প্রশ্ন: আপনার দলের বিপিএল যে ভালো যায়নি, সে তো জানাই। কিন্তু এত খারাপ ফলের ব্যাখ্যা কী?
তাসকিন আহমেদ: দলগত তো ভালো হয়নি। জিততে পারেনি, খারাপ লাগছে। যদিও আমাদের দলের কয়েকজন ভালো খেলেছে। তবে পারফরমারদের সংখ্যা কম ছিল। মূলত ব্যাটিং বিপর্যয়ের কারণে হেরেছি।
প্রশ্ন: অথচ দুজন শীর্ষ রান সংগ্রাহক আপনাদেরই দলের।
তাসকিন: দুজনই তো আছে। বাকিরা ওভাবে সাপোর্ট করতে পারেনি, বিশেষ করে মিডল অর্ডার বা ফিনিশাররা। হ্যাঁ, শরীফুল বোলার হিসেবে টপে আছে। আমি শীর্ষ পাঁচে আছি। নিজের ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স নিয়ে যদিও শতভাগ খুশি না।
প্রশ্ন: আড্ডায় বলছিলেন, টানা ১০ হার, ভুলেও তো একটা জিততে পারতাম!
তাসকিন: অনেকগুলো ম্যাচ হারের পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিল সবাই। ভাগ্যের ছোঁয়াও পাইনি। আর সবাই তো খারাপ করছেই।
প্রশ্ন: পরিসংখ্যান বলে, আপনার ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স খারাপ না হলেও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতো ভালো দলে খুব একটা খেলার সুযোগ পাননি বিপিএলে। এখানে কি নিজেকে কিছুটা দুর্ভাগা মনে হয়?
তাসকিন: সরাসরি চুক্তিতে দল পেয়েছি টানা তিন বিপিএলে। গতবার আর এবার ধরে রেখেছে। আশা করব পরেরবার যেন ভালো দলে খেলার সুযোগ হয়। আর এই দলেও যদি থাকি, চেষ্টা করব স্যারের (খালেদ মাহমুদ সুজন) সঙ্গে কথা বলে ভালো দল গড়তে।
প্রশ্ন: প্রথমবারের মতো অধিনায়কত্বের স্বাদ পেয়েছেন। কেমন উপভোগ করেছেন, কী শেখা হলে নেতৃত্ব দিয়ে?
তাসকিন: প্রথমবারের মতো করেছি, একটু নতুন অভিজ্ঞতা হয়েছে। খারাপ ছিল না। আসলে গেম অ্যাওয়ারনেস, নিজের বোলিং বাদে অনেক কিছু খেয়াল করতে হয়। দ্রুত বোলার পরিবর্তন, ওভার রেটের সীমাবদ্ধতা আছে। ভালো অভিজ্ঞতাই হয়েছে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের পেসারদের মধ্যে নেতৃত্ব দেওয়ার রীতি খুব একটা নেই। নেতৃত্বে মাশরাফি বিন মর্তুজার পর নিজেকে অধিনায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠার কোনো ভাবনা কাজ করছে?
তাসকিন: এত জলদি ম্যাশের মতো দিতে পারব কি না, বলা কঠিন। প্রথমবারের মতো করেছি, আরও কয়েকবার করলে বুঝতে পারব, আমার মধ্যে ওই সামর্থ্য আছে কি না (হাসি)। আর স্বপ্ন সবারই থাকে। আমারও আছে। ওইটা অনেক দূরের ব্যাপার। আগে ভালো খেলি, সুস্থ থাকি। পরেরটা পরে দেখা যাবে।
প্রশ্ন: কাঁধের চোট পূর্ণ সেরে না ওঠায় টেস্ট থেকে আপাতত দূরে আছেন। কেন্দ্রীয় চুক্তির টেস্ট সংস্করণে বিসিবিও আপনাকে রাখেনি।
তাসকিন: আমিই বলেছিলাম, এ মুহূর্তে টেস্ট থেকে বিরতি নিতে চাই কাঁধের চোটের কারণে। যেহেতু আমি টেস্টে নিশ্চিত না, কয়টা খেলব বা খেলব কি না, সে কারণে আমাকে চুক্তিতে রাখেনি। এটা তো ভালো সিদ্ধান্ত।
প্রশ্ন: ক্যারিয়ারের শুরুতে লাল বলের ক্রিকেটে আপনার বড় স্বপ্ন ছিল বলেই জানি।
তাসকিন: এখনো লাল বল খেলতে ভালো লাগে। তবে শারীরিকভাবে আমি ফিট না। এ সময়ে আমি যেন সাদা বলে পূর্ণ এফোর্ট দিয়ে খেলতে পারি, সে কারণে সিদ্ধান্ত নেওয়া।
প্রশ্ন: শরীর যতই সায় না দিক, টেস্ট ক্রিকেট থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত কতটা কঠিন ছিল?
তাসকিন: যখন টেস্ট চুক্তিতে নিজের নামটা দেখিনি, তখন খারাপই লেগেছে। গত তিন বছরে টেস্ট চুক্তিতে ছিলাম। আমি এই ফরম্যাট অনেক পছন্দ করি। এটা অনেক চ্যালেঞ্জিং। খারাপ লেগেছে, একই সময়ে ফিটও থাকার চেষ্টা করতে হবে।
প্রশ্ন: মোস্তাফিজের পর লাল বলে আপনার সার্ভিসও পাবে না বাংলাদেশ... (প্রশ্ন শেষ না হতেই)
তাসকিন: সতীর্থ থেকে শুরু করে কোচ—সবাই জানে, আমি যখনই খেলি, শতভাগ দিয়ে খেলার চেষ্টা করি, নিজের সেরাটা দিয়ে খেলার চেষ্টা করি। আমার যে সমস্যাটা আছে, সবাই জানে। এ কারণে বোর্ডও আমার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। কোনো কারণ ছাড়া যদি বলতাম, তাহলে তারাও আমার সঙ্গে বসত। তারা জানে, সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যেটা বললাম, টেস্ট ক্রিকেট উপভোগ করি। তবে শরীরটার কারণে একটু এই অবস্থা। আল্লাহ যদি কখনো আরও ভালো অনুভব করতে দেন, যদি ফিট হই, (টেস্টে) আবার ফিরতেও পারি।
প্রশ্ন: যে প্রশ্নটা করতে চাইছিলাম, তাসকিন-মোস্তাফিজ এমনকি ইবাদতকে টেস্ট ক্রিকেটে এখনো পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ এ বছর সর্বোচ্চ ১৪টি টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। বর্তমান পেস আক্রমণ নিয়ে আপনি কতটা আশাবাদী?
তাসকিন: যারা আছে, এদেরও সামর্থ্য আছে। সম্প্রতি নাহিদ রানাকে দেখলাম। মনে হলো ভালো প্রসপেক্ট। যারা আছে, ওরাও ভালো করবে।
প্রশ্ন: এখন ক্রিকেটে যে ব্যস্ততা; যদি ওয়ার্ক লোড আর ইনজুরি ম্যানেজমেন্টের প্রেক্ষাপট সামনে আনা হয়, যে সবচেয়ে ভালো করে, তার অতিব্যবহার হয়ে থাকে বাংলাদেশ দলে। এতে পেসারদের চোটে পড়ার ঝুঁকি আরও বাড়ে। এ বিষয়ে আপনার ভাবনাটা কী?
তাসকিন: অতিব্যবহার যে হয় না, তা নয়; হয়। কিন্তু আমাদের অপশনও কম। এ কারণে অতিব্যবহার হয়। অপশন বেশি থাকলে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেলাত।
প্রশ্ন: টেস্টে না থাকায় এখন কি মনে হয় ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে এখন আপনার সুযোগ বাড়তে পারে?
তাসকিন: যদি ফ্রি থাকি, শরীর ভালো থাকে আর বোর্ড যদি খেলতে দেয়, খেলব। সুযোগ থাকলে কেন নয়? অবশ্যই।
প্রশ্ন: এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পেসারদের বড় চ্যালেঞ্জ কী হতে পারে? যুক্তরাষ্ট্র তো একেবারে অচেনা কন্ডিশন।
তাসকিন: বিশ্বকাপ নিয়ে আমাদের দল নিয়ে প্রত্যাশা কম। আর অচেনা হলেই আমাদের ভালো। ভালো করার সম্ভাবনা বেশি থাকে। বেশি আশা করে গিয়ে ভারতে ফল খারাপ হয়ে গেছে। আমার মনে হয় এমন অচেনা কন্ডিশনেই আমরা ভালো করতে পারব।
প্রশ্ন: আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০ বছর হয়ে গেল আপনার। কীভাবে মূল্যায়ন করবেন নিজের ১০ বছরের ক্যারিয়ার?
তাসকিন: শুধু ক্রিকেট নয়, জীবন সম্পর্কে অনেক জেনেছি, বুঝেছি। আমার ইন্টারেস্টিং ক্যারিয়ার। বাদ পড়ে ভ্যানিশ হয়ে গিয়েছিলাম, আবার ফিরে এসেছি। আমি মনে করি, গত ১০ বছরের মধ্যে সবশেষ তিন বছর নিজের সেরা সময় পার করেছি। তবু মনে হয় নিজের সেরাটা দেওয়ার এখনো বাকি। এখন আমি আরও অনেক অভিজ্ঞ। আশা করি সামনের কয়েক বছরে আরও ভালো কিছু দিতে পারব।
প্রশ্ন: ক্যারিয়ার শেষে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
তাসকিন: আমি আরও দুটি বিশ্বকাপ (ওয়ানডে) খেলতে চাই। তবে এটা নির্ভর করছে নিজের ফিটনেসের ওপর। যেখানেই খেলি, একজন ফাস্ট বোলার হিসেবে কিছু মাইলফলক গড়তে চাই।
প্রশ্ন: আপনার দলের বিপিএল যে ভালো যায়নি, সে তো জানাই। কিন্তু এত খারাপ ফলের ব্যাখ্যা কী?
তাসকিন আহমেদ: দলগত তো ভালো হয়নি। জিততে পারেনি, খারাপ লাগছে। যদিও আমাদের দলের কয়েকজন ভালো খেলেছে। তবে পারফরমারদের সংখ্যা কম ছিল। মূলত ব্যাটিং বিপর্যয়ের কারণে হেরেছি।
প্রশ্ন: অথচ দুজন শীর্ষ রান সংগ্রাহক আপনাদেরই দলের।
তাসকিন: দুজনই তো আছে। বাকিরা ওভাবে সাপোর্ট করতে পারেনি, বিশেষ করে মিডল অর্ডার বা ফিনিশাররা। হ্যাঁ, শরীফুল বোলার হিসেবে টপে আছে। আমি শীর্ষ পাঁচে আছি। নিজের ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স নিয়ে যদিও শতভাগ খুশি না।
প্রশ্ন: আড্ডায় বলছিলেন, টানা ১০ হার, ভুলেও তো একটা জিততে পারতাম!
তাসকিন: অনেকগুলো ম্যাচ হারের পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিল সবাই। ভাগ্যের ছোঁয়াও পাইনি। আর সবাই তো খারাপ করছেই।
প্রশ্ন: পরিসংখ্যান বলে, আপনার ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স খারাপ না হলেও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতো ভালো দলে খুব একটা খেলার সুযোগ পাননি বিপিএলে। এখানে কি নিজেকে কিছুটা দুর্ভাগা মনে হয়?
তাসকিন: সরাসরি চুক্তিতে দল পেয়েছি টানা তিন বিপিএলে। গতবার আর এবার ধরে রেখেছে। আশা করব পরেরবার যেন ভালো দলে খেলার সুযোগ হয়। আর এই দলেও যদি থাকি, চেষ্টা করব স্যারের (খালেদ মাহমুদ সুজন) সঙ্গে কথা বলে ভালো দল গড়তে।
প্রশ্ন: প্রথমবারের মতো অধিনায়কত্বের স্বাদ পেয়েছেন। কেমন উপভোগ করেছেন, কী শেখা হলে নেতৃত্ব দিয়ে?
তাসকিন: প্রথমবারের মতো করেছি, একটু নতুন অভিজ্ঞতা হয়েছে। খারাপ ছিল না। আসলে গেম অ্যাওয়ারনেস, নিজের বোলিং বাদে অনেক কিছু খেয়াল করতে হয়। দ্রুত বোলার পরিবর্তন, ওভার রেটের সীমাবদ্ধতা আছে। ভালো অভিজ্ঞতাই হয়েছে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের পেসারদের মধ্যে নেতৃত্ব দেওয়ার রীতি খুব একটা নেই। নেতৃত্বে মাশরাফি বিন মর্তুজার পর নিজেকে অধিনায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠার কোনো ভাবনা কাজ করছে?
তাসকিন: এত জলদি ম্যাশের মতো দিতে পারব কি না, বলা কঠিন। প্রথমবারের মতো করেছি, আরও কয়েকবার করলে বুঝতে পারব, আমার মধ্যে ওই সামর্থ্য আছে কি না (হাসি)। আর স্বপ্ন সবারই থাকে। আমারও আছে। ওইটা অনেক দূরের ব্যাপার। আগে ভালো খেলি, সুস্থ থাকি। পরেরটা পরে দেখা যাবে।
প্রশ্ন: কাঁধের চোট পূর্ণ সেরে না ওঠায় টেস্ট থেকে আপাতত দূরে আছেন। কেন্দ্রীয় চুক্তির টেস্ট সংস্করণে বিসিবিও আপনাকে রাখেনি।
তাসকিন: আমিই বলেছিলাম, এ মুহূর্তে টেস্ট থেকে বিরতি নিতে চাই কাঁধের চোটের কারণে। যেহেতু আমি টেস্টে নিশ্চিত না, কয়টা খেলব বা খেলব কি না, সে কারণে আমাকে চুক্তিতে রাখেনি। এটা তো ভালো সিদ্ধান্ত।
প্রশ্ন: ক্যারিয়ারের শুরুতে লাল বলের ক্রিকেটে আপনার বড় স্বপ্ন ছিল বলেই জানি।
তাসকিন: এখনো লাল বল খেলতে ভালো লাগে। তবে শারীরিকভাবে আমি ফিট না। এ সময়ে আমি যেন সাদা বলে পূর্ণ এফোর্ট দিয়ে খেলতে পারি, সে কারণে সিদ্ধান্ত নেওয়া।
প্রশ্ন: শরীর যতই সায় না দিক, টেস্ট ক্রিকেট থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত কতটা কঠিন ছিল?
তাসকিন: যখন টেস্ট চুক্তিতে নিজের নামটা দেখিনি, তখন খারাপই লেগেছে। গত তিন বছরে টেস্ট চুক্তিতে ছিলাম। আমি এই ফরম্যাট অনেক পছন্দ করি। এটা অনেক চ্যালেঞ্জিং। খারাপ লেগেছে, একই সময়ে ফিটও থাকার চেষ্টা করতে হবে।
প্রশ্ন: মোস্তাফিজের পর লাল বলে আপনার সার্ভিসও পাবে না বাংলাদেশ... (প্রশ্ন শেষ না হতেই)
তাসকিন: সতীর্থ থেকে শুরু করে কোচ—সবাই জানে, আমি যখনই খেলি, শতভাগ দিয়ে খেলার চেষ্টা করি, নিজের সেরাটা দিয়ে খেলার চেষ্টা করি। আমার যে সমস্যাটা আছে, সবাই জানে। এ কারণে বোর্ডও আমার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। কোনো কারণ ছাড়া যদি বলতাম, তাহলে তারাও আমার সঙ্গে বসত। তারা জানে, সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যেটা বললাম, টেস্ট ক্রিকেট উপভোগ করি। তবে শরীরটার কারণে একটু এই অবস্থা। আল্লাহ যদি কখনো আরও ভালো অনুভব করতে দেন, যদি ফিট হই, (টেস্টে) আবার ফিরতেও পারি।
প্রশ্ন: যে প্রশ্নটা করতে চাইছিলাম, তাসকিন-মোস্তাফিজ এমনকি ইবাদতকে টেস্ট ক্রিকেটে এখনো পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ এ বছর সর্বোচ্চ ১৪টি টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। বর্তমান পেস আক্রমণ নিয়ে আপনি কতটা আশাবাদী?
তাসকিন: যারা আছে, এদেরও সামর্থ্য আছে। সম্প্রতি নাহিদ রানাকে দেখলাম। মনে হলো ভালো প্রসপেক্ট। যারা আছে, ওরাও ভালো করবে।
প্রশ্ন: এখন ক্রিকেটে যে ব্যস্ততা; যদি ওয়ার্ক লোড আর ইনজুরি ম্যানেজমেন্টের প্রেক্ষাপট সামনে আনা হয়, যে সবচেয়ে ভালো করে, তার অতিব্যবহার হয়ে থাকে বাংলাদেশ দলে। এতে পেসারদের চোটে পড়ার ঝুঁকি আরও বাড়ে। এ বিষয়ে আপনার ভাবনাটা কী?
তাসকিন: অতিব্যবহার যে হয় না, তা নয়; হয়। কিন্তু আমাদের অপশনও কম। এ কারণে অতিব্যবহার হয়। অপশন বেশি থাকলে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেলাত।
প্রশ্ন: টেস্টে না থাকায় এখন কি মনে হয় ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে এখন আপনার সুযোগ বাড়তে পারে?
তাসকিন: যদি ফ্রি থাকি, শরীর ভালো থাকে আর বোর্ড যদি খেলতে দেয়, খেলব। সুযোগ থাকলে কেন নয়? অবশ্যই।
প্রশ্ন: এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পেসারদের বড় চ্যালেঞ্জ কী হতে পারে? যুক্তরাষ্ট্র তো একেবারে অচেনা কন্ডিশন।
তাসকিন: বিশ্বকাপ নিয়ে আমাদের দল নিয়ে প্রত্যাশা কম। আর অচেনা হলেই আমাদের ভালো। ভালো করার সম্ভাবনা বেশি থাকে। বেশি আশা করে গিয়ে ভারতে ফল খারাপ হয়ে গেছে। আমার মনে হয় এমন অচেনা কন্ডিশনেই আমরা ভালো করতে পারব।
প্রশ্ন: আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০ বছর হয়ে গেল আপনার। কীভাবে মূল্যায়ন করবেন নিজের ১০ বছরের ক্যারিয়ার?
তাসকিন: শুধু ক্রিকেট নয়, জীবন সম্পর্কে অনেক জেনেছি, বুঝেছি। আমার ইন্টারেস্টিং ক্যারিয়ার। বাদ পড়ে ভ্যানিশ হয়ে গিয়েছিলাম, আবার ফিরে এসেছি। আমি মনে করি, গত ১০ বছরের মধ্যে সবশেষ তিন বছর নিজের সেরা সময় পার করেছি। তবু মনে হয় নিজের সেরাটা দেওয়ার এখনো বাকি। এখন আমি আরও অনেক অভিজ্ঞ। আশা করি সামনের কয়েক বছরে আরও ভালো কিছু দিতে পারব।
প্রশ্ন: ক্যারিয়ার শেষে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
তাসকিন: আমি আরও দুটি বিশ্বকাপ (ওয়ানডে) খেলতে চাই। তবে এটা নির্ভর করছে নিজের ফিটনেসের ওপর। যেখানেই খেলি, একজন ফাস্ট বোলার হিসেবে কিছু মাইলফলক গড়তে চাই।
‘তোরা সব জয়ধ্বনি কর’—সময় এখন সাবিনাদের জয়ধ্বনি করার। দেশের অন্যান্য খেলায় যখন হার আর হার, যখন হতাশার সাগরে ভাসছে ক্রিকেটও। তখন মেয়েদের ফুটবল ভেসেছে সাফল্যের উচ্ছ্বাসে।
৮ ঘণ্টা আগেকাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালায় আজ বাংলাদেশ নেমেছিল শিরোপা ধরে রাখার অভিযানে। নেপালের জন্য সেটা ছিল ‘প্রতিশোধের’ মিশন। রঙ্গশালায় শেষ হাসি হেসেছে সাবিনা খাতুনের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। নারী সাফের দ্বিতীয় শিরোপা বাংলাদেশের ভক্ত-সমর্থকদের উৎসর্গ করতে চায় বাংলাদেশ।
১০ ঘণ্টা আগেদায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বহু বাধা। কখনো দল নির্বাচন নিয়ে তৃতীয় কারও বাগড়া, কখনো ড্রেসিংরুমে অশান্তির আগুন। মুখ বুঝেই সব সয়েছেন বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের কোচ পিটার বাটলার। শেষ পর্যন্ত গতকাল সাবিনারা ট্রফি হাতে নেওয়ার পরই বলে দিলেন গুডবাই। যদিও এই ইংলিশ কোচের সঙ্গে বাফুফের চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে ৩১ ডিসেম
১০ ঘণ্টা আগেদুই বছর পর সেই কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালায় উড়ল বাংলাদেশের পতাকা। আবারও নেপালকে হারিয়ে শিরোপা ধরে রাখল বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। গতবারের মতো এবারও সাবিনা খাতুনদের বাংলাদেশ দলকে বরণ করা হবে ছাদখোলা বাসে।
১১ ঘণ্টা আগে