ব্যাটারদের ব্যর্থতার দিনে রূপালী ব্যাংকের মুক্তা রবীন্দ্র মাগরে খেলেছেন ম্যাচ সেরা ইনিংস। অলিখিত ফাইনালে লড়াইটা হয়েছে মূলত মোহামেডান ও রূপালী ব্যাংকের বোলারদের মধ্যে। কিন্তু ফিফটি হাঁকিয়ে পার্থক্য গড়ে দেন মহারাষ্ট্র থেকে আসা মুক্তা। পাশাপাশি বোলারদের সমন্বিত পারফরম্যান্সে মোহামেডানকে ৫৩ রানে হারিয়ে মেয়েদের প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের (ডিপিএল) ২০২২-২৩ মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন হলো রূপালী ব্যাংক।

ডিপিএলে রূপালি ব্যাংকের এটি দ্বিতীয় শিরোপা। এর আগে ২০১৫-১৬ মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তারা। বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে আজ লড়াইয়ে নামার আগে, দুই দলের সমীকরণ ছিল–ডিপিএলের সাত ম্যাচ পর্যন্ত দুই দলের মধ্যে মাত্র ১ পয়েন্টের ব্যবধান ছিল। শেষ রাউন্ডে যে দল জিতবে সে দলই চ্যাম্পিয়ন হবে। রোমাঞ্চের মাত্রা বেশি ছাড়ায়, সূচি অনুযায়ী শেষ রাউন্ডের ম্যাচটি দুই দলের মধ্যেই পড়েছিল। যার ফলে সেটি হয়ে ওঠে অলিখিত ফাইনালে।

বৃষ্টির প্রভাবে দুই ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছিল রূপালি ব্যাংকের। অন্য সব ম্যাচেই জয় পেয়েছিল নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। মোহামেডানের একটি ম্যাচ কেড়ে নিয়েছিল বৃষ্টি আর ফাইনাল ছাড়া সব ম্যাচেই জয় পেয়েছিলেন সালমা খাতুনরা। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে টস জিতে রূপালী ব্যাংকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় মোহামেডান।

সালমা ও খাদিজাতুল কুবরার স্পিনে ৪৮.২ ওভারে ১৯৬ রানেই গুটিয়ে যায় রূপালী ব্যাংক। ওপেনার ফারজানা আক্তার লিসা ৩৫ রানের ইনিংস খেললেও জ্যোতি, ফারজানা হক পিংকি ও রিতু মণিকে দ্রুত ফিরিয়ে রূপালী ব্যাংককে চাপে ফেলে দেন খাদিজা। তবে মুক্তা ও তাজিয়া আক্তারের দৃঢ়তায় স্কোরটা ২০০-এর কাছে পৌঁছায় তাদের।

ষষ্ঠ উইকেটে মুক্ত ও তাজিয়া গড়েন ৮৪ রানের জুটি। ৯০ বলে ৬৯ রানে অপরাজিত থাকেন মুক্তা। ৩৬ রান আসে তাজিয়ার ব্যাট থেকে। মোহামেডানের হয়ে খাদিজা ৪৫ রান দিয়ে চারটি এবং সালমা ২৭ রান দিয়ে নেন তিন উইকেট।

১৯৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ৪৪.২ ওভারে ১৪৩ রানে সব উইকেট হারায় মোহামেডান। রূপালী ব্যাংকের হয়ে বোলিং করেন আট বোলার। রিতু মণি তিনটি ও দীপা খাতুন নেন দুটি উইকেট। মিডল অর্ডারে আয়েশা রহমান ৪৬, ওপেনার জেসিয়া ১৯ ও অধিনায়ক সালমা করেন ১৯ রান। কিন্তু অন্য ব্যাটারদের ব্যর্থতায় তা দলকে লক্ষ্যে পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারেনি।