ক্রীড়া ডেস্ক
বাউন্ডারি মেরেই অস্ট্রেলিয়াকে শিরোপা জয়ের আনন্দে ভাসাতে চেয়েছিলেন ট্রাভিস হেড। মোহাম্মদ সিরাজের শর্ট বলকে সেভাবেই পুল করেন হেড। কিন্তু টাইমিংয়ে গড়বড় হয়ে বল চলে যায় ডিপ মিড উইকেটে দাঁড়িয়ে থাকা শুবমান গিলের হাতে। তারপরও আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামের গ্যালারি, ভারতীয় ক্রিকেটার-কারোরই ছিল না কোনো উচ্ছ্বাস। কারণ অস্ট্রেলিয়া ততক্ষণে শিরোপায় এক হাত রেখেই ফেলেছে। বরং হেড ফাইনালে তাঁর দুর্দান্ত ইনিংসের জন্য প্রশংসা পেয়েছেন বিরাট কোহলি, লোকেশ রাহুলদের থেকে।
হেডের সেঞ্চুরিতে এক যুগ পর ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনালে সেঞ্চুরি দেখেছে ক্রিকেট বিশ্ব। অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি ব্যাটারের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি। সেঞ্চুরির পর ইনিংস লম্বা করেছেন। ১২০ বলে ১৫ চার ও ৪ ছক্কায় ১৩৭ রানের ইনিংসে হয়েছেন ম্যাচসেরা। হেডের তুলনায় মারনাস লাবুশেন খেলেছেন একটু রয়েসয়ে। ১১০ বলে ৪ চারে ৫৮ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন লাবুশেন। অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে বিশ্বকাপের ষষ্ঠ শিরোপা জয়ে তাঁর এই ধীরস্থির ব্যাটিংয়েরও অবদান রয়েছে। ২৪১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে হবে ভারতীয় বোলারদের তোপের মুখে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। ৪৭ রান তুলতে হারিয়ে ফেলে ৩ উইকেট। ডেভিড ওয়ার্নার, মিচেল মার্শ, স্টিভ স্মিথ-৩টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট অস্ট্রেলিয়া হারিয়েছিল প্রথম ১০ ওভারের মধ্যেই। মোহাম্মদ শামি, জসপ্রীত বুমরা, রবীন্দ্র জাদেজা, কুলদীপ যাদবদের খেলতেও কিছুটা সমস্যা হচ্ছিল হেড ও লাবুশেনের। ধীরে ধীরে তাঁরা (হেড ও লাবুশেন) উইকেটের সঙ্গে মানিয়ে নিতে থাকেন। চতুর্থ উইকেটে হেড-লাবুশেনের ২১৫ বলে ১৯২ রানের জুটিতে ভারত শিরোপা থেকে অনেক দূরে ছিটকে পড়ে।
১৯ নভেম্বর ২০২৩ দিনটিকে হেড, লাবুশেন চাইলে ক্যালেন্ডারের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে মার্ক করে রাখতেই পারেন। আজীবন গল্প করার মতোই যে কাজ তাঁরা গতকাল আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে করে রেখেছেন। তবে ফাইনালে হেড-লাবুশেন দুজনের কারও হয়তো থাকা হতো না। বিশ্বকাপের ছয় সপ্তাহ আগে হাতে চোট পান হেড। অস্ট্রেলিয়া তাঁর জন্য অপেক্ষা করেছে শেষ পর্যন্ত। প্রথম ম্যাচ নামার আগে হেড ব্যাটিং অনুশীলন করেছিলেন ২০ মিনিট। হেড তো প্রথম পাঁচ ম্যাচ খেলেননি। পরে ৭৫ শতাংশ সুস্থ হাত নিয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেন বিশ্বকাপ ক্যারিয়ারের প্রথম ম্যাচ। ৫৯ বলে সেঞ্চুরি করে হেড দেখিয়েছিলেন, কেন তাঁকে পেতে অতটা মরিয়া ছিল অস্ট্রেলিয়া।
লাবুশেনের অবশ্য দলেই থাকার কথা ছিল না। বিশ্বকাপের আগে দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে কনকাশন সাব হয়ে নেমে দারুণ এক ইনিংসে বিশ্বকাপে জায়গা করে নেন। পুরো বিশ্বকাপে যে খুব বেশি কিছু করতে পেরেছেন তাও নয়। গতকাল ফাইনালের আগ পর্যন্ত ৯ ইনিংসে ৩৩.৭৮ গড়ে করেন ৩০৪ রান। এমনকি তাঁকে না নিয়ে স্টয়নিসকে নেওয়ার একটা চাপও ছিল। সেরাটা যে ফাইনালের জন্য জমিয়ে রেখেছিলেন লাবুশেন, তা হয়তো না বললেও চলছে। জীবনে হয়তো ভাগ্যের দরকার আছে। তবে শুধু ভাগ্য থাকলেই হয় না, হেড বা লাবুশেনের মতো সেটা কাজে লাগাতেও জানতে হয়। অস্ট্রেলিয়া টিম ম্যানেজম্যান্ট কতটা যে নিশ্চিত ছিল হেড-লাবুশেনকে নিয়ে, তা অকল্পনীয়। বিশেষ করে হেডকে নিয়ে, চোট থাকার পরও তাঁকে বিশ্বকাপে নিয়েছে।
টিম ম্যানেজমেন্টের আস্থার প্রতিদান হেড এবারের বিশ্বকাপে দারুণভাবে দিয়েছেন। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি তাঁর সেমিফাইনালে দুর্দান্ত বোলিং। একই সঙ্গে তাঁর দুর্দান্ত ফিল্ডিংও। গতকাল ফাইনালে কাভার থেকে উল্টো দিকে দৌড়ে রোহিত শর্মার ক্যাচটা হেড যেভাবে তালুবন্দী করেছেন, তা সত্যিই অসাধারণ। কারণ ভারতীয় অধিনায়ক সুযোগ পেলে কতটা ভয়ংকর হয়ে ওঠেন, তা তো কারও অজানা নয়। কে বলতে পারে, বেঁচে বিধ্বংসী শুরু করা রোহিত সে যাত্রায় বেঁচে গিয়ে অসাধারণ কোনো ইনিংস খেলে ফেলতেই পারতেন। তখন হয়তো দৃশ্যপট অন্যরকম হতেই পারত।
বাউন্ডারি মেরেই অস্ট্রেলিয়াকে শিরোপা জয়ের আনন্দে ভাসাতে চেয়েছিলেন ট্রাভিস হেড। মোহাম্মদ সিরাজের শর্ট বলকে সেভাবেই পুল করেন হেড। কিন্তু টাইমিংয়ে গড়বড় হয়ে বল চলে যায় ডিপ মিড উইকেটে দাঁড়িয়ে থাকা শুবমান গিলের হাতে। তারপরও আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামের গ্যালারি, ভারতীয় ক্রিকেটার-কারোরই ছিল না কোনো উচ্ছ্বাস। কারণ অস্ট্রেলিয়া ততক্ষণে শিরোপায় এক হাত রেখেই ফেলেছে। বরং হেড ফাইনালে তাঁর দুর্দান্ত ইনিংসের জন্য প্রশংসা পেয়েছেন বিরাট কোহলি, লোকেশ রাহুলদের থেকে।
হেডের সেঞ্চুরিতে এক যুগ পর ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনালে সেঞ্চুরি দেখেছে ক্রিকেট বিশ্ব। অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি ব্যাটারের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি। সেঞ্চুরির পর ইনিংস লম্বা করেছেন। ১২০ বলে ১৫ চার ও ৪ ছক্কায় ১৩৭ রানের ইনিংসে হয়েছেন ম্যাচসেরা। হেডের তুলনায় মারনাস লাবুশেন খেলেছেন একটু রয়েসয়ে। ১১০ বলে ৪ চারে ৫৮ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন লাবুশেন। অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে বিশ্বকাপের ষষ্ঠ শিরোপা জয়ে তাঁর এই ধীরস্থির ব্যাটিংয়েরও অবদান রয়েছে। ২৪১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে হবে ভারতীয় বোলারদের তোপের মুখে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। ৪৭ রান তুলতে হারিয়ে ফেলে ৩ উইকেট। ডেভিড ওয়ার্নার, মিচেল মার্শ, স্টিভ স্মিথ-৩টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট অস্ট্রেলিয়া হারিয়েছিল প্রথম ১০ ওভারের মধ্যেই। মোহাম্মদ শামি, জসপ্রীত বুমরা, রবীন্দ্র জাদেজা, কুলদীপ যাদবদের খেলতেও কিছুটা সমস্যা হচ্ছিল হেড ও লাবুশেনের। ধীরে ধীরে তাঁরা (হেড ও লাবুশেন) উইকেটের সঙ্গে মানিয়ে নিতে থাকেন। চতুর্থ উইকেটে হেড-লাবুশেনের ২১৫ বলে ১৯২ রানের জুটিতে ভারত শিরোপা থেকে অনেক দূরে ছিটকে পড়ে।
১৯ নভেম্বর ২০২৩ দিনটিকে হেড, লাবুশেন চাইলে ক্যালেন্ডারের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে মার্ক করে রাখতেই পারেন। আজীবন গল্প করার মতোই যে কাজ তাঁরা গতকাল আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে করে রেখেছেন। তবে ফাইনালে হেড-লাবুশেন দুজনের কারও হয়তো থাকা হতো না। বিশ্বকাপের ছয় সপ্তাহ আগে হাতে চোট পান হেড। অস্ট্রেলিয়া তাঁর জন্য অপেক্ষা করেছে শেষ পর্যন্ত। প্রথম ম্যাচ নামার আগে হেড ব্যাটিং অনুশীলন করেছিলেন ২০ মিনিট। হেড তো প্রথম পাঁচ ম্যাচ খেলেননি। পরে ৭৫ শতাংশ সুস্থ হাত নিয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেন বিশ্বকাপ ক্যারিয়ারের প্রথম ম্যাচ। ৫৯ বলে সেঞ্চুরি করে হেড দেখিয়েছিলেন, কেন তাঁকে পেতে অতটা মরিয়া ছিল অস্ট্রেলিয়া।
লাবুশেনের অবশ্য দলেই থাকার কথা ছিল না। বিশ্বকাপের আগে দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে কনকাশন সাব হয়ে নেমে দারুণ এক ইনিংসে বিশ্বকাপে জায়গা করে নেন। পুরো বিশ্বকাপে যে খুব বেশি কিছু করতে পেরেছেন তাও নয়। গতকাল ফাইনালের আগ পর্যন্ত ৯ ইনিংসে ৩৩.৭৮ গড়ে করেন ৩০৪ রান। এমনকি তাঁকে না নিয়ে স্টয়নিসকে নেওয়ার একটা চাপও ছিল। সেরাটা যে ফাইনালের জন্য জমিয়ে রেখেছিলেন লাবুশেন, তা হয়তো না বললেও চলছে। জীবনে হয়তো ভাগ্যের দরকার আছে। তবে শুধু ভাগ্য থাকলেই হয় না, হেড বা লাবুশেনের মতো সেটা কাজে লাগাতেও জানতে হয়। অস্ট্রেলিয়া টিম ম্যানেজম্যান্ট কতটা যে নিশ্চিত ছিল হেড-লাবুশেনকে নিয়ে, তা অকল্পনীয়। বিশেষ করে হেডকে নিয়ে, চোট থাকার পরও তাঁকে বিশ্বকাপে নিয়েছে।
টিম ম্যানেজমেন্টের আস্থার প্রতিদান হেড এবারের বিশ্বকাপে দারুণভাবে দিয়েছেন। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি তাঁর সেমিফাইনালে দুর্দান্ত বোলিং। একই সঙ্গে তাঁর দুর্দান্ত ফিল্ডিংও। গতকাল ফাইনালে কাভার থেকে উল্টো দিকে দৌড়ে রোহিত শর্মার ক্যাচটা হেড যেভাবে তালুবন্দী করেছেন, তা সত্যিই অসাধারণ। কারণ ভারতীয় অধিনায়ক সুযোগ পেলে কতটা ভয়ংকর হয়ে ওঠেন, তা তো কারও অজানা নয়। কে বলতে পারে, বেঁচে বিধ্বংসী শুরু করা রোহিত সে যাত্রায় বেঁচে গিয়ে অসাধারণ কোনো ইনিংস খেলে ফেলতেই পারতেন। তখন হয়তো দৃশ্যপট অন্যরকম হতেই পারত।
‘তোরা সব জয়ধ্বনি কর’—সময় এখন সাবিনাদের জয়ধ্বনি করার। দেশের অন্যান্য খেলায় যখন হার আর হার, যখন হতাশার সাগরে ভাসছে ক্রিকেটও। তখন মেয়েদের ফুটবল ভেসেছে সাফল্যের উচ্ছ্বাসে।
৯ ঘণ্টা আগেকাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালায় আজ বাংলাদেশ নেমেছিল শিরোপা ধরে রাখার অভিযানে। নেপালের জন্য সেটা ছিল ‘প্রতিশোধের’ মিশন। রঙ্গশালায় শেষ হাসি হেসেছে সাবিনা খাতুনের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। নারী সাফের দ্বিতীয় শিরোপা বাংলাদেশের ভক্ত-সমর্থকদের উৎসর্গ করতে চায় বাংলাদেশ।
১০ ঘণ্টা আগেদায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বহু বাধা। কখনো দল নির্বাচন নিয়ে তৃতীয় কারও বাগড়া, কখনো ড্রেসিংরুমে অশান্তির আগুন। মুখ বুঝেই সব সয়েছেন বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের কোচ পিটার বাটলার। শেষ পর্যন্ত গতকাল সাবিনারা ট্রফি হাতে নেওয়ার পরই বলে দিলেন গুডবাই। যদিও এই ইংলিশ কোচের সঙ্গে বাফুফের চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে ৩১ ডিসেম
১১ ঘণ্টা আগেদুই বছর পর সেই কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালায় উড়ল বাংলাদেশের পতাকা। আবারও নেপালকে হারিয়ে শিরোপা ধরে রাখল বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। গতবারের মতো এবারও সাবিনা খাতুনদের বাংলাদেশ দলকে বরণ করা হবে ছাদখোলা বাসে।
১১ ঘণ্টা আগে