জনগণ শুধু টাকা জোগাবে, ভোগ করবে ধনীরা: বাসদ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ০৭ জুন ২০২৪, ১৬: ৫৮
আপডেট : ০৭ জুন ২০২৪, ১৮: ১২

আগামী অর্থবছরের বাজেটের সিংহভাগ আসবে জনগণের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর থেকে। বাকি টাকা অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক ঋণ থেকে। অর্থাৎ জনগণ শুধু টাকা জোগাবে, ভোগ করবে ধনীরা। এ বাজেট বাস্তবায়িত হলে ধনী–গরিবের বৈষম্য বাড়বে। 

বাজেট প্রত্যাখ্যান করে আজ শুক্রবার ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাসদের (মার্কসবাদী) প্রতিবাদ সমাবেশ বক্তারা এ কথা বলেন। বাসদের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মাসুদ রানার সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় সদস্য এবং ঢাকা নগরের সমন্বয়ক জয়দীপ ভট্টাচার্য ও সীমা দত্ত। 

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার একতরফা ও অবৈধ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় বসে ২০২৪-২৫ সালের যে বাজেট ঘোষণা করেছে তাতে জনগণের কথা যতটুকু লেখা আছে, সেগুলো স্বপ্ন আর ইচ্ছার কথা। বাস্তব পরিকল্পনা করা হয়েছে বৃহৎ ব্যবসায়ীদের জন্য, তাদের উন্নতি ও মুনাফা বৃদ্ধির জন্য। এফবিসিসিআইয়ের নেতাদের সন্তুষ্টি থেকেও বোঝা যায়, এই বাজেট সর্বতোভাবে জনবিরোধী।

সভাপতির বক্তব্যে মাসুদ রানা বলেন, ঋণনির্ভর এই বাজেটে কী করে চলমান অর্থনৈতিক সংকট, বৈদেশিক লেনদেনের বিপুল ঘাটতি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ক্ষয়, ডলারের মূল্যবৃদ্ধি, উচ্চ মূল্যস্ফীতি ইত্যাদি কাঠামোগত সমস্যা মোকাবিলা করা হবে, তার কোনো সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেই।

বক্তারা বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ, সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ এসব কথা আছে। কিন্তু দুর্নীতি রোধে কোনো কার্যকর দিকনির্দেশনা নেই। আজিজ, বেনজীর, আনার-কাণ্ডে সরকারের দুর্নীতির যে ভয়াবহতা ফুটে উঠেছে, তা নিয়ে সারা দেশে তোলপাড় চলছে। অথচ বাজেট প্রস্তাবে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ রেখে দুর্নীতিকে আরও উৎসাহিত করার ব্যবস্থা হচ্ছে। বৈধ আয়ে সর্বোচ্চ কর যেখানে ৩০ শতাংশ, সেখানে ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালোটাকা সাদা করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

বক্তারা বলেন, বাজেটের জনপ্রশাসন, ঋণের সুদ পরিশোধে, জনশৃঙ্খলা, নিরাপত্তাসহ চারটি অনুৎপাদনশীল খাতে ব্যয় হবে বাজেটের মোট ৪৬ ভাগ। আর শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষির মতো তিনটি গুরুত্বপূর্ণ খাতে ব্যয় করা হবে মোট বাজেটের মাত্র ২৪ ভাগ। 

অবিলম্বে এই জনবিরোধী বাজেট প্রত্যাহারের দাবি জানান নেতৃবৃন্দ।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত