তানিম আহমেদ
ঢাকা মহানগর দক্ষিণের অন্তর্গত নির্বাচনী এলাকার থানা ও ওয়ার্ড কমিটি গঠনের দায়িত্ব বণ্টন করেছে নগর আওয়ামী লীগ। তবে, কমিটি গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে সন্তুষ্ট নন নেতারা ৷ বিষয়টি নিয়ে তাঁরা কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে নিজেদের ক্ষোভের কথাও জানান। এতে বৈঠকে উত্তপ্ত পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
গত জুলাই মাসে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের অন্তর্গত আটটি সংসদীয় আসনের থানা ও ওয়ার্ড সম্মেলন ও নেতা নির্বাচনে পৃথক কমিটি গঠন করা হয়। এতে মহানগরের নেতাদের দায়িত্ব বণ্টন করা হয়। কিন্তু এসব নেতা যে এলাকার বাসিন্দা, সেখানে তাঁদের দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। মহানগর নেতারা নিজ নিজ এলাকায় দায়িত্ব পালনে আগ্রহী। বিষয়টি আজ বুধবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হওয়া মহানগর কমিটির বৈঠকে তাঁরা উত্থাপন করেন। এই নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়, যা একপর্যায়ে হাতাহাতির পর্যায়ে চলে যায়। পরে সেখানে উপস্থিত আওয়ামী লীগের ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজমের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা আজকের পত্রিকাকে বলেন, মহানগরে নেতাদের দায়িত্ব বণ্টন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন দলটির সহসভাপতি শরফুদ্দিন আহমেদ সেন্টু। তিনি বলেন, ‘যে কমিটি করা হয়েছে, সেটি অসংগতিপূর্ণ। আমাদের সঙ্গে আলোচনা না করে মনগড়া একটি কমিটি করা হয়েছে।’ তাঁর এই বক্তব্যের বিরোধিতা করেন মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির। তিনি সেন্টুকে থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। এতে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
পরে সেন্টুর পক্ষ নিয়ে যুগ্ম সম্পাদক কাজী মোরশেদ হোসেন কামাল বলেন, নিজের এলাকার কমিটির বৈঠকে উপস্থিত থাকতে না পারলে নেতা-কর্মীদের কাছে হেয় হতে হবে। পরে মির্জার আজম পরিস্থিতি শান্ত করেন এবং প্রস্তুতি কমিটিতে না থাকলেও ওই সব কমিটির বৈঠকে তাঁরা উপস্থিত থাকতে পারবেন বলে সিদ্ধান্ত দেন। পরে নগরের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এতে একমত প্রকাশ করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মহানগর আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় বসবাস করছি ৷ সেখানে আমাদের অনেক কর্মী ও সমর্থক তৈরি হয়েছে। আমাদের অনেকের আবার নির্বাচন করারও প্রস্তুতি আছে। কিন্তু সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমাদের এলাকা থেকে সরিয়ে দিয়েছেন। সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী সাহেব ঢাকা-৬ আসনে নির্বাচনে আগ্রহী। আবার সাধারণ সম্পাদক ঢাকা-৭ আসনে নির্বাচন করতে চান।’ তিনি বলেন, ‘দুই নেতা আমাদের সঙ্গে অবিচার করেছেন। তাঁদের এই সিদ্ধান্তে কর্মী-সমর্থকেরা হতাশ হয়েছেন। তাঁরা পদবঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন।’
জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির বলেন, বৈঠকে একটু তর্কবিতর্ক হয়েছে। কমিটি গঠন প্রক্রিয়ায় যাতে গ্রুপিং না হয়, সে জন্য আমরা কেন্দ্রীয় কমিটির আদলে টিম করেছি। যাতে নেতারা যে এলাকার বাসিন্দা, সে এলাকার সংশ্লিষ্ট টিমে তাঁদের রাখা হয়নি। এতে দু-তিনজন নেতা আপত্তি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এখন আমাদের সিদ্ধান্ত হয়েছে—তাঁরা তাদের এলাকার টিমের বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারবেন। সেখানে তাঁদের পরামর্শ জানাতে পারবেন। কিন্তু তাদের ভোটিং পাওয়ার থাকবে না।’
এ বিষয়ে মির্জা আজম বলেন, ‘বৈঠকে একটু উচ্চবাচ্য হয়েছে। এসব বৈঠকে এগুলো হওয়া স্বাভাবিক। অনেক দিন বৈঠক হয় না। তাই নেতারা একেকজন একেক মতে কথা বলেছেন। এটা কোনো বড় ঘটনা নয়।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণের অন্তর্গত নির্বাচনী এলাকার থানা ও ওয়ার্ড কমিটি গঠনের দায়িত্ব বণ্টন করেছে নগর আওয়ামী লীগ। তবে, কমিটি গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে সন্তুষ্ট নন নেতারা ৷ বিষয়টি নিয়ে তাঁরা কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে নিজেদের ক্ষোভের কথাও জানান। এতে বৈঠকে উত্তপ্ত পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
গত জুলাই মাসে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের অন্তর্গত আটটি সংসদীয় আসনের থানা ও ওয়ার্ড সম্মেলন ও নেতা নির্বাচনে পৃথক কমিটি গঠন করা হয়। এতে মহানগরের নেতাদের দায়িত্ব বণ্টন করা হয়। কিন্তু এসব নেতা যে এলাকার বাসিন্দা, সেখানে তাঁদের দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। মহানগর নেতারা নিজ নিজ এলাকায় দায়িত্ব পালনে আগ্রহী। বিষয়টি আজ বুধবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হওয়া মহানগর কমিটির বৈঠকে তাঁরা উত্থাপন করেন। এই নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়, যা একপর্যায়ে হাতাহাতির পর্যায়ে চলে যায়। পরে সেখানে উপস্থিত আওয়ামী লীগের ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজমের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা আজকের পত্রিকাকে বলেন, মহানগরে নেতাদের দায়িত্ব বণ্টন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন দলটির সহসভাপতি শরফুদ্দিন আহমেদ সেন্টু। তিনি বলেন, ‘যে কমিটি করা হয়েছে, সেটি অসংগতিপূর্ণ। আমাদের সঙ্গে আলোচনা না করে মনগড়া একটি কমিটি করা হয়েছে।’ তাঁর এই বক্তব্যের বিরোধিতা করেন মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির। তিনি সেন্টুকে থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। এতে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
পরে সেন্টুর পক্ষ নিয়ে যুগ্ম সম্পাদক কাজী মোরশেদ হোসেন কামাল বলেন, নিজের এলাকার কমিটির বৈঠকে উপস্থিত থাকতে না পারলে নেতা-কর্মীদের কাছে হেয় হতে হবে। পরে মির্জার আজম পরিস্থিতি শান্ত করেন এবং প্রস্তুতি কমিটিতে না থাকলেও ওই সব কমিটির বৈঠকে তাঁরা উপস্থিত থাকতে পারবেন বলে সিদ্ধান্ত দেন। পরে নগরের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এতে একমত প্রকাশ করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মহানগর আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় বসবাস করছি ৷ সেখানে আমাদের অনেক কর্মী ও সমর্থক তৈরি হয়েছে। আমাদের অনেকের আবার নির্বাচন করারও প্রস্তুতি আছে। কিন্তু সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমাদের এলাকা থেকে সরিয়ে দিয়েছেন। সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী সাহেব ঢাকা-৬ আসনে নির্বাচনে আগ্রহী। আবার সাধারণ সম্পাদক ঢাকা-৭ আসনে নির্বাচন করতে চান।’ তিনি বলেন, ‘দুই নেতা আমাদের সঙ্গে অবিচার করেছেন। তাঁদের এই সিদ্ধান্তে কর্মী-সমর্থকেরা হতাশ হয়েছেন। তাঁরা পদবঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন।’
জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির বলেন, বৈঠকে একটু তর্কবিতর্ক হয়েছে। কমিটি গঠন প্রক্রিয়ায় যাতে গ্রুপিং না হয়, সে জন্য আমরা কেন্দ্রীয় কমিটির আদলে টিম করেছি। যাতে নেতারা যে এলাকার বাসিন্দা, সে এলাকার সংশ্লিষ্ট টিমে তাঁদের রাখা হয়নি। এতে দু-তিনজন নেতা আপত্তি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এখন আমাদের সিদ্ধান্ত হয়েছে—তাঁরা তাদের এলাকার টিমের বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারবেন। সেখানে তাঁদের পরামর্শ জানাতে পারবেন। কিন্তু তাদের ভোটিং পাওয়ার থাকবে না।’
এ বিষয়ে মির্জা আজম বলেন, ‘বৈঠকে একটু উচ্চবাচ্য হয়েছে। এসব বৈঠকে এগুলো হওয়া স্বাভাবিক। অনেক দিন বৈঠক হয় না। তাই নেতারা একেকজন একেক মতে কথা বলেছেন। এটা কোনো বড় ঘটনা নয়।’
গণফোরামের চেয়ারম্যান মোস্তফা মহসিন মন্টু বলেছেন, ‘যে ছাত্ররা একসময় স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করেছে, আজ তাদেরই সোহরাওয়ার্দী ও কবি নজরুল কলেজসহ বিভিন্ন স্থানে সংঘাতে জড়াতে দেখা যাচ্ছে। এটি দুঃখজনক ও অগ্রহণযোগ্য। আমরা ছাত্রদের মধ্যে জাতীয় ঐক্য চাই এবং বিশ্বাস করি, তাদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন
৩ ঘণ্টা আগেদেশের স্বার্থে বিএনপি যে জাতীয় ঐক্যের প্রস্তাব দিয়েছে, তার সঙ্গে জামায়াতে ইসলামী একমত। এমনটাই জানিয়েছেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেছেন, ‘আমরা একমত হয়েছি, দেশের সকল মানুষকে নিয়ে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। দেশের স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে যারা জড়িত, তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনত
৪ ঘণ্টা আগেসংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ প্রসঙ্গে জি এম কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশে সংসদীয় গণতন্ত্রব্যবস্থা চালুর প্রথম থেকেই প্রধানমন্ত্রী বা সরকারের প্রধান নির্বাহীকে সংসদের ওপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা দেওয়া আছে, যা সংবিধানে অনুচ্ছেদ ৭০–এর মাধ্যমে প্রয়োগের সুযোগ রয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেফ্যাসিবাদকে ফিরিয়ে আনতে পরিকল্পিতভাবে ভয়াবহ অবস্থা তৈরির চেষ্টা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘এমন কিছু কাজ হচ্ছে, যার মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদের ফিরে আসার সম্ভাবনা বেড়ে গেছে।’ আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় কবিতা পরিষদ আয়োজিত ‘রাষ্ট্র
৮ ঘণ্টা আগে