অনলাইন ডেস্ক
মানুষের বর্তমান প্রজাতি হোমো সেপিয়েন্সের আগের প্রজাতিটি ছিল নিয়ান্ডারথাল। প্রায় ৪১ হাজার বছর আগে নিয়ান্ডারথাল মানুষেরা তাঁদের শেষ নিশ্বাস নিয়েছিল। সেই মুহূর্তে আমরাই হয়ে উঠেছিলাম পৃথিবীতে টিকে থাকা একমাত্র মানুষের প্রজাতি। গুরুত্বপূর্ণ সেই ঘটনাটি কখন বা কোথায় ঘটেছিল তা আমরা এখনো জানি না।
তবে আমরা জানি, আধুনিক মানুষেরা যখন নিয়ান্ডারথালদের অঞ্চলে এসেছিল তখন মানুষের ওই প্রজাতিটির বিলুপ্তি ঘটেছিল। ঠিক কেন তারা অদৃশ্য হয়ে গেল, তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক হয়েছে। কিন্তু ফ্রান্সের একটি গুহায় আবিষ্কৃত নিয়ান্ডারথালদের জিনোম থেকে উল্লেখযোগ্য তথ্য পাওয়া গেছে। ওই জিনোম বিশ্লেষণ করে প্রজাতিটির হারিয়ে যাওয়ার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ কারণ খুঁজে পেয়েছেন গবেষকেরা। তাঁরা দাবি করেছেন—নিয়ান্ডারথালদের হারিয়ে যাওয়ার নেপথ্যে তাঁদের অসামাজিক আচরণ এবং অপ্রজনন বৈশিষ্ট্যের যোগসূত্র ছিল।
এ বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সম্প্রতি সিএনএন জানিয়েছে, ২০১৫ সালে ফ্রান্সের রোন উপত্যকায় গ্রোতে মদ্রিঁ নামে একটি শিলা আশ্রয়ে অক্ষত পাঁচটি নিয়ান্ডারথাল দাঁত খুঁজে পান প্রত্নতাত্ত্বিক লুডোভিক স্লিমাক। জেনেটিক বিশ্লেষণে নিয়ান্ডারথাল সেই মানুষটির নাম দেওয়া হয় থরিন। ৪০ থেকে ৫০ হাজার বছর আগে পৃথিবীতে বেঁচে ছিলেন তিনি।
সেল জিনোমিক্সে প্রকাশিত ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, প্রায় ৫০ হাজার বছর ধরে অন্যান্য নিয়ান্ডারথাল গোষ্ঠী থেকে বিচ্ছিন্ন একটি বংশের সদস্য ছিল থরিন। এই পর্যবেক্ষণ পূর্বের ধারণাগুলোতে কিছুটা জটিলতায় ফেলে। কারণ এর আগে ফ্রান্সে আবিষ্কৃত আরেকজন নিয়ান্ডারথাল ভিন্ন একটি বংশের পূর্বপুরুষ ছিলেন। এ থেকে গবেষকেরা বুঝতে ধারণা করছেন, বিলুপ্তি হওয়ার আগ পর্যন্ত নিয়নডারথালেরা পশ্চিম ইউরোপে একাধিক বিচ্ছিন্ন সম্প্রদায়ে বিভক্ত ছিল।
স্লিমাকের গবেষণা ইঙ্গিত দেয়—ফ্রান্সের দুটি নিয়ান্ডারথাল নিদর্শন অনুযায়ী ওই দুটি সম্প্রদায় কাছাকাছি সময়ে সহাবস্থান করেছিল। থরিনের দল থেকে অন্য দলটির দূরত্ব ছিল প্রায় ১০ দিনের পথ। নিয়ান্ডারথাল সম্প্রদায়গুলোর এমন বিচ্ছিন্নতা সম্ভবত তাঁদের জেনেটিক বৈচিত্র্যকে বাধাগ্রস্ত করেছিল। পরিবেশগত পরিবর্তন এবং রোগের সঙ্গে অভিযোজনের জন্য এই ধরনের জেনেটিক বৈচিত্র্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সমীক্ষায় দেখা গেছে, বিচ্ছিন্ন ও ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে থাকা নিয়ান্ডারথালদের ওই সম্প্রদায়গুলো আধুনিক মানুষদের দ্বারা উত্থাপিত প্রতিযোগিতা এবং সংস্থান চ্যালেঞ্জে টিকে থাকতে ব্যর্থ হয়েছিল।
গবেষকেরা দাবি করেছেন, জিনগত বৈচিত্র্য না থাকার ফলে একটি অপ্রজনন বৈশিষ্ট্য পেয়েছিল নিয়নডারথালেরা। সম্ভবত এই অপ্রজনন বৈশিষ্ট্যই প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে তাঁদের টিকে থাকার ক্ষমতাকে বাধাগ্রস্ত করেছিল।
সমীক্ষাটির মাধ্যমে নিয়ান্ডারথালদের সঙ্গে মানুষের বর্তমান প্রজাতিটির কিছু পার্থক্য সম্পর্কেও ধারণা পাওয়া যায়। নিয়ান্ডারথালদের বিপরীতে শুরুর দিকের আধুনিক মানুষেরা আরও বিস্তৃত সামাজিক নেটওয়ার্ক তৈরি করেছিল। এর ফলে বর্তমান মানুষেরা প্রজননের সমস্যাগুলো এড়াতে পেরেছিল।
এ ছাড়া বর্তমান প্রজাতির শুরুর দিকের মানুষেরা আরও কার্যকরভাবে যোগাযোগ এবং জ্ঞান বিনিময় করেছিল। এই বৈশিষ্ট্যই টিকে থাকার জন্য এই প্রজাতিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা দিয়েছিল। গবেষণায় দেখা গেছে, সাইবেরিয়ার আধুনিক মানুষেরা ছোট ছোট সম্প্রদায়ে বসবাস করলেও অন্তঃ প্রজনন হ্রাস করার জন্য অন্যান্য সম্প্রদায়ের সঙ্গে মিলন নেটওয়ার্ক তৈরি করেছিল। এ ধরনের কোনো কৌশল নিয়ান্ডারথাল সমাজে দেখা যায়নি।
নিয়ান্ডারথাল বিলুপ্তির পেছনে তাঁদের বিচ্ছিন্নতার ধারণাটি নতুন নয়। তবে নতুন আবিষ্কার এই ধারণাটিকে আরও জোরালো করেছে।
মানুষের বর্তমান প্রজাতি হোমো সেপিয়েন্সের আগের প্রজাতিটি ছিল নিয়ান্ডারথাল। প্রায় ৪১ হাজার বছর আগে নিয়ান্ডারথাল মানুষেরা তাঁদের শেষ নিশ্বাস নিয়েছিল। সেই মুহূর্তে আমরাই হয়ে উঠেছিলাম পৃথিবীতে টিকে থাকা একমাত্র মানুষের প্রজাতি। গুরুত্বপূর্ণ সেই ঘটনাটি কখন বা কোথায় ঘটেছিল তা আমরা এখনো জানি না।
তবে আমরা জানি, আধুনিক মানুষেরা যখন নিয়ান্ডারথালদের অঞ্চলে এসেছিল তখন মানুষের ওই প্রজাতিটির বিলুপ্তি ঘটেছিল। ঠিক কেন তারা অদৃশ্য হয়ে গেল, তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক হয়েছে। কিন্তু ফ্রান্সের একটি গুহায় আবিষ্কৃত নিয়ান্ডারথালদের জিনোম থেকে উল্লেখযোগ্য তথ্য পাওয়া গেছে। ওই জিনোম বিশ্লেষণ করে প্রজাতিটির হারিয়ে যাওয়ার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ কারণ খুঁজে পেয়েছেন গবেষকেরা। তাঁরা দাবি করেছেন—নিয়ান্ডারথালদের হারিয়ে যাওয়ার নেপথ্যে তাঁদের অসামাজিক আচরণ এবং অপ্রজনন বৈশিষ্ট্যের যোগসূত্র ছিল।
এ বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সম্প্রতি সিএনএন জানিয়েছে, ২০১৫ সালে ফ্রান্সের রোন উপত্যকায় গ্রোতে মদ্রিঁ নামে একটি শিলা আশ্রয়ে অক্ষত পাঁচটি নিয়ান্ডারথাল দাঁত খুঁজে পান প্রত্নতাত্ত্বিক লুডোভিক স্লিমাক। জেনেটিক বিশ্লেষণে নিয়ান্ডারথাল সেই মানুষটির নাম দেওয়া হয় থরিন। ৪০ থেকে ৫০ হাজার বছর আগে পৃথিবীতে বেঁচে ছিলেন তিনি।
সেল জিনোমিক্সে প্রকাশিত ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, প্রায় ৫০ হাজার বছর ধরে অন্যান্য নিয়ান্ডারথাল গোষ্ঠী থেকে বিচ্ছিন্ন একটি বংশের সদস্য ছিল থরিন। এই পর্যবেক্ষণ পূর্বের ধারণাগুলোতে কিছুটা জটিলতায় ফেলে। কারণ এর আগে ফ্রান্সে আবিষ্কৃত আরেকজন নিয়ান্ডারথাল ভিন্ন একটি বংশের পূর্বপুরুষ ছিলেন। এ থেকে গবেষকেরা বুঝতে ধারণা করছেন, বিলুপ্তি হওয়ার আগ পর্যন্ত নিয়নডারথালেরা পশ্চিম ইউরোপে একাধিক বিচ্ছিন্ন সম্প্রদায়ে বিভক্ত ছিল।
স্লিমাকের গবেষণা ইঙ্গিত দেয়—ফ্রান্সের দুটি নিয়ান্ডারথাল নিদর্শন অনুযায়ী ওই দুটি সম্প্রদায় কাছাকাছি সময়ে সহাবস্থান করেছিল। থরিনের দল থেকে অন্য দলটির দূরত্ব ছিল প্রায় ১০ দিনের পথ। নিয়ান্ডারথাল সম্প্রদায়গুলোর এমন বিচ্ছিন্নতা সম্ভবত তাঁদের জেনেটিক বৈচিত্র্যকে বাধাগ্রস্ত করেছিল। পরিবেশগত পরিবর্তন এবং রোগের সঙ্গে অভিযোজনের জন্য এই ধরনের জেনেটিক বৈচিত্র্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সমীক্ষায় দেখা গেছে, বিচ্ছিন্ন ও ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে থাকা নিয়ান্ডারথালদের ওই সম্প্রদায়গুলো আধুনিক মানুষদের দ্বারা উত্থাপিত প্রতিযোগিতা এবং সংস্থান চ্যালেঞ্জে টিকে থাকতে ব্যর্থ হয়েছিল।
গবেষকেরা দাবি করেছেন, জিনগত বৈচিত্র্য না থাকার ফলে একটি অপ্রজনন বৈশিষ্ট্য পেয়েছিল নিয়নডারথালেরা। সম্ভবত এই অপ্রজনন বৈশিষ্ট্যই প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে তাঁদের টিকে থাকার ক্ষমতাকে বাধাগ্রস্ত করেছিল।
সমীক্ষাটির মাধ্যমে নিয়ান্ডারথালদের সঙ্গে মানুষের বর্তমান প্রজাতিটির কিছু পার্থক্য সম্পর্কেও ধারণা পাওয়া যায়। নিয়ান্ডারথালদের বিপরীতে শুরুর দিকের আধুনিক মানুষেরা আরও বিস্তৃত সামাজিক নেটওয়ার্ক তৈরি করেছিল। এর ফলে বর্তমান মানুষেরা প্রজননের সমস্যাগুলো এড়াতে পেরেছিল।
এ ছাড়া বর্তমান প্রজাতির শুরুর দিকের মানুষেরা আরও কার্যকরভাবে যোগাযোগ এবং জ্ঞান বিনিময় করেছিল। এই বৈশিষ্ট্যই টিকে থাকার জন্য এই প্রজাতিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা দিয়েছিল। গবেষণায় দেখা গেছে, সাইবেরিয়ার আধুনিক মানুষেরা ছোট ছোট সম্প্রদায়ে বসবাস করলেও অন্তঃ প্রজনন হ্রাস করার জন্য অন্যান্য সম্প্রদায়ের সঙ্গে মিলন নেটওয়ার্ক তৈরি করেছিল। এ ধরনের কোনো কৌশল নিয়ান্ডারথাল সমাজে দেখা যায়নি।
নিয়ান্ডারথাল বিলুপ্তির পেছনে তাঁদের বিচ্ছিন্নতার ধারণাটি নতুন নয়। তবে নতুন আবিষ্কার এই ধারণাটিকে আরও জোরালো করেছে।
টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা সম্প্রতি একটি যুগান্তকারী আবিষ্কার করেছেন, যা সময়ের ধারণা সম্পর্কে প্রচলিত তত্ত্বগুলোকে নতুনভাবে ভাবতে বাধ্য করবে। তাঁদের কোয়ান্টাম পরীক্ষায় দেখা গেছে, আলো কোনো বস্তুতে প্রবেশ করার আগেই সেখান থেকে উদ্ভাসিত হতে পারে। এটি সময়ের প্রকৃতি নিয়ে কয়েক দশকের প্রচলিত ধারণার...
১ দিন আগেঈশপের ‘কাক ও কলসি’ গল্পের কথা ছোট–বড় সবারই জানা। কলসির তলানিতে পড়ে থাকা পানি পান করার জন্য বুদ্ধি করে পাত্রটিতে একটির পর একটি নুড়ি পাথর ফেলেছিল এক তৃষ্ণার্ত কাক। এভাবে পানি ঠোঁটের কাছে পৌঁছালে নিজের তৃষ্ণা নিবারণ করে প্রাণীটি। কাক শুধু বুদ্ধিমান প্রাণীই নয়, এটি দীর্ঘসময় ধরে যে কোনো ঘটনা মনে রাখতে পা
২ দিন আগেচলতি বছরের একদম শেষে এসে আরও এক মাইলফলক অর্জন করেছে ভারতের স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন বা ইসরোর। গত সোমবার স্পেস ডকিং পরীক্ষা বা স্পেডেক্স অভিযানটি সফলভাবে সূচনা করেছে সংস্থাটি। এর মাধ্যমে মহাকাশে দুটি মডিউল একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত (ডকিং) করার প্রযুক্তিতে এক ধাপ এগিয়ে গেল। এর আগে আমেরিকা, রাশিয়া, চীন
৩ দিন আগেমহাকাশ একটি রহস্যময় জায়গা। এর অজানা তথ্য বিজ্ঞানীদের রাতের ঘুম কেড়ে নেয়। চলতি বছরের একদম শেষে এসে এই রহস্যময় মহাকাশে বিরল ঘটনার সাক্ষী হব আমরা। কারণ আজ ও কাল (৩০–৩১ ডিসেম্বর) আকাশে ব্ল্যাক মুনের (কালো চাঁদ) মতো দেখা বিরল ঘটনা দেখা যাবে।
৪ দিন আগে