উত্তরা (ঢাকা) প্রতিনিধি:
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বলতে কিছু নেই। বিরোধী দল হলেই ধর আর মার।’ রাজধানীর উত্তরায় আজ শুক্রবার এক দফা দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের এক দফা দাবিতে সমাবেশটির আয়োজন করে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন। মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও জাতীয় নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এরা জবরদখলকারী একটি শাসকগোষ্ঠী। এই দেশের জনগণ তাদের আর ক্ষমতায় চায় না। জোর করে ক্ষমতায় রয়েছে। আজকে অধিকার আদায় করতে হলে আন্দোলন; আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তাদের পরাজিত করতে হবে। নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে একটি নতুন সরকার গঠন করতে হবে।
ফখরুল বলেন, ‘১৯৭১ সালে আমরা যুদ্ধ করেছিলাম একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য। একটি মুক্ত সমাজের জন্য, মুক্তির জন্য। আবার সেই যুদ্ধ শুরু হয়েছে দেশকে রক্ষা করার জন্য, দেশের স্বাধীনতাকে রক্ষা করা জন্য। ভোটের অধিকারকে ফিরিয়ে আনার জন্য। গণতন্ত্রকে রক্ষার জন্য।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই, এখনো সময় আছে, আপনি (শেখ হাসিনা) দয়া করে পদত্যাগ করুন। বাংলাদেশের মানুষকে রেহাই দিন। অনেক নির্যাতন, অনেক নিপীড়ন, অনেক খুন, গুম হয়েছে। আমরা আর এগুলো দেখতে চাই না। বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির জন্য, ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য, দয়া করে পদত্যাগ করেন। সংসদ বিলুপ্ত করেন। একটি নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন।’
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমি যখন এখানে বক্তব্য রাখছি, তখন চিকিৎসকেরা খালেদা জিয়াকে জরুরি অবস্থায় সিসিইউতে নিয়ে গেছেন। এইবার তাঁকে দুইবার সিসিইউতে নেওয়া হলো। আপনারা সবাই জানেন, তিনি অত্যন্ত অসুস্থ। এই সরকারের বিচার বিভাগ মিথ্যা মামলায় তাঁকে সাজা দিয়ে পাঁচ বছর আগে কারারুদ্ধ করেছে। পরে তাঁকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে। শর্ত দিয়েছে, তিনি চিকিৎসার জন্য বাইরে যেতে পারবেন না। চিকিৎসার ব্যাপারটা একটা নাগরিকের মৌলিক অধিকার। কারাগারে থাকলেও চিকিৎসা দিতে হবে। যদি প্রয়োজন হয় তাহলে দেশের বাইরেও পাঠাতে হবে। তাঁর চিকিৎসকেরা, পরিবার ও দলের পক্ষ থেকে মানবিক কারণে আমরা বলেছি, তাঁকে বিদেশে উন্নত হাসপাতালে পাঠানো হোক।’
ফখরুল বলেন, ‘অনেক নজির আছে, আ স ম আবদুর রব সাহেবকে কারাগার থেকে জিয়াউর রহমান চিকিৎসার জন্য জাপানে পাঠিয়েছিলেন। আজকে জোর করে ক্ষমতা দখল করে আছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কেয়ারটেকারের আমলে তাঁকেও কানের চিকিৎসার জন্য আমেরিকা পাঠানো হয়েছিল। আর যখন খালেদা জিয়ার জীবন-মরণ সমস্যা, চিকিৎসকেরা বলছেন—এখন তাঁর যে অবস্থায় দাঁড়িয়েছে, যদি তাঁর সঠিক চিকিৎসা না হয় তাহলে জীবন বিপন্ন হয়ে যাবে।’
ফখরুল আরও বলেন, ‘আজকে যদি এই দেশে গণতন্ত্রের জন্য অত্যাচারী, লাঞ্ছিত, বঞ্চিত, ত্যাগ শিকার করে থাকেন, তাহলে এক নম্বরে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া, দুই নম্বরে তারেক রহমান।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন একটা টিম পাঠিয়েছিল। তারা দেখতে এসেছিল, বাংলাদেশে নির্বাচনী পরিবেশ কেমন। যদি নির্বাচনী পরিবেশ ভালো হয়, তাহলে নির্বাচনে অবজারবেশনের জন্য টিম পাঠাবে। তারা সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে, সব সোসাইটির সঙ্গে কথা বলেছিল। পরে তারা দেশে গিয়ে বলেছে, বাংলাদেশে কোনো নির্বাচনী পরিবেশ নেই, সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। এমনকি জাতীয় পার্টিও বলছে এই সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। হাসিনা যদি ক্ষমতায় থাকেন, তাহলে কখনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বলতে কিছু নেই। বিরোধী দল হলেই ধর আর মার।’ রাজধানীর উত্তরায় আজ শুক্রবার এক দফা দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের এক দফা দাবিতে সমাবেশটির আয়োজন করে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন। মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও জাতীয় নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এরা জবরদখলকারী একটি শাসকগোষ্ঠী। এই দেশের জনগণ তাদের আর ক্ষমতায় চায় না। জোর করে ক্ষমতায় রয়েছে। আজকে অধিকার আদায় করতে হলে আন্দোলন; আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তাদের পরাজিত করতে হবে। নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে একটি নতুন সরকার গঠন করতে হবে।
ফখরুল বলেন, ‘১৯৭১ সালে আমরা যুদ্ধ করেছিলাম একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য। একটি মুক্ত সমাজের জন্য, মুক্তির জন্য। আবার সেই যুদ্ধ শুরু হয়েছে দেশকে রক্ষা করার জন্য, দেশের স্বাধীনতাকে রক্ষা করা জন্য। ভোটের অধিকারকে ফিরিয়ে আনার জন্য। গণতন্ত্রকে রক্ষার জন্য।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই, এখনো সময় আছে, আপনি (শেখ হাসিনা) দয়া করে পদত্যাগ করুন। বাংলাদেশের মানুষকে রেহাই দিন। অনেক নির্যাতন, অনেক নিপীড়ন, অনেক খুন, গুম হয়েছে। আমরা আর এগুলো দেখতে চাই না। বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির জন্য, ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য, দয়া করে পদত্যাগ করেন। সংসদ বিলুপ্ত করেন। একটি নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন।’
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমি যখন এখানে বক্তব্য রাখছি, তখন চিকিৎসকেরা খালেদা জিয়াকে জরুরি অবস্থায় সিসিইউতে নিয়ে গেছেন। এইবার তাঁকে দুইবার সিসিইউতে নেওয়া হলো। আপনারা সবাই জানেন, তিনি অত্যন্ত অসুস্থ। এই সরকারের বিচার বিভাগ মিথ্যা মামলায় তাঁকে সাজা দিয়ে পাঁচ বছর আগে কারারুদ্ধ করেছে। পরে তাঁকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে। শর্ত দিয়েছে, তিনি চিকিৎসার জন্য বাইরে যেতে পারবেন না। চিকিৎসার ব্যাপারটা একটা নাগরিকের মৌলিক অধিকার। কারাগারে থাকলেও চিকিৎসা দিতে হবে। যদি প্রয়োজন হয় তাহলে দেশের বাইরেও পাঠাতে হবে। তাঁর চিকিৎসকেরা, পরিবার ও দলের পক্ষ থেকে মানবিক কারণে আমরা বলেছি, তাঁকে বিদেশে উন্নত হাসপাতালে পাঠানো হোক।’
ফখরুল বলেন, ‘অনেক নজির আছে, আ স ম আবদুর রব সাহেবকে কারাগার থেকে জিয়াউর রহমান চিকিৎসার জন্য জাপানে পাঠিয়েছিলেন। আজকে জোর করে ক্ষমতা দখল করে আছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কেয়ারটেকারের আমলে তাঁকেও কানের চিকিৎসার জন্য আমেরিকা পাঠানো হয়েছিল। আর যখন খালেদা জিয়ার জীবন-মরণ সমস্যা, চিকিৎসকেরা বলছেন—এখন তাঁর যে অবস্থায় দাঁড়িয়েছে, যদি তাঁর সঠিক চিকিৎসা না হয় তাহলে জীবন বিপন্ন হয়ে যাবে।’
ফখরুল আরও বলেন, ‘আজকে যদি এই দেশে গণতন্ত্রের জন্য অত্যাচারী, লাঞ্ছিত, বঞ্চিত, ত্যাগ শিকার করে থাকেন, তাহলে এক নম্বরে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া, দুই নম্বরে তারেক রহমান।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন একটা টিম পাঠিয়েছিল। তারা দেখতে এসেছিল, বাংলাদেশে নির্বাচনী পরিবেশ কেমন। যদি নির্বাচনী পরিবেশ ভালো হয়, তাহলে নির্বাচনে অবজারবেশনের জন্য টিম পাঠাবে। তারা সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে, সব সোসাইটির সঙ্গে কথা বলেছিল। পরে তারা দেশে গিয়ে বলেছে, বাংলাদেশে কোনো নির্বাচনী পরিবেশ নেই, সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। এমনকি জাতীয় পার্টিও বলছে এই সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। হাসিনা যদি ক্ষমতায় থাকেন, তাহলে কখনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না।
আত্মপ্রকাশের পর সংবিধান পুনর্লিখনের দাবি তুলেছে জুলাই অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটির নেতারা বলছেন, দেশে বর্তমানে যে রাজনৈতিক সংস্কৃতি বিরাজ করছে, তার আমূল পরিবর্তন করতে হবে। এ জন্য নতুন সংবিধান বা পুনর্লিখন প্রয়োজন। একমাত্র গণপরিষদ নির্বাচনই সংবিধান পুনর্লি
৬ ঘণ্টা আগেআওয়ামী লীগবিহীন রাজনীতির মাঠে সম্প্রতি নির্বাচন নিয়ে বেশ আলোচনা শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), জামায়াতে ইসলামী এবং জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের নবগঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং আরও কয়েকটি দল নির্বাচনের কথা বলছে। তবে আগে জাতীয় সংসদ না স্থানীয় সরকারের নির্বাচন—এ নিয়ে
৬ ঘণ্টা আগেসাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদারের দলীয় প্রাথমিক সদস্যসহ সকল পর্যায়ের পদ স্থগিত করা হয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগেশেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও তাঁর দোসরেরা এখনো দেশে নানা ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী। আজ বুধবার সকালে লক্ষ্মীপুরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মধ্যে ঢেউটিন বিতরণকালে এ্যানী এই অভিযোগ করেন। অনুষ্ঠানে জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সাহাবুদ্দিন সাবু সভাপতিত্ব করেন।
১৫ ঘণ্টা আগে