রানা আব্বাস, দুবাই থেকে
এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে স্যার ক্লাইভ লয়েড এসেছেন রেডিও ধারাভাষ্য দিতে। গত পরশু দুবাইয়ে বাংলাদেশ ম্যাচ শেষে হোটেলে ফেরার সময় তাঁকে পাওয়া গেল লিফটে। সাক্ষাৎকারের অনুরোধে মন না গললেও শুধু একটা প্রশ্নের উত্তর দিলেন ক্যারিবীয় কিংবদন্তি।
বাংলাদেশ দলের সমস্যা কোথায়– গাড়িতে উঠতে উঠতে লয়েড প্রশ্নটার উত্তর দিলেন অল্প কথায়, ‘কোনো সমস্যা নেই! আপনি কখনো ভালো খেলবেন, কখনো খারাপ।’ ফেরার তাড়া কিংবা এড়িয়ে যাওয়ার ভাবনায় বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স নিয়ে যে সরল উত্তরটা দিলেন লয়েড; বিষয়টা তত সহজ না। একটা দল প্রতিটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে আসে আশার বেলুন ফুলিয়ে। আর ফেরে শূন্য হাতে। টি-টোয়েন্টির শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চে ওই মাঝেমধ্যে ‘ভালো’ খেলাটাও খেলতে দেখা যায়নি গত ১৪ বছরে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্বে আফগানিস্তানের একাধিক জয় আছে। এমনকি প্রথমবারের মতো এবার সুপার টুয়েলভে খেলা নামিবিয়াও জয়ের স্বাদ পেয়ে গেছে। আর বাংলাদেশ? দীর্ঘশ্বাসই পড়ছে বছরের পর বছর।
যেহেতু দলের ওপর প্রচারের সব আলো, তাই ব্যর্থ হলে বড় ঝড়টা যায় খেলোয়াড়দের ওপর দিয়ে। প্রাসঙ্গিকভাবে আসেন কোচিং স্টাফের সদস্যরা। এবার মাশরাফি বিন মুর্তজার ঝাঁজাল ফেসবুক পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় ডমিঙ্গো ও তাঁর সহকর্মীদের একটু বেশি অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে। খেলোয়াড়, টিম ম্যানেজমেন্টের স্তর পেরিয়ে সমালোচনার তিরে বিদ্ধ নির্বাচকেরাও। বিশেষ করে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর অপসারণের দাবি তুলছেন কেউ কেউ।
গত পাঁচ বছর প্রধান নির্বাচকের পদে থাকা নান্নুর সময় বাংলাদেশ বড় মঞ্চে কী সাফল্য পেয়েছে—সেসব হিসাব-নিকাশ সামনে আসছে। আসছে ঘরের মাঠে সুবিধাজনক পিচ বানিয়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করে আত্মতৃপ্তির ঢেকুর তোলার প্রসঙ্গও।
ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িতরা বলছেন, এসব আলোচনার সঙ্গে দেশের দুর্বল ক্রিকেট অবকাঠামো আর প্রশাসনিক ব্যবস্থার কথাও সামনে আসা উচিত। শুধু খেলোয়াড়দের নিয়েই একটা দল নয়। দল হয় খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ, ক্রিকেট বোর্ড, দেশের ক্রিকেট সংস্কৃতি—সব মিলিয়ে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের তিনটি ভেন্যুতে আয়োজন হচ্ছে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। শারজা, দুবাই, আবুধাবি—প্রত্যেকটি অঞ্চলের ক্রিকেট কাঠামো দেখে মনে হয়েছে, একটি সহযোগী দেশের আঞ্চলিক ক্রিকেট কাঠামো এত শক্তিশালী! রুক্ষ মরুতে কী সুসংগঠিতভাবে ক্রিকেট-বৃক্ষের পরিচর্যা করে চলেছে তারা। এত শক্ত কাঠামো থাকার পরও ক্রিকেটে দল হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের অবস্থান এখনো তৃতীয় সারিতে। অথচ ভঙুর এক কাঠামো নিয়ে বাংলাদেশ ২১ বছর ধরে টেস্ট খেলছে। এখানে টাকা-পয়সাই সব নয়। টাকার পাহাড়ে তো চড়ে আছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি)।
ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড বা ভারতের মতো উন্নত ক্রিকেট কাঠামোর উদাহরণ বাদই দেওয়া গেল। বাকি টেস্টখেলুড়ে দেশগুলোর কারও কাঠামো কি এতটাই ক্লাবকেন্দ্রিক, যেটি বাংলাদেশে? একটা শহরের ১২টি ক্লাবের প্রতিনিধি ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য নির্বাচিত হন (২৩ জনের মধ্যে)। সারা দেশ থেকে আসে বাকি ১০ জন—এই স্পষ্ট অগণতান্ত্রিক ক্রিকেট ব্যবস্থা কটা দেশে আছে? দেশের ক্রিকেটে ঢাকার ক্লাবগুলোর অবদান অস্বীকার করার সুযোগ নেই। তবে এখানেও প্রশ্ন আছে, এত প্রাধান্য পেয়েও এত দিনে কেন ক্লাবগুলোর পরিপূর্ণ ক্রিকেট কাঠামো গড়ে ওঠেনি? প্রতি মৌসুমে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন খেলতে সবাইকে কেন বিসিবির মাঠে এসে ভিড় জমাতে হয়?
মাঠের খেলার কথাই যদি ধরা হয়, ঢাকার চার স্তরের ক্রিকেটে যে খেলাটা হয়, সেটির মান-স্বচ্ছতা নিয়ে বিতর্ক আরও পুরোনো। উইকেট, পক্ষপাতমূলক আম্পায়ারিং, নির্দিষ্ট কিছু দলকে অগ্রহণযোগ্যভাবে সুবিধা দেওয়ার বিতর্ক হয় না—এমন কোনো মৌসুম কি আছে? আইসিসির বড় টুর্নামেন্টগুলোয় বাংলাদেশের আম্পায়ার থাকে না কেন—কদিন আগে এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে দেশের শীর্ষস্থানীয় এক আম্পায়ার করুণ কণ্ঠে বলছিলেন, ‘অমুক দল, তমুক দল করতে করতে দেশের ক্রিকেট কোথায় নিয়ে যাচ্ছি, একবার ভেবেছেন? আল্লাহর ওয়াস্তে এবার ক্ষ্যামা দেন! আমাদের (আম্পায়ারদের) একটু স্বস্তিতে কাজ করতে দেন।’
ঘুণে ধরা ক্লাবকেন্দ্রিক ক্রিকেট সংস্কৃতির বাইরে বিভাগ-জেলা পর্যায়ের ক্রিকেটের চিত্রটা আরও হতাশাজনক। যে ১০ প্রতিনিধি বিভিন্ন জেলা বা বিভাগ থেকে পরিচালক হয়ে আসছেন, নিজেদের অঞ্চলের ক্রিকেট উন্নয়নে সুনির্দিষ্ট, সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা কিংবা গত এক দশকে এমন কোনো কার্যক্রম দেখাতে পারবেন, যেটি সেই অঞ্চলের ক্রিকেটকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে?
পরিচালনা পর্ষদের বাইরে বিসিবির আরেক বড় অংশীদার কাউন্সিলররা; যাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে দেশের ক্রিকেট কাঠামো আরও শক্তিশালী হওয়ার কথা। ঢাকার বিভিন্ন ক্লাব, সারা দেশের জেলা ও বিভাগ এবং বিভিন্ন সংস্থা থেকে মনোনীত প্রতিনিধির সংখ্যা ১৭১। এই প্রতিনিধিদের ভোটে নির্বাচিত হন পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা। তাঁদের প্রয়োজনীয়তা যেন শুধুই নির্বাচনের সময়। অথচ তাঁদেরও ভূমিকা রাখার কথা ছিল ক্রিকেটের উন্নয়নে। জরিপ করলে দেখা যাবে অধিকাংশ কাউন্সিলরের সারা বছর সংশ্লিষ্টতা থাকে না ক্রিকেটের সঙ্গে।
গত এক দশকে দুটি আইসিসির টুর্নামেন্ট আয়োজন করে কোষাগারে বিপুল অর্থ যোগ (৩১৬ কোটি টাকা), ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা থেকে পাওয়া প্রতি বছর বিপুল রাজস্ব (গত তিন বছরেই এসেছে ৩৬০ কোটি টাকা) আর টিভি স্বত্ব থেকে পাওয়া টাকায় ‘শর্টকাটে বড়লোক’ হতে পেরেছে বিসিবি। কোষাগারে প্রায় ৯০০ কোটি টাকা নিয়ে বিসিবির কর্তাদের গর্বের শেষ নেই। সেটা তাঁরা করতেই পারেন। কিন্তু এই সময়ে দুর্বল ক্রিকেট-ব্যবস্থা আর ঘুণে ধরা ক্রিকেট সংস্কৃতির কতটা উন্নতি হয়েছে—এ প্রশ্নের মুখোমুখি তাঁদের হতে হবে।
সেটা যে হয়নি, তা বোঝাই যায় বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে কিংবা দেশের বাইরে প্রতিকূল কন্ডিশনে খেলতে গেলে দলটির কঙ্কাল বেরিয়ে পড়তে দেখে। সামনের দিনগুলোও যদি এভাবে চলতে থাকে তবে অস্ট্রেলিয়ায় হতে যাওয়া ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ভিন্ন অধিনায়ক, ভিন্ন কোচিং স্টাফ নিয়ে গেলেও ভিন্ন ফল দেখার সম্ভাবনা ক্ষীণই।
এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে স্যার ক্লাইভ লয়েড এসেছেন রেডিও ধারাভাষ্য দিতে। গত পরশু দুবাইয়ে বাংলাদেশ ম্যাচ শেষে হোটেলে ফেরার সময় তাঁকে পাওয়া গেল লিফটে। সাক্ষাৎকারের অনুরোধে মন না গললেও শুধু একটা প্রশ্নের উত্তর দিলেন ক্যারিবীয় কিংবদন্তি।
বাংলাদেশ দলের সমস্যা কোথায়– গাড়িতে উঠতে উঠতে লয়েড প্রশ্নটার উত্তর দিলেন অল্প কথায়, ‘কোনো সমস্যা নেই! আপনি কখনো ভালো খেলবেন, কখনো খারাপ।’ ফেরার তাড়া কিংবা এড়িয়ে যাওয়ার ভাবনায় বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স নিয়ে যে সরল উত্তরটা দিলেন লয়েড; বিষয়টা তত সহজ না। একটা দল প্রতিটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে আসে আশার বেলুন ফুলিয়ে। আর ফেরে শূন্য হাতে। টি-টোয়েন্টির শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চে ওই মাঝেমধ্যে ‘ভালো’ খেলাটাও খেলতে দেখা যায়নি গত ১৪ বছরে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্বে আফগানিস্তানের একাধিক জয় আছে। এমনকি প্রথমবারের মতো এবার সুপার টুয়েলভে খেলা নামিবিয়াও জয়ের স্বাদ পেয়ে গেছে। আর বাংলাদেশ? দীর্ঘশ্বাসই পড়ছে বছরের পর বছর।
যেহেতু দলের ওপর প্রচারের সব আলো, তাই ব্যর্থ হলে বড় ঝড়টা যায় খেলোয়াড়দের ওপর দিয়ে। প্রাসঙ্গিকভাবে আসেন কোচিং স্টাফের সদস্যরা। এবার মাশরাফি বিন মুর্তজার ঝাঁজাল ফেসবুক পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় ডমিঙ্গো ও তাঁর সহকর্মীদের একটু বেশি অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে। খেলোয়াড়, টিম ম্যানেজমেন্টের স্তর পেরিয়ে সমালোচনার তিরে বিদ্ধ নির্বাচকেরাও। বিশেষ করে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর অপসারণের দাবি তুলছেন কেউ কেউ।
গত পাঁচ বছর প্রধান নির্বাচকের পদে থাকা নান্নুর সময় বাংলাদেশ বড় মঞ্চে কী সাফল্য পেয়েছে—সেসব হিসাব-নিকাশ সামনে আসছে। আসছে ঘরের মাঠে সুবিধাজনক পিচ বানিয়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করে আত্মতৃপ্তির ঢেকুর তোলার প্রসঙ্গও।
ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িতরা বলছেন, এসব আলোচনার সঙ্গে দেশের দুর্বল ক্রিকেট অবকাঠামো আর প্রশাসনিক ব্যবস্থার কথাও সামনে আসা উচিত। শুধু খেলোয়াড়দের নিয়েই একটা দল নয়। দল হয় খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ, ক্রিকেট বোর্ড, দেশের ক্রিকেট সংস্কৃতি—সব মিলিয়ে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের তিনটি ভেন্যুতে আয়োজন হচ্ছে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। শারজা, দুবাই, আবুধাবি—প্রত্যেকটি অঞ্চলের ক্রিকেট কাঠামো দেখে মনে হয়েছে, একটি সহযোগী দেশের আঞ্চলিক ক্রিকেট কাঠামো এত শক্তিশালী! রুক্ষ মরুতে কী সুসংগঠিতভাবে ক্রিকেট-বৃক্ষের পরিচর্যা করে চলেছে তারা। এত শক্ত কাঠামো থাকার পরও ক্রিকেটে দল হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের অবস্থান এখনো তৃতীয় সারিতে। অথচ ভঙুর এক কাঠামো নিয়ে বাংলাদেশ ২১ বছর ধরে টেস্ট খেলছে। এখানে টাকা-পয়সাই সব নয়। টাকার পাহাড়ে তো চড়ে আছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি)।
ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড বা ভারতের মতো উন্নত ক্রিকেট কাঠামোর উদাহরণ বাদই দেওয়া গেল। বাকি টেস্টখেলুড়ে দেশগুলোর কারও কাঠামো কি এতটাই ক্লাবকেন্দ্রিক, যেটি বাংলাদেশে? একটা শহরের ১২টি ক্লাবের প্রতিনিধি ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য নির্বাচিত হন (২৩ জনের মধ্যে)। সারা দেশ থেকে আসে বাকি ১০ জন—এই স্পষ্ট অগণতান্ত্রিক ক্রিকেট ব্যবস্থা কটা দেশে আছে? দেশের ক্রিকেটে ঢাকার ক্লাবগুলোর অবদান অস্বীকার করার সুযোগ নেই। তবে এখানেও প্রশ্ন আছে, এত প্রাধান্য পেয়েও এত দিনে কেন ক্লাবগুলোর পরিপূর্ণ ক্রিকেট কাঠামো গড়ে ওঠেনি? প্রতি মৌসুমে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন খেলতে সবাইকে কেন বিসিবির মাঠে এসে ভিড় জমাতে হয়?
মাঠের খেলার কথাই যদি ধরা হয়, ঢাকার চার স্তরের ক্রিকেটে যে খেলাটা হয়, সেটির মান-স্বচ্ছতা নিয়ে বিতর্ক আরও পুরোনো। উইকেট, পক্ষপাতমূলক আম্পায়ারিং, নির্দিষ্ট কিছু দলকে অগ্রহণযোগ্যভাবে সুবিধা দেওয়ার বিতর্ক হয় না—এমন কোনো মৌসুম কি আছে? আইসিসির বড় টুর্নামেন্টগুলোয় বাংলাদেশের আম্পায়ার থাকে না কেন—কদিন আগে এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে দেশের শীর্ষস্থানীয় এক আম্পায়ার করুণ কণ্ঠে বলছিলেন, ‘অমুক দল, তমুক দল করতে করতে দেশের ক্রিকেট কোথায় নিয়ে যাচ্ছি, একবার ভেবেছেন? আল্লাহর ওয়াস্তে এবার ক্ষ্যামা দেন! আমাদের (আম্পায়ারদের) একটু স্বস্তিতে কাজ করতে দেন।’
ঘুণে ধরা ক্লাবকেন্দ্রিক ক্রিকেট সংস্কৃতির বাইরে বিভাগ-জেলা পর্যায়ের ক্রিকেটের চিত্রটা আরও হতাশাজনক। যে ১০ প্রতিনিধি বিভিন্ন জেলা বা বিভাগ থেকে পরিচালক হয়ে আসছেন, নিজেদের অঞ্চলের ক্রিকেট উন্নয়নে সুনির্দিষ্ট, সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা কিংবা গত এক দশকে এমন কোনো কার্যক্রম দেখাতে পারবেন, যেটি সেই অঞ্চলের ক্রিকেটকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে?
পরিচালনা পর্ষদের বাইরে বিসিবির আরেক বড় অংশীদার কাউন্সিলররা; যাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে দেশের ক্রিকেট কাঠামো আরও শক্তিশালী হওয়ার কথা। ঢাকার বিভিন্ন ক্লাব, সারা দেশের জেলা ও বিভাগ এবং বিভিন্ন সংস্থা থেকে মনোনীত প্রতিনিধির সংখ্যা ১৭১। এই প্রতিনিধিদের ভোটে নির্বাচিত হন পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা। তাঁদের প্রয়োজনীয়তা যেন শুধুই নির্বাচনের সময়। অথচ তাঁদেরও ভূমিকা রাখার কথা ছিল ক্রিকেটের উন্নয়নে। জরিপ করলে দেখা যাবে অধিকাংশ কাউন্সিলরের সারা বছর সংশ্লিষ্টতা থাকে না ক্রিকেটের সঙ্গে।
গত এক দশকে দুটি আইসিসির টুর্নামেন্ট আয়োজন করে কোষাগারে বিপুল অর্থ যোগ (৩১৬ কোটি টাকা), ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা থেকে পাওয়া প্রতি বছর বিপুল রাজস্ব (গত তিন বছরেই এসেছে ৩৬০ কোটি টাকা) আর টিভি স্বত্ব থেকে পাওয়া টাকায় ‘শর্টকাটে বড়লোক’ হতে পেরেছে বিসিবি। কোষাগারে প্রায় ৯০০ কোটি টাকা নিয়ে বিসিবির কর্তাদের গর্বের শেষ নেই। সেটা তাঁরা করতেই পারেন। কিন্তু এই সময়ে দুর্বল ক্রিকেট-ব্যবস্থা আর ঘুণে ধরা ক্রিকেট সংস্কৃতির কতটা উন্নতি হয়েছে—এ প্রশ্নের মুখোমুখি তাঁদের হতে হবে।
সেটা যে হয়নি, তা বোঝাই যায় বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে কিংবা দেশের বাইরে প্রতিকূল কন্ডিশনে খেলতে গেলে দলটির কঙ্কাল বেরিয়ে পড়তে দেখে। সামনের দিনগুলোও যদি এভাবে চলতে থাকে তবে অস্ট্রেলিয়ায় হতে যাওয়া ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ভিন্ন অধিনায়ক, ভিন্ন কোচিং স্টাফ নিয়ে গেলেও ভিন্ন ফল দেখার সম্ভাবনা ক্ষীণই।
২০২৪-২৫ মৌসুমের আবুধাবি টি-টেন বাংলা টাইগার্স শুরু করেছিল জোড়া হারে। সেখান থেকে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বাধীন টাইগার্স। মরুর দেশে টানা দুই ম্যাচ সাকিবরা জিতলেন হেসেখেলে।
৭ ঘণ্টা আগেখেলা, ক্রিকেট, বাংলাদেশ ক্রিকেট, টেস্ট ক্রিকেট, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট
৮ ঘণ্টা আগেঅ্যান্টিগায় বাংলাদেশের বোলাররা তো চেষ্টার ত্রুটি রাখেননি। তাসকিন আহমেদ, মেহেদী হাসান মিরাজদের বোলিংয়ে একটু হলেও চাপে পড়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটাররা। কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাটিং-বোলিং দুটিই একসঙ্গে ‘ক্লিক’ খুব কম সময়েই করে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে হতাশ করেছেন
৯ ঘণ্টা আগেঅ্যান্টিগা টেস্টে ১৮১ রানে পিছিয়ে থেকেও গতকাল ৯ উইকেটে ২৬৯ রানে ইনিংস ঘোষণা করে দেয় বাংলাদেশ দল। তারপরই অনেক আলোচনা-সমালোচনা টিম ম্যানেজমেন্টের এই সিদ্ধান্তে। তাসকিন আহমেদ ১১ ও শরীফুল ইসলাম ছিলেন ৫ রানে অপরাজিত। অনেকেই মনে করেছেন, বাংলাদেশ শেষ উইকেটে হয়তো আরও কিছু রান যোগও করতে পারত।
৯ ঘণ্টা আগে