অনলাইন ডেস্ক
বিভিন্ন প্রাণী কীভাবে চোখ দিয়ে জগৎকে কেমন রূপে দেখে তা বোঝা বেশ কঠিন। এমনকি বিভিন্ন মানুষের দৃষ্টিও অত্যন্ত বৈচিত্র্যময় বলে নতুন এক গবেষণায় জানা যায়। মানুষের দৃষ্টি নির্ভর করে রড ও কোন নামে চোখের বিশেষ কোষের ওপর।
মানুষের চোখে মূলত লাল, সবুজ ও নীল এই তিনটি রং শনাক্তকারী কোষ রয়েছে। এই তিনটি রঙের বিন্যাসে প্রায় ১০ লাখ রং মানুষ দেখতে পারে। কিন্তু অন্য প্রাণীরা এর ধারে কাছেও নেই। এটি কীভাবে সম্ভব হলো, সেটি এক কঠিন ধাঁধা।
তবে মানুষ কোন ধরনের রং দেখতে পারবে তা মাত্র একটি অণুর ওপর নির্ভর করে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের একদল গবেষক। গবেষণাগারে মানুষের রেটিনা পরীক্ষা করে এমন তথ্য পেয়েছেন তাঁরা।
মানুষের রেটিনাতে লাল এবং সবুজ শনাক্তকারী কোন কোষগুলো কীভাবে গঠিত হয় তার সঙ্গে এই বৈচিত্র্যময় দৃষ্টির সম্পর্ক রয়েছে। মেরুদণ্ডী প্রাণীদের চোখের আলোক–সংবেদী কোষের নাম ‘কোন’। নির্দিষ্ট তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের আলো যখন রেটিনায় এসে পড়ে তখন কোন কোষগুলো সেটিকে নির্দিষ্ট রং হিসেবে শনাক্ত করে। এভাবেই মানুষ রং দেখতে পারে।
মানুষসহ কিছু প্রাইমেট (বানর জাতীয় প্রাণী) লাল রঙের পাশাপাশি সবুজ ও নীল রং দেখতে পারে। অনেক পাখি ও কিছু পোকামাকড়ও লাল রং দেখতে পারে। একটি প্রাণীর দৃষ্টি কেমন হবে তা বিবর্তনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। সেই সঙ্গে আবাসস্থলের আশপাশে ফল ও ফুল উৎপন্নকারী গাছও এতে প্রভাব ফেলে। খাবার ও শত্রু শনাক্তে এই বিবর্তন সহায়ক হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, বিবর্তনের ফলে প্রাপ্ত দৃষ্টিক্ষমতা সবুজ প্রান্তরে একটি পাকা লাল আপেল দেখতে পাখিকে সহায়তা করে।
মানুষের চোখের লাল ও সবুজ রং শনাক্তকারী কোন কোষগুলো প্রায় অভিন্ন। সামান্য রাসায়নিক পার্থক্য দুটি রংকে আলাদা করতে সহায়তা করে। অপসিন নামক একটি প্রোটিন দুই ধরনের বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন হয়। একটি হলো লাল–সংবেদী অংশ এবং আরেকটি সবুজ–সংবেদী। জিনে এক্স ক্রোমোজোমে এরা পাশাপাশি থাকে।
ফলে এরা খুবই সহজে একটি বিন্যাসে মিশ্রিত হতে পারে। এ কারণেই জন্মগত লাল–সবুজ বর্ণান্ধতার বিভিন্নতা হয়।
কোন উপাদানটি দৃষ্টির এই পার্থক্য তৈরি করে তা নতুন গবেষণাটি স্পষ্ট করেছে। লাল–সবুজ রং দেখতে পারা জন্য দায়ী এই নির্দিষ্ট প্রোটিন তৈরির কোড থাকে এমন জিন এবং কোডটি থাকে না এমন জিনের মধ্যে পার্থক্য মাত্র ৪ শতাংশ।
আগে ভাবা হতো, কোন কোষগুলো যথেচ্ছভাবে কাজ করে। তবে সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা যায়, থাইরয়েডের হরমোনের মাত্রা এখানে ভূমিকা রাখে।
কিন্তু গবেষণাপত্রে জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি ও ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি গবেষক দল বলছেন, ভিটামিন এ থেকে রেটিনোয়িক অ্যাসিড নামের একটি অণু আলাদা করেছেন তাঁরা। এটি কোন কোষে লাল–সবুজ রঙের পার্থক্য তৈরি করে অথবা করে না। অন্তত গবেষণাগারে তৈরি রেটিনা নিয়ে পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে এমন তথ্যই পেয়েছেন গবেষকেরা।
জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির ডেভেলপমেন্টাল বায়োলজিস্ট রবার্ট জনস্টন বলেন, ‘রেটিনার এই উপাদানগুলো প্রথমবারের মতো মানুষের নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য অধ্যয়ন করার সুযোগ দিয়েছে। তবে মানুষকে কোন উপাদানগুলো মানুষ করে তুলল, কী মানুষকে অন্য প্রাণীদের থেকে আলাদা করে তোলে তা একটি বড় প্রশ্ন।’
গবেষণাগারে প্রারম্ভিক বিকাশের সময় (প্রথম ৬০ দিন) রেটিনাগুলো বেশি রেটিনোয়িক অ্যাসিডের সংস্পর্শে আসে। ফলে ২০০ দিন পরে সবুজ কোন কোষগুলোর অনুপাত বেশি হয়, অপরিণত কোন কোষগুলো অ্যাসিডের কম ঘনত্বের সংস্পর্শে এসে লাল কোন কোষে বিকশিত হয়।
এই ঘটনার জন্য সময়ও গুরুত্বপূর্ণ। যদি ১৩০ দিনের পরে রেটিনোয়িক অ্যাসিড সংস্পর্শে আসে তাহলে ফলাফলে কোনো পার্থক্য দেখা যাবে না। মনে হবে কোনো কিছু যোগ করা হয়নি। এই পরীক্ষার মাধ্যমে বোঝা যায়, প্রাথমিকভাবে কোনটি কেমন হবে তা অ্যাসিডের ঘনত্বের ওপর নির্ভর করে। পরবর্তীতে লাল কোন কোষগুলো পরিবর্তিত হয়ে সবুজ কোনে পরিবর্তিত হতে পারে না।
গবেষণাগারে তৈরি রেটিনাগুলোর কোন কোষের ঘনত্বে কোনো পরিবর্তন হয়নি। তাই ‘কোন কোষের মৃত্যু লাল থেকে সবুজ সংবেদী কোষের অনুপাতকে প্রভাবিত করে’—এমন ধারণা বাতিল করেন গবেষক দলটি।
গবেষণাপত্রের সহ–লেখক ডেভেলপমেন্টাল বায়োলজিস্ট সারাহ হাডিনিয়াক বলেন, ঠিক কীভাবে জিনের ওপর রেটিনোয়িক অ্যাসিড কাজ করছে তা তাদের গবেষণার মাধ্যমে জানা যায়।
এটি মানুষের দৃষ্টিশক্তিকে কতটা প্রভাবিত করতে পারে তা বোঝার জন্য, যাদের রং চিনতে না পারার সমস্যার কোনো লক্ষণ নেই এমন ৭৩৮ জন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের রেটিনা নিয়ে গবেষণা করা হয়। এই গ্রুপে লাল ও সবুজ কোন কোষের অনুপাতে প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য এত বেশি যে গবেষকেরা তা দেখে অবাক হয়েছেন।
হ্যাডিনিয়াক বলেন, মানুষের মধ্যে সবুজ ও লাল সংবেদী কোন কোষের অনুপাত কীভাবে পরিবর্তিত হয়েছে তা নতুন গবেষণাটির সবচেয়ে আশ্চর্যজনক ফলাফল।
বিভিন্ন প্রাণী কীভাবে চোখ দিয়ে জগৎকে কেমন রূপে দেখে তা বোঝা বেশ কঠিন। এমনকি বিভিন্ন মানুষের দৃষ্টিও অত্যন্ত বৈচিত্র্যময় বলে নতুন এক গবেষণায় জানা যায়। মানুষের দৃষ্টি নির্ভর করে রড ও কোন নামে চোখের বিশেষ কোষের ওপর।
মানুষের চোখে মূলত লাল, সবুজ ও নীল এই তিনটি রং শনাক্তকারী কোষ রয়েছে। এই তিনটি রঙের বিন্যাসে প্রায় ১০ লাখ রং মানুষ দেখতে পারে। কিন্তু অন্য প্রাণীরা এর ধারে কাছেও নেই। এটি কীভাবে সম্ভব হলো, সেটি এক কঠিন ধাঁধা।
তবে মানুষ কোন ধরনের রং দেখতে পারবে তা মাত্র একটি অণুর ওপর নির্ভর করে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের একদল গবেষক। গবেষণাগারে মানুষের রেটিনা পরীক্ষা করে এমন তথ্য পেয়েছেন তাঁরা।
মানুষের রেটিনাতে লাল এবং সবুজ শনাক্তকারী কোন কোষগুলো কীভাবে গঠিত হয় তার সঙ্গে এই বৈচিত্র্যময় দৃষ্টির সম্পর্ক রয়েছে। মেরুদণ্ডী প্রাণীদের চোখের আলোক–সংবেদী কোষের নাম ‘কোন’। নির্দিষ্ট তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের আলো যখন রেটিনায় এসে পড়ে তখন কোন কোষগুলো সেটিকে নির্দিষ্ট রং হিসেবে শনাক্ত করে। এভাবেই মানুষ রং দেখতে পারে।
মানুষসহ কিছু প্রাইমেট (বানর জাতীয় প্রাণী) লাল রঙের পাশাপাশি সবুজ ও নীল রং দেখতে পারে। অনেক পাখি ও কিছু পোকামাকড়ও লাল রং দেখতে পারে। একটি প্রাণীর দৃষ্টি কেমন হবে তা বিবর্তনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। সেই সঙ্গে আবাসস্থলের আশপাশে ফল ও ফুল উৎপন্নকারী গাছও এতে প্রভাব ফেলে। খাবার ও শত্রু শনাক্তে এই বিবর্তন সহায়ক হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, বিবর্তনের ফলে প্রাপ্ত দৃষ্টিক্ষমতা সবুজ প্রান্তরে একটি পাকা লাল আপেল দেখতে পাখিকে সহায়তা করে।
মানুষের চোখের লাল ও সবুজ রং শনাক্তকারী কোন কোষগুলো প্রায় অভিন্ন। সামান্য রাসায়নিক পার্থক্য দুটি রংকে আলাদা করতে সহায়তা করে। অপসিন নামক একটি প্রোটিন দুই ধরনের বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন হয়। একটি হলো লাল–সংবেদী অংশ এবং আরেকটি সবুজ–সংবেদী। জিনে এক্স ক্রোমোজোমে এরা পাশাপাশি থাকে।
ফলে এরা খুবই সহজে একটি বিন্যাসে মিশ্রিত হতে পারে। এ কারণেই জন্মগত লাল–সবুজ বর্ণান্ধতার বিভিন্নতা হয়।
কোন উপাদানটি দৃষ্টির এই পার্থক্য তৈরি করে তা নতুন গবেষণাটি স্পষ্ট করেছে। লাল–সবুজ রং দেখতে পারা জন্য দায়ী এই নির্দিষ্ট প্রোটিন তৈরির কোড থাকে এমন জিন এবং কোডটি থাকে না এমন জিনের মধ্যে পার্থক্য মাত্র ৪ শতাংশ।
আগে ভাবা হতো, কোন কোষগুলো যথেচ্ছভাবে কাজ করে। তবে সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা যায়, থাইরয়েডের হরমোনের মাত্রা এখানে ভূমিকা রাখে।
কিন্তু গবেষণাপত্রে জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি ও ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি গবেষক দল বলছেন, ভিটামিন এ থেকে রেটিনোয়িক অ্যাসিড নামের একটি অণু আলাদা করেছেন তাঁরা। এটি কোন কোষে লাল–সবুজ রঙের পার্থক্য তৈরি করে অথবা করে না। অন্তত গবেষণাগারে তৈরি রেটিনা নিয়ে পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে এমন তথ্যই পেয়েছেন গবেষকেরা।
জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির ডেভেলপমেন্টাল বায়োলজিস্ট রবার্ট জনস্টন বলেন, ‘রেটিনার এই উপাদানগুলো প্রথমবারের মতো মানুষের নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য অধ্যয়ন করার সুযোগ দিয়েছে। তবে মানুষকে কোন উপাদানগুলো মানুষ করে তুলল, কী মানুষকে অন্য প্রাণীদের থেকে আলাদা করে তোলে তা একটি বড় প্রশ্ন।’
গবেষণাগারে প্রারম্ভিক বিকাশের সময় (প্রথম ৬০ দিন) রেটিনাগুলো বেশি রেটিনোয়িক অ্যাসিডের সংস্পর্শে আসে। ফলে ২০০ দিন পরে সবুজ কোন কোষগুলোর অনুপাত বেশি হয়, অপরিণত কোন কোষগুলো অ্যাসিডের কম ঘনত্বের সংস্পর্শে এসে লাল কোন কোষে বিকশিত হয়।
এই ঘটনার জন্য সময়ও গুরুত্বপূর্ণ। যদি ১৩০ দিনের পরে রেটিনোয়িক অ্যাসিড সংস্পর্শে আসে তাহলে ফলাফলে কোনো পার্থক্য দেখা যাবে না। মনে হবে কোনো কিছু যোগ করা হয়নি। এই পরীক্ষার মাধ্যমে বোঝা যায়, প্রাথমিকভাবে কোনটি কেমন হবে তা অ্যাসিডের ঘনত্বের ওপর নির্ভর করে। পরবর্তীতে লাল কোন কোষগুলো পরিবর্তিত হয়ে সবুজ কোনে পরিবর্তিত হতে পারে না।
গবেষণাগারে তৈরি রেটিনাগুলোর কোন কোষের ঘনত্বে কোনো পরিবর্তন হয়নি। তাই ‘কোন কোষের মৃত্যু লাল থেকে সবুজ সংবেদী কোষের অনুপাতকে প্রভাবিত করে’—এমন ধারণা বাতিল করেন গবেষক দলটি।
গবেষণাপত্রের সহ–লেখক ডেভেলপমেন্টাল বায়োলজিস্ট সারাহ হাডিনিয়াক বলেন, ঠিক কীভাবে জিনের ওপর রেটিনোয়িক অ্যাসিড কাজ করছে তা তাদের গবেষণার মাধ্যমে জানা যায়।
এটি মানুষের দৃষ্টিশক্তিকে কতটা প্রভাবিত করতে পারে তা বোঝার জন্য, যাদের রং চিনতে না পারার সমস্যার কোনো লক্ষণ নেই এমন ৭৩৮ জন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের রেটিনা নিয়ে গবেষণা করা হয়। এই গ্রুপে লাল ও সবুজ কোন কোষের অনুপাতে প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য এত বেশি যে গবেষকেরা তা দেখে অবাক হয়েছেন।
হ্যাডিনিয়াক বলেন, মানুষের মধ্যে সবুজ ও লাল সংবেদী কোন কোষের অনুপাত কীভাবে পরিবর্তিত হয়েছে তা নতুন গবেষণাটির সবচেয়ে আশ্চর্যজনক ফলাফল।
সেলিব্রিটি শেফ বা ইতালি নানিরা যা কখনোই কল্পনা করতে পারেননি তাই তৈরি করে দেখালেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের গবেষকেরা। বিশ্বের সবচেয়ে পাতলা স্প্যাগেটি তৈরি করলেন তাঁরা। গবেষকেরা এমন এক স্টার্চ ন্যানোফাইবারের তৈরি স্প্যাগেটি তৈরি করেছে, যা মাত্র ৩৭২ ন্যানোমিটার চওড়া। চুলের চেয়ে ২০০ গুণ পাত
৫ ঘণ্টা আগেপ্রথমবারের মতো মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি বা আকাশগঙ্গা ছায়াপথের বাইরে একটি নক্ষত্রের মৃত্যুর মুহূর্তের ছবি তুলতে সক্ষম হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ছবিতে সুপারনোভা বিস্ফোরণের আগের পরিস্থিতি তুলে ধরেছে। ছবিতে নক্ষত্রটিকে অদ্ভুত ডিম আকারের কোকুনের (রেশমগুটি) মতো দেখা যায়।
৮ ঘণ্টা আগেআমাদের অনেকেরই অফিসে কাজ করতে গিয়ে দীর্ঘসময় বসে থাকতে হয়। আর দিনের একটা বড় সময় বসে থাকাটা বাড়ায় হৃৎপিণ্ডের রোগের ঝুঁকি। এমনকি অবসর সময়ে শরীরচর্চা করেও এই ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রেহাই মিলবে না। এসব তথ্য উঠে এসেছে নতুন এক গবেষণায়।
৩ দিন আগেবিজ্ঞানীরা বলছেন, জিপিএসের সাহায্য ছাড়াই এআই ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া থেকে কোনো ব্যক্তির সাম্প্রতিক অবস্থান চিহ্নিত করা যাবে।
৯ দিন আগে