‘সরকার সুপরিকল্পিতভাবে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব ধ্বংসের মিশনে নেমেছে’

ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২১ জানুয়ারি ২০২৩, ২০: ৫৩

আওয়ামী লীগ সরকার সুপরিকল্পিতভাবে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব ধ্বংসের মিশনে নেমেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদীব। 

আজ শনিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘পাঠ্যবইয়ে চৌর্যবৃত্তি, সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ও ইতিহাস বিকৃতির’ প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সমাবেশ শেষে একটি মিছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শাহবাগে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে ‘পাঠ্যবইয়ে ভুল ইতিহাস, চলবে না, সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ, চলবে না, জাফর ইকবাল শিক্ষা চোর’ ইত্যাদি নানা স্লোগান দেয় সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা। 

আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ খুব সুপরিকল্পিতভাবে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব ধ্বংসের মিশনে নেমেছে। দেশের অর্থনীতি, চিকিৎসা, কর্মসংস্থান ধ্বংসের পর ভুল ইতিহাস, সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষমূলক পাঠ্যবই প্রণয়ন করে শিক্ষা খাত শেষ করে জাতির ধ্বংস করছে। সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের প্রচ্ছদে প্রতিবেশী দেশে ভারতের জাতীয় পাখি ও একটি রাজনৈতিক দলের প্রতীক পদ্মফুল ছেপেছে। মাধ্যমিক পর্যায়ে ইতিহাস বইতে যে কঠিন ও দুর্ভেদ্য বিষয়বস্তু সংযোজন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ে সেগুলো প্রত্নতত্ত্ব ও ইতিহাস বিভাগে স্নাতকে পড়ানো হয়। 

‘ডারউইনের সারভাইভাল ফিটেস্ট থিওরি পড়ানো হচ্ছে, যেগুলো স্নাতক শ্রেণিতে পড়ানো হয়। পাঠ্য বইয়ে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক থেকে হুবহু কপি করে গুগল ট্রান্সলেশনে বসানো হয়েছে। ইতিমধ্যে জাফর ইকবাল দায় স্বীকার করেছেন। জাফর ইকবাল উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন উদাহরণ টেনে কথা বলে, অথচ উন্নত বিশ্বেতো কেউ কোনো দোষ করলে সেই দোষ স্বীকার করে পদ থেকে সরে যান কিন্তু জাফর ইকবাল এখনো সরে যাননি।’ 

সমাবেশ শেষে একটি মিছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। ছবি: আজকের পত্রিকাসংগঠনের সভাপতি বিন ইয়ামীন মোল্লা বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলে এখন পাঠ্যবইয়েই ভুলের ছড়াছড়ি। মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে এখন সেই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসেই বিকৃতি। বঙ্গবন্ধুর চেতনার কথা বলে সেই বঙ্গবন্ধুর ইতিহাসেই ভুল। অসাম্প্রদায়িকতার কথা বলে এখন কোমলমতি শিশুদের পাঠ্যবইয়ে সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়ানোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে এই সরকার। পাঠ্যপুস্তক লিখতে গিয়ে যারা চুরি করেছেন তাঁদের এটা নেহাত ভুল নয় বরং অপরাধ। চোর ডাকাতদের যেমন শাস্তি হয় তাঁদেরও শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। বরেণ্য শিক্ষাবিদদের মাধ্যমে পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে।

‘স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলে স্মার্টলি চুরি করা হচ্ছে। মানুষের গোপন তথ্য চুরি করার জন্য স্পাই ওয়ার কেনা হয়েছে। এই দেশের কেউই এখন নিরাপদ না। ১৮ সালে নির্বাচনের আগে বলা হয়েছিল ঘরে ঘরে চাকরি দেওয়া হবে এখন দেওয়া হয়েছে বেকারত্ব।’ 

সংগঠনটির সহসভাপতি তারিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন রাসেল আহমেদ, তাওহিদুল ইসলাম তুহিন, মামুনুর রশীদ, আসিফ মাহমুদ, নেওয়াজ খান বাপ্পি, মারজিয়াসহ বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত