শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা
ঢাকার আশপাশের জেলাগুলো থেকে ঢাকায় প্রবেশের মুখে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। নয়াপল্টনে সমাবেশের উদ্দেশে আসা নেতা-কর্মীদের বাস থেকে নামিয়ে হেনস্তার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কোথাও কোথাও চেকপোস্ট বসিয়ে মোবাইল ফোন চেক করে আটক করা হচ্ছে। জব্দ করে রাখা হচ্ছে সমাবেশের উদ্দেশে আসা বাস। জেলা পুলিশের বিরুদ্ধে সমাবেশে আসা নেতা-কর্মীদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেলেও রাজধানীর চিত্র ভিন্ন। ঢাকা মেট্রোপলিটনের পুলিশ (ডিএমপি) সদস্যদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক তল্লাশি বা অহেতুক জেরার অভিযোগ করেননি বিএনপির কোনো নেতা-কর্মী। একরকম বাধাহীনভাবেই তাঁরা সমাবেশে যোগদান করতে পারছেন।
সমাবেশে দায়িত্বে থাকা ঢাকা মহানগর পুলিশের পদস্থ এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডিএমপিতে ও জেলা পুলিশে তাহলে ভিন্ন ভিন্ন বার্তা গেছে। সমাবেশ শান্তিপূর্ণ ও ভালো নিরাপত্তা দিতে ডিএমপির পুলিশ সদস্যদের কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঢাকার বাইরে থেকে আসা কোনো নেতা-কর্মীকে অপ্রয়োজনীয় হয়রানি করতেও নিষেধ করা হয়েছে।’
পুলিশের একটি সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, গতকাল মঙ্গলবার বেলা ২টায় ঢাকা মহানগর পুলিশের সদর দপ্তরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ইউনিটপ্রধানদের নিয়ে বৈঠক করেছেন পুলিশ কমিশনার। বিএনপির সমাবেশে তাঁদের অবস্থা নিয়ে সে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। পরে সন্ধ্যা ৬টায় নিজ নিজ ইউনিট নিয়ে বসেছিলেন ইউনিটপ্রধানেরা। সেখানে বলা হয়েছে, বিএনপির আজকের এ সমাবেশে নিরপেক্ষ থেকে পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে।
সূত্রটি বলছে, সফররত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধিদল ঢাকায় অবস্থান করছে। এমন কিছু করা যাবে না, যার ফলে পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। সেই বার্তা নিয়ে দিনভর দায়িত্ব পালনে মাঠে নেমেছে পুলিশ।
কিন্তু উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে শহরের প্রবেশমুখগুলোতে। সমাবেশকে কেন্দ্র করে কয়েকটি সড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে গণপরিবহন, যাত্রী ও সন্দেহভাজন পথচারীদের তল্লাশি করতে দেখা গেছে। অনেকেরই আবার মোবাইল ফোনও চেক করা হচ্ছে।
আমিনবাজার বাসস্ট্যান্ডসংলগ্ন এলাকায় সাভার মডেল থানা ও আমিনবাজার পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা বাসের যাত্রী, সন্দেহভাজন পথচারীদের তল্লাশি করেছেন।
বাধা দেওয়া কথা শোনা গেছে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ ও পদ্মা সেতু এলাকাতেও। সেখানে পুলিশের কড়া চেকপোস্টে আটকে দেওয়া হয়েছে সমাবেশের উদ্দেশে আসা নেতা-কর্মীদের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক যাত্রী বলেন, বিএনপির সমাবেশে যাচ্ছি কি না, মোবাইল ফোনে কী কী আছে, কোন জেলার নেতা-কর্মী ইত্যাদি প্রশ্ন করা হচ্ছে।
জানতে চাইলে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, সমাবেশকে ঘিরে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা যেন না ঘটে সে জন্য তল্লাশি করা হচ্ছে। তবে এভাবে জেরার করার বিষয়ে তিনি কথা বলেননি।
এদিকে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল অভিযোগ করে বলেছেন, সমাবেশে যোগ দেওয়ার পথে ফরিদপুর জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক তানজিমুল হাসান কায়েসসহ জেলা ছাত্রদলের ১৩ জন নেতাকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের আটক করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ। অন্যদিকে মাদারীপুর থেকে ঢাকার সমাবেশে আসার পথে দুটি বাসসহ নেতা-কর্মীদের পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানায় নেওয়া হয়েছে।
মানুষের ‘ভোটাধিকার’ আদায়ের লক্ষ্যে আজ বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে সরকার পতনের এক দফার চূড়ান্ত আন্দোলনের ঘোষণা দিতে যাচ্ছে বিএনপি। রাজধানীর ১২টি জায়গা থেকে যুগপৎভাবে একই ঘোষণা দেবে গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, এলডিপি, গণ অধিকার পরিষদ, গণফোরাম, এবি পার্টিসহ ৩৭টি রাজনৈতিক দল ও জোট। অপর দিকে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে শান্তি সমাবেশ করছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।
ঢাকার আশপাশের জেলাগুলো থেকে ঢাকায় প্রবেশের মুখে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। নয়াপল্টনে সমাবেশের উদ্দেশে আসা নেতা-কর্মীদের বাস থেকে নামিয়ে হেনস্তার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কোথাও কোথাও চেকপোস্ট বসিয়ে মোবাইল ফোন চেক করে আটক করা হচ্ছে। জব্দ করে রাখা হচ্ছে সমাবেশের উদ্দেশে আসা বাস। জেলা পুলিশের বিরুদ্ধে সমাবেশে আসা নেতা-কর্মীদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেলেও রাজধানীর চিত্র ভিন্ন। ঢাকা মেট্রোপলিটনের পুলিশ (ডিএমপি) সদস্যদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক তল্লাশি বা অহেতুক জেরার অভিযোগ করেননি বিএনপির কোনো নেতা-কর্মী। একরকম বাধাহীনভাবেই তাঁরা সমাবেশে যোগদান করতে পারছেন।
সমাবেশে দায়িত্বে থাকা ঢাকা মহানগর পুলিশের পদস্থ এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডিএমপিতে ও জেলা পুলিশে তাহলে ভিন্ন ভিন্ন বার্তা গেছে। সমাবেশ শান্তিপূর্ণ ও ভালো নিরাপত্তা দিতে ডিএমপির পুলিশ সদস্যদের কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঢাকার বাইরে থেকে আসা কোনো নেতা-কর্মীকে অপ্রয়োজনীয় হয়রানি করতেও নিষেধ করা হয়েছে।’
পুলিশের একটি সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, গতকাল মঙ্গলবার বেলা ২টায় ঢাকা মহানগর পুলিশের সদর দপ্তরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ইউনিটপ্রধানদের নিয়ে বৈঠক করেছেন পুলিশ কমিশনার। বিএনপির সমাবেশে তাঁদের অবস্থা নিয়ে সে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। পরে সন্ধ্যা ৬টায় নিজ নিজ ইউনিট নিয়ে বসেছিলেন ইউনিটপ্রধানেরা। সেখানে বলা হয়েছে, বিএনপির আজকের এ সমাবেশে নিরপেক্ষ থেকে পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে।
সূত্রটি বলছে, সফররত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধিদল ঢাকায় অবস্থান করছে। এমন কিছু করা যাবে না, যার ফলে পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। সেই বার্তা নিয়ে দিনভর দায়িত্ব পালনে মাঠে নেমেছে পুলিশ।
কিন্তু উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে শহরের প্রবেশমুখগুলোতে। সমাবেশকে কেন্দ্র করে কয়েকটি সড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে গণপরিবহন, যাত্রী ও সন্দেহভাজন পথচারীদের তল্লাশি করতে দেখা গেছে। অনেকেরই আবার মোবাইল ফোনও চেক করা হচ্ছে।
আমিনবাজার বাসস্ট্যান্ডসংলগ্ন এলাকায় সাভার মডেল থানা ও আমিনবাজার পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা বাসের যাত্রী, সন্দেহভাজন পথচারীদের তল্লাশি করেছেন।
বাধা দেওয়া কথা শোনা গেছে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ ও পদ্মা সেতু এলাকাতেও। সেখানে পুলিশের কড়া চেকপোস্টে আটকে দেওয়া হয়েছে সমাবেশের উদ্দেশে আসা নেতা-কর্মীদের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক যাত্রী বলেন, বিএনপির সমাবেশে যাচ্ছি কি না, মোবাইল ফোনে কী কী আছে, কোন জেলার নেতা-কর্মী ইত্যাদি প্রশ্ন করা হচ্ছে।
জানতে চাইলে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, সমাবেশকে ঘিরে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা যেন না ঘটে সে জন্য তল্লাশি করা হচ্ছে। তবে এভাবে জেরার করার বিষয়ে তিনি কথা বলেননি।
এদিকে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল অভিযোগ করে বলেছেন, সমাবেশে যোগ দেওয়ার পথে ফরিদপুর জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক তানজিমুল হাসান কায়েসসহ জেলা ছাত্রদলের ১৩ জন নেতাকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের আটক করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ। অন্যদিকে মাদারীপুর থেকে ঢাকার সমাবেশে আসার পথে দুটি বাসসহ নেতা-কর্মীদের পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানায় নেওয়া হয়েছে।
মানুষের ‘ভোটাধিকার’ আদায়ের লক্ষ্যে আজ বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে সরকার পতনের এক দফার চূড়ান্ত আন্দোলনের ঘোষণা দিতে যাচ্ছে বিএনপি। রাজধানীর ১২টি জায়গা থেকে যুগপৎভাবে একই ঘোষণা দেবে গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, এলডিপি, গণ অধিকার পরিষদ, গণফোরাম, এবি পার্টিসহ ৩৭টি রাজনৈতিক দল ও জোট। অপর দিকে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে শান্তি সমাবেশ করছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।
৫ আগস্ট অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা বেড়েছে এবং বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এদেশে বিপন্ন অবস্থায় আছে বলে ক্রমাগত প্রচারণা চালাচ্ছে ভারত। বিভিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারত বাংলাদেশে একটি সাম্প্রদায়িক সহিংসতা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তারা বাংলাদেশকে জঙ্গি রাষ্ট্র হিস
২ ঘণ্টা আগেজ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলা থেকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন অব্যাহতির এ আদেশ দেন
২ ঘণ্টা আগেজাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) দায়ের করা কর ফাঁকি ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আব্দুল মোনেম লিমিটেডের দায়ের করা চাঁদাবাজির পৃথক দুই মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০–এর বিচারক রেজাউল করিম ও ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো
২ ঘণ্টা আগেবিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘এখনো তিন মাসও হয়নি। এই তিনটা মাসের মধ্যেই আমাদের সেই আসল চেহারা বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। এই চেহারা নিয়ে কোনো দিনই সাফল্য অর্জন করা যায় না।’ আজ বুধবার ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ডা. মিলন দিবসে ‘স্বৈরাচারের পতন, গণতান্ত্রি
৩ ঘণ্টা আগে