অনলাইন ডেস্ক
সাধারণত পণ্য ও সেবার প্রতি জনসাধারণের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে বিজ্ঞাপনে চমকপ্রদ প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। তেমনি এলইডি বাল্ব কত টিকবে তা বিজ্ঞাপনে বলা হয়। একটি এলইডি বাল্বের আয়ু কীভাবে নির্ধারণ করা হয়, অর্থাৎ বাল্বটি থেকে কত দিন আলো পাওয়া যাবে—একজন ক্রেতা হিসেবে সেটি জানার আগ্রহ থাকাটাই স্বাভাবিক।
সাধারণ বিজলি বাতিতে টাংস্টেনের তৈরি সূক্ষ্ম ফিলামেন্ট থাকে। নিষ্ক্রিয় গ্যাস ভর্তি বাল্বের ভেতরে ফিলামেন্ট উত্তপ্ত হয়ে আলোর বিচ্ছুরণ ঘটে। তবে এলইডি বাল্বের আলো তৈরির প্রক্রিয়াটি এমন নয়। সুইচ অফ করলে এগুলো হুট করে বন্ধ হয়ে যায় না।
এলইডি বাল্বের আলোর তীব্রতা ধীরে ধীরে আলো কমে যায়। এগুলো ৩০ থেকে ৫০ হাজার ঘণ্টা পর্যন্ত জ্বলতে পারে। যখন আলোর উজ্জ্বলতা মূল উজ্জ্বলতার ৭০ শতাংশে নেমে যায়, তখন এসব বাল্বের আয়ু শেষ হয়ে গেছে বলে ধরা হয়।
আলোর তীব্রতা পরিমাপের একক হলো লুমেন। কোনো দীপ্তিমান বস্তু থেকে এক সেকেন্ডে যে পরিমাণ আলোক শক্তি নির্গত হয় তাকে দীপ্তি বা আলোক প্রবাহ বা আলোক ফ্লাক্স বলে। আর আলোক ফ্লাক্স পরিমাপের একক লুমেন।
এলইডি বাল্বগুলো খুব টেকসই উপকরণ দিয়ে তৈরি। এগুলো জ্বালালে ঘর তাৎক্ষণিকভাবে আলোকিত হয়। এতে বিদ্যুৎ খরচও কম হয়।
এলইডি বাল্বের আয়ু কী
যতক্ষণ প্রয়োজনীয় আলো উৎপন্ন করতে পারে ততক্ষণই এলইডি বাল্বের আয়ু বলে ধরা হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এলইডি বাল্বের লুমেন কমে যেতে থাকে, অর্থাৎ বাল্বের আলো ধীরে ধীরে ম্লান হতে থাকে। ঘরের বাল্বের ক্ষেত্রে উজ্জ্বলতা ৭০ শতাংশ বা ৫০ শতাংশের নিচে নেমে গেলে বাল্বটির আয়ু শেষ হয়েছে বলে ধরা হয়। বাল্বের প্যাকেটের গায়ে এই হিসাব এল ৫০ ও এল ৭০ লেখা থাকে।
লুমেন ৭০ বা ৫০ শতাংশের নিচে নেমে গেলে বাল্বগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী বলে মনে করা হয়। তবে এই বাল্বের আয়ু শুধু লুমেনের ওপর নির্ভর করে না। বাল্বের অন্যান্য উপাদান নষ্ট হয়ে গেলেও বাল্বটির আয়ু শেষ হয়ে যেতে পারে।
এলইডি বাল্বের আয়ু যেভাবে নির্ধারণ করা হয়
এখন প্রশ্ন উঠতে পারে, এলইডি বাল্বের উজ্জ্বলতা দিন দিন যদি কমতে থাকে, তাহলে কীভাবে একটি কোম্পানি দাবি করে যে, এই বাল্ব ১ হাজার ঘণ্টা পর্যন্ত আলো দিতে সক্ষম?
এটি নির্ধারণ করতে সমস্ত এলইডি লাইট বাল্ব বাজারজাত করার আগে কঠোর পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। আয়ু নির্ধারণের পরীক্ষার জন্য অনেকগুলো বাল্ব নমুনা হিসেবে নেওয়া হয়।
এই পরীক্ষার অংশ হিসেবে একটি বাল্ব বা বাতি আলোকিত করার সময় এলইডি চিপগুলো যুক্ত করা হয় ও সতর্ক পর্যবেক্ষণের অধীনে বাল্বের লুমেনগুলো ক্রমাগত পরিমাপ করা হয়। পরীক্ষার সময় উজ্জ্বলতার ডেটা সংগ্রহ করা হয়। পরবর্তীতে এই ডেটা একটি গাণিতিক সূত্রে ফেলা হয়। সূত্রের ফলাফলগুলো একটি গ্রাফ বা লেখচিত্রে বসিয়ে লুমেন মেইনটেন্যান্স কার্ভ বের করা হয়। যার মাধ্যমে বোঝা যায় কীভাবে এলইডি বাল্বের আলোর উজ্জ্বলতা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হ্রাস পাবে। এই বক্ররেখা এলইডি চিপগুলোর গুণমান, বাল্বের নকশা ও পরিবেশগত অবস্থার মতো কারণগুলোর ওপর নির্ভর করে।
লুমেন মেইনটেন্যান্স কার্ভের ওপর ভিত্তি করে এল ৭০ বা এল ৫০ বিন্দু গণনা করা হয়। এসব পয়েন্ট নির্ধারণের মাধ্যমে এলইডি বাল্বের আয়ু অনুমান করা যায়। অর্থাৎ কোনো বাল্বের লুমেন এল ৭০ রেটিং বের হলে বাল্বটি ২৫ হাজার ঘণ্টা চলার পর এর আলোর উজ্জ্বলতা ৭০ শতাংশের নিচে নামবে। একইভাবে এল ৫০ রেটিং পাওয়া গেলে বাল্বটি ৩০ হাজার ঘণ্টা চলার পর এর আলোর উজ্জ্বলতা ৫০ শতাংশের নিচে নামবে বলে বোঝা যায়।
অবশ্য একটি এলইডি বাল্ব ৭০ বা ৫০ শতাংশ পর্যন্ত উজ্জ্বলতায় আলো কত দিন দিতে পারবে সেটি একেবারে নিখুঁতভাবে জানা যায় না। এটি মূলত একটি প্রাক্কলন। গুণমান পরীক্ষায় প্রক্রিয়াটি বাল্বের আয়ু সম্পর্কে একটি ধারণা দেয় মাত্র।
তথ্যসূত্র: সিম্পলি এলইডি
সাধারণত পণ্য ও সেবার প্রতি জনসাধারণের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে বিজ্ঞাপনে চমকপ্রদ প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। তেমনি এলইডি বাল্ব কত টিকবে তা বিজ্ঞাপনে বলা হয়। একটি এলইডি বাল্বের আয়ু কীভাবে নির্ধারণ করা হয়, অর্থাৎ বাল্বটি থেকে কত দিন আলো পাওয়া যাবে—একজন ক্রেতা হিসেবে সেটি জানার আগ্রহ থাকাটাই স্বাভাবিক।
সাধারণ বিজলি বাতিতে টাংস্টেনের তৈরি সূক্ষ্ম ফিলামেন্ট থাকে। নিষ্ক্রিয় গ্যাস ভর্তি বাল্বের ভেতরে ফিলামেন্ট উত্তপ্ত হয়ে আলোর বিচ্ছুরণ ঘটে। তবে এলইডি বাল্বের আলো তৈরির প্রক্রিয়াটি এমন নয়। সুইচ অফ করলে এগুলো হুট করে বন্ধ হয়ে যায় না।
এলইডি বাল্বের আলোর তীব্রতা ধীরে ধীরে আলো কমে যায়। এগুলো ৩০ থেকে ৫০ হাজার ঘণ্টা পর্যন্ত জ্বলতে পারে। যখন আলোর উজ্জ্বলতা মূল উজ্জ্বলতার ৭০ শতাংশে নেমে যায়, তখন এসব বাল্বের আয়ু শেষ হয়ে গেছে বলে ধরা হয়।
আলোর তীব্রতা পরিমাপের একক হলো লুমেন। কোনো দীপ্তিমান বস্তু থেকে এক সেকেন্ডে যে পরিমাণ আলোক শক্তি নির্গত হয় তাকে দীপ্তি বা আলোক প্রবাহ বা আলোক ফ্লাক্স বলে। আর আলোক ফ্লাক্স পরিমাপের একক লুমেন।
এলইডি বাল্বগুলো খুব টেকসই উপকরণ দিয়ে তৈরি। এগুলো জ্বালালে ঘর তাৎক্ষণিকভাবে আলোকিত হয়। এতে বিদ্যুৎ খরচও কম হয়।
এলইডি বাল্বের আয়ু কী
যতক্ষণ প্রয়োজনীয় আলো উৎপন্ন করতে পারে ততক্ষণই এলইডি বাল্বের আয়ু বলে ধরা হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এলইডি বাল্বের লুমেন কমে যেতে থাকে, অর্থাৎ বাল্বের আলো ধীরে ধীরে ম্লান হতে থাকে। ঘরের বাল্বের ক্ষেত্রে উজ্জ্বলতা ৭০ শতাংশ বা ৫০ শতাংশের নিচে নেমে গেলে বাল্বটির আয়ু শেষ হয়েছে বলে ধরা হয়। বাল্বের প্যাকেটের গায়ে এই হিসাব এল ৫০ ও এল ৭০ লেখা থাকে।
লুমেন ৭০ বা ৫০ শতাংশের নিচে নেমে গেলে বাল্বগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী বলে মনে করা হয়। তবে এই বাল্বের আয়ু শুধু লুমেনের ওপর নির্ভর করে না। বাল্বের অন্যান্য উপাদান নষ্ট হয়ে গেলেও বাল্বটির আয়ু শেষ হয়ে যেতে পারে।
এলইডি বাল্বের আয়ু যেভাবে নির্ধারণ করা হয়
এখন প্রশ্ন উঠতে পারে, এলইডি বাল্বের উজ্জ্বলতা দিন দিন যদি কমতে থাকে, তাহলে কীভাবে একটি কোম্পানি দাবি করে যে, এই বাল্ব ১ হাজার ঘণ্টা পর্যন্ত আলো দিতে সক্ষম?
এটি নির্ধারণ করতে সমস্ত এলইডি লাইট বাল্ব বাজারজাত করার আগে কঠোর পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। আয়ু নির্ধারণের পরীক্ষার জন্য অনেকগুলো বাল্ব নমুনা হিসেবে নেওয়া হয়।
এই পরীক্ষার অংশ হিসেবে একটি বাল্ব বা বাতি আলোকিত করার সময় এলইডি চিপগুলো যুক্ত করা হয় ও সতর্ক পর্যবেক্ষণের অধীনে বাল্বের লুমেনগুলো ক্রমাগত পরিমাপ করা হয়। পরীক্ষার সময় উজ্জ্বলতার ডেটা সংগ্রহ করা হয়। পরবর্তীতে এই ডেটা একটি গাণিতিক সূত্রে ফেলা হয়। সূত্রের ফলাফলগুলো একটি গ্রাফ বা লেখচিত্রে বসিয়ে লুমেন মেইনটেন্যান্স কার্ভ বের করা হয়। যার মাধ্যমে বোঝা যায় কীভাবে এলইডি বাল্বের আলোর উজ্জ্বলতা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হ্রাস পাবে। এই বক্ররেখা এলইডি চিপগুলোর গুণমান, বাল্বের নকশা ও পরিবেশগত অবস্থার মতো কারণগুলোর ওপর নির্ভর করে।
লুমেন মেইনটেন্যান্স কার্ভের ওপর ভিত্তি করে এল ৭০ বা এল ৫০ বিন্দু গণনা করা হয়। এসব পয়েন্ট নির্ধারণের মাধ্যমে এলইডি বাল্বের আয়ু অনুমান করা যায়। অর্থাৎ কোনো বাল্বের লুমেন এল ৭০ রেটিং বের হলে বাল্বটি ২৫ হাজার ঘণ্টা চলার পর এর আলোর উজ্জ্বলতা ৭০ শতাংশের নিচে নামবে। একইভাবে এল ৫০ রেটিং পাওয়া গেলে বাল্বটি ৩০ হাজার ঘণ্টা চলার পর এর আলোর উজ্জ্বলতা ৫০ শতাংশের নিচে নামবে বলে বোঝা যায়।
অবশ্য একটি এলইডি বাল্ব ৭০ বা ৫০ শতাংশ পর্যন্ত উজ্জ্বলতায় আলো কত দিন দিতে পারবে সেটি একেবারে নিখুঁতভাবে জানা যায় না। এটি মূলত একটি প্রাক্কলন। গুণমান পরীক্ষায় প্রক্রিয়াটি বাল্বের আয়ু সম্পর্কে একটি ধারণা দেয় মাত্র।
তথ্যসূত্র: সিম্পলি এলইডি
সেলিব্রিটি শেফ বা ইতালি নানিরা যা কখনোই কল্পনা করতে পারেননি তাই তৈরি করে দেখালেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের গবেষকেরা। বিশ্বের সবচেয়ে পাতলা স্প্যাগেটি তৈরি করলেন তাঁরা। গবেষকেরা এমন এক স্টার্চ ন্যানোফাইবারের তৈরি স্প্যাগেটি তৈরি করেছে, যা মাত্র ৩৭২ ন্যানোমিটার চওড়া। চুলের চেয়ে ২০০ গুণ পাত
৮ ঘণ্টা আগেপ্রথমবারের মতো মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি বা আকাশগঙ্গা ছায়াপথের বাইরে একটি নক্ষত্রের মৃত্যুর মুহূর্তের ছবি তুলতে সক্ষম হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ছবিতে সুপারনোভা বিস্ফোরণের আগের পরিস্থিতি তুলে ধরেছে। ছবিতে নক্ষত্রটিকে অদ্ভুত ডিম আকারের কোকুনের (রেশমগুটি) মতো দেখা যায়।
১০ ঘণ্টা আগেআমাদের অনেকেরই অফিসে কাজ করতে গিয়ে দীর্ঘসময় বসে থাকতে হয়। আর দিনের একটা বড় সময় বসে থাকাটা বাড়ায় হৃৎপিণ্ডের রোগের ঝুঁকি। এমনকি অবসর সময়ে শরীরচর্চা করেও এই ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রেহাই মিলবে না। এসব তথ্য উঠে এসেছে নতুন এক গবেষণায়।
৩ দিন আগেবিজ্ঞানীরা বলছেন, জিপিএসের সাহায্য ছাড়াই এআই ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া থেকে কোনো ব্যক্তির সাম্প্রতিক অবস্থান চিহ্নিত করা যাবে।
৯ দিন আগে