নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বর্তমান সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের কোনো উদ্যোগ নেবে না, বরং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে জড়িতদের রক্ষা করতেই সরকার প্রতিবাদকারীদের ওপর হামলা করছে। তাই এই সরকারের বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলন চলবে। গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম নেতা ও নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না এ কথা বলেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর পল্টনে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান কার্যালয়ে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, ব্যাংক লোপাট ও অর্থ পাচারের প্রতিবাদে সচিবালয় অভিমুখে গণতন্ত্র মঞ্চের বিক্ষোভ মিছিলে হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন মান্না। তিনি বলেন, ‘এক মাঘে শীত যাবে না, আমরা লাগাতার আন্দোলন করব, কোনো লুতুপুতু না। যতই মার খাই, আমাদের যতজনই আছে, আমরা ঘুরে দাঁড়াব।’
প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে মান্না আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষকে খুব বোকা মনে করেন। কয়েক দিন আগে তিনি মজুতদারদের গণপিটুনি দিয়ে মেরে ফেলতে বলেছিলেন। পুরো সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করে ছয়-সাত ব্যক্তি, যারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত। চাঁদাবাজি কি বিএনপি করে? আওয়ামী লীগের লোকেরাই করে। প্রধানমন্ত্রী সিন্ডিকেট দমন করতে পারেন না, চাঁদাবাজি কন্ট্রোল করতে পারেন না, তাহলে আছেন কেন?’
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘পুলিশের এক কর্মকর্তা আমাদের জমায়েতের ভেতরে এসে অবস্থান নিয়ে হ্যাডম দেখানোতে নেমে পড়েছিলেন। আন্দোলনকারীরা তাঁকে একপাশে নিয়ে যেতে চেয়েছে। তখনই পুলিশ বাঁশি বাজিয়ে যেভাবে আক্রমণ শুরু করল, তা খুবই ন্যক্কারজনক। গরু পেটানোর মতো পুলিশ আমাদের পিটিয়েছে।’ এ সময় তিনি হামলাকারী পুলিশ সদস্যদের চিহ্নিত করে বিচারের দাবি জানান।
বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ফলে আবারও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাবে জানিয়ে সাইফুল হক আরও বলেন, ‘যে মানুষ বাজারের আগুনে পুড়ছে, বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে তাদের আরও বড় দুর্যোগে ফেলতে যাচ্ছে সরকার। কোনো রাজনৈতিক সরকার বর্তমানে দেশের ক্ষমতায় নেই, একটা দুর্বৃত্তায়িত মাফিয়া সিন্ডিকেট দেশের দখল নিয়েছে।’
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের অর্থনৈতিক সমন্বয়ক দিদারুল ভূঁইয়া বলেন, ‘যেভাবে পুলিশ মাথা থেকে পা পর্যন্ত মেরেছে, তা দেখে মনে হয়েছে—হত্যার উদ্দেশ্যে মারা হয়েছে। তাঁরা পরিকল্পিতভাবে একটা ঝামেলা করার জন্য আন্দোলনকারীদের মেরেছে।’
ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্যসচিব হাবিবুর রহমান রিজু বলেন, ‘বর্তমানে সরকার পুলিশ পরিচালনা করছে, না কি পুলিশ সরকার পরিচালনা করছে—তা নিয়ে আমরা সন্দিহান।’
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, ব্যাংক লুটপাট, বিদেশে অর্থ পাচারের প্রধান পৃষ্ঠপোষক সরকার। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে সরকার জনগণের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়বে। এদের হটানো ছাড়া বাঁচার কোনো উপায় নাই।’
সংবাদ সম্মেলনে গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল গণতন্ত্র মঞ্চের কর্মসূচিতে পুলিশের হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল শুক্রবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ‘গতকাল যা হয়েছে, তাতে বোঝা যাচ্ছে আগামী দিনে দেশের গণতান্ত্রিক পরিসর আরও সংকুচিত হবে।’
বর্তমান সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের কোনো উদ্যোগ নেবে না, বরং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে জড়িতদের রক্ষা করতেই সরকার প্রতিবাদকারীদের ওপর হামলা করছে। তাই এই সরকারের বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলন চলবে। গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম নেতা ও নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না এ কথা বলেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর পল্টনে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান কার্যালয়ে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, ব্যাংক লোপাট ও অর্থ পাচারের প্রতিবাদে সচিবালয় অভিমুখে গণতন্ত্র মঞ্চের বিক্ষোভ মিছিলে হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন মান্না। তিনি বলেন, ‘এক মাঘে শীত যাবে না, আমরা লাগাতার আন্দোলন করব, কোনো লুতুপুতু না। যতই মার খাই, আমাদের যতজনই আছে, আমরা ঘুরে দাঁড়াব।’
প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে মান্না আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষকে খুব বোকা মনে করেন। কয়েক দিন আগে তিনি মজুতদারদের গণপিটুনি দিয়ে মেরে ফেলতে বলেছিলেন। পুরো সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করে ছয়-সাত ব্যক্তি, যারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত। চাঁদাবাজি কি বিএনপি করে? আওয়ামী লীগের লোকেরাই করে। প্রধানমন্ত্রী সিন্ডিকেট দমন করতে পারেন না, চাঁদাবাজি কন্ট্রোল করতে পারেন না, তাহলে আছেন কেন?’
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘পুলিশের এক কর্মকর্তা আমাদের জমায়েতের ভেতরে এসে অবস্থান নিয়ে হ্যাডম দেখানোতে নেমে পড়েছিলেন। আন্দোলনকারীরা তাঁকে একপাশে নিয়ে যেতে চেয়েছে। তখনই পুলিশ বাঁশি বাজিয়ে যেভাবে আক্রমণ শুরু করল, তা খুবই ন্যক্কারজনক। গরু পেটানোর মতো পুলিশ আমাদের পিটিয়েছে।’ এ সময় তিনি হামলাকারী পুলিশ সদস্যদের চিহ্নিত করে বিচারের দাবি জানান।
বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ফলে আবারও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাবে জানিয়ে সাইফুল হক আরও বলেন, ‘যে মানুষ বাজারের আগুনে পুড়ছে, বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে তাদের আরও বড় দুর্যোগে ফেলতে যাচ্ছে সরকার। কোনো রাজনৈতিক সরকার বর্তমানে দেশের ক্ষমতায় নেই, একটা দুর্বৃত্তায়িত মাফিয়া সিন্ডিকেট দেশের দখল নিয়েছে।’
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের অর্থনৈতিক সমন্বয়ক দিদারুল ভূঁইয়া বলেন, ‘যেভাবে পুলিশ মাথা থেকে পা পর্যন্ত মেরেছে, তা দেখে মনে হয়েছে—হত্যার উদ্দেশ্যে মারা হয়েছে। তাঁরা পরিকল্পিতভাবে একটা ঝামেলা করার জন্য আন্দোলনকারীদের মেরেছে।’
ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্যসচিব হাবিবুর রহমান রিজু বলেন, ‘বর্তমানে সরকার পুলিশ পরিচালনা করছে, না কি পুলিশ সরকার পরিচালনা করছে—তা নিয়ে আমরা সন্দিহান।’
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, ব্যাংক লুটপাট, বিদেশে অর্থ পাচারের প্রধান পৃষ্ঠপোষক সরকার। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে সরকার জনগণের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়বে। এদের হটানো ছাড়া বাঁচার কোনো উপায় নাই।’
সংবাদ সম্মেলনে গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল গণতন্ত্র মঞ্চের কর্মসূচিতে পুলিশের হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল শুক্রবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ‘গতকাল যা হয়েছে, তাতে বোঝা যাচ্ছে আগামী দিনে দেশের গণতান্ত্রিক পরিসর আরও সংকুচিত হবে।’
মানবমুক্তির মহান সংগ্রামে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কমরেড হেনা দাস অবিচল ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি বলেন, ‘বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষের মুক্তির সংগ্রামে কমরেড হেনা দাস ছিলেন অগ্রসৈনিক।’
৭ ঘণ্টা আগেসবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়—নীতি অনুসরণ করে ভারতসহ প্রতিবেশী সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায় বলে জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
১০ ঘণ্টা আগেকঠিন সময়ে দলের প্রতি নেতা–কর্মীদের একাগ্রতা ও ত্যাগ আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় শক্তি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় থাকুন, আমাদের পেজ থেকে প্রকাশিত প্রতিটি বার্তা ছড়িয়ে দিন। সে জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগেসশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ৯ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার, বীর সিপাহসালার মেজর এম এ জলিলকে মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য রাষ্ট্রীয় খেতাব প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলক, জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব...
১৩ ঘণ্টা আগে