নাটোর প্রতিনিধি
মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) নেতৃবৃন্দ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার প্রেক্ষাপট তৈরি করেছিল বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের পর বঙ্গবন্ধুর আহ্বান উপেক্ষা করে স্বাধীনতাবিরোধীদের কাছে থাকা অস্ত্র জাসদের হাতে চলে যায়। সেই অস্ত্রেই হয় বঙ্গবন্ধু কিলিং মিশন।’
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে নাটোরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে শোকসভা যোগ দিয়ে এ মন্তব্য করেন এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে এ শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কেন হত্যা করা হল তা আমরা জানতে, বুঝতে কিংবা চর্চা করতে চাই না। কারা তাঁকে হত্যা করল, এ নিয়ে আমরা এখনো চিন্তায় থাকি যে খুনি কে? একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকে যারা মানতে পারেনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে-এটি যারা মানতে পারেনি একাত্তরের সেই পরাজিত শক্তি, তাদের দোসর ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তান, তৎকালীন মুসলিম লীগ ও জামাত-শিবিররা তারা মিলেই এ চক্রান্ত করেছে।’
মেয়র লিটন বলেন, ‘এ কথা ভুললে চলবে না, ওই ঘটনার (বঙ্গবন্ধু হত্যা) সাথে এ দেশে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের যারা ছাত্র সংগঠন থেকে এসেছিলেন, তাদেরও একটা অংশের মদদ ছিল। দেশ স্বাধীনের এক বছরও হয়নি অথচ এদেশে একটি উগ্র স্লোগান দিয়ে বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র কায়েমের নামে তারা আলাদা প্ল্যাটফর্মে চলে গেলেন। তারা বলতে লাগলেন আওয়ামী লীগের হাতে কোনো উন্নয়ন হবে না, আওয়ামী লীগ ভারতঘেঁষা দল। তাদের মধ্যে অনেকেই গত হয়েছেন। যে দু’একজন বেঁচে আছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম জাসদের আধ্যাত্মিক নেতা সিরাজুল ইসলাম খান, যিনি পরবর্তীতে সব সময় সুখে ছিলেন, এখনো সুখে আছেন। মার্কিন এক ইউনিভার্সিটির ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে বছরে কয়েকবার যাওয়া-আসা করেন।’
মেয়র বলেন, ‘সিরাজুল ইসলাম খান এবং তার বুদ্ধিতে পাকিস্তানপন্থী অবসরপ্রাপ্ত মেজর আব্দুল জলিল মিলে যে জাসদ তৈরি করলেন, তাই পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রেক্ষাপট তৈরি করল।’
আওয়ামী লীগের এই কেন্দ্রীয় নেতা প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘জাসদের মিছিল জাতীয় চার নেতার একজন ক্যাপ্টেন মুনসুর আলীর সরকারি বাসভবনের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় বাসভবনে গুলি চালালো। এত বড় সাহস স্বাধীন বাংলাদেশে জাসদ পেল কোথা থেকে?’
খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘আজকে শুধু আবেগে বললে হবে না, ইতিহাস প্রমাণ করে একাত্তরে পরাজিত শক্তিরা অস্ত্রসমর্পণ করেনি। সে সময় বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে মুক্তিযোদ্ধারা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অস্ত্রসমর্পণ করলেও রাজাকার, আলবদর, আল শামসের ও মুসলিম লীগের কাছে অস্ত্র থেকে গেল। সেই অস্ত্র চলে গেল জাসদের কাছে। জাসদ সেই অস্ত্র দিয়ে গোপনে হত্যাযজ্ঞের মিশন চালিয়ে গেল আর বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রেক্ষাপট তৈরি হয়ে গেল।’
শোকসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, নাটোর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস এসপি, সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান, নাটোর পৌর মেয়র উমা চৌধুরী প্রমুখ।
মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) নেতৃবৃন্দ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার প্রেক্ষাপট তৈরি করেছিল বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের পর বঙ্গবন্ধুর আহ্বান উপেক্ষা করে স্বাধীনতাবিরোধীদের কাছে থাকা অস্ত্র জাসদের হাতে চলে যায়। সেই অস্ত্রেই হয় বঙ্গবন্ধু কিলিং মিশন।’
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে নাটোরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে শোকসভা যোগ দিয়ে এ মন্তব্য করেন এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে এ শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কেন হত্যা করা হল তা আমরা জানতে, বুঝতে কিংবা চর্চা করতে চাই না। কারা তাঁকে হত্যা করল, এ নিয়ে আমরা এখনো চিন্তায় থাকি যে খুনি কে? একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকে যারা মানতে পারেনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে-এটি যারা মানতে পারেনি একাত্তরের সেই পরাজিত শক্তি, তাদের দোসর ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তান, তৎকালীন মুসলিম লীগ ও জামাত-শিবিররা তারা মিলেই এ চক্রান্ত করেছে।’
মেয়র লিটন বলেন, ‘এ কথা ভুললে চলবে না, ওই ঘটনার (বঙ্গবন্ধু হত্যা) সাথে এ দেশে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের যারা ছাত্র সংগঠন থেকে এসেছিলেন, তাদেরও একটা অংশের মদদ ছিল। দেশ স্বাধীনের এক বছরও হয়নি অথচ এদেশে একটি উগ্র স্লোগান দিয়ে বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র কায়েমের নামে তারা আলাদা প্ল্যাটফর্মে চলে গেলেন। তারা বলতে লাগলেন আওয়ামী লীগের হাতে কোনো উন্নয়ন হবে না, আওয়ামী লীগ ভারতঘেঁষা দল। তাদের মধ্যে অনেকেই গত হয়েছেন। যে দু’একজন বেঁচে আছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম জাসদের আধ্যাত্মিক নেতা সিরাজুল ইসলাম খান, যিনি পরবর্তীতে সব সময় সুখে ছিলেন, এখনো সুখে আছেন। মার্কিন এক ইউনিভার্সিটির ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে বছরে কয়েকবার যাওয়া-আসা করেন।’
মেয়র বলেন, ‘সিরাজুল ইসলাম খান এবং তার বুদ্ধিতে পাকিস্তানপন্থী অবসরপ্রাপ্ত মেজর আব্দুল জলিল মিলে যে জাসদ তৈরি করলেন, তাই পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রেক্ষাপট তৈরি করল।’
আওয়ামী লীগের এই কেন্দ্রীয় নেতা প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘জাসদের মিছিল জাতীয় চার নেতার একজন ক্যাপ্টেন মুনসুর আলীর সরকারি বাসভবনের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় বাসভবনে গুলি চালালো। এত বড় সাহস স্বাধীন বাংলাদেশে জাসদ পেল কোথা থেকে?’
খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘আজকে শুধু আবেগে বললে হবে না, ইতিহাস প্রমাণ করে একাত্তরে পরাজিত শক্তিরা অস্ত্রসমর্পণ করেনি। সে সময় বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে মুক্তিযোদ্ধারা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অস্ত্রসমর্পণ করলেও রাজাকার, আলবদর, আল শামসের ও মুসলিম লীগের কাছে অস্ত্র থেকে গেল। সেই অস্ত্র চলে গেল জাসদের কাছে। জাসদ সেই অস্ত্র দিয়ে গোপনে হত্যাযজ্ঞের মিশন চালিয়ে গেল আর বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রেক্ষাপট তৈরি হয়ে গেল।’
শোকসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, নাটোর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস এসপি, সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান, নাটোর পৌর মেয়র উমা চৌধুরী প্রমুখ।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে ঢাকা সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দীর্ঘ এক যুগ পর গুরুত্বপূর্ণ এ দিবসের কর্মসূচিতে তাঁর অংশগ্রহণকে রাজনীতির জন্য ইতিবাচক ঘটনা বলে মনে করছেন বিশ্লেষক ও রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা
৪২ মিনিট আগেমানবমুক্তির মহান সংগ্রামে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কমরেড হেনা দাস অবিচল ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি বলেন, ‘বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষের মুক্তির সংগ্রামে কমরেড হেনা দাস ছিলেন অগ্রসৈনিক।’
১২ ঘণ্টা আগেসবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়—নীতি অনুসরণ করে ভারতসহ প্রতিবেশী সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায় বলে জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
১৪ ঘণ্টা আগেকঠিন সময়ে দলের প্রতি নেতা–কর্মীদের একাগ্রতা ও ত্যাগ আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় শক্তি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় থাকুন, আমাদের পেজ থেকে প্রকাশিত প্রতিটি বার্তা ছড়িয়ে দিন। সে জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগে