রানা আব্বাস, ঢাকা
জুলাইয়ে জিম্বাবুয়ে সফর দিয়ে বাংলাদেশ-অধ্যায় শুরু হয়েছে স্পিন পরামর্শক রঙ্গনা হেরাথের। টেস্ট ইতিহাসের সবচেয়ে সফল বাঁ-হাতি স্পিনার এই মুহূর্তে ছুটি কাটাচ্ছেন নিজের শহর কলম্বোয়। সেখান থেকেই ফোনে গতকাল সকালে কথা বলেন আজকের পত্রিকার সঙ্গে। প্রায় আধঘণ্টার এ আলাপচারিতায় হেরাথ বিস্তারিত বলেন সবশেষ সিরিজে বাংলাদেশ স্পিনারদের পারফরম্যান্স, আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও বাংলাদেশ দলে তাঁর কোচিং অভিজ্ঞতা নিয়ে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রানা আব্বাস।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ দলে যোগ দিয়েই টানা কয়েকটি সিরিজ জয়ের সঙ্গী হয়েছেন। এটা কতটা তৃপ্তিদায়ক?
রঙ্গনা হেরাথ: আমার কোচিং ক্যারিয়ারের শুরুর জন্য এটা খুবই ভালো। ক্লাব ক্রিকেট ও কিছু ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের সঙ্গে কাজ করেছি। এ ক্ষেত্রে বিসিবিকে ধন্যবাদ সুযোগটা দেওয়ায়। যদি জিম্বাবুয়ে, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ তিনটি সিরিজের কথা বলেন, খুব ভালো ছিল। জেতার মানসিকতা হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে যখন আমরা বিশ্বকাপে যাচ্ছি। এ ধরনের আচরণ ও শরীরী ভাষা আমরা বাংলাদেশ দলে দেখেছি। এটি বিশ্বকাপের আগে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন: সবশেষ তিন সিরিজে স্পিনারদের পারফরম্যান্স কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
হেরাথ: যদি জিম্বাবুয়ে সিরিজের দিকে তাকান, মিরাজ খুব ভালো বোলিং করেছে। ওয়ানডেতে সাকিব ভালো করেছে। অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নাসুম, মেহেদী, সাকিব সবাই খুব ভালো অবদান রেখেছে। তবে যেটা লক্ষ করেছি, তারা প্রতিদিন উন্নতি করছে। কোচ হিসেবে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে টেকনিক্যাল বিষয় নিয়ে বেশি কিছু করতে পারি না। সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি ট্যাকটিক্যাল ও মানসিকভাবে কীভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যায়, সেটা শেখাতে। সেসব কোচকে ধন্যবাদ দিতে চাই; যাঁরা নাসুম, মেহেদী, মিরাজ, সাকিবসহ বাকিদের সঙ্গে কাজ করেছেন। তাঁরা জাতীয় দলে আসার আগেই কঠিন পরিশ্রম করেছে। এই পর্যায়ে আসার আগে তারা অনেক ভালো কিছু করতে পেরেছে।
প্রশ্ন: ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নাসুম দারুণ খেলেছেন। অনেকেই মনে করছেন, তাঁকে খুব বেশি চ্যালেঞ্জে পড়তে হয়নি, যেহেতু কন্ডিশনের সহায়তা পেয়েছেন। দেশের বাইরেও নাসুমের দক্ষতা নিয়ে কতটা আশাবাদী?
হেরাথ: হ্যাঁ, এই কন্ডিশন অনুযায়ী সে ভালো করেছে। তবে আপনাকে অন্য দিকটাও ভাবতে হবে। যখন আপনার এ ধরনের মাইন্ড সেট থাকবে ও আত্মবিশ্বাস থাকবে, তখন অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের মতো দেশে গেলেও সেই আত্মবিশ্বাস নিজের সঙ্গে নিয়ে যেতে পারবেন। এটাই গুরুত্বপূর্ণ। আমি জানি, উপমহাদেশের বাইরে আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ থাকবে। এ ক্ষেত্রে তাদের সঙ্গে কাজ করছি, কীভাবে দেশের বাইরের কন্ডিশন বিবেচনায় তাদের স্কিল ও ট্যাকটিক্যাল জায়গায় উন্নতি করা যায়।
প্রশ্ন: এই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের স্পিনারদের নিয়ে কতটা আশাবাদী?
হেরাথ: যেটা লক্ষ করেছি, আইপিএলের পরই আমরা বিশ্বকাপের ম্যাচ খেলব। আমার ধারণা, দুবাই, শারজা, আবুধাবিতে স্পিনারদের জন্য কিছুটা সহায়তা থাকবে। সহায়তা থাকুক বা না-থাকুক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট বিবেচনায় আমাদের স্মার্ট ক্রিকেট খেলতে হবে।
প্রশ্ন: প্রতিটি দল বিশ্বকাপে লেগ স্পিনার নিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ দলে কোনো লেগ স্পিনার নেই।
হেরাথ: শ্রীলঙ্কায় ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, ইংল্যান্ডের আদিল রশিদ আছে। ভারতেও আছে। তারা (লেগ স্পিনার) খরুচে হতে পারে, আবার তারা উইকেটও এনে দিতে পারে। আমাদের দলে বিপ্লব আছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সে মূল দলে নেই। তবে আমার মনে হয়, বিশ্বকাপের পরও রিস্ট স্পিনাররা টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডের জন্য ভালো বিকল্প হতে পারে।
প্রশ্ন: আপনি শ্রীলঙ্কার ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ছিলেন। চ্যাম্পিয়ন দলের পরিবেশ কেমন হয়, আপনার জানা আছে। আপনার এই অভিজ্ঞতা বাংলাদেশ দলকে কীভাবে সহায়তা করতে পারে?
হেরাথ: আমাদের এখন জেতার মানসিকতা ও সমন্বয় আছে। শরীরী ভাষা ও আচরণও এখানে যুক্ত। এটা এখন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও ধরে রাখতে হবে। আমি তিনটি ফাইনালে ছিলাম। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ২০১১ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে হেরেছিলাম। ২০১২ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হেরেছি। সৌভাগ্যবশত ২০১৪ সালে ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছি। পরিস্থিতির সঙ্গে কীভাবে মানিয়ে নিচ্ছেন এবং কীভাবে প্রয়োগ করছেন সেটা গুরুত্বপূর্ণ। এরই মধ্যে সেই অভিজ্ঞতা তাদের (খেলোয়াড়) সঙ্গে শেয়ার করেছি। এখনকার (বাংলাদেশ) দলের দিকে তাকালে সেই মাইন্ড সেট দেখতে পাবেন।
প্রশ্ন: এবার বাংলাদেশ দলের নকআউট পর্বে খেলার সম্ভাবনা কতটা দেখছেন?
হেরাথ: আমরা ম্যাচ ধরে ধরে এগোতে চাই। বিশ্বকাপের আগে দল হিসেবে আমরা ভালো অবস্থায় আছি। এখন এটা ধরে রাখলে বিশ্বকাপে অনেক দূর যাব। এটা ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ আমাদের সামনে।
প্রশ্ন: সাদা বলের ক্রিকেটে বাংলাদেশ একজন বাঁ-হাতি স্পিনারের খোঁজ করছে, যিনি লম্বা সময় সাকিব আল হাসানের সঙ্গী হতে পারবেন। এখন নাসুম এসেছেন। আবদুর রাজ্জাক দৃশ্যপট থেকে আড়ালের পর গত ছয় বছরে সাদা বলে বাংলাদেশ পাঁচ-ছয়জন বাঁ-হাতি স্পিনারকে বাজিয়ে দেখেছে। বেশির ভাগই থিতু হতে পারেননি। বিষয়টি নিয়ে আপনি কী ভাবছেন?
হেরাথ: যখন নাসুম বা অন্য কাউকে দলে আনবেন, তখন স্পিনার হিসেবে তাদের অনেক বেশি সুযোগ দিতে হবে। যখন তাদের বেশি খেলাবেন, তখন তারা আত্মবিশ্বাস পাবে। এখন দেখছি নাসুম উন্নতি করছে। এখনো উন্নতির জায়গা আছে। বেশি সুযোগ পেলে আরও মেলে ধরতে পারবে। আর একবার আত্মবিশ্বাস পেলে পারফরম্যান্সও ধরে রাখা সম্ভব হবে।
প্রশ্ন: একটা সময় সাকিব-মুশফিকদের প্রবল প্রতিপক্ষ ছিলেন। এখন তাঁদেরই কোচ আপনি। কেমন লাগে বিষয়টা?
হেরাথ: এটা ভিন্ন অভিজ্ঞতা। উপভোগ করছি। মুশফিক, সাকিব, তামিম, রিয়াদের (মাহমুদউল্লাহ) সঙ্গে অনেক ম্যাচ খেলেছি। আমাদের বেশ ভালো বোঝাপড়া আছে। এটা বেশ সহায়ক। খেলোয়াড়দের সঙ্গে আলাপগুলোও তাই বেশ ভালো হয়।
প্রশ্ন: খেলোয়াড়িজীবনে যে বাংলাদেশ দলকে দেখেছেন, সেটির সঙ্গে এখনকার বাংলাদেশের মূল পার্থক্য কোথায়?
হেরাথ: বাংলাদেশ এখন নিয়মিত জিতছে। খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সও ভালো হচ্ছে। যখন তাদের আত্মবিশ্বাস ও সক্ষমতা থাকবে, তখন তারা নিজেদের শতভাগ দিতে পারবে। তারা এখন ব্যক্তিগতভাবে ভালো করছে এবং দলকেও জয়ের পথে নিয়ে যাচ্ছে। আগের দিনগুলোর সঙ্গে তুলনা করলে তারা হয়তো তখন নিয়মিত জিততে পারত না। এখন বাংলাদেশ দলে জেতার মানসিকতা দেখতে পাচ্ছি। বিশ্বকাপের আগে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
জুলাইয়ে জিম্বাবুয়ে সফর দিয়ে বাংলাদেশ-অধ্যায় শুরু হয়েছে স্পিন পরামর্শক রঙ্গনা হেরাথের। টেস্ট ইতিহাসের সবচেয়ে সফল বাঁ-হাতি স্পিনার এই মুহূর্তে ছুটি কাটাচ্ছেন নিজের শহর কলম্বোয়। সেখান থেকেই ফোনে গতকাল সকালে কথা বলেন আজকের পত্রিকার সঙ্গে। প্রায় আধঘণ্টার এ আলাপচারিতায় হেরাথ বিস্তারিত বলেন সবশেষ সিরিজে বাংলাদেশ স্পিনারদের পারফরম্যান্স, আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও বাংলাদেশ দলে তাঁর কোচিং অভিজ্ঞতা নিয়ে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রানা আব্বাস।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ দলে যোগ দিয়েই টানা কয়েকটি সিরিজ জয়ের সঙ্গী হয়েছেন। এটা কতটা তৃপ্তিদায়ক?
রঙ্গনা হেরাথ: আমার কোচিং ক্যারিয়ারের শুরুর জন্য এটা খুবই ভালো। ক্লাব ক্রিকেট ও কিছু ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের সঙ্গে কাজ করেছি। এ ক্ষেত্রে বিসিবিকে ধন্যবাদ সুযোগটা দেওয়ায়। যদি জিম্বাবুয়ে, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ তিনটি সিরিজের কথা বলেন, খুব ভালো ছিল। জেতার মানসিকতা হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে যখন আমরা বিশ্বকাপে যাচ্ছি। এ ধরনের আচরণ ও শরীরী ভাষা আমরা বাংলাদেশ দলে দেখেছি। এটি বিশ্বকাপের আগে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন: সবশেষ তিন সিরিজে স্পিনারদের পারফরম্যান্স কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
হেরাথ: যদি জিম্বাবুয়ে সিরিজের দিকে তাকান, মিরাজ খুব ভালো বোলিং করেছে। ওয়ানডেতে সাকিব ভালো করেছে। অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নাসুম, মেহেদী, সাকিব সবাই খুব ভালো অবদান রেখেছে। তবে যেটা লক্ষ করেছি, তারা প্রতিদিন উন্নতি করছে। কোচ হিসেবে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে টেকনিক্যাল বিষয় নিয়ে বেশি কিছু করতে পারি না। সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি ট্যাকটিক্যাল ও মানসিকভাবে কীভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যায়, সেটা শেখাতে। সেসব কোচকে ধন্যবাদ দিতে চাই; যাঁরা নাসুম, মেহেদী, মিরাজ, সাকিবসহ বাকিদের সঙ্গে কাজ করেছেন। তাঁরা জাতীয় দলে আসার আগেই কঠিন পরিশ্রম করেছে। এই পর্যায়ে আসার আগে তারা অনেক ভালো কিছু করতে পেরেছে।
প্রশ্ন: ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নাসুম দারুণ খেলেছেন। অনেকেই মনে করছেন, তাঁকে খুব বেশি চ্যালেঞ্জে পড়তে হয়নি, যেহেতু কন্ডিশনের সহায়তা পেয়েছেন। দেশের বাইরেও নাসুমের দক্ষতা নিয়ে কতটা আশাবাদী?
হেরাথ: হ্যাঁ, এই কন্ডিশন অনুযায়ী সে ভালো করেছে। তবে আপনাকে অন্য দিকটাও ভাবতে হবে। যখন আপনার এ ধরনের মাইন্ড সেট থাকবে ও আত্মবিশ্বাস থাকবে, তখন অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের মতো দেশে গেলেও সেই আত্মবিশ্বাস নিজের সঙ্গে নিয়ে যেতে পারবেন। এটাই গুরুত্বপূর্ণ। আমি জানি, উপমহাদেশের বাইরে আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ থাকবে। এ ক্ষেত্রে তাদের সঙ্গে কাজ করছি, কীভাবে দেশের বাইরের কন্ডিশন বিবেচনায় তাদের স্কিল ও ট্যাকটিক্যাল জায়গায় উন্নতি করা যায়।
প্রশ্ন: এই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের স্পিনারদের নিয়ে কতটা আশাবাদী?
হেরাথ: যেটা লক্ষ করেছি, আইপিএলের পরই আমরা বিশ্বকাপের ম্যাচ খেলব। আমার ধারণা, দুবাই, শারজা, আবুধাবিতে স্পিনারদের জন্য কিছুটা সহায়তা থাকবে। সহায়তা থাকুক বা না-থাকুক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট বিবেচনায় আমাদের স্মার্ট ক্রিকেট খেলতে হবে।
প্রশ্ন: প্রতিটি দল বিশ্বকাপে লেগ স্পিনার নিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ দলে কোনো লেগ স্পিনার নেই।
হেরাথ: শ্রীলঙ্কায় ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, ইংল্যান্ডের আদিল রশিদ আছে। ভারতেও আছে। তারা (লেগ স্পিনার) খরুচে হতে পারে, আবার তারা উইকেটও এনে দিতে পারে। আমাদের দলে বিপ্লব আছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সে মূল দলে নেই। তবে আমার মনে হয়, বিশ্বকাপের পরও রিস্ট স্পিনাররা টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডের জন্য ভালো বিকল্প হতে পারে।
প্রশ্ন: আপনি শ্রীলঙ্কার ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ছিলেন। চ্যাম্পিয়ন দলের পরিবেশ কেমন হয়, আপনার জানা আছে। আপনার এই অভিজ্ঞতা বাংলাদেশ দলকে কীভাবে সহায়তা করতে পারে?
হেরাথ: আমাদের এখন জেতার মানসিকতা ও সমন্বয় আছে। শরীরী ভাষা ও আচরণও এখানে যুক্ত। এটা এখন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও ধরে রাখতে হবে। আমি তিনটি ফাইনালে ছিলাম। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ২০১১ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে হেরেছিলাম। ২০১২ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হেরেছি। সৌভাগ্যবশত ২০১৪ সালে ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছি। পরিস্থিতির সঙ্গে কীভাবে মানিয়ে নিচ্ছেন এবং কীভাবে প্রয়োগ করছেন সেটা গুরুত্বপূর্ণ। এরই মধ্যে সেই অভিজ্ঞতা তাদের (খেলোয়াড়) সঙ্গে শেয়ার করেছি। এখনকার (বাংলাদেশ) দলের দিকে তাকালে সেই মাইন্ড সেট দেখতে পাবেন।
প্রশ্ন: এবার বাংলাদেশ দলের নকআউট পর্বে খেলার সম্ভাবনা কতটা দেখছেন?
হেরাথ: আমরা ম্যাচ ধরে ধরে এগোতে চাই। বিশ্বকাপের আগে দল হিসেবে আমরা ভালো অবস্থায় আছি। এখন এটা ধরে রাখলে বিশ্বকাপে অনেক দূর যাব। এটা ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ আমাদের সামনে।
প্রশ্ন: সাদা বলের ক্রিকেটে বাংলাদেশ একজন বাঁ-হাতি স্পিনারের খোঁজ করছে, যিনি লম্বা সময় সাকিব আল হাসানের সঙ্গী হতে পারবেন। এখন নাসুম এসেছেন। আবদুর রাজ্জাক দৃশ্যপট থেকে আড়ালের পর গত ছয় বছরে সাদা বলে বাংলাদেশ পাঁচ-ছয়জন বাঁ-হাতি স্পিনারকে বাজিয়ে দেখেছে। বেশির ভাগই থিতু হতে পারেননি। বিষয়টি নিয়ে আপনি কী ভাবছেন?
হেরাথ: যখন নাসুম বা অন্য কাউকে দলে আনবেন, তখন স্পিনার হিসেবে তাদের অনেক বেশি সুযোগ দিতে হবে। যখন তাদের বেশি খেলাবেন, তখন তারা আত্মবিশ্বাস পাবে। এখন দেখছি নাসুম উন্নতি করছে। এখনো উন্নতির জায়গা আছে। বেশি সুযোগ পেলে আরও মেলে ধরতে পারবে। আর একবার আত্মবিশ্বাস পেলে পারফরম্যান্সও ধরে রাখা সম্ভব হবে।
প্রশ্ন: একটা সময় সাকিব-মুশফিকদের প্রবল প্রতিপক্ষ ছিলেন। এখন তাঁদেরই কোচ আপনি। কেমন লাগে বিষয়টা?
হেরাথ: এটা ভিন্ন অভিজ্ঞতা। উপভোগ করছি। মুশফিক, সাকিব, তামিম, রিয়াদের (মাহমুদউল্লাহ) সঙ্গে অনেক ম্যাচ খেলেছি। আমাদের বেশ ভালো বোঝাপড়া আছে। এটা বেশ সহায়ক। খেলোয়াড়দের সঙ্গে আলাপগুলোও তাই বেশ ভালো হয়।
প্রশ্ন: খেলোয়াড়িজীবনে যে বাংলাদেশ দলকে দেখেছেন, সেটির সঙ্গে এখনকার বাংলাদেশের মূল পার্থক্য কোথায়?
হেরাথ: বাংলাদেশ এখন নিয়মিত জিতছে। খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সও ভালো হচ্ছে। যখন তাদের আত্মবিশ্বাস ও সক্ষমতা থাকবে, তখন তারা নিজেদের শতভাগ দিতে পারবে। তারা এখন ব্যক্তিগতভাবে ভালো করছে এবং দলকেও জয়ের পথে নিয়ে যাচ্ছে। আগের দিনগুলোর সঙ্গে তুলনা করলে তারা হয়তো তখন নিয়মিত জিততে পারত না। এখন বাংলাদেশ দলে জেতার মানসিকতা দেখতে পাচ্ছি। বিশ্বকাপের আগে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সাফজয়ী মেয়েদের বরণের জন্য বাফুফের প্রস্তুত রাখা ছাদখোলা বাসেও চড়বেন না কোচ পিটার বাটলার। আজ সকালে নেপাল থেকে হোয়াটসঅ্যাপে আজকের পত্রিকার এই প্রতিবেদককে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।
৩২ মিনিট আগেযত কাণ্ড কাঠমান্ডুতে-গোয়েন্দা চরিত্র ফেলুদার এই গল্পের নামটাই এখন আপনাদের বেশি করে মনে পড়বে। কারণ সেই কাঠমাণ্ডুতে টানা দুইবার বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল জিতল সাফের শিরোপা। দুইবারই টুর্নামেন্ট সেরা গোলরক্ষক হয়েছেন বাংলাদেশের রূপনা চাকমা।
১ ঘণ্টা আগেহতাশাজনক এক সময় পার করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। দেশে কিংবা দেশের বাইরে কোথাও জয়ের দেখা পাচ্ছে না নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। এমন সময়ে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল জিতল সাফের শিরোপা। সাবিনা খাতুনদের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দে উদ্বেলিত বাংলাদেশের ক্রিকেটাররাও।
২ ঘণ্টা আগে‘তোরা সব জয়ধ্বনি কর’—সময় এখন সাবিনাদের জয়ধ্বনি করার। দেশের অন্যান্য খেলায় যখন হার আর হার, যখন হতাশার সাগরে ভাসছে ক্রিকেটও। তখন মেয়েদের ফুটবল ভেসেছে সাফল্যের উচ্ছ্বাসে।
১০ ঘণ্টা আগে