অনলাইন ডেস্ক
মহাকাশ মিশনে থাকার সময় মানুষের দেহে ভালোমতোই প্রভাব ফেলে মাইক্রোগ্র্যাভিটি বা সামান্য পরিমাণ অভিকর্ষজ ত্বরণের বিষয়টি। এ ছাড়া মহাশূন্যের পরিবেশ ও অন্যান্য কারণ মানুষের শরীরে নানা বিপত্তির সৃষ্টি করতে পারে। সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, মহাশূন্যে মহাকাশচারীদের যে মাথাব্যথা হয়, তা পূর্বের অনুমানের চেয়ে অনেক বেশি।
নেদারল্যান্ডসের একদল গবেষক সম্প্রতি মহাকাশ ফেরত ২৪ জন মহাকাশচারীর ওপর গবেষণা চালিয়ে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন। তাঁরা যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাপানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের। এই ২৪ জন আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে অন্তত ২৬ সপ্তাহ করে সময় কাটিয়েছেন। এই ২৪ জন মহাকাশচারীর মধ্যে ২২ জনই কোনো না কোনো সময় মাথাব্যথার ভুক্তভোগী হয়েছেন।
নেদারল্যান্ডসের সানস মেডিকেল সেন্টার ও লাইডেন ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টার এই গবেষণা পরিচালনা করেছে। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, মহাকাশচারীরা মহাশূন্যে যাওয়ার পর প্রথম দিকে অভিকর্ষজ ত্বরণের পরিবর্তন ও পরিবেশগত কারণেই কেবল মাথাব্যথায়—মাইগ্রেন ও দুশ্চিন্তাজনিত কারণে মাথাব্যথা—ভোগেন না। সামগ্রিক পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার পরও তাঁরা অনেক সময় মাথাব্যথায় ভুগেছেন।
গবেষণা থেকে দেখা গেছে, প্রথম দিকে মহাকাশচারীরা মাইগ্রেনের সমস্যায় ভোগেন। পরে সময় যত গড়ায় মহাকাশচারীরা ততই দুশ্চিন্তাজনিত মাথাব্যথার ভুক্তভোগী হন। এ বিষয়ে এই গবেষণায় যুক্ত নিউরোলজিস্ট ডব্লিউপিজে ভ্যান ওউস্টারহাউত বলেন, ‘আমরা অনুমান করেছিলাম যে, মহাশূন্যে প্রথম এক বা দুই সপ্তাহের মধ্যে ও তার পরবর্তী সময়ে যে ধরনের মাথাব্যথা হয়—এই দুই ধরনের মাথাব্যথার কারণ আলাদা আলাদা।’
নিউরোলজি জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা নিবন্ধে ওউস্টারহাউত বলেছেন, ‘প্রথম সপ্তাহে মহাকাশচারীর দেহ স্বল্প অভিকর্ষের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়—এটিকে স্পেস অ্যাডাপটেশন সিনড্রোমও বলা হয়। এ ঘটনা অনেকটা মোশন সিকনেসের মতো এবং এ কারণে মহাকাশচারীর ঝিমুনি, বমি বমি ভাব ও মাথাব্যথা হতে পারে।’
তবে প্রথম কয়েক দিনের মাথাব্যথার সঙ্গে পরবর্তী সময়ে মহাকাশচারীদের যে মাথাব্যথা হয় তার কোনো মিল নেই। এ বিষয় ওউস্টারহাউত বলেছেন, ‘পরবর্তী সময়ে যে মাথাব্যথা হয়, তা ইন্ট্রাক্রেনিয়াল প্রেশার বা মানুষের খুলিতে কম অভিকর্ষের কারণে সৃষ্ট চাপের কারণে হতে পারে।’
ওউস্টারহাউত আরও বলেছেন, সাধারণত অভিকর্ষজ ত্বরণ অল্প হওয়ার কারণে মহাশূন্যে মানুষের শরীরের ওপরের অংশ—বিশেষ করে মাথায়—তরল পদার্থ তুলনামূলক বেশি প্রবাহিত হতে পারে। যার ফলে শরীরের ওপরের অংশ ও মাথার খুলিতে রক্তচাপ বেশি হতে পারে। যার কারণে মাথাব্যথাও বেশি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
এই ২৪ জন মহাকাশচারী ২০১১ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ছিলেন। তাঁরা সামগ্রিকভাবে ৩ হাজার ৫৯৬ দিন মহাশূন্যে ছিলেন। এই সময়ের মধ্যে ২২ জন মহাকাশচারী ৩৭৮ বার মাথাব্যথার কথা লিখেছেন তাদের প্রতিবেদনে। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, মহাশূন্য থেকে ফেরার পরবর্তী তিন মাসে তারা কোনো মাথাব্যথার কথাই উল্লেখ করেননি। এমনকি তাঁরা যখন আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে যান তার আগেও তাদের মাথাব্যথার সেই অর্থে কোনো ইতিহাস ছিল না।
যাই হোক, মহাকাশচারীদের শরীরে হাড় ও পেশির ক্ষয়, মস্তিষ্কে পরিবর্তন, রক্ত সংবহন ও রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থায় পরিবর্তন, শ্রবণ ভারসাম্য বিনষ্ট হওয়া, চোখের দৃষ্টি সংক্রান্ত সমস্যা ও বিকিরণের কারণে ক্যানসারের ঝুঁকিসহ নানা স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হয় মহাশূন্যে দীর্ঘ সময় থাকার পর। এর সঙ্গে এখন যুক্ত হলো দীর্ঘস্থায়ী মাথাব্যথা। তবে বিজ্ঞানীরা এখনো নিশ্চিত নন, ঠিক কতটা সময় মহাশূন্যে থাকলে ওই সমস্যাগুলো মরণপণ সমস্যা হয়ে দেখা দেবে। তাঁরা বলছেন, এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত গবেষণার প্রয়োজন।
মহাকাশ মিশনে থাকার সময় মানুষের দেহে ভালোমতোই প্রভাব ফেলে মাইক্রোগ্র্যাভিটি বা সামান্য পরিমাণ অভিকর্ষজ ত্বরণের বিষয়টি। এ ছাড়া মহাশূন্যের পরিবেশ ও অন্যান্য কারণ মানুষের শরীরে নানা বিপত্তির সৃষ্টি করতে পারে। সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, মহাশূন্যে মহাকাশচারীদের যে মাথাব্যথা হয়, তা পূর্বের অনুমানের চেয়ে অনেক বেশি।
নেদারল্যান্ডসের একদল গবেষক সম্প্রতি মহাকাশ ফেরত ২৪ জন মহাকাশচারীর ওপর গবেষণা চালিয়ে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন। তাঁরা যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাপানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের। এই ২৪ জন আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে অন্তত ২৬ সপ্তাহ করে সময় কাটিয়েছেন। এই ২৪ জন মহাকাশচারীর মধ্যে ২২ জনই কোনো না কোনো সময় মাথাব্যথার ভুক্তভোগী হয়েছেন।
নেদারল্যান্ডসের সানস মেডিকেল সেন্টার ও লাইডেন ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টার এই গবেষণা পরিচালনা করেছে। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, মহাকাশচারীরা মহাশূন্যে যাওয়ার পর প্রথম দিকে অভিকর্ষজ ত্বরণের পরিবর্তন ও পরিবেশগত কারণেই কেবল মাথাব্যথায়—মাইগ্রেন ও দুশ্চিন্তাজনিত কারণে মাথাব্যথা—ভোগেন না। সামগ্রিক পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার পরও তাঁরা অনেক সময় মাথাব্যথায় ভুগেছেন।
গবেষণা থেকে দেখা গেছে, প্রথম দিকে মহাকাশচারীরা মাইগ্রেনের সমস্যায় ভোগেন। পরে সময় যত গড়ায় মহাকাশচারীরা ততই দুশ্চিন্তাজনিত মাথাব্যথার ভুক্তভোগী হন। এ বিষয়ে এই গবেষণায় যুক্ত নিউরোলজিস্ট ডব্লিউপিজে ভ্যান ওউস্টারহাউত বলেন, ‘আমরা অনুমান করেছিলাম যে, মহাশূন্যে প্রথম এক বা দুই সপ্তাহের মধ্যে ও তার পরবর্তী সময়ে যে ধরনের মাথাব্যথা হয়—এই দুই ধরনের মাথাব্যথার কারণ আলাদা আলাদা।’
নিউরোলজি জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা নিবন্ধে ওউস্টারহাউত বলেছেন, ‘প্রথম সপ্তাহে মহাকাশচারীর দেহ স্বল্প অভিকর্ষের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়—এটিকে স্পেস অ্যাডাপটেশন সিনড্রোমও বলা হয়। এ ঘটনা অনেকটা মোশন সিকনেসের মতো এবং এ কারণে মহাকাশচারীর ঝিমুনি, বমি বমি ভাব ও মাথাব্যথা হতে পারে।’
তবে প্রথম কয়েক দিনের মাথাব্যথার সঙ্গে পরবর্তী সময়ে মহাকাশচারীদের যে মাথাব্যথা হয় তার কোনো মিল নেই। এ বিষয় ওউস্টারহাউত বলেছেন, ‘পরবর্তী সময়ে যে মাথাব্যথা হয়, তা ইন্ট্রাক্রেনিয়াল প্রেশার বা মানুষের খুলিতে কম অভিকর্ষের কারণে সৃষ্ট চাপের কারণে হতে পারে।’
ওউস্টারহাউত আরও বলেছেন, সাধারণত অভিকর্ষজ ত্বরণ অল্প হওয়ার কারণে মহাশূন্যে মানুষের শরীরের ওপরের অংশ—বিশেষ করে মাথায়—তরল পদার্থ তুলনামূলক বেশি প্রবাহিত হতে পারে। যার ফলে শরীরের ওপরের অংশ ও মাথার খুলিতে রক্তচাপ বেশি হতে পারে। যার কারণে মাথাব্যথাও বেশি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
এই ২৪ জন মহাকাশচারী ২০১১ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ছিলেন। তাঁরা সামগ্রিকভাবে ৩ হাজার ৫৯৬ দিন মহাশূন্যে ছিলেন। এই সময়ের মধ্যে ২২ জন মহাকাশচারী ৩৭৮ বার মাথাব্যথার কথা লিখেছেন তাদের প্রতিবেদনে। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, মহাশূন্য থেকে ফেরার পরবর্তী তিন মাসে তারা কোনো মাথাব্যথার কথাই উল্লেখ করেননি। এমনকি তাঁরা যখন আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে যান তার আগেও তাদের মাথাব্যথার সেই অর্থে কোনো ইতিহাস ছিল না।
যাই হোক, মহাকাশচারীদের শরীরে হাড় ও পেশির ক্ষয়, মস্তিষ্কে পরিবর্তন, রক্ত সংবহন ও রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থায় পরিবর্তন, শ্রবণ ভারসাম্য বিনষ্ট হওয়া, চোখের দৃষ্টি সংক্রান্ত সমস্যা ও বিকিরণের কারণে ক্যানসারের ঝুঁকিসহ নানা স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হয় মহাশূন্যে দীর্ঘ সময় থাকার পর। এর সঙ্গে এখন যুক্ত হলো দীর্ঘস্থায়ী মাথাব্যথা। তবে বিজ্ঞানীরা এখনো নিশ্চিত নন, ঠিক কতটা সময় মহাশূন্যে থাকলে ওই সমস্যাগুলো মরণপণ সমস্যা হয়ে দেখা দেবে। তাঁরা বলছেন, এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত গবেষণার প্রয়োজন।
মহাকাশের ৪৫ কোটি গ্যালাক্সির (ছায়াপথ) মানচিত্র তৈরি করতে কক্ষপথে ‘স্ফিয়ারএক্স’ নামে নতুন টেলিস্কোপ পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। এর মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা গ্যালাক্সির গঠন এবং বিবর্তন সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে পারবেন। সেই সঙ্গে মহাবিশ্বের উৎপত্তির দিকে একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি পাবে।
৩ ঘণ্টা আগেকোনো প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে গেলে সাধারণত তা চিরতরে হারিয়ে যায়। তবে উলি ম্যামথের ক্ষেত্রে এই নিয়ম কিছুটা শিথিল হতে চলেছে। প্রায় ৪ হাজার বছর আগে পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া বিশাল এই হাতির মতো প্রাণীর কিছু জিনগত বৈশিষ্ট্য এখন পরীক্ষাগারে তৈরি ছোট্ট ইঁদুরের শরীরে নতুন করে ফিরে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ডালাস
১৭ ঘণ্টা আগেবিশ্বজুড়ে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ছে। এটি এক মুহূর্তও দূরে থাকলে অস্বস্তি বোধ করেন অনেকেই। বর্তমানে স্মার্টফোন নিকোটিন বা অ্যালকোহলের মতোই আসক্তি তৈরি করে। নতুন গবেষণায় এমনই তথ্য পেয়েছেন গবেষকেরা।
১ দিন আগেসূর্যগ্রহণের সময় চাঁদে কী হয়, তা দেখতে ও দেখাতে পৃথিবীর ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো চাঁদে অবতরণ করেছে ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের একটি মহাকাশযান। আজ রোববার মার্কিন সময় রাত ৩টা ৩৫ মিনিটের দিকে (স্থানীয়) চাঁদের মাটি স্পর্শ করে টেক্সাসভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ফায়ারফ্লাই অ্যারোস্পেসের চন্দ্রযান ব্লু ঘোস্ট।
৩ দিন আগে