Ajker Patrika

বিএনপির নিবন্ধন বাতিল ও রাজনীতি নিষিদ্ধ চেয়ে ইসিতে যুবলীগের চিঠি 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১০ আগস্ট ২০২৩, ১৬: ৪৫
বিএনপির নিবন্ধন বাতিল ও রাজনীতি নিষিদ্ধ চেয়ে ইসিতে যুবলীগের চিঠি 

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন আখ্যা দিয়ে দলটির নিবন্ধন বাতিল ও রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বরাবর স্মারকলিপি জমা দিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ।

আজ বৃহস্পতিবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল ইসির সচিব মো. জাহাংগীর আলমের কাছে এ স্বারকলিপি জমা দেন। 

স্মারকলিপি জমা দিয়ে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল সাংবাদিকদের বলেন, ১৯৭৫ সালে জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্যে দিয়ে এ দেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। তারই উত্তরসূরিরা তারেক রহমান ও তাঁর মায়ের নেতৃত্বে যে সংগঠন পরিচালিত হচ্ছে বাংলাদেশে হরতাল-অবরোধের নামে জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে। 

মাইনুল হোসেন খান বলেন, বাংলাদেশ যখন উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছে তখন তারেক রহমানের নেতৃত্বে আবারও সন্ত্রাস হচ্ছে। তারেক রহমানের নির্দেশেই নৈরাজ্য হচ্ছে, সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চায় বিএনপি। সহিংসতা করে বিদেশিদের বার্তা দিতে চান বাংলাদেশ ব্যর্থ রাষ্ট্র। জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচারের পাশাপাশি তারেক রহমানকে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তারেক রহমান একজন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি তাই তাকে ফিরিয়ে এনে মহামান্য আদালত যে রায় দিয়েছেন, সেটা কার্যকর করা। বিএনপির রাজনীতি যত দিন থাকবে, তত দিন তারা দেশ ধ্বংসের চক্রান্ত করবে। তত দিনই তারা হত্যা, পেট্রলবোমা হামলা, গ্রেনেড হামলা, আগুনে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করতেই থাকবে। তাই দেশের যুবসমাজ, ছাত্রসমাজ এবং সর্বস্তরের জনগণ মনে করে এই সংগঠনের বিচরণ বেশি দিন বাংলার মাটিতে থাকা উচিত নয়। তাই আমরা তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের দাবি করছি। সেই সঙ্গে বিএনপির রাজনীতি নিবন্ধন বাতিলের দাবি জানিয়েছি।’

সিইসি বরাবর লিখিত স্মারকলিপিতে তারেক রহমানের সঙ্গে জোবাইদা রহমানের রায় কার্যকর করারও দাবি জানানো হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শেখ হাসিনার রায় ঘিরে একটি মহল নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে: মির্জা ফখরুল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সারা দেশে নির্বিচারে হত্যার ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আগামীকাল সোমবার রায় ঘোষণা করা হবে। এই মামলার আসামি শেখ হাসিনা। এই রায়কে কেন্দ্র করে এরই মধ্যে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যানবাহনে আগুন ও নৈরাজ্যের ঘটনা ঘটছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘শেখ হাসিনার রায় নিয়ে একটি মহল দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে।’

আজ রোববার দুপুরে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৯ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। বিএনপির পক্ষ থেকে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে মাওলানা ভাসানী মৃত্যুবার্ষিকী পালন জাতীয় কমিটি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা এমনিতেই খারাপ, নির্বাচিত সরকার না থাকলে তা আরও খারাপ হবে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিও খারাপ এবং নির্বাচিত সরকার না থাকলে তা আরও খারাপ হবে। আগামীকাল ফ্যাসিস্ট হাসিনার গণহত্যার বিরুদ্ধে যেটা হয়েছে তার রায় বের হবে। এই নিয়ে চরম একটা অনিশ্চয়তা, একটা আতঙ্ক সারা দেশে বিরাজ করছে। একটা মহল বাংলাদেশে আবার নৈরাজ্য সৃষ্টি করার জন্য পাঁয়তারা করছে। আমাদের আজকে রুখে দাঁড়াতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘কিছু মহল পরিকল্পিতভাবে দেশে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করতে চায় এবং তারা বিভিন্ন দাবি তুলে নির্বাচনকে ব্যাহত করতে চায়। এ দেশে এখন সবচেয়ে বড় প্রয়োজন যেটা একটা নির্বাচিত সরকার, যার পেছনে জনগণ থাকবে।’

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘নির্বাচন হচ্ছে একমাত্র পথ, যা দিয়ে একটা ট্রানজিশন ডেমোক্রেসিতে (গণতন্ত্রে) আমরা যেতে পারব এবং জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে সেখানে আমরা প্রতিফলিত করবার চেষ্টা করতে পারব। যদিও অনেক বিভ্রান্তি, হতাশা ও অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার একটি সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের এই মানুষের, ছাত্রদের অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে সুযোগ আমরা পেয়েছি সেই সুযোগ যেন আমরা নষ্ট না করি এবং উত্তরণের পথকে যেন আমরা আরও সহজ করে চলি, সেই লক্ষ্যে আমাদের কাজ করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোকে আহ্বান জানাব যে, আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ থেকে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করব এবং ঐক্যবদ্ধ থেকে আমরা সামনে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাই। মওলানা ভাসানীর যে আদর্শ সেই আদর্শকে লক্ষ্য করে আমরা যেন এখানে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারি।’

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও মাওলানা ভাসানী মৃত্যুবার্ষিকী পালন জাতীয় কমিটির সদস্যসচিব শামসুজ্জামান দুদুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন—বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, ন্যাশনাল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মো. ফারুক রহমান, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ও ইডেন কলেজের সাবেক ভিপি হেলেন জেরিন খান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

একটা দলের কর্মীরা ‘না’ ভোটের পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছে: গোলাম পরওয়ার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। ছবি: আজকের পত্রিকা
যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। ছবি: আজকের পত্রিকা

গণভোটে ‘হ্যাঁ’ ভোট দিতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুগপৎ আন্দোলনের শরিক জামায়াতসহ ৮ দল। আজ রোববার রাজধানীর মগবাজারে আল ফালাহ মিলনায়তনে আয়োজিত এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ৮ দলের পক্ষে এই আহ্বান জানান জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। একটি দলের কর্মী অনলাইনে ‘না’ ভোটের পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির প্রয়োজনে গণভোটটা যখন হবে, এই গণভোটের সংস্কারের পক্ষে আমরা সবাই “হ্যাঁ” বলব এবং জাতিকে আমরা “হ্যাঁ”-এর পক্ষে ভোট দেওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করব। কারণ, আমরা সংস্কারের পক্ষে ছিলাম।’

তিনি আরও বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক যে সংস্কারগুলো গণভোটে যাচ্ছে কমিশনের পক্ষ থেকে, তার মধ্যে অনেক সংস্কারের ব্যাপারে একটি দল বিরোধিতা করেছিল। আমরা সংস্কারপন্থী, সেই কারণে আমরা এই সংস্কারের পক্ষে আছি এবং আমরা দেশবাসীকে এই সংস্কার প্রস্তাবের পক্ষে “হ্যাঁ” ভোট দেওয়ার জন্য একই সঙ্গে আহ্বান জানাতে থাকব।’

জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল সরকারে কাছে দাবি জানান, সরকার যেন এই সংস্কার প্রস্তাবগুলো জাতির সামনে তুলে ধরে যে, কী কী সংস্কার করা হচ্ছে, কী বিদ্যমান রাষ্ট্র ব্যবস্থায় আছে, আর কী নতুন হবে। নির্বাচন কমিশন তাদের ওয়েবসাইটে পাবলিক করতে পারে, সরকারি প্রচারপত্র বিলি করে, জাতীয় প্রচারমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচার করে জনগণকে সচেতন করতে পারে। তিনি বলেন, ‘জনগণ যেন এই সংস্কার প্রস্তাবের পক্ষে “হ্যাঁ” বলতে পারে। তার প্রয়োজনীয় উৎসাহ দেওয়া, প্রয়োজনীয় ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করে জিনিসটাকে সহজ করা দরকার।’

গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা তাঁর ভাষণে যেভাবে বলেছেন, সাধারণ স্বল্পশিক্ষিত মানুষ এই সব সংস্কারের ইন্টারনাল, এই সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ খুব কমই বোঝে। এটাকে অতি সহজ করে, কিসে আমরা “হ্যাঁ” বলতে যাচ্ছি—সংস্কারে গৃহীত সব বিষয়গুলোকে অতি সহজ করে ভোটারদের কাছে, দেশবাসীর কাছে সরকারকে পেশ করতে হবে।’

একটা দলের কর্মীরা অনলাইনে ‘না’ ভোটের পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছে, অভিযোগ করে গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘এটা দিয়েই প্রমাণ হলো যে নতুন অভিযাত্রায় সংস্কারের কারা বিরোধিতা করছে। গোটা জাতি সংস্কারের পক্ষে, আর যদি কেউ এটার বিপক্ষে যায় জাতি নিশ্চয় তাদের প্রত্যাখ্যান করবে।’

৮ দলের আন্দোলন অব্যাহত থাকছে কিনা—এমন প্রশ্নের জবাবে পরওয়ার বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচির বিষয়ে লিয়াজোঁ কমিটির ওপর দায়িত্ব আছে, তারা বসবেন এবং ঘোষণা করবেন। আমাদের আন্দোলনের সব দাবি তো পূরণ হয়নি। এ জন্য আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব ইউনুস আহমাদ, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, জাগপার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল আহমেদ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব জালালুদ্দিন আহমদসহ ৮ দলের শীর্ষ নেতারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইসির সংলাপে ইসলামী ঐক্যজোটের দুই পক্ষের হট্টগোল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
রোববার নির্বাচন কমিশনে সংলাপে এসে বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়ান ইসলামী ঐক্যজোটের দুই পক্ষ। ছবি: স্ক্রিনশট
রোববার নির্বাচন কমিশনে সংলাপে এসে বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়ান ইসলামী ঐক্যজোটের দুই পক্ষ। ছবি: স্ক্রিনশট

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে দ্বিতীয় দিনের সংলাপ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সংলাপ শুরু হয়। এতে ইসলামী ঐক্যজোটের দুই পক্ষের প্রতিনিধি আসায় কিছুটা হট্টগোল হয়। এ সময় সংলাপে অংশ নিতে আসা যাদের কাছে চিঠি নেই তাদের সম্মেলন কক্ষ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার বলেন ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।

সম্মেলন কক্ষ থেকে বের হাওয়ার সময় ইসলামী ঐক্যজোটের একপক্ষের যুগ্ম মহাসচিব দাবি করা মইনুদ্দিন রুহি আরেক পক্ষের প্রতি অভিযোগ করে বলেন, ‘আমাদের চিঠিটা ব্ল্যাকমেল করে ওনারা উঠিয়ে নিয়েছেন।’

সরেজমিনে দেখা যায়, সংলাপে অংশ নিতে দলটির যুগ্ম মহাসচিব দাবি করা মইনুদ্দিন রুহিসহ তিন সদস্যের প্রতিনিধি আগেই চেয়ারে বসেন। পরে দলটির আরেক পক্ষের মাওলানা জোবায়েরসহ একটি প্রতিনিধি সংলাপের কক্ষে প্রবেশ করেন, যাদের কাছে ইসি থেকে পাঠানো আমন্ত্রণপত্র রয়েছে। তখন কিছুটা হট্টগোলের পরিস্থিতি তৈরি হয়। এ সময় ইসি সচিব যাদের কাছে চিঠি নেই তাদের সম্মেলন কক্ষ থেকে বের হয়ে যাওয়ার অনুরোধ জানান।

সম্মেলন কক্ষ থেকে বের হওয়া অংশ থেকে মইনুদ্দিন রুহি বলেন, ‘আমাদের চিঠিটা ব্ল্যাকমেল করে ওনারা উঠিয়ে নিয়েছেন। কমিশন চেয়ারম্যান বরাবর চিঠি দিয়েছে। চেয়ারম্যান যাদের প্রতিনিধি নির্ণয় করেছেন, তারা আসবেন না? চেয়ারম্যান আমাদের চিঠি দিয়ে, প্যাডের মধ্যে লিখে দিয়েছেন। ওনারা (ইসি) বলছেন চিঠি যার কাছে তারা বসবেন। এটি একটি কথা হলো। বাইরের লোকের কাছে চিঠি থাকতে পারে? চিঠিটা ডাকে পাঠিয়ে, যে কেউ চিঠিটা উঠাইতে পারেন। চিঠি যার কাছে থাকবে, সেই কি ইসলামী ঐক্যজোটের প্রতিনিধি হবে?’ —প্রশ্ন রাখেন তিনি।

মইনুদ্দিন রুহি বলেন, চেয়ারম্যান ও মহাসচিব স্বাক্ষর করে আমাদের তিনজনকে প্রতিনিধি হিসেবে পাঠিয়েছেন।

ইসলামী ঐক্যজোটের এক পক্ষ সম্মেলন কক্ষ ত্যাগ করলে ইসি সচিব বলেন, ‘আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত অসামঞ্জস্যতা দিয়ে শুরু করার জন্য। তিতা দিয়ে শুরু করলে নাকি ভালো হয়।’

আজ সকালে গণফোরাম, গণফ্রন্ট, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি এবং দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (বাংলাদেশ জাসদ), বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাপ, তৃণমূল বিএনপি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর সঙ্গে সংলাপ করবে ইসি।

বিষয়:

ইসি
Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সংবিধানে ‘আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস’ পুনর্বহাল করবে বিএনপি: সালাহউদ্দিন আহমদ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
সালাহউদ্দিন আহমদ। ফাইল ছবি
সালাহউদ্দিন আহমদ। ফাইল ছবি

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস’ পুনর্বহাল করা হবে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। গতকাল শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘সম্মিলিত খতমে নবুয়ত পরিষদ’-এর উদ্যোগে আয়োজিত খতমে নবুয়ত মহাসম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

সম্মেলনে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি হিসেবে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান যেটা সংযোজন করেছিলেন—মহান আল্লাহর প্রতি আস্থা এবং বিশ্বাস–সংবিধানের প্রস্তাবনায় ছিল এবং রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিতে ছিল, অনুচ্ছেদ ৮-এর মধ্যে। সেটা তুলে দেওয়া হয়েছে আপনারা জানেন। ইনশা আল্লাহ আমরা সেটা পুনর্বহাল করব।’

বিএনপির এ জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের একজন কর্মী। আমাদের নেতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের সংবিধানে প্রথমবারের মতো ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ সংযোজন করেছিলেন।’

সালাহউদ্দীন আহমদ আরও বলেন, ‘রাসুল (সা.)-কে আল্লাহ তাআলা সারা বিশ্বের রহমতস্বরূপ পাঠিয়েছেন। আমরা মুসলমান।...রাসুল (সা.) বলে গিয়েছেন, “আমিই সর্বশেষ নবী। আমার পরে কোনো নবী আসবে না। ” যদি এরপরও কেউ নিজেকে নবী ঘোষণা করে বা দাবি করে, তাহলে তিনি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এই ঘোষণার মধ্যে নাই।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আল্লাহ রাব্বুল আলামিন যদি বাংলাদেশের রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব আমাদের দেয়; এ দেশের জনগণ যদি মহব্বত করে আমাদের দায়িত্ব দেয়; যদি আপনারা সবাই সহযোগিতা করেন, তাহলে আপনাদের আজকের এই যে দাবিদাওয়া, এসব দাবিদাওয়ার পক্ষে আমরা। এসব দাবি নিয়ে সংসদে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে কানুনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে ইনশা আল্লাহ। এ জন্য সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’

ধর্মীয় এ মহাসম্মেলনে বক্তারা কাদিয়ানিদের (আহমদিয়া মুসলিম হিসেবে পরিচিত) রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণার দাবি তোলেন। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের প্রতি আহ্বান জানান তাঁরা। পাকিস্তানের কয়েকজন ইসলামি চিন্তাবিদ, রাজনীতিকসহ বেশ কয়েকজন বিদেশি আলেম সম্মেলনে যোগ দেন। এদের মধ্যে ছিলেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের সদস্য ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম পাকিস্তানের সভাপতি মাওলানা ফজলুর রহমান, ইসলামি চিন্তাবিদ মাওলানা ইলিয়াস গুম্মান, পাকিস্তানের বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার মহাসচিব মাওলানা হানিফ জলন্ধরী। বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ আলেম ও ইসলামি দলের নেতাদের মধ্যে ছিলেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মামুনুল হক প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত