নাঈমের ম্যাজিকে ভেস্তে গেল মুশফিক-হৃদয়ের লড়াই

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭: ৫৮
তাওহীদ হৃদয়-মুশফিকুর রহিম ১০২ রানের জুটি গড়লেও শেষ পর্যন্ত জিততে পারেনি রাজশাহী। ছবি: বিসিবি

২০০ ছুঁইছুঁই লক্ষ্য তাড়া করে প্রায়ই জিতে গিয়েছিল রাজশাহী। মুশফিকুর রহিম-তাওহীদ হৃদয় সেই পথেই এগোতে থাকেন। তবে তাঁদের জুটি ভাঙার পরই খেই হারিয়েছে রাজশাহী। সিলেট একাডেমি গ্রাউন্ডে রাজশাহীর বিপক্ষে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে শেষ হাসি হেসেছে চট্টগ্রাম।

সিলেট একাডেমি গ্রাউন্ডে আজ রাজশাহী-চট্টগ্রাম ম্যাচে হয়েছে রানের বন্যা। রানবন্যার এই ম্যাচে চট্টগ্রাম পায়নি ছন্দে থাকা তামিম ইকবালকে। তামিমবিহীন চট্টগ্রাম ১৯৮ রানের পাহাড় গড়েছে রাজশাহীর বিপক্ষে। শেষ ওভারে নাঈম হাসানের ভেলকিতে চট্টগ্রাম পেয়েছে ৪ রানের রুদ্ধশ্বাস জয়।

এবারের এনসিএলের টি-টোয়েন্টি সংস্করণে নাজমুল হোসেন শান্তর শুরুটা ভালো হলেও অফফর্মের বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছেন। ৪ বলে ১ চারে ৪ রান করে আজ আউট হয়েছেন। ইনিংসের চতুর্থ বলে শান্ত বোল্ড হয়েছেন মোহাম্মদ ইফরান হোসেনের বলে। ১৯৯ রানের লক্ষ্যে নেমে রাজশাহীর স্কোর হয়ে যায় ০.৪ ওভারে ১ উইকেটে ৪ রান।

দ্বিতীয় উইকেটে সাব্বির হোসেন ও হাবিবুর রহমানের ৩৬ রানের জুটিতে রাজশাহী সামাল দেয় প্রাথমিক ধাক্কা। ঝড়ের গতিতে ব্যাটিং করতে থাকেন তাঁরা। তবে সেটা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে সাব্বিরকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন আহমেদ শরীফ। ৮ বলে ১টি করে চার ও ছক্কায় ১৩ রান করেন সাব্বির।

ওপেনিংয়ে নামা হাবিবুর আক্রমণাত্মক ব্যাটিং চালিয়ে যেতে থাকেন। রাজশাহীর বিস্ফোরক এই ওপেনারকে ফিরিয়েছেন শরীফ।২০ বলে ৩ চার ও ৪ ছক্কায় ৩৯ রান করেন হাবিবুর। রাজশাহীর স্কোর তখন পরিণত হয় ৮.৩ ওভারে ৩ উইকেটে ৭৫ রান। পাঁচ নম্বরে তখন ব্যাটিংয়ে নামেন মুশফিক। চতুর্থ উইকেটে মুশফিক-হৃদয় গড়েন ১০২ রানের জুটি। এক পর্যায়ে শেষ ১১ বলে দরকার হয় ২২ রানের। সেই সময় মুশফিককে ফিরিয়ে চট্টগ্রামকে ম্যাচে ফেরান শরীফ।

৩১ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৪৬ রান করেন মুশফিক। তখনো রাজশাহীর জয়ের আশা ছিল। হাতে ৬ উইকেট নিয়ে শেষ ওভারে দরকার হয় ১৩ রান। শেষ ওভারের প্রথম বলে হৃদয়কে যখন নাঈম ফিরিয়েছেন, তখন বলতে গেলে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় রাজশাহী। প্রীতম কুমার ছক্কা মারলেও তাঁকে নাঈম ফেরালে শেষ ৩ বলে দরকার হয় ৬ রানের। শেষ ৩ বলে মাত্র ১ রান যোগ করতে পারে রাজশাহী। উপরন্তু তাদের ইনিংসে একটা রানআউটও হয়েছে। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৯৪ রানে থেমে যায় রাজশাহীর ইনিংস।

চট্টগ্রামের ৪ রানের রুদ্ধশ্বাস জয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন নাঈম। ২ ওভারে ২৫ রান দিয়ে ২ উইকেট পেয়েছেন। খরুচে হলেও শেষ ওভারের দুর্দান্ত বোলিংই তাঁকে ম্যাচসেরার পুরস্কার পাইয়ে দিয়েছে।

টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং পেয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৯৮ রান করে চট্টগ্রাম। ইনিংস সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেন ইরফান শুক্কুর। ২৯ বলের ইনিংসে ৮ চার ও ১ ছক্কা মেরেছেন তিনি। রাজশাহীর সাব্বির নিয়েছেন ৩ উইকেট। ৪ ওভারে খরচ করেন ২১ রান।

সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ঢাকা মহানগর-সিলেট ম্যাচটাও হয়েছে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং নিয়ে ঢাকা মহানগর নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫৬ রান করেছে। সিলেট পুরো ২০ ওভার ব্যাটিং করে ৭ উইকেটই হারিয়েছে। দলটি করেছে ১৫৫ রান।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত