নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য দেশের সংবিধান-রাজনীতিসহ গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে সংস্কার করা। সেই লক্ষ্যে তারা বেশ কিছু কমিশন গঠন করেছে এবং কমিশনগুলো অনেক প্রস্তাব করেছে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য ছাড়া এসব সংস্কার করাও কঠিন। কিন্তু সংবিধান থেকে শুরু করে নির্বাচনসহ অনেক বিষয়ে প্রধান দলগুলোর অবস্থানে বেশ ফারাক লক্ষ করা যাচ্ছে। সরকারের দিক থেকে ঐকমত্য কমিশন করে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে এই মতৈক্য ঘোচানোর চেষ্টা চলছে। তারপরও অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, দলগুলো নিজেদের অবস্থান থেকে সরতে নারাজ।
বিএনপি শুরু থেকেই বলে আসছে সংস্কার নিয়ে তাদের আপত্তি নেই। সংস্কার অবশ্যই দরকার। তবে দেশকে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফেরাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে হবে। এ জন্য ন্যূনতম যে সংস্কার দরকার, তা করার পক্ষে মত দিয়ে যাচ্ছে দলটি। বিএনপির এই মতের সঙ্গে মিল নেই তাদের একসময়ের মিত্র জামায়াতে ইসলামীর। নির্বাচনের আগেই সংস্কারের বিষয়টিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কথা বলে যাচ্ছে দলটি। প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলছে তারা। এমনকি জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন চেয়েছেন জামায়াতের নেতারা। জামায়াতের এই দাবির প্রকাশ্য বিরোধিতা করেছেন বিএনপির নেতারা।
অন্য দিকে সরকার পতনের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) বরাবরই সংস্কারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। দলটির বক্তব্য—সংস্কার ছাড়া কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়। এ অবস্থানে অনড় থেকে জাতীয় নির্বাচনের আগে সংস্কারপ্রক্রিয়া শেষ করার পক্ষে মত দিয়ে যাচ্ছেন দলটির নেতারা।
সংস্কার বিষয়ে মতভিন্নতা দূর করতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। গত ফেব্রুয়ারিতে গঠন করা হয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। মতভিন্নতা দূর করতে দলগুলোর কাছে মতামত চাওয়াসহ যোগাযোগ করছে কমিশন।
সর্বশেষ গত শনিবার জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠক হলো, যেখানে আলোচনার মূল বিষয়বস্তুই ছিল সংস্কার। সেই আলোচনার পরেও সংস্কার প্রশ্নে নিজ নিজ অবস্থানে অনড় রয়েছে দলগুলো।
জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমরা যেটা বলেছি, মূলত নির্বাচন-কেন্দ্রিক সংস্কারগুলো করে ফেলা, তারপর দ্রুত নির্বাচন করা, এরপর একটি সংসদের মাধ্যমে বাড়তি সংস্কার করা। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, এটাই আমরা বলেছি।’
বিএনপির সূত্রগুলো বলছে, আওয়ামী লীগবিহীন ভোটের মাঠে বিএনপির জনপ্রিয়তা দেখে একটি মহল ঈর্ষান্বিত হয়ে নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র করছে। যত দিন যাবে, এই ষড়যন্ত্র আরও ডালপালা মেলার সুযোগ পাবে। যে কারণে সংস্কারের কথা বলে নির্বাচন বিলম্ব করতে রাজি নয় বিএনপি।
তাই আগের অবস্থানে থেকেই পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে চান দলটির নীতিনির্ধারকেরা। বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলোর মধ্যেও অনেক দলই সংস্কার, সংলাপকে নির্বাচন বিলম্বের কারণ মনে করছে। দলগুলোর একাধিক নেতা বলেছেন, সংলাপের মাধ্যমে সময়ক্ষেপণ করা হচ্ছে। আলোচনা হচ্ছে, নির্বাচনের দাবি করা হচ্ছে। কিন্তু নির্বাচনের রোডম্যাপটা কেন দেওয়া হচ্ছে না—এমন প্রশ্নও তুলেছেন তাঁরা।
শনিবার এক ইফতার অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ভোট নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। যাতে নির্বাচন বিলম্বে হয়, সেজন্য অছিলা দেওয়া হচ্ছে, সংস্কার নিয়ে কথা বলা হচ্ছে। তিনি বলেন, রাষ্ট্র মেরামতের দায়িত্ব নির্বাচিত সরকারের। সে জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত হলো জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা।
সংস্কার প্রসঙ্গে এনসিপির উদ্দেশে গতকাল এক অনুষ্ঠানে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, গণপরিষদ, উপজেলা এসব বাদ দেন। নিজেদের জনপ্রিয়তা যাচাই করার জন্য গ্রামেগঞ্জে যান এবং নির্বাচনের তারিখ ঘোষিত হলে প্রার্থী দেন। সংসদে যান, সেখানেই হবে মূল সংস্কার। ভোটকেন্দ্রের সংস্কার করেন। আর যাঁরা ভোট নেবেন, তাঁরা যেন হাসিনার মতো রাতে ভোট না করে সে ব্যবস্থা করেন।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘আমরা মনে করি একটা ভালো নির্বাচন হোক। মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে গেলে ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। সেটার জন্য যতটুকু সংস্কার করা দরকার, সেইটুকু করা হোক।’
এদিকে পাঁচটি সংস্কার কমিশনে মতামত দিতে যাচ্ছে জামায়াতে ইসলামী। সেখানে গণপরিষদ নির্বাচনের বিষয়ে বিশেষ কোনো মতামত নেই বলে জানিয়েছেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। তিনি বলেন, ‘গণপরিষদ প্রশ্নে আমাদের কোনো মতামত নেই। মতামত অনেক রকম আসছে, কমিশনও বলছে, গণপরিষদ আর জাতীয় নির্বাচন একসঙ্গে হতে পারে আবার আলাদাও হতে পারে। গণপরিষদের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কথা আছে। গণপরিষদ হয় একটা নতুন দেশের সংবিধান প্রণয়নের জন্য। সংবিধান তো জাতীয় সংসদেও প্রণয়ন করা যায়। এসব বিষয়ে আমরা আমাদের সুবিধা-অসুবিধা উল্লেখ করে পরামর্শ দিয়েছি। এখন জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এসব রিপোর্টের ভিত্তিতে সব দলের সঙ্গে বসবে, ওয়ান টু ওয়ান কথা হবে। তারপর একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।’
দেশের বর্তমানে যে পরিস্থিতি, সেটা নির্বাচনের জন্য সহায়ক নয় বলে মনে করেন জাতীয় নাগরিক পার্টির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্থা শারমিন। সংস্কার প্রশ্নে বিভিন্ন দলের অবস্থান প্রসঙ্গে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, অভ্যন্তরীণ রাজনীতির জন্য এটা ভয়াবহ। প্রশাসনসহ প্রত্যেকটা জায়গায় রদবদল হয়েছে। বিএনপির অনেকেই সেখানে এসেছে। তারা যদি বিভিন্ন জায়গায় অসহযোগিতা করে, তাহলে সেটা তো দেরি হবে।
অনেক রাজনৈতিক দল সরকারকে সহায়তা না করে বরং পরিস্থিতি আরও কঠিন করছে জানিয়ে সামান্থা বলেন, অসহযোগিতা থাকলে সময়মতো নির্বাচন অসম্ভব হয়ে পড়বে। বৃহত্তর স্বার্থ বিবেচনা না করে দলীয় স্বার্থ চিন্তা করা হলে তো ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে না।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি আজকের পত্রিকাকে বলেন, সংস্কার নিয়ে ন্যাশনাল চার্টার তৈরি করা এবং সংবিধান সংস্কার পরিষদের নির্বাচন হচ্ছে আমাদের প্রস্তাব। সরকার একটা ঐকমত্য তৈরির চেষ্টা করছে। এসব বিষয়ে নিশ্চয় একটা ঐকমত্য তৈরি হবে। তবে এসব বিষয়ে আলোচনা এখনো শুরু হয়নি।
তবে জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে গোলটেবিল বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কারের বিষয়ে দৃঢ়সংকল্প ব্যক্ত করেছে বলে জানান জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। গতকাল রোববার আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, সব রাজনৈতিক দলই সংস্কার চায়। জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকে এ ব্যাপারে তাদের অবস্থান জানিয়ে এসেছে দলগুলো।
তবে সংস্কার বিষয়ে দলগুলোর ভিন্নমত প্রসঙ্গে আলী রীয়াজ বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো তাদের অবস্থান থেকে বিভিন্ন রকম প্রতিক্রিয়া অবশ্যই জানাবে। আনুষ্ঠানিকভাবে তারা যেটা জানাবে তখনই আমরা বিবেচনায় নেব, আলোচনা করব। তাদের মতামত নিয়ে আলোচনা অবশ্যই হবে।’

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য দেশের সংবিধান-রাজনীতিসহ গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে সংস্কার করা। সেই লক্ষ্যে তারা বেশ কিছু কমিশন গঠন করেছে এবং কমিশনগুলো অনেক প্রস্তাব করেছে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য ছাড়া এসব সংস্কার করাও কঠিন। কিন্তু সংবিধান থেকে শুরু করে নির্বাচনসহ অনেক বিষয়ে প্রধান দলগুলোর অবস্থানে বেশ ফারাক লক্ষ করা যাচ্ছে। সরকারের দিক থেকে ঐকমত্য কমিশন করে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে এই মতৈক্য ঘোচানোর চেষ্টা চলছে। তারপরও অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, দলগুলো নিজেদের অবস্থান থেকে সরতে নারাজ।
বিএনপি শুরু থেকেই বলে আসছে সংস্কার নিয়ে তাদের আপত্তি নেই। সংস্কার অবশ্যই দরকার। তবে দেশকে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফেরাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে হবে। এ জন্য ন্যূনতম যে সংস্কার দরকার, তা করার পক্ষে মত দিয়ে যাচ্ছে দলটি। বিএনপির এই মতের সঙ্গে মিল নেই তাদের একসময়ের মিত্র জামায়াতে ইসলামীর। নির্বাচনের আগেই সংস্কারের বিষয়টিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কথা বলে যাচ্ছে দলটি। প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলছে তারা। এমনকি জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন চেয়েছেন জামায়াতের নেতারা। জামায়াতের এই দাবির প্রকাশ্য বিরোধিতা করেছেন বিএনপির নেতারা।
অন্য দিকে সরকার পতনের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) বরাবরই সংস্কারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। দলটির বক্তব্য—সংস্কার ছাড়া কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়। এ অবস্থানে অনড় থেকে জাতীয় নির্বাচনের আগে সংস্কারপ্রক্রিয়া শেষ করার পক্ষে মত দিয়ে যাচ্ছেন দলটির নেতারা।
সংস্কার বিষয়ে মতভিন্নতা দূর করতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। গত ফেব্রুয়ারিতে গঠন করা হয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। মতভিন্নতা দূর করতে দলগুলোর কাছে মতামত চাওয়াসহ যোগাযোগ করছে কমিশন।
সর্বশেষ গত শনিবার জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠক হলো, যেখানে আলোচনার মূল বিষয়বস্তুই ছিল সংস্কার। সেই আলোচনার পরেও সংস্কার প্রশ্নে নিজ নিজ অবস্থানে অনড় রয়েছে দলগুলো।
জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমরা যেটা বলেছি, মূলত নির্বাচন-কেন্দ্রিক সংস্কারগুলো করে ফেলা, তারপর দ্রুত নির্বাচন করা, এরপর একটি সংসদের মাধ্যমে বাড়তি সংস্কার করা। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, এটাই আমরা বলেছি।’
বিএনপির সূত্রগুলো বলছে, আওয়ামী লীগবিহীন ভোটের মাঠে বিএনপির জনপ্রিয়তা দেখে একটি মহল ঈর্ষান্বিত হয়ে নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র করছে। যত দিন যাবে, এই ষড়যন্ত্র আরও ডালপালা মেলার সুযোগ পাবে। যে কারণে সংস্কারের কথা বলে নির্বাচন বিলম্ব করতে রাজি নয় বিএনপি।
তাই আগের অবস্থানে থেকেই পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে চান দলটির নীতিনির্ধারকেরা। বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলোর মধ্যেও অনেক দলই সংস্কার, সংলাপকে নির্বাচন বিলম্বের কারণ মনে করছে। দলগুলোর একাধিক নেতা বলেছেন, সংলাপের মাধ্যমে সময়ক্ষেপণ করা হচ্ছে। আলোচনা হচ্ছে, নির্বাচনের দাবি করা হচ্ছে। কিন্তু নির্বাচনের রোডম্যাপটা কেন দেওয়া হচ্ছে না—এমন প্রশ্নও তুলেছেন তাঁরা।
শনিবার এক ইফতার অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ভোট নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। যাতে নির্বাচন বিলম্বে হয়, সেজন্য অছিলা দেওয়া হচ্ছে, সংস্কার নিয়ে কথা বলা হচ্ছে। তিনি বলেন, রাষ্ট্র মেরামতের দায়িত্ব নির্বাচিত সরকারের। সে জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত হলো জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা।
সংস্কার প্রসঙ্গে এনসিপির উদ্দেশে গতকাল এক অনুষ্ঠানে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, গণপরিষদ, উপজেলা এসব বাদ দেন। নিজেদের জনপ্রিয়তা যাচাই করার জন্য গ্রামেগঞ্জে যান এবং নির্বাচনের তারিখ ঘোষিত হলে প্রার্থী দেন। সংসদে যান, সেখানেই হবে মূল সংস্কার। ভোটকেন্দ্রের সংস্কার করেন। আর যাঁরা ভোট নেবেন, তাঁরা যেন হাসিনার মতো রাতে ভোট না করে সে ব্যবস্থা করেন।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘আমরা মনে করি একটা ভালো নির্বাচন হোক। মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে গেলে ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। সেটার জন্য যতটুকু সংস্কার করা দরকার, সেইটুকু করা হোক।’
এদিকে পাঁচটি সংস্কার কমিশনে মতামত দিতে যাচ্ছে জামায়াতে ইসলামী। সেখানে গণপরিষদ নির্বাচনের বিষয়ে বিশেষ কোনো মতামত নেই বলে জানিয়েছেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। তিনি বলেন, ‘গণপরিষদ প্রশ্নে আমাদের কোনো মতামত নেই। মতামত অনেক রকম আসছে, কমিশনও বলছে, গণপরিষদ আর জাতীয় নির্বাচন একসঙ্গে হতে পারে আবার আলাদাও হতে পারে। গণপরিষদের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কথা আছে। গণপরিষদ হয় একটা নতুন দেশের সংবিধান প্রণয়নের জন্য। সংবিধান তো জাতীয় সংসদেও প্রণয়ন করা যায়। এসব বিষয়ে আমরা আমাদের সুবিধা-অসুবিধা উল্লেখ করে পরামর্শ দিয়েছি। এখন জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এসব রিপোর্টের ভিত্তিতে সব দলের সঙ্গে বসবে, ওয়ান টু ওয়ান কথা হবে। তারপর একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।’
দেশের বর্তমানে যে পরিস্থিতি, সেটা নির্বাচনের জন্য সহায়ক নয় বলে মনে করেন জাতীয় নাগরিক পার্টির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্থা শারমিন। সংস্কার প্রশ্নে বিভিন্ন দলের অবস্থান প্রসঙ্গে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, অভ্যন্তরীণ রাজনীতির জন্য এটা ভয়াবহ। প্রশাসনসহ প্রত্যেকটা জায়গায় রদবদল হয়েছে। বিএনপির অনেকেই সেখানে এসেছে। তারা যদি বিভিন্ন জায়গায় অসহযোগিতা করে, তাহলে সেটা তো দেরি হবে।
অনেক রাজনৈতিক দল সরকারকে সহায়তা না করে বরং পরিস্থিতি আরও কঠিন করছে জানিয়ে সামান্থা বলেন, অসহযোগিতা থাকলে সময়মতো নির্বাচন অসম্ভব হয়ে পড়বে। বৃহত্তর স্বার্থ বিবেচনা না করে দলীয় স্বার্থ চিন্তা করা হলে তো ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে না।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি আজকের পত্রিকাকে বলেন, সংস্কার নিয়ে ন্যাশনাল চার্টার তৈরি করা এবং সংবিধান সংস্কার পরিষদের নির্বাচন হচ্ছে আমাদের প্রস্তাব। সরকার একটা ঐকমত্য তৈরির চেষ্টা করছে। এসব বিষয়ে নিশ্চয় একটা ঐকমত্য তৈরি হবে। তবে এসব বিষয়ে আলোচনা এখনো শুরু হয়নি।
তবে জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে গোলটেবিল বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কারের বিষয়ে দৃঢ়সংকল্প ব্যক্ত করেছে বলে জানান জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। গতকাল রোববার আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, সব রাজনৈতিক দলই সংস্কার চায়। জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকে এ ব্যাপারে তাদের অবস্থান জানিয়ে এসেছে দলগুলো।
তবে সংস্কার বিষয়ে দলগুলোর ভিন্নমত প্রসঙ্গে আলী রীয়াজ বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো তাদের অবস্থান থেকে বিভিন্ন রকম প্রতিক্রিয়া অবশ্যই জানাবে। আনুষ্ঠানিকভাবে তারা যেটা জানাবে তখনই আমরা বিবেচনায় নেব, আলোচনা করব। তাদের মতামত নিয়ে আলোচনা অবশ্যই হবে।’

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে ঘিরে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ সৃষ্টি হচ্ছে। তাঁরা কোন দলে যুক্ত হবেন—এ নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছিল। সেই আলোচনায় এখন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নামই সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছে।
৬ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা যারা করেছিল, তারাই মুক্তির ঠিক আগে জাতির সূর্য সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল— এ বিষয়টি হালকা করে দেখার কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রোববার বিকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
১২ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানিরা নয়, বরং ভারতীয়রাই হত্যা করেছিল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের—এমন দাবি করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। আজ রোববার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন।
১৩ ঘণ্টা আগে
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হয়েছে।
১৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে ঘিরে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ সৃষ্টি হচ্ছে। তাঁরা কোন দলে যুক্ত হবেন—এ নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছিল। সেই আলোচনায় এখন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নামই সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছে। দলটির একাধিক শীর্ষ নেতা এবং মাহফুজ ও আসিফের ঘনিষ্ঠজনেরা বলছেন, শিগগিরই তাঁরা এনসিপিতে যোগ দিতে পারেন।
মাহফুজ ও আসিফ এনসিপিতে যোগ দিলে তাঁদের দায়িত্ব বা পদবি কী হবে, তা নিয়েও আলোচনা চলছে। দলীয় সূত্রগুলো বলছে, মাহফুজ আলমকে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক পদে আনার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে। অন্যদিকে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সদস্যসচিব পদমর্যাদার দায়িত্ব পেতে আগ্রহী বলে জানা গেছে। যদিও এসব বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
মাহফুজ ও আসিফ এনসিপিতে আসতে চাইলে দল তাঁদের স্বাগত জানাবে বলে কয়েকবার জানিয়েছেন আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্যসচিব আখতার হোসেনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা। এ বিষয়ে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার আজকের পত্রিকাকে বলেন, মাহফুজ আলম এবং আসিফ মাহমুদের জন্য এনসিপির দরজা সব সময়ই উন্মুক্ত। তাঁরা চাইলে যেকোনো সময় দলে আসতে পারেন। এ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
আগামী এক সপ্তাহ থেকে ১০ দিনের মধ্যে মাহফুজ-আসিফ এনসিপিতে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনসিপির এক নেতা। ওই নেতা বলেন, তাঁরা কয়েক দিন হলো অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করেছেন। এক সপ্তাহ বা ১০ দিনের মধ্যে একটা ঘোষণা আসতে পারে।
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগের পর মাহফুজ ও আসিফ আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আসিফ মাহমুদ ইতিমধ্যে ঢাকা-১০ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। মাহফুজ আলম লক্ষ্মীপুর-১ আসন থেকে প্রার্থী হওয়ার পরিকল্পনা করছেন বলে তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো জানিয়েছে। এ দুই আসনে এনসিপি এখন পর্যন্ত কোনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি। দলটি ১২৫টি আসনে প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করলেও এই দুটি আসন খালি রাখা হয়েছে। মাহফুজ এবং আসিফের জন্যই আসন দুটিতে এখন পর্যন্ত প্রার্থী দেওয়া হয়নি বলে মনে করছেন অনেকে।
মাহফুজ আলম, আসিফ মাহমুদ এবং এনসিপির নেতারা একই সঙ্গে জুলাই আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। তাঁরা প্রায় প্রত্যেকেই ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক। এনসিপির অনেক নেতা মাহফুজ আলমকে ‘তাত্ত্বিক গুরু’ মনে করেন।
চব্বিশের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পর ৮ আগস্ট শপথ নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের শুরু থেকেই নাহিদ ইসলাম এবং আসিফ মাহমুদ উপদেষ্টা পদে ছিলেন। অন্যদিকে মাহফুজ আলম গত বছরের ২৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী পদে নিয়োগ পান। গত বছরের ১০ নভেম্বর তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন।
চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি নাহিদ ইসলাম অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর ২৮ ফেব্রুয়ারি তাঁর নেতৃত্বে আত্মপ্রকাশ করে এনসিপি। জুলাই অভ্যুত্থানের নেতৃত্বে থাকা ছাত্রনেতাদের বড় অংশ এনসিপিতে যুক্ত হয়েছেন। কিন্তু মাহফুজ-আসিফ সরকারের অংশ হওয়ায় তাঁরা শুরুতেই এনসিপিতে যোগ দেননি। গত ১০ ডিসেম্বর তাঁরা অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করেন। নির্বাচনী নানা হিসাব-নিকাশ মিলিয়ে তাঁরা বিএনপি বা গণঅধিকার পরিষদে যুক্ত হবেন, এমন আলোচনাও ছিল। তবে শেষমেশ এই দুই নেতা এনসিপিতেই যোগ দিতে যাচ্ছেন বলে দাবি করেছে কয়েকটি সূত্র।
এনসিপির নেতারা বলছেন, জুলাই অভ্যুত্থানে যাঁরা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাঁদের রাজনৈতিক দর্শনে মিল রয়েছে। তাই তাঁরা চান মাহফুজ-আসিফ অন্য কোনো দিলে না গিয়ে এনসিপিতেই আসুক।
এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও সহশিক্ষা সম্পাদক মাহাবুব আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, দলের বেশির ভাগ সদস্যই চান, তাঁরা (মাহফুজ-আসিফ) জুলাইয়ের শক্তি হিসেবে তাঁরা এনসিপিতেই আসুক। সেভাবেই আলোচনা চলছে৷
এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেনও একই ধরনের ইঙ্গিত দিয়েছেন। নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার দিন তিনি বলেন, মাহফুজ-আসিফ কোন দলের হয়ে নির্বাচন করবেন, সেটি তাঁদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত। তবে তাঁরা যদি এনসিপিতে যুক্ত হতে চান, দল তাঁদের স্বাগত জানাবে।
এনসিপির নেতারা বলছেন, মাহফুজ ও আসিফ এনসিপিতে যুক্ত হলে দলটির রাজনৈতিক কৌশলেও পরিবর্তন আসতে পারে। বিশেষ করে বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনাও তখন নতুন মোড় নেবে। মাহফুজ-আসিফ দুজনেই চান এনসিপি বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করুক। সে ক্ষেত্রে তাঁরা এনসিপিতে এলে আন্দোলন-পরবর্তী রাজনীতিতে তরুণ নেতৃত্ব ও বড় দলগুলোর সমন্বয়ের যে আলোচনা চলছে, এনসিপি সেখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
সব মিলিয়ে মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার পরবর্তী সিদ্ধান্ত শুধু এনসিপির নয়; বরং পুরো রাজনৈতিক অঙ্গনের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। তাঁদের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা সেই অপেক্ষারই অবসান ঘটাবে বলে মনে করছেন রাজনীতিসংশ্লিষ্টরা।

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে ঘিরে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ সৃষ্টি হচ্ছে। তাঁরা কোন দলে যুক্ত হবেন—এ নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছিল। সেই আলোচনায় এখন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নামই সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছে। দলটির একাধিক শীর্ষ নেতা এবং মাহফুজ ও আসিফের ঘনিষ্ঠজনেরা বলছেন, শিগগিরই তাঁরা এনসিপিতে যোগ দিতে পারেন।
মাহফুজ ও আসিফ এনসিপিতে যোগ দিলে তাঁদের দায়িত্ব বা পদবি কী হবে, তা নিয়েও আলোচনা চলছে। দলীয় সূত্রগুলো বলছে, মাহফুজ আলমকে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক পদে আনার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে। অন্যদিকে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সদস্যসচিব পদমর্যাদার দায়িত্ব পেতে আগ্রহী বলে জানা গেছে। যদিও এসব বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
মাহফুজ ও আসিফ এনসিপিতে আসতে চাইলে দল তাঁদের স্বাগত জানাবে বলে কয়েকবার জানিয়েছেন আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্যসচিব আখতার হোসেনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা। এ বিষয়ে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার আজকের পত্রিকাকে বলেন, মাহফুজ আলম এবং আসিফ মাহমুদের জন্য এনসিপির দরজা সব সময়ই উন্মুক্ত। তাঁরা চাইলে যেকোনো সময় দলে আসতে পারেন। এ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
আগামী এক সপ্তাহ থেকে ১০ দিনের মধ্যে মাহফুজ-আসিফ এনসিপিতে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনসিপির এক নেতা। ওই নেতা বলেন, তাঁরা কয়েক দিন হলো অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করেছেন। এক সপ্তাহ বা ১০ দিনের মধ্যে একটা ঘোষণা আসতে পারে।
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগের পর মাহফুজ ও আসিফ আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আসিফ মাহমুদ ইতিমধ্যে ঢাকা-১০ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। মাহফুজ আলম লক্ষ্মীপুর-১ আসন থেকে প্রার্থী হওয়ার পরিকল্পনা করছেন বলে তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো জানিয়েছে। এ দুই আসনে এনসিপি এখন পর্যন্ত কোনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি। দলটি ১২৫টি আসনে প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করলেও এই দুটি আসন খালি রাখা হয়েছে। মাহফুজ এবং আসিফের জন্যই আসন দুটিতে এখন পর্যন্ত প্রার্থী দেওয়া হয়নি বলে মনে করছেন অনেকে।
মাহফুজ আলম, আসিফ মাহমুদ এবং এনসিপির নেতারা একই সঙ্গে জুলাই আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। তাঁরা প্রায় প্রত্যেকেই ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক। এনসিপির অনেক নেতা মাহফুজ আলমকে ‘তাত্ত্বিক গুরু’ মনে করেন।
চব্বিশের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পর ৮ আগস্ট শপথ নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের শুরু থেকেই নাহিদ ইসলাম এবং আসিফ মাহমুদ উপদেষ্টা পদে ছিলেন। অন্যদিকে মাহফুজ আলম গত বছরের ২৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী পদে নিয়োগ পান। গত বছরের ১০ নভেম্বর তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন।
চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি নাহিদ ইসলাম অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর ২৮ ফেব্রুয়ারি তাঁর নেতৃত্বে আত্মপ্রকাশ করে এনসিপি। জুলাই অভ্যুত্থানের নেতৃত্বে থাকা ছাত্রনেতাদের বড় অংশ এনসিপিতে যুক্ত হয়েছেন। কিন্তু মাহফুজ-আসিফ সরকারের অংশ হওয়ায় তাঁরা শুরুতেই এনসিপিতে যোগ দেননি। গত ১০ ডিসেম্বর তাঁরা অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করেন। নির্বাচনী নানা হিসাব-নিকাশ মিলিয়ে তাঁরা বিএনপি বা গণঅধিকার পরিষদে যুক্ত হবেন, এমন আলোচনাও ছিল। তবে শেষমেশ এই দুই নেতা এনসিপিতেই যোগ দিতে যাচ্ছেন বলে দাবি করেছে কয়েকটি সূত্র।
এনসিপির নেতারা বলছেন, জুলাই অভ্যুত্থানে যাঁরা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাঁদের রাজনৈতিক দর্শনে মিল রয়েছে। তাই তাঁরা চান মাহফুজ-আসিফ অন্য কোনো দিলে না গিয়ে এনসিপিতেই আসুক।
এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও সহশিক্ষা সম্পাদক মাহাবুব আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, দলের বেশির ভাগ সদস্যই চান, তাঁরা (মাহফুজ-আসিফ) জুলাইয়ের শক্তি হিসেবে তাঁরা এনসিপিতেই আসুক। সেভাবেই আলোচনা চলছে৷
এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেনও একই ধরনের ইঙ্গিত দিয়েছেন। নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার দিন তিনি বলেন, মাহফুজ-আসিফ কোন দলের হয়ে নির্বাচন করবেন, সেটি তাঁদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত। তবে তাঁরা যদি এনসিপিতে যুক্ত হতে চান, দল তাঁদের স্বাগত জানাবে।
এনসিপির নেতারা বলছেন, মাহফুজ ও আসিফ এনসিপিতে যুক্ত হলে দলটির রাজনৈতিক কৌশলেও পরিবর্তন আসতে পারে। বিশেষ করে বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনাও তখন নতুন মোড় নেবে। মাহফুজ-আসিফ দুজনেই চান এনসিপি বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করুক। সে ক্ষেত্রে তাঁরা এনসিপিতে এলে আন্দোলন-পরবর্তী রাজনীতিতে তরুণ নেতৃত্ব ও বড় দলগুলোর সমন্বয়ের যে আলোচনা চলছে, এনসিপি সেখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
সব মিলিয়ে মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার পরবর্তী সিদ্ধান্ত শুধু এনসিপির নয়; বরং পুরো রাজনৈতিক অঙ্গনের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। তাঁদের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা সেই অপেক্ষারই অবসান ঘটাবে বলে মনে করছেন রাজনীতিসংশ্লিষ্টরা।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য দেশের সংবিধান-রাজনীতিসহ গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে সংস্কার করা। সেই লক্ষ্যে তারা বেশ কিছু কমিশন গঠন করেছে এবং কমিশনগুলো অনেক প্রস্তাব করেছে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য ছাড়া এসব সংস্কার করাও কঠিন।
১৭ মার্চ ২০২৫
বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা যারা করেছিল, তারাই মুক্তির ঠিক আগে জাতির সূর্য সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল— এ বিষয়টি হালকা করে দেখার কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রোববার বিকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
১২ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানিরা নয়, বরং ভারতীয়রাই হত্যা করেছিল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের—এমন দাবি করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। আজ রোববার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন।
১৩ ঘণ্টা আগে
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হয়েছে।
১৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা যারা করেছিল, তারাই মুক্তির ঠিক আগে জাতির সূর্য সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল— এ বিষয়টি হালকা করে দেখার কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রোববার বিকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বুদ্ধিজীবী দিবসটি আমাদের কাছে খুব ভারাক্রান্ত। কারণ স্বাধীনতা পাওয়ার ঠিক দুই দিন আগে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে, একটা নীল নকশার মাধ্যমে, একটা জাতিকে সম্পূর্ণ মেধাশূন্য করে দেওয়ার একটা চক্রান্ত ছিল সেটা। দুর্ভাগ্য আমাদের যে, যারা পাক হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সেদিন যোগসাজশ করেছিল, তাদের প্রতিনিধি হয়ে এসে বাড়িতে বাড়িতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারগুলোতে অথবা তাদের বাড়ি থেকে যারা তুলে নিয়ে গিয়েছিল, তারা ছিল কিন্তু বাঙালি সন্তান। আজকে আমরা খুব ভালো করে জানি যে, তারা কারা ছিলেন?’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের ইতিহাস প্রমাণ করে, তখনকার সেই রাজনৈতিক শক্তি, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল তারাই সেদিন আমাদের সেই সূর্য সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। এ বিষয়টি হালকা করে দেখার কোনো কারণ নেই। কারণ বারবার এই চক্রান্ত ষড়যন্ত্র হয়েছে, বারবার এই দেশের মানুষের ওপরে আঘাত এসেছে এবং তারা যেন মেধার ভিত্তিতে জেগে উঠতে না পারে, যেন তারা জ্ঞানে বিজ্ঞানে উপরে উঠতে না পারে, শিক্ষায় দীক্ষায় জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে না পারে, সেই চেষ্টাটা তখন করা হয়েছে।’
আওয়ামী লীগের ১৫ বছরেও ‘ভিন্ন অঙ্গিকে’ এই চেষ্টার ধারাবাহিকতা ছিল অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে গেছে, আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা দুর্বল হয়েছে, আমরা আমাদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে পর্যুদস্ত করে ফেলা হয়েছে। আমরা সবসময় এই চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র আমাদের এই জাতির বিরুদ্ধে আমরা দেখছি।
ভয় দেখিয়ে গণতন্ত্রের সৈনিকদের স্তব্ধ করে দিতে চায়
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস স্মরণে বিএনপির উদ্যোগে রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এই আলোচনা সভায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদিকে হত্যা চেষ্টার মধ্য দিয়ে দেশে ‘ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা চলছে’ বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে নির্বাচনের যখন তফসিল ঘোষণা হলো, তখনই হত্যা করার চেষ্টা করা হলো হাদিকে. . একজন সৈনিক যে ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল। একটা ভয় আবার শুরু করতে চেয়েছে, যে ভয় ১৫ বছর আওয়ামী লীগ দেখিয়েছে— ভয় দেখিয়ে দেশ শাসন করার চেষ্টা করেছে, চাপ সৃষ্টি করেছে। আবার সেই ভয় দেখিয়ে আমাদের গণতন্ত্রের সৈনিকদের স্তব্ধ করে দিতে চায়। কিন্তু ইতিহাস বলে বিএনপি ভয়ে কখনও দমে যায় না।’
আলোচনায় সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সালাহউদ্দিন আহমদ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালামসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা যারা করেছিল, তারাই মুক্তির ঠিক আগে জাতির সূর্য সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল— এ বিষয়টি হালকা করে দেখার কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রোববার বিকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বুদ্ধিজীবী দিবসটি আমাদের কাছে খুব ভারাক্রান্ত। কারণ স্বাধীনতা পাওয়ার ঠিক দুই দিন আগে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে, একটা নীল নকশার মাধ্যমে, একটা জাতিকে সম্পূর্ণ মেধাশূন্য করে দেওয়ার একটা চক্রান্ত ছিল সেটা। দুর্ভাগ্য আমাদের যে, যারা পাক হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সেদিন যোগসাজশ করেছিল, তাদের প্রতিনিধি হয়ে এসে বাড়িতে বাড়িতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারগুলোতে অথবা তাদের বাড়ি থেকে যারা তুলে নিয়ে গিয়েছিল, তারা ছিল কিন্তু বাঙালি সন্তান। আজকে আমরা খুব ভালো করে জানি যে, তারা কারা ছিলেন?’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের ইতিহাস প্রমাণ করে, তখনকার সেই রাজনৈতিক শক্তি, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল তারাই সেদিন আমাদের সেই সূর্য সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। এ বিষয়টি হালকা করে দেখার কোনো কারণ নেই। কারণ বারবার এই চক্রান্ত ষড়যন্ত্র হয়েছে, বারবার এই দেশের মানুষের ওপরে আঘাত এসেছে এবং তারা যেন মেধার ভিত্তিতে জেগে উঠতে না পারে, যেন তারা জ্ঞানে বিজ্ঞানে উপরে উঠতে না পারে, শিক্ষায় দীক্ষায় জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে না পারে, সেই চেষ্টাটা তখন করা হয়েছে।’
আওয়ামী লীগের ১৫ বছরেও ‘ভিন্ন অঙ্গিকে’ এই চেষ্টার ধারাবাহিকতা ছিল অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে গেছে, আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা দুর্বল হয়েছে, আমরা আমাদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে পর্যুদস্ত করে ফেলা হয়েছে। আমরা সবসময় এই চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র আমাদের এই জাতির বিরুদ্ধে আমরা দেখছি।
ভয় দেখিয়ে গণতন্ত্রের সৈনিকদের স্তব্ধ করে দিতে চায়
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস স্মরণে বিএনপির উদ্যোগে রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এই আলোচনা সভায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদিকে হত্যা চেষ্টার মধ্য দিয়ে দেশে ‘ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা চলছে’ বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে নির্বাচনের যখন তফসিল ঘোষণা হলো, তখনই হত্যা করার চেষ্টা করা হলো হাদিকে. . একজন সৈনিক যে ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল। একটা ভয় আবার শুরু করতে চেয়েছে, যে ভয় ১৫ বছর আওয়ামী লীগ দেখিয়েছে— ভয় দেখিয়ে দেশ শাসন করার চেষ্টা করেছে, চাপ সৃষ্টি করেছে। আবার সেই ভয় দেখিয়ে আমাদের গণতন্ত্রের সৈনিকদের স্তব্ধ করে দিতে চায়। কিন্তু ইতিহাস বলে বিএনপি ভয়ে কখনও দমে যায় না।’
আলোচনায় সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সালাহউদ্দিন আহমদ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালামসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য দেশের সংবিধান-রাজনীতিসহ গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে সংস্কার করা। সেই লক্ষ্যে তারা বেশ কিছু কমিশন গঠন করেছে এবং কমিশনগুলো অনেক প্রস্তাব করেছে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য ছাড়া এসব সংস্কার করাও কঠিন।
১৭ মার্চ ২০২৫
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে ঘিরে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ সৃষ্টি হচ্ছে। তাঁরা কোন দলে যুক্ত হবেন—এ নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছিল। সেই আলোচনায় এখন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নামই সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছে।
৬ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানিরা নয়, বরং ভারতীয়রাই হত্যা করেছিল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের—এমন দাবি করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। আজ রোববার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন।
১৩ ঘণ্টা আগে
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হয়েছে।
১৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পাকিস্তানিরা নয়, বরং ভারতীয়রাই হত্যা করেছিল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের—এমন দাবি করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। আজ রোববার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘এ দেশের দিল্লির তাঁবেদাররা বুদ্ধিজীবী হত্যার ঘটনা নিয়ে প্রথাগতভাবে সমস্ত দায়দায়িত্ব ঘৃণিতভাবে জামায়াতে ইসলামীর ওপরে চাপানোর চেষ্টা করেছেন। ইতিহাসের অনেক তথ্য আবিষ্কার হচ্ছে যে, দিল্লির পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের ভিত্তিতে ভারতীয়রাই আমাদের এই সেরা সন্তানদের হত্যা করেছে।’
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘৮ ডিসেম্বর বিজয়ের আগে ভারতীয় ৩৬ সেনারা ঢাকায় অবতরণ করেছে, এর রেকর্ড আছে। তখন রাজধানী ঢাকাসহ তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান ভারতীয় সেনাদের নিয়ন্ত্রণে। পাকিস্তানি সেনা, রাজাকার-আল-বদরেরা তো আত্মসমর্পণ, নিজেদের প্রাণ বাঁচানো, পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় ব্যস্ত ছিল; কে কাকে খুঁজে কোথায় হত্যা করবে? নিজেদের জীবন বাঁচাতেই ততক্ষণ তারা ব্যস্ত ছিল।’
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘ভারতের জনগণের প্রতি আমাদের কোনো আক্রোশ নেই। তবে ভারতের সাম্প্রদায়িক হিন্দুত্ববাদী সরকার, যারা ক্ষমতায় এখনো আছে, বারবার যারা এসেছে, তারাই এ দেশের স্বাধীন সত্তাকে বিকিয়ে দিয়ে এ দেশের ইসলামি মূল্যবোধ ধ্বংসের জন্য বারবার এ দেশের মানুষের ওপরে হত্যার ষড়যন্ত্র চাপিয়ে দিয়েছে।’
ভারত সরকারের উদ্দেশে পরওয়ার বলেন, ‘আপনারা বর্ডার কিলিং করেছেন। আমাদের পানি সমস্যা, আমাদের নদীর সমস্যা। আপনারা ফেলানির মতো কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রেখে দেশের মানুষকে হত্যা করা, আমাদের ট্রানজিট, আমাদের ট্রেড ব্যালেন্স সবকিছুকে পরিকল্পিতভাবে আপনারা ধ্বংস করেছেন। আমরা সম্পর্ক চাই, কিন্তু সেই সম্পর্ক চাই ন্যায্যতা ও সমতার ভিত্তিতে।’
জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, মোবারক হোসাইন প্রমুখ।

পাকিস্তানিরা নয়, বরং ভারতীয়রাই হত্যা করেছিল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের—এমন দাবি করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। আজ রোববার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘এ দেশের দিল্লির তাঁবেদাররা বুদ্ধিজীবী হত্যার ঘটনা নিয়ে প্রথাগতভাবে সমস্ত দায়দায়িত্ব ঘৃণিতভাবে জামায়াতে ইসলামীর ওপরে চাপানোর চেষ্টা করেছেন। ইতিহাসের অনেক তথ্য আবিষ্কার হচ্ছে যে, দিল্লির পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের ভিত্তিতে ভারতীয়রাই আমাদের এই সেরা সন্তানদের হত্যা করেছে।’
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘৮ ডিসেম্বর বিজয়ের আগে ভারতীয় ৩৬ সেনারা ঢাকায় অবতরণ করেছে, এর রেকর্ড আছে। তখন রাজধানী ঢাকাসহ তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান ভারতীয় সেনাদের নিয়ন্ত্রণে। পাকিস্তানি সেনা, রাজাকার-আল-বদরেরা তো আত্মসমর্পণ, নিজেদের প্রাণ বাঁচানো, পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় ব্যস্ত ছিল; কে কাকে খুঁজে কোথায় হত্যা করবে? নিজেদের জীবন বাঁচাতেই ততক্ষণ তারা ব্যস্ত ছিল।’
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘ভারতের জনগণের প্রতি আমাদের কোনো আক্রোশ নেই। তবে ভারতের সাম্প্রদায়িক হিন্দুত্ববাদী সরকার, যারা ক্ষমতায় এখনো আছে, বারবার যারা এসেছে, তারাই এ দেশের স্বাধীন সত্তাকে বিকিয়ে দিয়ে এ দেশের ইসলামি মূল্যবোধ ধ্বংসের জন্য বারবার এ দেশের মানুষের ওপরে হত্যার ষড়যন্ত্র চাপিয়ে দিয়েছে।’
ভারত সরকারের উদ্দেশে পরওয়ার বলেন, ‘আপনারা বর্ডার কিলিং করেছেন। আমাদের পানি সমস্যা, আমাদের নদীর সমস্যা। আপনারা ফেলানির মতো কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রেখে দেশের মানুষকে হত্যা করা, আমাদের ট্রানজিট, আমাদের ট্রেড ব্যালেন্স সবকিছুকে পরিকল্পিতভাবে আপনারা ধ্বংস করেছেন। আমরা সম্পর্ক চাই, কিন্তু সেই সম্পর্ক চাই ন্যায্যতা ও সমতার ভিত্তিতে।’
জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, মোবারক হোসাইন প্রমুখ।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য দেশের সংবিধান-রাজনীতিসহ গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে সংস্কার করা। সেই লক্ষ্যে তারা বেশ কিছু কমিশন গঠন করেছে এবং কমিশনগুলো অনেক প্রস্তাব করেছে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য ছাড়া এসব সংস্কার করাও কঠিন।
১৭ মার্চ ২০২৫
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে ঘিরে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ সৃষ্টি হচ্ছে। তাঁরা কোন দলে যুক্ত হবেন—এ নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছিল। সেই আলোচনায় এখন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নামই সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছে।
৬ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা যারা করেছিল, তারাই মুক্তির ঠিক আগে জাতির সূর্য সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল— এ বিষয়টি হালকা করে দেখার কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রোববার বিকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
১২ ঘণ্টা আগে
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হয়েছে।
১৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হয়েছে।
ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা ২টায় বিএনপির উদ্যোগে রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি বিজয় দিবসে মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও দেশব্যাপী দলের সব কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।
এ ছাড়া, একই দিন সকাল ৭টায় বিএনপির জাতীয় নেতৃবৃন্দসহ সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাবেন এবং শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ থেকে ফিরে দলের জাতীয় নেতৃবৃন্দসহ সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা সকাল সাড়ে ৯টায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের (বীর উত্তম) মাজারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করবেন।
এ ছাড়া মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয় এবং নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে। পাশাপাশি দিবসটি উপলক্ষে দলের পক্ষ থেকে ক্রোড়পত্র প্রকাশ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো নিজস্ব আঙ্গিকে কর্মসূচি প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন করবে। সেই সঙ্গে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সারা দেশে স্থানীয় সুবিধানুযায়ী বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকাসহ সারা দেশের বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচি সফলের আহ্বান জানানো হয়েছে।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হয়েছে।
ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা ২টায় বিএনপির উদ্যোগে রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি বিজয় দিবসে মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও দেশব্যাপী দলের সব কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।
এ ছাড়া, একই দিন সকাল ৭টায় বিএনপির জাতীয় নেতৃবৃন্দসহ সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাবেন এবং শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ থেকে ফিরে দলের জাতীয় নেতৃবৃন্দসহ সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা সকাল সাড়ে ৯টায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের (বীর উত্তম) মাজারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করবেন।
এ ছাড়া মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয় এবং নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে। পাশাপাশি দিবসটি উপলক্ষে দলের পক্ষ থেকে ক্রোড়পত্র প্রকাশ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো নিজস্ব আঙ্গিকে কর্মসূচি প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন করবে। সেই সঙ্গে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সারা দেশে স্থানীয় সুবিধানুযায়ী বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকাসহ সারা দেশের বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচি সফলের আহ্বান জানানো হয়েছে।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য দেশের সংবিধান-রাজনীতিসহ গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে সংস্কার করা। সেই লক্ষ্যে তারা বেশ কিছু কমিশন গঠন করেছে এবং কমিশনগুলো অনেক প্রস্তাব করেছে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য ছাড়া এসব সংস্কার করাও কঠিন।
১৭ মার্চ ২০২৫
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে ঘিরে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ সৃষ্টি হচ্ছে। তাঁরা কোন দলে যুক্ত হবেন—এ নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছিল। সেই আলোচনায় এখন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নামই সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছে।
৬ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা যারা করেছিল, তারাই মুক্তির ঠিক আগে জাতির সূর্য সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল— এ বিষয়টি হালকা করে দেখার কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রোববার বিকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
১২ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানিরা নয়, বরং ভারতীয়রাই হত্যা করেছিল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের—এমন দাবি করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। আজ রোববার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন।
১৩ ঘণ্টা আগে