অনলাইন ডেস্ক
প্রতি বছর বিশ্বে লাখ লাখ মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয় মদ্যপানের আসক্তি। কিন্তু বিজ্ঞানীরা বলছেন, তাঁরা এই আসক্তি কাটানোর একটি উপায় খুঁজে পেয়েছেন।
এ বিষয়ে দ্য ইন্ডিপেনডেন্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মদে আসক্তি কাটানোর চিকিৎসাটি প্রাথমিকভাবে বানরের ওপর পরিচালনা করে আশাতীত ফল পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এবার মানুষের ওপর প্রয়োগ করে একই ফল পাওয়া গেলে তা একটি বড় সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হবে।
এ ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে স্নায়ু ও মনোবিজ্ঞানীদের একটি দল নতুন একটি জিন থেরাপির আবিষ্কার করেছেন—যা মূলত মাত্রাতিরিক্ত পানভ্যাসের সঙ্গে জড়িত মস্তিষ্কের সার্কিট্রিগুলোকে সরাসরি টার্গেট করে।
এ বিষয়ে নেচার মেডিসিন জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে বিজ্ঞানীরা দাবি করেন, মদে আসক্তি কাটাতে চেয়েও তা পারেন না ভুক্তভোগীরা। তাঁরা বারবার মদের কাছেই ফিরে আসেন। এমনটি হয় মূলত মেসোলিম্বিক ডোপামিন সিগন্যালিংয়ের কারণে। এ ক্ষেত্রে গ্লিয়াল-ডিরাইভড নিউরোট্রফিক ফ্যাক্টর (জিডিএনএফ) নামে একটি প্রোটিন বিষয়টিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা দেখেছেন, মদ ছাড়তে চাওয়ার সময় আসক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে জিডিএনএফ-এর মাত্রা কমে যায়, বিশেষ করে মস্তিষ্কের ভেন্ট্রাল টেগমেন্টাল এরিয়া থেকে। তাই গবেষকেরা ওই এরিয়াতে জিন থেরাপির মাধ্যমে জিডিএনএফ প্রদান করে গুরুত্বপূর্ণ ডোপামিনার্জিক সিগন্যালিংকে শক্তিশালী করার প্রক্রিয়া বের করেছেন। বিষয়টি অ্যালকোহল থেকে ভুক্তভোগীদের দূরে থাকতে সাহায্য করে কি-না তা পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীরা ব্যাখ্যা করেছেন, কীভাবে আসক্ত নন এমন মানুষদের মধ্যে অ্যালকোহল সেবন ডোপামিন নিঃসরণের মাধ্যমে আনন্দ পেতে প্ররোচিত করে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে মদ্যপান করলে তা একসময় আর ডোপামিন নিঃসরণ করতে পারে না। অর্থাৎ একপর্যায়ে মদপান আর যথেষ্ট পরিমাণে আনন্দের অনুভূতি দিতে পারে না। আসক্ত ব্যক্তিরা তারপরও এটি চালিয়ে যান।
গবেষণার সিনিয়র সহ-লেখক ড. ক্যাথলিন গ্রান্ট এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘সম্ভবত একটি নেশাগ্রস্ত অবস্থা বজায় রাখার প্রয়োজন অনুভব করেন বলেই তারা নিয়মিত মদ্যপান করে যান।’
গবেষণাটি পরিচালনার জন্য ড. গ্রান্ট এবং তার সহকর্মীরা ৮টি রিসাস ম্যাকাকো বানর ব্যবহার করেছিলেন। এসব বানরকে নিয়মিত অ্যালকোহল প্রদান করেছেন তাঁরা। ৩০ দিন করে মোট চারটি পর্যায়ে ধীরে ধীরে অ্যালকোহলের মাত্রা বাড়িয়ে মদের প্রতি তীব্র আসক্তি সৃষ্টি করা হয় ওই বানরগুলোর মধ্যে।
পরবর্তীতে গাছে তুলে মই কাড়ার মতো করে, টানা ১২ সপ্তাহের জন্য ওই বানরগুলোকে অ্যালকোহল সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং এদের মধ্যে চারটি বানরকে ৪ সপ্তাহ ধরে জিডিএনএফ থেরাপি দেওয়া হয়। এর ফলাফলও ছিল চাঞ্চল্যকর। ড. গ্র্যান্ট জানান, জিডিএনএফ থেরাপি দেওয়া বানরগুলোর মদ্যপানের মাত্রা শূন্যে নেমে এসেছিল। তিনি বলেন, ‘তারা মদ্যপান এতটাই কমিয়ে দেয় যে—আমরা তাদের রক্তে অ্যালকোহলের উপস্থিতি দেখিনি।’
এ অবস্থায় বিজ্ঞানীরা বলছেন, মদ্যপান আসক্তির গুরুতর পর্যায়ে চলে যাওয়া ব্যক্তিদের জন্য জিন থেরাপি একটি স্থায়ী সমাধান দিতে পারে। তবে এই থেরাপি মানুষের ক্ষেত্রে চালু করা যায় কি-না তা নিশ্চিত হতে আরও কিছুটা সময় লাগবে। তারপরও বিজ্ঞানীরা বলছেন, মদাসক্তির মতো বিধ্বংসী ব্যাধি মোকাবিলায় তাঁদের গবেষণাটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ও প্রথম পদক্ষেপ।
প্রতি বছর বিশ্বে লাখ লাখ মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয় মদ্যপানের আসক্তি। কিন্তু বিজ্ঞানীরা বলছেন, তাঁরা এই আসক্তি কাটানোর একটি উপায় খুঁজে পেয়েছেন।
এ বিষয়ে দ্য ইন্ডিপেনডেন্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মদে আসক্তি কাটানোর চিকিৎসাটি প্রাথমিকভাবে বানরের ওপর পরিচালনা করে আশাতীত ফল পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এবার মানুষের ওপর প্রয়োগ করে একই ফল পাওয়া গেলে তা একটি বড় সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হবে।
এ ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে স্নায়ু ও মনোবিজ্ঞানীদের একটি দল নতুন একটি জিন থেরাপির আবিষ্কার করেছেন—যা মূলত মাত্রাতিরিক্ত পানভ্যাসের সঙ্গে জড়িত মস্তিষ্কের সার্কিট্রিগুলোকে সরাসরি টার্গেট করে।
এ বিষয়ে নেচার মেডিসিন জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে বিজ্ঞানীরা দাবি করেন, মদে আসক্তি কাটাতে চেয়েও তা পারেন না ভুক্তভোগীরা। তাঁরা বারবার মদের কাছেই ফিরে আসেন। এমনটি হয় মূলত মেসোলিম্বিক ডোপামিন সিগন্যালিংয়ের কারণে। এ ক্ষেত্রে গ্লিয়াল-ডিরাইভড নিউরোট্রফিক ফ্যাক্টর (জিডিএনএফ) নামে একটি প্রোটিন বিষয়টিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা দেখেছেন, মদ ছাড়তে চাওয়ার সময় আসক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে জিডিএনএফ-এর মাত্রা কমে যায়, বিশেষ করে মস্তিষ্কের ভেন্ট্রাল টেগমেন্টাল এরিয়া থেকে। তাই গবেষকেরা ওই এরিয়াতে জিন থেরাপির মাধ্যমে জিডিএনএফ প্রদান করে গুরুত্বপূর্ণ ডোপামিনার্জিক সিগন্যালিংকে শক্তিশালী করার প্রক্রিয়া বের করেছেন। বিষয়টি অ্যালকোহল থেকে ভুক্তভোগীদের দূরে থাকতে সাহায্য করে কি-না তা পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীরা ব্যাখ্যা করেছেন, কীভাবে আসক্ত নন এমন মানুষদের মধ্যে অ্যালকোহল সেবন ডোপামিন নিঃসরণের মাধ্যমে আনন্দ পেতে প্ররোচিত করে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে মদ্যপান করলে তা একসময় আর ডোপামিন নিঃসরণ করতে পারে না। অর্থাৎ একপর্যায়ে মদপান আর যথেষ্ট পরিমাণে আনন্দের অনুভূতি দিতে পারে না। আসক্ত ব্যক্তিরা তারপরও এটি চালিয়ে যান।
গবেষণার সিনিয়র সহ-লেখক ড. ক্যাথলিন গ্রান্ট এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘সম্ভবত একটি নেশাগ্রস্ত অবস্থা বজায় রাখার প্রয়োজন অনুভব করেন বলেই তারা নিয়মিত মদ্যপান করে যান।’
গবেষণাটি পরিচালনার জন্য ড. গ্রান্ট এবং তার সহকর্মীরা ৮টি রিসাস ম্যাকাকো বানর ব্যবহার করেছিলেন। এসব বানরকে নিয়মিত অ্যালকোহল প্রদান করেছেন তাঁরা। ৩০ দিন করে মোট চারটি পর্যায়ে ধীরে ধীরে অ্যালকোহলের মাত্রা বাড়িয়ে মদের প্রতি তীব্র আসক্তি সৃষ্টি করা হয় ওই বানরগুলোর মধ্যে।
পরবর্তীতে গাছে তুলে মই কাড়ার মতো করে, টানা ১২ সপ্তাহের জন্য ওই বানরগুলোকে অ্যালকোহল সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং এদের মধ্যে চারটি বানরকে ৪ সপ্তাহ ধরে জিডিএনএফ থেরাপি দেওয়া হয়। এর ফলাফলও ছিল চাঞ্চল্যকর। ড. গ্র্যান্ট জানান, জিডিএনএফ থেরাপি দেওয়া বানরগুলোর মদ্যপানের মাত্রা শূন্যে নেমে এসেছিল। তিনি বলেন, ‘তারা মদ্যপান এতটাই কমিয়ে দেয় যে—আমরা তাদের রক্তে অ্যালকোহলের উপস্থিতি দেখিনি।’
এ অবস্থায় বিজ্ঞানীরা বলছেন, মদ্যপান আসক্তির গুরুতর পর্যায়ে চলে যাওয়া ব্যক্তিদের জন্য জিন থেরাপি একটি স্থায়ী সমাধান দিতে পারে। তবে এই থেরাপি মানুষের ক্ষেত্রে চালু করা যায় কি-না তা নিশ্চিত হতে আরও কিছুটা সময় লাগবে। তারপরও বিজ্ঞানীরা বলছেন, মদাসক্তির মতো বিধ্বংসী ব্যাধি মোকাবিলায় তাঁদের গবেষণাটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ও প্রথম পদক্ষেপ।
সেলিব্রিটি শেফ বা ইতালি নানিরা যা কখনোই কল্পনা করতে পারেননি তাই তৈরি করে দেখালেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের গবেষকেরা। বিশ্বের সবচেয়ে পাতলা স্প্যাগেটি তৈরি করলেন তাঁরা। গবেষকেরা এমন এক স্টার্চ ন্যানোফাইবারের তৈরি স্প্যাগেটি তৈরি করেছে, যা মাত্র ৩৭২ ন্যানোমিটার চওড়া। চুলের চেয়ে ২০০ গুণ পাত
১০ ঘণ্টা আগেপ্রথমবারের মতো মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি বা আকাশগঙ্গা ছায়াপথের বাইরে একটি নক্ষত্রের মৃত্যুর মুহূর্তের ছবি তুলতে সক্ষম হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ছবিতে সুপারনোভা বিস্ফোরণের আগের পরিস্থিতি তুলে ধরেছে। ছবিতে নক্ষত্রটিকে অদ্ভুত ডিম আকারের কোকুনের (রেশমগুটি) মতো দেখা যায়।
১২ ঘণ্টা আগেআমাদের অনেকেরই অফিসে কাজ করতে গিয়ে দীর্ঘসময় বসে থাকতে হয়। আর দিনের একটা বড় সময় বসে থাকাটা বাড়ায় হৃৎপিণ্ডের রোগের ঝুঁকি। এমনকি অবসর সময়ে শরীরচর্চা করেও এই ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রেহাই মিলবে না। এসব তথ্য উঠে এসেছে নতুন এক গবেষণায়।
৩ দিন আগেবিজ্ঞানীরা বলছেন, জিপিএসের সাহায্য ছাড়াই এআই ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া থেকে কোনো ব্যক্তির সাম্প্রতিক অবস্থান চিহ্নিত করা যাবে।
৯ দিন আগে