নাজমুস সাকিব
ঘড়ির কাঁটায় দুপুর পৌনে ১টা। কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে গাবতলীর আমিনবাজার ব্রিজে কঠোর অবস্থানে পুলিশ, প্রশাসন। এরই মধ্যে মুখে মাস্ক না পরলেও হাতে কিছু মাস্ক নিয়ে হাজির আনুমানিক আট বছরের এই শিশু। জানা গেল, ক্ষুধার তাড়নায় বাধ্য হয়ে মাস্ক বিক্রির কাজে নেমেছে সে।
নাঈমের এমন উপস্থিতি সবার দৃষ্টি কাড়ে। এগিয়ে আসেন ট্রাফিক সার্জেন্ট নাজমুল। জানতে পারেন, নাঈম থাকে মিরপুর মাজার রোড বস্তিতে। বাবা নেই; মা শ্রমজীবী। লকডাউনে মা কাজ হারিয়েছেন বলে পরিবারে শুরু হয়েছে ক্ষুধার কষ্ট। তবে মায়ের কষ্ট বুঝে উপায় না পেয়ে পরিবারের খাবার জোগাতে মাস্ক বিক্রি করতে নেমেছে নাঈম। তবে ভবিষ্যতে পড়াশোনা করাই তার ইচ্ছা।
অবস্থা শুনে সার্জেন্ট নাজমুল দুটি মাস্ক কিনে একটি নিজে এবং আরেকটি নাঈমের মুখে পরিয়ে দেন। খাবার কেনার জন্য তিনি কিছু টাকা দিতে চাইলে শিশুটি তা নিতে রাজি না হয়ে বলে, ‘মাস্ক বিক্রি করে সেই টাকা দিয়ে খাব।' পরে শিশুটিকে বুঝিয়ে আদর করে দোকানে নিয়ে চা-রুটি খাওয়ান। এবার নাঈমের কাছ থেকে আরও কিছু মাস্ক কিনে তাকেই উপহার দেন সার্জেন্ট।
এত কষ্টের টাকাও পুরোটা ঘরে নিতে পারে না নাঈম। অভিযোগ, বড় টোকাইরা তার টাকা কেড়ে নেয়।
ঘড়ির কাঁটায় দুপুর পৌনে ১টা। কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে গাবতলীর আমিনবাজার ব্রিজে কঠোর অবস্থানে পুলিশ, প্রশাসন। এরই মধ্যে মুখে মাস্ক না পরলেও হাতে কিছু মাস্ক নিয়ে হাজির আনুমানিক আট বছরের এই শিশু। জানা গেল, ক্ষুধার তাড়নায় বাধ্য হয়ে মাস্ক বিক্রির কাজে নেমেছে সে।
নাঈমের এমন উপস্থিতি সবার দৃষ্টি কাড়ে। এগিয়ে আসেন ট্রাফিক সার্জেন্ট নাজমুল। জানতে পারেন, নাঈম থাকে মিরপুর মাজার রোড বস্তিতে। বাবা নেই; মা শ্রমজীবী। লকডাউনে মা কাজ হারিয়েছেন বলে পরিবারে শুরু হয়েছে ক্ষুধার কষ্ট। তবে মায়ের কষ্ট বুঝে উপায় না পেয়ে পরিবারের খাবার জোগাতে মাস্ক বিক্রি করতে নেমেছে নাঈম। তবে ভবিষ্যতে পড়াশোনা করাই তার ইচ্ছা।
অবস্থা শুনে সার্জেন্ট নাজমুল দুটি মাস্ক কিনে একটি নিজে এবং আরেকটি নাঈমের মুখে পরিয়ে দেন। খাবার কেনার জন্য তিনি কিছু টাকা দিতে চাইলে শিশুটি তা নিতে রাজি না হয়ে বলে, ‘মাস্ক বিক্রি করে সেই টাকা দিয়ে খাব।' পরে শিশুটিকে বুঝিয়ে আদর করে দোকানে নিয়ে চা-রুটি খাওয়ান। এবার নাঈমের কাছ থেকে আরও কিছু মাস্ক কিনে তাকেই উপহার দেন সার্জেন্ট।
এত কষ্টের টাকাও পুরোটা ঘরে নিতে পারে না নাঈম। অভিযোগ, বড় টোকাইরা তার টাকা কেড়ে নেয়।
ভোরের আলো ফোটার আগেই রাজধানীর আজিমপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন শ্রমজীবীদের হাটে জড়ো হন শত শত শ্রমজীবী মানুষ। বিভিন্ন বয়সের পুরুষ ও নারী শ্রমিকেরা এই হাটে প্রতিদিন ভিড় করেন একটু কাজ পাওয়ার আশায়। তবে দিন যত যাচ্ছে, তাঁদের জীবনের লড়াই ততই কঠিন হয়ে উঠছে। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি তাঁদের জীবনকে দুর্বিষ
২৬ অক্টোবর ২০২৪ফেলুদার দার্জিলিং জমজমাট বইয়ে প্রথম পরিচয় দার্জিলিংয়ের সঙ্গে। তারপর অঞ্জন দত্তের গানসহ আরও নানাভাবে হিল স্টেশনটির প্রতি এক ভালোবাসা তৈরি হয়। তাই প্রথমবার ভারত সফরে ওটি, শিমলা, মসুরির মতো লোভনীয় হিল স্টেশনগুলোকে বাদ দিয়ে দার্জিলিংকেই বেছে নেই। অবশ্য আজকের গল্প পুরো দার্জিলিং ভ্রমণের নয়, বরং তখন পরিচয়
২৩ অক্টোবর ২০২৪কথায় আছে না—‘ঘরপোড়া গরু, সিঁদুরেমেঘ দেখলেই ডরায়’! আমার হইছে এই অবস্থা। বাড়িতে এখন বাড়িআলী, বয়স্ক বাপ-মা আর ছোট মেয়ে। সকাল থেকে চার-পাঁচবার কতা বলিচি। সংসার গোচাচ্ছে। আইজকা সন্ধ্যার দিকে ঝড় আসপি শুনতিছি। চিন্তায় রাতে ভালো ঘুমাতে পারিনি...
২৬ মে ২০২৪প্রতিদিন ভোরে ট্রেনের হুইসেলে ঘুম ভাঙে রাকিব হাসানের। একটু একটু করে গড়ে ওঠা রেলপথ নির্মাণকাজ তাঁর চোখে দেখা। এরপর রেলপথে ট্রেন ছুটে চলা, ট্রেন ছুঁয়ে দেখা—সবই হলো; কিন্তু এখনো হয়নি চড়া। রাকিবের মুখে তাই ভারতীয় সংগীতশিল্পী হৈমন্তী শুক্লার বিখ্যাত গান। ‘আমার বলার কিছু ছিল না, চেয়ে চেয়ে দেখলাম, তুমি চলে
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪