রংপুরে জাতীয় পার্টি ফের চাঙ্গা

এম মেহেদী হাসিন, রংপুর
আপডেট : ২৫ আগস্ট ২০২১, ১৬: ০৩
Thumbnail image

জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রয়াত প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের নিজ জেলা রংপুর দলটির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই এরশাদের মৃত্যুর পর স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে নেমে আসে শোকের ছায়া। সেই সঙ্গে দলের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছিলেন তাঁরা।

তবে এবার জাপার বর্তমান চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের (জি এম কাদের) দুই দিনের রংপুর সফরে আবার উজ্জীবিত হয়ে উঠেছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা। সফরে গুরুত্বপূর্ণ দুটি ঘোষণা আসায় তাঁদের মধ্যে চাঙাভাব কাজ করছে।

জাপার চেয়ারম্যান জি এম কাদের গত শনিবার নিজ নির্বাচনী এলাকা লালমনিরহাট থেকে রংপুরে আসেন। তিনি ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর দলের নবম কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে দ্বিতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর রংপুরে এই প্রথম দুই দিন সময় দিলেন। এর আগে তিনি গত বছর রংপুরে এলেও প্রয়াত চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের কবর জিয়ারত ছাড়া খুব একটা সময় থাকেননি। প্রায় এক বছর পর এই সফরে রংপুরে তুলনামূলক বেশি সময় অবস্থান করেন এরশাদের ভাই কাদের।

এবারের সফরে রংপুর সিটি করপোরেশনের আগামী নির্বাচনের জন্য বর্তমান মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেন জি এম কাদের। নির্বাচনের এক বছর আগেই এমন ঘোষণা আসায় উজ্জীবিত নেতাকর্মীরা। এ ছাড়া রংপুর-৩ (সদর ও সিটি করপোরেশন) আসনে জি এম কাদেরকে প্রার্থী হিসেবে প্রস্তাব করেছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা। দলের চেয়ারম্যান এমন দাবি সরাসরি নাকচ করে দেননি, বরং স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, এখনো সময় আছে। পরে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে।

জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে জি এম কাদের দীর্ঘদিন রংপুরে আসতে পারেননি। এবার রংপুরে এসে নেতাকর্মীদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছেন। ফলে তাঁরা চেয়ারম্যানকে কাছে পেয়ে খুব খুশি।

মেয়র মোস্তাফিজার জানান, স্থানীয় নেতাকর্মীদের দীর্ঘদিনের দাবি, সদর আসনে জি এম কাদের নির্বাচন করবেন। এবারের সফরে বিষয়টি নিয়ে প্রস্তাব আসায় এবং চেয়ারম্যান এতে সম্মতি দেওয়ায় নেতাকর্মীদের মনের আশা পূরণ হতে চলেছে।

এ বিষয়ে জাপার ভাইস চেয়ারম্যান ও রংপুর মহানগর সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসীর বলেন, রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের এক বছরের মতো সময় বাকি থাকলেও অগ্রিম প্রার্থী ঘোষণা দেওয়ায় নেতাকর্মীদের উৎসাহ বেড়ে গেছে। প্রতিবার নির্বাচনের আগে প্রার্থী হওয়া নিয়ে ঝামেলা হয়। এবার অগ্রিম ঘোষণা আসায় এমন সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে না। নেতাকর্মীরা এখন থেকেই মেয়র পদপ্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার জন্য কাজ শুরু করে দিয়েছেন।

ইয়াসীর অভিযোগ করে বলেন, ‘রংপুর জাতীয় পার্টির ঘাঁটি হলেও আওয়ামী লীগের সঙ্গে মিত্রতা করে নির্বাচন করায় এই অঞ্চলের অন্য আসনগুলো হারাতে হয়েছে। তারা আমাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। তারা নির্বাচনের সময় মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে, কিন্তু নির্বাচনের পরে জাতীয় পার্টিকে চেনে না।’

ভবিষ্যতে দল এককভাবে নির্বাচন করবে বলে জি এম কাদেরের সাম্প্রতিক ঘোষণাকে ইঙ্গিত করে এই নেতা বলেন, এককভাবে নির্বাচন হলে আবার জাতীয় পার্টি হারানো দুর্গ পুনরুদ্ধার করতে পারবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত