মহসিন মোল্লা, শ্রীপুর (মাগুরা)
মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার বকুল তলা মোড় এলাকায় প্রায় অর্ধশত বছর ধরে অন্যের জুতা-সেন্ডেল পরিপাটি করলেও হয়নি নিজের ভাগ্যের পরিবর্তন। রাস্তার পাশের ফুটপাতে বছরের পর বছর বাক্স নিয়ে বসে আছেন গোপী দাস। বয়স আশির কোঠায়। সঙ্গে রয়েছে সুই-সুতা, চিমটে, নেহাই, কাঠের তক্তা, চামড়া, চামড়া কাটার যন্ত্র এবং রং (কালি)। ওই সব দিয়ে ছেঁড়া জুতা সেলাই আর রং বা কালি দিয়ে সুন্দরভাবে পরিপাটি করে দিচ্ছেন বাপ-বেটা দুজনে মিলে। প্রতিদিনই এমন দৃশ্য দেখা যায় উপজেলার বটতলা বর্তমান বকুল তলা মোড় এলাকায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাস্তার পাশে ফুটপাতে বসে অর্ধশত বছরের অধিক সময় ধরে এ কাজ করে আসছেন তিনি। বয়সের ভারে নুরে পড়লেও সমানে চালিয়ে নিচ্ছেন তার নিজ কর্ম। অন্যের ছেঁড়া জুতা-সেন্ডেল নিপুণ হাতের ছোঁয়ায় সেলাই আর রং কালি দিয়ে পরিপাটি করে দিলেও তাঁর নিজের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি। বর্তমানে বাবার এ কাজের হাল ধরেছেন ছেলে তরুন দাস। অন্য ছেলেরা এ পেশায় আসতে চান না। তাই আটজনের সংসার অভাব অনটনের মধ্যে চলছে তাদের জীবন।
গোপী দাসের এলাকা ঋষি পাড়া হিসাবে পরিচিত। এ গ্রামের অধিকাংশ মানুষ মুচি পেশার সঙ্গে জড়িত। যারা ছোট বেলা থেকে মুচি হিসেবে কাজ করে আসছেন, বর্তমানে অন্য কোনো পেশার কাজ করতে পারেন না শুধু তারাই পুরোনো পেশা ধরে রেখেছেন। তবে তাঁদের বেশির ভাগই চান না সন্তানরাও এই কাজ শিখুক। এখন অনেকেই সেলুনে কাজ করছেন। এ অবস্থায় এখানকার কয়েকটি পরিবার এখনো এ পেশায় জীবিকা নির্বাহ করছে।
কথা হয় গোপী দাসের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বাপ-দাদারা জুতা সেলাই করতেন তাদের পরে আমিও একই পেশায় কাজ করছি। এখানে জীবনের প্রায় পুরোটা সময় পার করছি। হয়তো বাকিটা জীবন ও এই কাজেই পার হবে। কিন্তু দুঃখের কথা হলো এখন যা পাই তা দিয়ে সংসার চলেনা। মানুষের এখন টাকা হয়ে গেছে, কেউ ছেঁড়া জুতা সেলাই করে পায়ে দেয় না। সারা দিনে ২শ টাকার কাজ করাও কঠিন হয়ে যায়। প্রায় ৫০ বছর ধরে এই কাজ করে সংসার চালিয়েছি। কিন্তু এখন আর পারছি না।’
শ্রীপুর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ওয়াসিম আকরাম বলেন, ‘গোপী দাসকে অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর বিশেষ ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। ছেলে তরুন দাসকে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবন মান উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৫ দিনের প্রশিক্ষণ ও ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য আর্থিক অনুদান দেওয়া হবে।’
মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার বকুল তলা মোড় এলাকায় প্রায় অর্ধশত বছর ধরে অন্যের জুতা-সেন্ডেল পরিপাটি করলেও হয়নি নিজের ভাগ্যের পরিবর্তন। রাস্তার পাশের ফুটপাতে বছরের পর বছর বাক্স নিয়ে বসে আছেন গোপী দাস। বয়স আশির কোঠায়। সঙ্গে রয়েছে সুই-সুতা, চিমটে, নেহাই, কাঠের তক্তা, চামড়া, চামড়া কাটার যন্ত্র এবং রং (কালি)। ওই সব দিয়ে ছেঁড়া জুতা সেলাই আর রং বা কালি দিয়ে সুন্দরভাবে পরিপাটি করে দিচ্ছেন বাপ-বেটা দুজনে মিলে। প্রতিদিনই এমন দৃশ্য দেখা যায় উপজেলার বটতলা বর্তমান বকুল তলা মোড় এলাকায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাস্তার পাশে ফুটপাতে বসে অর্ধশত বছরের অধিক সময় ধরে এ কাজ করে আসছেন তিনি। বয়সের ভারে নুরে পড়লেও সমানে চালিয়ে নিচ্ছেন তার নিজ কর্ম। অন্যের ছেঁড়া জুতা-সেন্ডেল নিপুণ হাতের ছোঁয়ায় সেলাই আর রং কালি দিয়ে পরিপাটি করে দিলেও তাঁর নিজের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি। বর্তমানে বাবার এ কাজের হাল ধরেছেন ছেলে তরুন দাস। অন্য ছেলেরা এ পেশায় আসতে চান না। তাই আটজনের সংসার অভাব অনটনের মধ্যে চলছে তাদের জীবন।
গোপী দাসের এলাকা ঋষি পাড়া হিসাবে পরিচিত। এ গ্রামের অধিকাংশ মানুষ মুচি পেশার সঙ্গে জড়িত। যারা ছোট বেলা থেকে মুচি হিসেবে কাজ করে আসছেন, বর্তমানে অন্য কোনো পেশার কাজ করতে পারেন না শুধু তারাই পুরোনো পেশা ধরে রেখেছেন। তবে তাঁদের বেশির ভাগই চান না সন্তানরাও এই কাজ শিখুক। এখন অনেকেই সেলুনে কাজ করছেন। এ অবস্থায় এখানকার কয়েকটি পরিবার এখনো এ পেশায় জীবিকা নির্বাহ করছে।
কথা হয় গোপী দাসের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বাপ-দাদারা জুতা সেলাই করতেন তাদের পরে আমিও একই পেশায় কাজ করছি। এখানে জীবনের প্রায় পুরোটা সময় পার করছি। হয়তো বাকিটা জীবন ও এই কাজেই পার হবে। কিন্তু দুঃখের কথা হলো এখন যা পাই তা দিয়ে সংসার চলেনা। মানুষের এখন টাকা হয়ে গেছে, কেউ ছেঁড়া জুতা সেলাই করে পায়ে দেয় না। সারা দিনে ২শ টাকার কাজ করাও কঠিন হয়ে যায়। প্রায় ৫০ বছর ধরে এই কাজ করে সংসার চালিয়েছি। কিন্তু এখন আর পারছি না।’
শ্রীপুর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ওয়াসিম আকরাম বলেন, ‘গোপী দাসকে অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর বিশেষ ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। ছেলে তরুন দাসকে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবন মান উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৫ দিনের প্রশিক্ষণ ও ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য আর্থিক অনুদান দেওয়া হবে।’
ভোরের আলো ফোটার আগেই রাজধানীর আজিমপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন শ্রমজীবীদের হাটে জড়ো হন শত শত শ্রমজীবী মানুষ। বিভিন্ন বয়সের পুরুষ ও নারী শ্রমিকেরা এই হাটে প্রতিদিন ভিড় করেন একটু কাজ পাওয়ার আশায়। তবে দিন যত যাচ্ছে, তাঁদের জীবনের লড়াই ততই কঠিন হয়ে উঠছে। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি তাঁদের জীবনকে দুর্বিষ
২৬ অক্টোবর ২০২৪ফেলুদার দার্জিলিং জমজমাট বইয়ে প্রথম পরিচয় দার্জিলিংয়ের সঙ্গে। তারপর অঞ্জন দত্তের গানসহ আরও নানাভাবে হিল স্টেশনটির প্রতি এক ভালোবাসা তৈরি হয়। তাই প্রথমবার ভারত সফরে ওটি, শিমলা, মসুরির মতো লোভনীয় হিল স্টেশনগুলোকে বাদ দিয়ে দার্জিলিংকেই বেছে নেই। অবশ্য আজকের গল্প পুরো দার্জিলিং ভ্রমণের নয়, বরং তখন পরিচয়
২৩ অক্টোবর ২০২৪কথায় আছে না—‘ঘরপোড়া গরু, সিঁদুরেমেঘ দেখলেই ডরায়’! আমার হইছে এই অবস্থা। বাড়িতে এখন বাড়িআলী, বয়স্ক বাপ-মা আর ছোট মেয়ে। সকাল থেকে চার-পাঁচবার কতা বলিচি। সংসার গোচাচ্ছে। আইজকা সন্ধ্যার দিকে ঝড় আসপি শুনতিছি। চিন্তায় রাতে ভালো ঘুমাতে পারিনি...
২৬ মে ২০২৪প্রতিদিন ভোরে ট্রেনের হুইসেলে ঘুম ভাঙে রাকিব হাসানের। একটু একটু করে গড়ে ওঠা রেলপথ নির্মাণকাজ তাঁর চোখে দেখা। এরপর রেলপথে ট্রেন ছুটে চলা, ট্রেন ছুঁয়ে দেখা—সবই হলো; কিন্তু এখনো হয়নি চড়া। রাকিবের মুখে তাই ভারতীয় সংগীতশিল্পী হৈমন্তী শুক্লার বিখ্যাত গান। ‘আমার বলার কিছু ছিল না, চেয়ে চেয়ে দেখলাম, তুমি চলে
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪