এখন পর্যন্ত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে শরীফুল ইসলাম ৬ ম্যাচে নিয়েছেন ১১ উইকেট। ২০২৫ বিপিএলের শেষ দিকে ছন্দে ফিরেছেন, ডিপিএলে সেটা ধরে রেখেছেন। খারাপ সময় কাটিয়ে ওঠা, তাঁর সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কাল রাতে শরীফুল কথা বললেন আজকের পত্রিকার সঙ্গে। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন আহমেদ রিয়াদ।
আহমেদ রিয়াদ
প্রশ্ন: চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে সুযোগ মেলেনি। এরপর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) খেলছেন, ভালো করছেন। নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে এখনো পর্যন্ত কতটা সন্তুষ্ট?
শরীফুল ইসলাম: আলহামদুলিল্লাহ, ভালো লাগছে। অনেক দিন পর ৫০ ওভারের ফরম্যাট খেললাম। ৬ ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়েছি, ইকোনমি ৪.৮৮—এ ধরনের উইকেটে খারাপ নয়। উইকেট তো দেখতেই পাচ্ছেন, বোলারদের জন্য তেমন কিছু নেই। বিকেএসপির উইকেটগুলো খুবই ব্যাটিং-সহায়ক, যেখানে পেসারদের জন্য বোলিং করাটা কঠিন। মিরপুরের উইকেটও একই রকম।
প্রশ্ন: বিপিএলের শুরুটা ভালো যায়নি, তবে শেষ দিকে দারুণ ছন্দে ফিরলেন। কোচ শন টেইটের সঙ্গে কাজ করেছেন—তিনি আপনার কোন দিকগুলো নিয়ে বেশি কাজ করেছেন?
শরীফুল: শন টেইটের সঙ্গে পরিচয় আগেই ছিল। দুই বছর আগে তিনি চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের কোচ ছিলেন। এবার চিটাগং কিংসের কোচ হিসেবে আসার পর দারুণভাবে সহায়তা করেছেন। প্রথম দুই ম্যাচ ভালো হয়নি, তখন তিনি বলেছিলেন, তুমি চোট থেকে ফিরেছ, পুরো ছন্দে আসতে সময় লাগবে। আমাকে ইতিবাচক থাকতে বলতেন, আগের ভালো পারফরম্যান্সের কথা মনে করিয়ে দিতেন। অনুশীলনে স্পট বোলিংয়ে ম্যাচের মতো পূর্ণ শক্তি ও স্কিল দিয়ে বল করার পরামর্শ দিতেন। এসব মেনে চলার চেষ্টা করেছি এবং এখনো করছি। আমাদের নাজমুল ভাইও (নাজমুল হোসেন) পাশে ছিলেন। বলের গ্রিপিং, গতি এবং সিম মুভমেন্ট নিয়ে কাজ করেছি—বিশেষ করে অফ স্টাম্পের বাইরে থেকে বল বাতাসে ঘুরিয়ে স্ট্যাম্পে আনার দক্ষতা বাড়ানোর চেষ্টা করেছি। আলহামদুলিল্লাহ, এখন এগুলো ধীরে ধীরে রপ্ত করতে পারছি, আর ম্যাচেও সেটার ফল পাচ্ছি।
প্রশ্ন: বিপিএলে আপনার পারিশ্রমিক কি পুরোপুরি পেয়েছেন?
শরীফুল: চিটাগাং কিংসের মালিক আমাদের জানিয়েছেন, বিসিবি পারিশ্রমিক দেবে। আমরাও বিসিবির কাছে খোঁজ নিয়েছি, তারা দ্রুতই জানাবে। এখনো বিসিবি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। বিপিএল শেষ হওয়ার পর ৪৫ দিনের মধ্যে পুরো পারিশ্রমিক পরিশোধের নিয়ম রয়েছে, যা কয়েক দিন আগেই পেরিয়ে গেছে। আমাদের জানানো হয়েছে, আজ-কালের মধ্যে তারা বিস্তারিত জানাবে। ঈদের ছুটি আসছে, তাই আমরা আশা করছি, ছুটির আগেই বিষয়টি পরিষ্কার হবে।
প্রশ্ন: জাতীয় দলের বাইরে আছেন। ২০২৩ সালটা দারুণ গিয়েছিল আপনার। তিন সংস্করণে মিলিয়ে নিয়েছিলেন ৫২ উইকেট। দলে ফিরতে নিজেকে কীভাবে তৈরি করছেন?
শরীফুল: হ্যাঁ, ২০২৩ সাল আমার ক্যারিয়ারের সেরা সময়গুলোর একটি ছিল। সব সময় চেষ্টা করি সে রকম পারফরম্যান্স ধরে রাখার, আরও উন্নতি করার। লক্ষ্য একটাই, ২০২৩ সালের পারফরম্যান্সের চেয়ে ভালো করা এবং জাতীয় দলে ফিরে আরও ভালো সার্ভিস দেওয়া। ইনশা আল্লাহ, কঠোর পরিশ্রম করে আরও ভালোভাবে ফিরতে পারব।
প্রশ্ন: আপনার আর নাহিদ রানার শৈশবের কোচ আলমগীর কবির। তিনি আপনাকে কীভাবে সহায়তা করেন?
শরীফুল: যখনই খারাপ সময় যায়, স্যারের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তিনি সব সময় দারুণভাবে গাইড করেন—আমাকে, নাহিদকেও। প্রত্যেক ক্রিকেটারের একজন ব্যক্তিগত কোচ থাকে, আমার ক্ষেত্রে আলমগীর স্যার সেই ব্যক্তি। আমরা নিয়মিত বোলিং নিয়ে আলোচনা করি। যখন তিনি আমার কাছে থাকেন না, তখন আমি ম্যাচের বোলিং ভিডিও পাঠাই, তাঁর পরামর্শ নিই। কাছাকাছি থাকলে তো সরাসরি গিয়ে কাজ করি। স্যার দিকনির্দেশনা দেন, কীভাবে আমার বোলিং আরও নিখুঁত করা যায়, কোন জায়গায় উন্নতি করা দরকার। ভালো সময় হোক বা খারাপ, আমি সব সময় স্যারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখি।
প্রশ্ন: একদিন নেটে নাহিদ রানার ব্যাটিংয়ের সময়ে হালকা স্লেজিং করছিলেন। নাহিদ কি ব্যাটিংয়েও আপনার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চায়?
শরীফুল: (হাসি) ছোটবেলা থেকেই নাহিদের সঙ্গে পরিচয়, ও খুব ভালো মনের একজন মানুষ। গতি আছে ওর বোলিংয়ে। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, দ্রুতগতির বোলার হয়েও নাহিদ দ্রুতগতির বল ভালোভাবে খেলতে পারে না! আমি তুলনামূলকভাবে পেস ভালো খেলতে পারি। তাই নেটে একসঙ্গে অনুশীলন করলে আমরা একে অন্যকে স্লেজিং করি, সেটা অবশ্যই মজা হিসেবেই।
প্রশ্ন: জাতীয় দলের বাইরে আছেন। এখন পেস বোলিং বিভাগে বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা। তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান সাকিব, নাহিদ রানা; এঁদের সঙ্গে লড়াইটা কেমন উপভোগ করছেন?
শরীফুল: জাতীয় দলে পেসারদের মধ্যে এই প্রতিযোগিতা থাকা খুবই দরকার। বাংলাদেশে যত বেশি পেসার তৈরি হবে, ততই আমাদের ক্রিকেটের জন্য ভালো। এতে দল গড়তে সুবিধা হবে, একজন চোট পেলে সহজেই বিকল্প পাওয়া যাবে। সবাই দলে জায়গা পেতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নিজেদের প্রস্তুত রাখবে। তাসকিন ভাই, সাকিব, নাহিদ রানাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা আছে, সেটাই স্বাভাবিক। এটাই একজন খেলোয়াড়ের জন্য চ্যালেঞ্জ এবং অনুপ্রেরণাদায়ক। ওরা দেশের হয়ে খেলছে, আমিও ফিরতে চাই। প্রতিযোগিতা যত কঠিন হবে, নিজেকে উন্নত করার তাগিদও তত বাড়বে।
প্রশ্ন: লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগ ও গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগে খেলেছেন। সামনে কি আরও কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলার সম্ভাবনা আছে?
শরীফুল: এখনো কোনো কথা হয়নি। বিসিবি আমাদের বছরে একটা ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলতে দেওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক।
প্রশ্ন: জাতীয় দলে খেলার সুবাদে অনেক গ্রেট ক্রিকেটারের সঙ্গে আপনার কথা বলার সুযোগ হয়েছে। বাঁহাতি পেসারদের মধ্যে ওয়াসিম আকরাম, চামিন্দা ভাসের মতো কিংবদন্তিদের সঙ্গে কি কখনো কথা হয়েছে? তাঁদের কাছ থেকে কোনো পরামর্শ পেয়েছেন?
শরীফুল: চামিন্দা ভাসের সঙ্গে আমার আলাপ হয়েছে। তাঁর সঙ্গে বোলিং নিয়ে কাজ হয়েছে। খুবই ভালো মনের মানুষ। বিপিএলেও আমরা একই দলে (ঢাকা ডমিনেটরস) ছিলাম। তিনি আমাকে বোলিংয়ের সমস্যা নিয়ে সহায়তা করেছেন। গ্রেট বোলারদের কাছ থেকে পরামর্শ পাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন: মোস্তাফিজুর রহমানের কাছ থেকে কি কোনো বিশেষ পরামর্শ পেয়েছেন, যা আপনার বোলিংয়ে কাজে এসেছে?
শরীফুল: মোস্তাফিজ ভাইয়ের সঙ্গে আমার সম্পর্কটা দারুণ। বোলারদের মধ্যে তিনি আমাকে সবচেয়ে বেশি গাইড করেন। কারণ, দলে আমি আর তিনি বাঁহাতি পেসার। যখন কোনো ওভারে খারাপ করি, তখন তিনি আমাকে গাইড করেন। তাঁর অনেক অভিজ্ঞতা। ভাই তো আইপিএলে খেলেছেন বেশ কয়েকবার, তাই তাঁর শেয়ার করা অভিজ্ঞতাগুলো অনেক কিছু শিখতে সহায়তা করে।
প্রশ্ন: আপনার কি কাউন্টি খেলার কোনো ইচ্ছা আছে? কোনো ক্লাবের সঙ্গে কি এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে?
শরীফুল: কাউন্টি খেলার স্বপ্ন রয়েছে। কয়েক মাস আগে ইংলিশ কাউন্টি দল এসেক্স কর্তৃপক্ষ আমার এজেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল, জানতে চেয়েছিল আসন্ন মৌসুমে আমি খেলতে পারব কি না। এখনো এসব আলোচনা চলছে। কাউন্টি খেলার ইচ্ছাটা বেশ পুরোনো। সেখানে খেলে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে চাই।
প্রশ্ন: সামনেই জিম্বাবুয়ে সিরিজ, যেখানে বাংলাদেশ ঘরের মাঠে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ শুরু করবে। সবশেষ টেস্ট সিরিজেও আপনি ছিলেন দলে। এবার বছরজুড়ে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ রয়েছে। সামনের চ্যালেঞ্জ নিয়ে কী ভাবছেন?
শরীফুল: চ্যালেঞ্জের কিছু নেই, যদি দলে সুযোগ পাই। যেখান থেকে শেষ করেছি, সেখান থেকেই আবার শুরু করতে চাই। আমাদের কাজই হলো দলকে আমার পারফরম্যান্স দিয়ে ম্যাচ জেতানো। এ বছর আমাদের অনেক খেলা। আমাদের ফিটনেস ঠিক রেখেই খেলতে হবে। আমাদের ওয়ার্ক লোডের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। ফিটনেসের কাজ আরও বেশি বেশি করতে হবে।
প্রশ্ন: চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে সুযোগ মেলেনি। এরপর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) খেলছেন, ভালো করছেন। নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে এখনো পর্যন্ত কতটা সন্তুষ্ট?
শরীফুল ইসলাম: আলহামদুলিল্লাহ, ভালো লাগছে। অনেক দিন পর ৫০ ওভারের ফরম্যাট খেললাম। ৬ ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়েছি, ইকোনমি ৪.৮৮—এ ধরনের উইকেটে খারাপ নয়। উইকেট তো দেখতেই পাচ্ছেন, বোলারদের জন্য তেমন কিছু নেই। বিকেএসপির উইকেটগুলো খুবই ব্যাটিং-সহায়ক, যেখানে পেসারদের জন্য বোলিং করাটা কঠিন। মিরপুরের উইকেটও একই রকম।
প্রশ্ন: বিপিএলের শুরুটা ভালো যায়নি, তবে শেষ দিকে দারুণ ছন্দে ফিরলেন। কোচ শন টেইটের সঙ্গে কাজ করেছেন—তিনি আপনার কোন দিকগুলো নিয়ে বেশি কাজ করেছেন?
শরীফুল: শন টেইটের সঙ্গে পরিচয় আগেই ছিল। দুই বছর আগে তিনি চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের কোচ ছিলেন। এবার চিটাগং কিংসের কোচ হিসেবে আসার পর দারুণভাবে সহায়তা করেছেন। প্রথম দুই ম্যাচ ভালো হয়নি, তখন তিনি বলেছিলেন, তুমি চোট থেকে ফিরেছ, পুরো ছন্দে আসতে সময় লাগবে। আমাকে ইতিবাচক থাকতে বলতেন, আগের ভালো পারফরম্যান্সের কথা মনে করিয়ে দিতেন। অনুশীলনে স্পট বোলিংয়ে ম্যাচের মতো পূর্ণ শক্তি ও স্কিল দিয়ে বল করার পরামর্শ দিতেন। এসব মেনে চলার চেষ্টা করেছি এবং এখনো করছি। আমাদের নাজমুল ভাইও (নাজমুল হোসেন) পাশে ছিলেন। বলের গ্রিপিং, গতি এবং সিম মুভমেন্ট নিয়ে কাজ করেছি—বিশেষ করে অফ স্টাম্পের বাইরে থেকে বল বাতাসে ঘুরিয়ে স্ট্যাম্পে আনার দক্ষতা বাড়ানোর চেষ্টা করেছি। আলহামদুলিল্লাহ, এখন এগুলো ধীরে ধীরে রপ্ত করতে পারছি, আর ম্যাচেও সেটার ফল পাচ্ছি।
প্রশ্ন: বিপিএলে আপনার পারিশ্রমিক কি পুরোপুরি পেয়েছেন?
শরীফুল: চিটাগাং কিংসের মালিক আমাদের জানিয়েছেন, বিসিবি পারিশ্রমিক দেবে। আমরাও বিসিবির কাছে খোঁজ নিয়েছি, তারা দ্রুতই জানাবে। এখনো বিসিবি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। বিপিএল শেষ হওয়ার পর ৪৫ দিনের মধ্যে পুরো পারিশ্রমিক পরিশোধের নিয়ম রয়েছে, যা কয়েক দিন আগেই পেরিয়ে গেছে। আমাদের জানানো হয়েছে, আজ-কালের মধ্যে তারা বিস্তারিত জানাবে। ঈদের ছুটি আসছে, তাই আমরা আশা করছি, ছুটির আগেই বিষয়টি পরিষ্কার হবে।
প্রশ্ন: জাতীয় দলের বাইরে আছেন। ২০২৩ সালটা দারুণ গিয়েছিল আপনার। তিন সংস্করণে মিলিয়ে নিয়েছিলেন ৫২ উইকেট। দলে ফিরতে নিজেকে কীভাবে তৈরি করছেন?
শরীফুল: হ্যাঁ, ২০২৩ সাল আমার ক্যারিয়ারের সেরা সময়গুলোর একটি ছিল। সব সময় চেষ্টা করি সে রকম পারফরম্যান্স ধরে রাখার, আরও উন্নতি করার। লক্ষ্য একটাই, ২০২৩ সালের পারফরম্যান্সের চেয়ে ভালো করা এবং জাতীয় দলে ফিরে আরও ভালো সার্ভিস দেওয়া। ইনশা আল্লাহ, কঠোর পরিশ্রম করে আরও ভালোভাবে ফিরতে পারব।
প্রশ্ন: আপনার আর নাহিদ রানার শৈশবের কোচ আলমগীর কবির। তিনি আপনাকে কীভাবে সহায়তা করেন?
শরীফুল: যখনই খারাপ সময় যায়, স্যারের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তিনি সব সময় দারুণভাবে গাইড করেন—আমাকে, নাহিদকেও। প্রত্যেক ক্রিকেটারের একজন ব্যক্তিগত কোচ থাকে, আমার ক্ষেত্রে আলমগীর স্যার সেই ব্যক্তি। আমরা নিয়মিত বোলিং নিয়ে আলোচনা করি। যখন তিনি আমার কাছে থাকেন না, তখন আমি ম্যাচের বোলিং ভিডিও পাঠাই, তাঁর পরামর্শ নিই। কাছাকাছি থাকলে তো সরাসরি গিয়ে কাজ করি। স্যার দিকনির্দেশনা দেন, কীভাবে আমার বোলিং আরও নিখুঁত করা যায়, কোন জায়গায় উন্নতি করা দরকার। ভালো সময় হোক বা খারাপ, আমি সব সময় স্যারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখি।
প্রশ্ন: একদিন নেটে নাহিদ রানার ব্যাটিংয়ের সময়ে হালকা স্লেজিং করছিলেন। নাহিদ কি ব্যাটিংয়েও আপনার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চায়?
শরীফুল: (হাসি) ছোটবেলা থেকেই নাহিদের সঙ্গে পরিচয়, ও খুব ভালো মনের একজন মানুষ। গতি আছে ওর বোলিংয়ে। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, দ্রুতগতির বোলার হয়েও নাহিদ দ্রুতগতির বল ভালোভাবে খেলতে পারে না! আমি তুলনামূলকভাবে পেস ভালো খেলতে পারি। তাই নেটে একসঙ্গে অনুশীলন করলে আমরা একে অন্যকে স্লেজিং করি, সেটা অবশ্যই মজা হিসেবেই।
প্রশ্ন: জাতীয় দলের বাইরে আছেন। এখন পেস বোলিং বিভাগে বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা। তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান সাকিব, নাহিদ রানা; এঁদের সঙ্গে লড়াইটা কেমন উপভোগ করছেন?
শরীফুল: জাতীয় দলে পেসারদের মধ্যে এই প্রতিযোগিতা থাকা খুবই দরকার। বাংলাদেশে যত বেশি পেসার তৈরি হবে, ততই আমাদের ক্রিকেটের জন্য ভালো। এতে দল গড়তে সুবিধা হবে, একজন চোট পেলে সহজেই বিকল্প পাওয়া যাবে। সবাই দলে জায়গা পেতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নিজেদের প্রস্তুত রাখবে। তাসকিন ভাই, সাকিব, নাহিদ রানাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা আছে, সেটাই স্বাভাবিক। এটাই একজন খেলোয়াড়ের জন্য চ্যালেঞ্জ এবং অনুপ্রেরণাদায়ক। ওরা দেশের হয়ে খেলছে, আমিও ফিরতে চাই। প্রতিযোগিতা যত কঠিন হবে, নিজেকে উন্নত করার তাগিদও তত বাড়বে।
প্রশ্ন: লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগ ও গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগে খেলেছেন। সামনে কি আরও কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলার সম্ভাবনা আছে?
শরীফুল: এখনো কোনো কথা হয়নি। বিসিবি আমাদের বছরে একটা ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলতে দেওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক।
প্রশ্ন: জাতীয় দলে খেলার সুবাদে অনেক গ্রেট ক্রিকেটারের সঙ্গে আপনার কথা বলার সুযোগ হয়েছে। বাঁহাতি পেসারদের মধ্যে ওয়াসিম আকরাম, চামিন্দা ভাসের মতো কিংবদন্তিদের সঙ্গে কি কখনো কথা হয়েছে? তাঁদের কাছ থেকে কোনো পরামর্শ পেয়েছেন?
শরীফুল: চামিন্দা ভাসের সঙ্গে আমার আলাপ হয়েছে। তাঁর সঙ্গে বোলিং নিয়ে কাজ হয়েছে। খুবই ভালো মনের মানুষ। বিপিএলেও আমরা একই দলে (ঢাকা ডমিনেটরস) ছিলাম। তিনি আমাকে বোলিংয়ের সমস্যা নিয়ে সহায়তা করেছেন। গ্রেট বোলারদের কাছ থেকে পরামর্শ পাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন: মোস্তাফিজুর রহমানের কাছ থেকে কি কোনো বিশেষ পরামর্শ পেয়েছেন, যা আপনার বোলিংয়ে কাজে এসেছে?
শরীফুল: মোস্তাফিজ ভাইয়ের সঙ্গে আমার সম্পর্কটা দারুণ। বোলারদের মধ্যে তিনি আমাকে সবচেয়ে বেশি গাইড করেন। কারণ, দলে আমি আর তিনি বাঁহাতি পেসার। যখন কোনো ওভারে খারাপ করি, তখন তিনি আমাকে গাইড করেন। তাঁর অনেক অভিজ্ঞতা। ভাই তো আইপিএলে খেলেছেন বেশ কয়েকবার, তাই তাঁর শেয়ার করা অভিজ্ঞতাগুলো অনেক কিছু শিখতে সহায়তা করে।
প্রশ্ন: আপনার কি কাউন্টি খেলার কোনো ইচ্ছা আছে? কোনো ক্লাবের সঙ্গে কি এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে?
শরীফুল: কাউন্টি খেলার স্বপ্ন রয়েছে। কয়েক মাস আগে ইংলিশ কাউন্টি দল এসেক্স কর্তৃপক্ষ আমার এজেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল, জানতে চেয়েছিল আসন্ন মৌসুমে আমি খেলতে পারব কি না। এখনো এসব আলোচনা চলছে। কাউন্টি খেলার ইচ্ছাটা বেশ পুরোনো। সেখানে খেলে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে চাই।
প্রশ্ন: সামনেই জিম্বাবুয়ে সিরিজ, যেখানে বাংলাদেশ ঘরের মাঠে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ শুরু করবে। সবশেষ টেস্ট সিরিজেও আপনি ছিলেন দলে। এবার বছরজুড়ে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ রয়েছে। সামনের চ্যালেঞ্জ নিয়ে কী ভাবছেন?
শরীফুল: চ্যালেঞ্জের কিছু নেই, যদি দলে সুযোগ পাই। যেখান থেকে শেষ করেছি, সেখান থেকেই আবার শুরু করতে চাই। আমাদের কাজই হলো দলকে আমার পারফরম্যান্স দিয়ে ম্যাচ জেতানো। এ বছর আমাদের অনেক খেলা। আমাদের ফিটনেস ঠিক রেখেই খেলতে হবে। আমাদের ওয়ার্ক লোডের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। ফিটনেসের কাজ আরও বেশি বেশি করতে হবে।
ক্যামেরার সামনেই স্পষ্ট হয়ে ওঠে মানোলো মারকেসের রাগ। সংবাদ সম্মেলনে এসে আর নিজেকে সামলাতে পারলেন না ভারতের কোচ। আত্মসমালোচনা তো বটেই, শিষ্যদের তুলোধুনো করার কিছুই বাকি রাখেননি তিনি।
১ ঘণ্টা আগেফিল সিমন্স বাংলাদেশের প্রধান কোচ হয়েছেন গত অক্টোবরে। তাঁর স্বল্পকালীন মেয়াদ ছিল ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পর্যন্ত। তিনি যে দীর্ঘ মেয়াদেও বাংলাদেশ দলের কোচ হচ্ছেন, সেটা অনুমিতই ছিল। আজ বিসিবি আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে, সিমন্স বাংলাদেশের প্রধান কোচ হিসেবে কাজ করবেন ২০২৭ সালের অক্টোবর-নভেম্বরে আফ্রিকা
২ ঘণ্টা আগেইফতারের পরই সাভারের কেপিজে হাসপাতাল থেকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে তামিম ইকবালকে। সন্ধ্যার কিছু পর তামিমকে হুইলচেয়ারে বের করে আনা হয় কেপিজে হাসপাতাল থেকে।
২ ঘণ্টা আগেনিয়মিত অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াকে শুরুর একাদশে রাখেননি কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। তাই অধিনায়কত্বের বাহুবন্ধনী থাকে তপু বর্মণের কাছে। কিন্তু চোটের কারণে ২১ মিনিটের বেশি খেলতে পারেননি তিনি। এরপর রহমত মিয়া থেকে ঘুরে সেটা যায় সোহেল রানার কাছেও। কিন্তু বাহুবন্ধনী যাঁর হাতেই থাকুক, সবার চোখ তো ছিল হামজা চৌধুরীর
২ ঘণ্টা আগে