৃষ্টিতে কোনো নির্বাচনই (৭ জানুয়ারি) হয়নি। ২ শতাংশ ভোট দিয়েছে, ৯৮ শতাংশ এটি বর্জন করেছে। সরকার জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না। নির্বাচন কমিশনকে পোষা একটি সংগঠনের মতো ব্যবহার করেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, গণমাধ্যম এবং নৌকা প্রতীকের আওয়ামী লীগের এমপি প্রার্থীরা যারা হেরে গেছে তারা বলছে কীভাবে ভোট কারচুপি হয়েছে, ভোট জালিয়াতি হয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বলতেছে। নির্বাচন কমিশন কি অন্ধ? তারা অন্ধ হয়ে বসে আছে। আমাদের নির্বাচন কমিশনের চোখ নেই। কানেও কম শুনে। কেন জাতি তাদেরকে বেতন দেবে, ভাতা দেবে, সুযোগ–সুবিধা দেবে? এই নির্বাচন আইনের দৃষ্টিতে নির্বাচনই হয়নি।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত