নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা: সরকারের কঠোর অবস্থানের কারণে কোণঠাসা হেফাজতে ইসলাম। সংগঠনটি শীর্ষ নেতারা চেষ্টা করে যাচ্ছেন সরকারের সঙ্গে সমঝোতার জন্য। এরই মধ্যে মন্ত্রী, গোয়েন্দা সংস্থা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের কাছে বিষয়টি উপস্থাপন করেছে তাঁরা।
সম্প্রতি সময়ে বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার করা হলেও একেবারে নীরব রয়েছে হেফাজতে ইসলাম । ধারনা করা হচ্ছিল, যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক গ্রেপ্তার হলে প্রতিক্রিয়া দেখাবে সংগঠনটি । তাঁর গ্রেপ্তারের পরে রাজধানীসহ হেফাজতের সদর দফতর হাটহাজারির পাশাপাশি ব্রাহ্মনবাড়িয়াও ছিল একেবারেই নিরুত্তাপ। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থানের বিপরীতে আর দাঁড়ানোর সাহস করেনি তারা। উপায়ান্তর না দেখে সুর নরম করতে বাধ্য হয়েছে সংগঠনটি।
গতকাল সোমবার রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সাথে এ নিয়ে আলোচনা করেছেন হেফাজত নেতারা। ওই আলোচনায় পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও অংশ নেন।
একই দিন একটি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গেও বসেন হেফাজতের পাঁচ শীর্ষ নেতা। হেফাজতের পক্ষ থেকে বৈঠকে নেতৃত্ব দেন সংগঠনটির মহাসচিব নূরুল ইসলাম জেহাদী।
হেফাজতের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালে গণমাধ্যমে বলেছেন, হেফাজত নেতারা তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। তিনি তাঁদের বলেছেন, পুলিশ নিরীহ কাউকে হয়রানি করছে না। যারা ভাঙচুর–সহিংসতায় জড়িত, শুধু তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। যা করা হচ্ছে, সব আইন অনুযায়ী হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে হেফাজতের কেন্দ্রীয় একাধিক নেতা আজকের পত্রিকাকে বলেন, আমরা আমাদের কথা সরকারকে বলেছি। যাতে আর কোন মামলা দেয়া না হয়, কাউকে গ্রেপ্তার করা না হয়, নেতাকর্মীদের মুক্তি দেয়া হয়, সে অনুরোধ জানিয়েছি। এখন সরকারের দিকে তাঁকিয়ে আছি।'
নেতাদের মুক্তির দাবিতে কোন কর্মসূচি আসবে কীনা - জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা মহানগর হেফাজতের এক সিনয়র নেতা বলেন, 'না, না। আমরা এই মুহুর্তে কোন সংঘাতের পথে যেতে চাই না। নেতাদের মুক্ত করা, মামলা ও গ্রেপ্তার ঠ্যাকানো এখন আমাদের মূল কাজ। এর বাইরে এই মুহুর্তে সংগঠন আর কিছুই ভাবছেনা।'
মোদিবিরোধী আন্দোলন, সোনারগাঁওয়ের রিসোর্টে মামুনুল কাণ্ডের পরে মামলা হতে থাকে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এরপর থেকে সংগঠনটির শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার করা শুরু হয়। এর ধারাবাহিকতায় রোববার দুপুরে গ্রেপ্তার হন হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক। গত ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের রিসোর্টকাণ্ডের পর থেকে মোহাম্মদপুরের একটি মাদরাসায় অবস্থান করছিলেন তিনি। সেখান থেকেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামুনুল ছাড়াও গত এক সপ্তাহে হেফাজতের কেন্দ্রীয় অন্তত আট নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন, মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মাওলানা জালাল উদ্দিন আহমাদ, মাওলানা মুঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, মুফতি শরীফ উল্লাহ, মাওলানা সাখাওয়াত হোসেন রাজি ও মুফতি ইলিয়াস। এছাড়া সারাদেশ থেকে অন্তত দেড়শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বিভিন্ন মামলায়।
গতকাল সোমবার রাতে হাটহাজারি মাদরাসা থেকে ভিডিও বার্তা দেন হেফাজত আমির জুনায়েদ বাবুনগরী। এদিন সরকারকে আগের মত কড়া বার্তা না দিয়ে উল্টো দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি। কুচক্রি মহল হেফাজতকে নিয়ে গুজব রটাচ্ছে উল্লেখ করে সেসব গুজবে কান না দিতে সরকারকে অনুরোধ জানান তিনি। সংগঠনের নেতাকর্মীদেরকে শান্ত থাকার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানান বাবুনগরী।
ঢাকা: সরকারের কঠোর অবস্থানের কারণে কোণঠাসা হেফাজতে ইসলাম। সংগঠনটি শীর্ষ নেতারা চেষ্টা করে যাচ্ছেন সরকারের সঙ্গে সমঝোতার জন্য। এরই মধ্যে মন্ত্রী, গোয়েন্দা সংস্থা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের কাছে বিষয়টি উপস্থাপন করেছে তাঁরা।
সম্প্রতি সময়ে বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার করা হলেও একেবারে নীরব রয়েছে হেফাজতে ইসলাম । ধারনা করা হচ্ছিল, যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক গ্রেপ্তার হলে প্রতিক্রিয়া দেখাবে সংগঠনটি । তাঁর গ্রেপ্তারের পরে রাজধানীসহ হেফাজতের সদর দফতর হাটহাজারির পাশাপাশি ব্রাহ্মনবাড়িয়াও ছিল একেবারেই নিরুত্তাপ। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থানের বিপরীতে আর দাঁড়ানোর সাহস করেনি তারা। উপায়ান্তর না দেখে সুর নরম করতে বাধ্য হয়েছে সংগঠনটি।
গতকাল সোমবার রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সাথে এ নিয়ে আলোচনা করেছেন হেফাজত নেতারা। ওই আলোচনায় পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও অংশ নেন।
একই দিন একটি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গেও বসেন হেফাজতের পাঁচ শীর্ষ নেতা। হেফাজতের পক্ষ থেকে বৈঠকে নেতৃত্ব দেন সংগঠনটির মহাসচিব নূরুল ইসলাম জেহাদী।
হেফাজতের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালে গণমাধ্যমে বলেছেন, হেফাজত নেতারা তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। তিনি তাঁদের বলেছেন, পুলিশ নিরীহ কাউকে হয়রানি করছে না। যারা ভাঙচুর–সহিংসতায় জড়িত, শুধু তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। যা করা হচ্ছে, সব আইন অনুযায়ী হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে হেফাজতের কেন্দ্রীয় একাধিক নেতা আজকের পত্রিকাকে বলেন, আমরা আমাদের কথা সরকারকে বলেছি। যাতে আর কোন মামলা দেয়া না হয়, কাউকে গ্রেপ্তার করা না হয়, নেতাকর্মীদের মুক্তি দেয়া হয়, সে অনুরোধ জানিয়েছি। এখন সরকারের দিকে তাঁকিয়ে আছি।'
নেতাদের মুক্তির দাবিতে কোন কর্মসূচি আসবে কীনা - জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা মহানগর হেফাজতের এক সিনয়র নেতা বলেন, 'না, না। আমরা এই মুহুর্তে কোন সংঘাতের পথে যেতে চাই না। নেতাদের মুক্ত করা, মামলা ও গ্রেপ্তার ঠ্যাকানো এখন আমাদের মূল কাজ। এর বাইরে এই মুহুর্তে সংগঠন আর কিছুই ভাবছেনা।'
মোদিবিরোধী আন্দোলন, সোনারগাঁওয়ের রিসোর্টে মামুনুল কাণ্ডের পরে মামলা হতে থাকে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এরপর থেকে সংগঠনটির শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার করা শুরু হয়। এর ধারাবাহিকতায় রোববার দুপুরে গ্রেপ্তার হন হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক। গত ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের রিসোর্টকাণ্ডের পর থেকে মোহাম্মদপুরের একটি মাদরাসায় অবস্থান করছিলেন তিনি। সেখান থেকেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামুনুল ছাড়াও গত এক সপ্তাহে হেফাজতের কেন্দ্রীয় অন্তত আট নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন, মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মাওলানা জালাল উদ্দিন আহমাদ, মাওলানা মুঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, মুফতি শরীফ উল্লাহ, মাওলানা সাখাওয়াত হোসেন রাজি ও মুফতি ইলিয়াস। এছাড়া সারাদেশ থেকে অন্তত দেড়শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বিভিন্ন মামলায়।
গতকাল সোমবার রাতে হাটহাজারি মাদরাসা থেকে ভিডিও বার্তা দেন হেফাজত আমির জুনায়েদ বাবুনগরী। এদিন সরকারকে আগের মত কড়া বার্তা না দিয়ে উল্টো দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি। কুচক্রি মহল হেফাজতকে নিয়ে গুজব রটাচ্ছে উল্লেখ করে সেসব গুজবে কান না দিতে সরকারকে অনুরোধ জানান তিনি। সংগঠনের নেতাকর্মীদেরকে শান্ত থাকার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানান বাবুনগরী।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে তাঁকে পবিত্র ওমরাহ পালনের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসুফ ঈসা আল দুহাইলান। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এজেডএম জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ‘আমরা মনে করি এই অন্তর্বর্তী সরকারের সকল সিদ্ধান্ত, সকল নীতি, সকল ভূমিকার মধ্যে জনআকাঙক্ষার প্রতিফলন থাকা উচিত। কিন্তু তিন মাস অতিবাহিত হচ্ছে। আমরা লক্ষ্য করছি দুর্ভাগ্যজনক হলেও অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো কোনো নীতি, কোনো কোনো সিদ্ধ
২ ঘণ্টা আগেসংস্কার নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে বিএনপির কোনো বিরোধ নেই বলে মন্তব্য করেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, ‘সংস্কার কার্যক্রম নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে বিএনপির কোনো বিরোধ নেই। যাঁরা ‘সংস্কার আগে নাকি নির্বাচন আগে’— ধরনের প্রশ্ন তুলে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির
৫ ঘণ্টা আগেবিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেছেন, আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের অন্য নেতাকর্মীরা ভারত ও অন্য দেশে অবস্থান করে বাংলাদেশে বিশৃঙ্খলা তৈরি করে অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা করছে।
৭ ঘণ্টা আগে