ফুয়াদ হাসান রঞ্জু, ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল)
‘আকপেন হাওয়াই মিঠাই, আকপেন হাওয়াই মিঠাই’ বলে ছোট একটি ঘণ্টা বাজিয়ে গ্রাম থেকে গ্রামে ছুটে চলেছেন সত্তর বছর বয়সী এক বৃদ্ধ। তাঁর পথ যেন ফুরোয় না। জীবিকার তাগিদে বৃদ্ধ বয়সে এখনো ছুটে বেড়ান এক স্থান থেকে অন্য স্থানে। তাঁর চেহারায় মলিনতার ছাপ, অসুস্থতায় চেহারা ফ্যাকাশে হয়ে গেছে। তবু থেমে নেই তিনি।
এই বৃদ্ধের নাম বেলায়েত হোসেন। তাঁর বাড়ি টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে। ৪০ বছর ধরে হাওয়াই মিঠাই বিক্রি করে কোনো রকমে সংসার চলছে তাঁর। তিন ছেলে আর দুই মেয়ে রয়েছে বেলায়েতের। ছেলেরা বিয়ে করে যে যার মতো আলাদা সংসার পেতেছেন। মেয়েদেরও বিয়ে দিয়েছেন বেলায়েত। বর্তমানে বেলায়েত আর তাঁর স্ত্রীর দুজনের সংসার। তবু টানাপোড়েন লেগেই থাকে সংসারে। তাঁর জমিজমা নেই বললেই চলে।
সারা দিন ভূঞাপুরের বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে প্রতি প্যাকেট হাওয়াই মিঠাই ১০ টাকায় বিক্রি করেন বেলায়েত। সারা দিন যা বিক্রি করেন, তা থেকে মাত্র ১৫০-২০০ টাকা রোজগার হয় বেলায়েতের। এই আয় দিয়ে দুজনের সংসার চালানো অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে তাঁর। তবু এভাবেই এই পেশায় কাটিয়ে দিয়েছেন দীর্ঘ ৪০ বছর।
এই বয়সে ক্লান্তি এলেও থেমে থাকার মানুষ নন বেলায়েত। ভোরের সূর্য উঠতে না উঠতেই তাঁকে ভূঞাপুরের গোবিন্দাসী এলাকায় হাওয়াই মিঠাই বিক্রি করতে দেখা যায়। তাঁর গলার স্বর শুনে শিশু থেকে বৃদ্ধ অনেকেই এসেছে হাওয়াই মিঠাই কিনতে।
প্রথম শ্রেণিতে পড়ুয়া নাইম হাসান বলে, ‘এই দাদা আমগোর এলাকায় হাওয়াই মিঠাই বেচতে আহে। তাঁর কাছ থিকা আমরা কিনা খাই। খুব স্বাদ লাগে।’
স্থানীয় বাসিন্দা মসিরন বেওয়া বলেন, ‘চাচা অনেক দিন ধরে আমাদের এলাকায় হাওয়াই মিঠাই বিক্রি করেন। বয়সে অনেক হলেও যেন তাঁর ক্লান্তি নেই। গ্রামে গ্রামে ঘুরে হাওয়াই মিঠাই বিক্রি করেন তিনি।’
বেলায়েত বলেন, ‘বাপু, পেটের দায়ে এই বয়সেও রোজগার করতে হয়। কামাই করে খাই। সেই ৪০ বছর ধইরা হাওয়াই মিঠাই বেচি। এখন শরীরে পারে না, তবু করতে হয়। চিনির দাম বেশি হওয়ায় এখন লাভও কম হয়। যে কয়েকটা দিন বাচমু, এই পেশায় থাকমু।’
বেলায়েত আরও বলেন, ‘যা কামাই হয় কোনোমতে খেয়ে না খেয়ে চলি। আমগোর আর ভাগ্যের পরিবর্তন হইব নাগো বাপু। সারা জীবন কষ্ট করছি, বৃদ্ধ বয়সেও কষ্ট কইরাই চইলতে হইব।’
‘আকপেন হাওয়াই মিঠাই, আকপেন হাওয়াই মিঠাই’ বলে ছোট একটি ঘণ্টা বাজিয়ে গ্রাম থেকে গ্রামে ছুটে চলেছেন সত্তর বছর বয়সী এক বৃদ্ধ। তাঁর পথ যেন ফুরোয় না। জীবিকার তাগিদে বৃদ্ধ বয়সে এখনো ছুটে বেড়ান এক স্থান থেকে অন্য স্থানে। তাঁর চেহারায় মলিনতার ছাপ, অসুস্থতায় চেহারা ফ্যাকাশে হয়ে গেছে। তবু থেমে নেই তিনি।
এই বৃদ্ধের নাম বেলায়েত হোসেন। তাঁর বাড়ি টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে। ৪০ বছর ধরে হাওয়াই মিঠাই বিক্রি করে কোনো রকমে সংসার চলছে তাঁর। তিন ছেলে আর দুই মেয়ে রয়েছে বেলায়েতের। ছেলেরা বিয়ে করে যে যার মতো আলাদা সংসার পেতেছেন। মেয়েদেরও বিয়ে দিয়েছেন বেলায়েত। বর্তমানে বেলায়েত আর তাঁর স্ত্রীর দুজনের সংসার। তবু টানাপোড়েন লেগেই থাকে সংসারে। তাঁর জমিজমা নেই বললেই চলে।
সারা দিন ভূঞাপুরের বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে প্রতি প্যাকেট হাওয়াই মিঠাই ১০ টাকায় বিক্রি করেন বেলায়েত। সারা দিন যা বিক্রি করেন, তা থেকে মাত্র ১৫০-২০০ টাকা রোজগার হয় বেলায়েতের। এই আয় দিয়ে দুজনের সংসার চালানো অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে তাঁর। তবু এভাবেই এই পেশায় কাটিয়ে দিয়েছেন দীর্ঘ ৪০ বছর।
এই বয়সে ক্লান্তি এলেও থেমে থাকার মানুষ নন বেলায়েত। ভোরের সূর্য উঠতে না উঠতেই তাঁকে ভূঞাপুরের গোবিন্দাসী এলাকায় হাওয়াই মিঠাই বিক্রি করতে দেখা যায়। তাঁর গলার স্বর শুনে শিশু থেকে বৃদ্ধ অনেকেই এসেছে হাওয়াই মিঠাই কিনতে।
প্রথম শ্রেণিতে পড়ুয়া নাইম হাসান বলে, ‘এই দাদা আমগোর এলাকায় হাওয়াই মিঠাই বেচতে আহে। তাঁর কাছ থিকা আমরা কিনা খাই। খুব স্বাদ লাগে।’
স্থানীয় বাসিন্দা মসিরন বেওয়া বলেন, ‘চাচা অনেক দিন ধরে আমাদের এলাকায় হাওয়াই মিঠাই বিক্রি করেন। বয়সে অনেক হলেও যেন তাঁর ক্লান্তি নেই। গ্রামে গ্রামে ঘুরে হাওয়াই মিঠাই বিক্রি করেন তিনি।’
বেলায়েত বলেন, ‘বাপু, পেটের দায়ে এই বয়সেও রোজগার করতে হয়। কামাই করে খাই। সেই ৪০ বছর ধইরা হাওয়াই মিঠাই বেচি। এখন শরীরে পারে না, তবু করতে হয়। চিনির দাম বেশি হওয়ায় এখন লাভও কম হয়। যে কয়েকটা দিন বাচমু, এই পেশায় থাকমু।’
বেলায়েত আরও বলেন, ‘যা কামাই হয় কোনোমতে খেয়ে না খেয়ে চলি। আমগোর আর ভাগ্যের পরিবর্তন হইব নাগো বাপু। সারা জীবন কষ্ট করছি, বৃদ্ধ বয়সেও কষ্ট কইরাই চইলতে হইব।’
ভোরের আলো ফোটার আগেই রাজধানীর আজিমপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন শ্রমজীবীদের হাটে জড়ো হন শত শত শ্রমজীবী মানুষ। বিভিন্ন বয়সের পুরুষ ও নারী শ্রমিকেরা এই হাটে প্রতিদিন ভিড় করেন একটু কাজ পাওয়ার আশায়। তবে দিন যত যাচ্ছে, তাঁদের জীবনের লড়াই ততই কঠিন হয়ে উঠছে। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি তাঁদের জীবনকে দুর্বিষ
২৬ অক্টোবর ২০২৪ফেলুদার দার্জিলিং জমজমাট বইয়ে প্রথম পরিচয় দার্জিলিংয়ের সঙ্গে। তারপর অঞ্জন দত্তের গানসহ আরও নানাভাবে হিল স্টেশনটির প্রতি এক ভালোবাসা তৈরি হয়। তাই প্রথমবার ভারত সফরে ওটি, শিমলা, মসুরির মতো লোভনীয় হিল স্টেশনগুলোকে বাদ দিয়ে দার্জিলিংকেই বেছে নেই। অবশ্য আজকের গল্প পুরো দার্জিলিং ভ্রমণের নয়, বরং তখন পরিচয়
২৩ অক্টোবর ২০২৪কথায় আছে না—‘ঘরপোড়া গরু, সিঁদুরেমেঘ দেখলেই ডরায়’! আমার হইছে এই অবস্থা। বাড়িতে এখন বাড়িআলী, বয়স্ক বাপ-মা আর ছোট মেয়ে। সকাল থেকে চার-পাঁচবার কতা বলিচি। সংসার গোচাচ্ছে। আইজকা সন্ধ্যার দিকে ঝড় আসপি শুনতিছি। চিন্তায় রাতে ভালো ঘুমাতে পারিনি...
২৬ মে ২০২৪প্রতিদিন ভোরে ট্রেনের হুইসেলে ঘুম ভাঙে রাকিব হাসানের। একটু একটু করে গড়ে ওঠা রেলপথ নির্মাণকাজ তাঁর চোখে দেখা। এরপর রেলপথে ট্রেন ছুটে চলা, ট্রেন ছুঁয়ে দেখা—সবই হলো; কিন্তু এখনো হয়নি চড়া। রাকিবের মুখে তাই ভারতীয় সংগীতশিল্পী হৈমন্তী শুক্লার বিখ্যাত গান। ‘আমার বলার কিছু ছিল না, চেয়ে চেয়ে দেখলাম, তুমি চলে
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪