উপল বড়ুয়া, ঢাকা
বছরখানেক আগেও ওয়ানডে ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে কম কথা হয়নি। টি-টোয়েন্টির সর্বগ্রাসিতার যুগে এক দিনের ক্রিকেটকে নিয়ে শঙ্কা জাগবে, সেটিই স্বাভাবিক। কিন্তু ঐতিহ্য ও ইতিহাসের বইয়ে ধুলো জমলেও যে তা কালের সাক্ষী! এত আলোচনা ও ব্যস্ত সূচির ফাঁকে গত কয়েক বছরে ক্রিকেট নবরূপেও হাজির হয়নি? দুনিয়াজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের আধিপত্যের মধ্যেও ফুরিয়ে যায়নি টেস্ট ও ওয়ানডের আবেদন। আর কে না জানে, ক্রিকেটের আসল বিশ্বকাপটি ৫০ ওভারের।
চার বছরের অপেক্ষা শেষে ভারতের ১০ ভেন্যুতে ১০ দল নিয়ে আজ শুরু এই আসল বিশ্বকাপ। গত বিশ্বকাপে লর্ডসের ফাইনালে ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ডের ম্যাচটি যেখানে শেষ হয়েছিল, শুরুটাও হচ্ছে সেখান থেকে। তবে আহমেদাবাদে উদ্বোধনী ম্যাচে কিউইরা পাচ্ছে না কেন উইলিয়ামসনকে। পুরোপুরি সুস্থ না হলেও অধিনায়ককে দলে রেখেছে নিউজিল্যান্ড। অভিজ্ঞতার মূল্যটা দিতে জানে তারা। চোটে থাকলেও কেনের সমান সর্বোচ্চ চার বিশ্বকাপ খেলা পেসার টিম সাউদিকেও রেখেছে স্কোয়াডে।
তবে এবার মুছবে তো কিউইদের চোখের জল? ক্রিকেটে কুলীন হলেও গত দুই বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেও শিরোপার স্বাদ পাওয়া হয়নি তাদের। তাদের চেয়ে আর এতবার হৃদয় ভেঙেছেই-বা কাদের? ক্রিকেটের সবচেয়ে দুঃখী দলের তালিকা করলে কিউইদের পাশে থাকবে দক্ষিণ আফ্রিকাও। ফাইনাল কখনো খেলেনি ঠিক, তবে পরাক্রমশালী দল হলেও ‘চোকার’ নামের প্রমাণ দিতে যেন বড় মঞ্চে উঠেপড়ে লাগে প্রোটিয়ারা। জ্যাক ক্যালিস, এবি ডি ভিলিয়ার্সের মতো কিংবদিন্তরা ক্রিকেটকেই বিদায় জানিয়েছিলেন ফাইনালে খেলতে না পারার দুঃখ নিয়ে।
তবে নিউজিল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা ধৈর্যের শিক্ষা নিতে পারে ইংলিশদের কাছ থেকে। ‘ক্রিকেটের জনক’দের বিশ্বকাপ জিততেই যে লাগল ৪৪ বছর! তার আগে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইংলিশদের সামনে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কবিতার মতো বিশ্বকাপে ‘লাঠি-লজেন্স দেখিয়ে দেখিয়ে চুষেছে লস্করবাড়ির ছেলেরা’। সেই ‘লস্কর’ আর কেউ নয়, অস্ট্রেলিয়া। একসময় নির্বাসিত ডাকু-আসামিদের বসতি হয়ে ওঠা অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে সফল দল। এবার কি ফুটবলে ব্রাজিলের মতো এই চিরহলুদেরও ‘হেক্সা’ মিশন ইম্পসিবল থেকে যাবে, নাকি প্যাট কামিন্সরা ভারত মহাসাগর পাড়ি দেবেন হাসতে হাসতে?
এমন অনেক প্রশ্নের উত্তর মিলবে প্রায় দেড় মাসের যুদ্ধ শেষে। বিশ্বকাপে আসলে ফেবারিট বেছে নেওয়া মুশকিল। তার পরও সাবেক ক্রিকেটার, ধারাভাষ্যকারেরা এমন জ্যোতিষচর্চাই করেন—অমুক অমুক ফাইনাল খেলবে। চ্যাম্পিয়ন হবে অমুক দল। সম্ভাব্য ফাইনালিস্ট হিসেবে সবচেয়ে বেশি শোনা গেছে স্বাগতিক ভারত ও ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের নাম। আর সম্ভাব্য সেমিফাইনালিস্ট ইংল্যান্ড, ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তান।
তবে অঘটন ঘটতেই-বা কতক্ষণ! বিশ্বকাপ বলেই সেটি আরও বেশি করে ভাবাচ্ছে। সরাসরি বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়া বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান যে কারও মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠতে পারে। তেমনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো দুবারের চ্যাম্পিয়নদের দর্শক বানিয়ে ১২ বছর পর বিশ্বকাপ খেলতে আসা নেদারল্যান্ডসও চমকে দিতে পারে নিজেদের দিনে। টানা দুই এশিয়া কাপের ফাইনালে শ্রীলঙ্কা যতই সোনালি সময় হারিয়ে ধুঁকতে থাকুক না কেন, কোনো সময় ফেবারিটের তালিকায় না থাকলেও বিশ্বকাপে এলে পুরোপুরি পাল্টে যায় তারা।
এশীয়ই হোক কিংবা অএশীয়—ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল চান না এমন ক্রিকেটপ্রেমী নেই বললেই চলে। শুরুতে না যাওয়ার হুমকি-ধমকির পর ভিসা জটিলতা কাটিয়ে প্রায় সাত বছর পর পাশের দেশে আতিথেয়তা নিচ্ছেন পাকিস্তানিরা। তবে ভারতের মাটিতে ওয়ানডে খেলার অভিজ্ঞতা নেই বাবর আজমদের কারও। ঘরের মাটিতে ভারত সব সময় শক্তিশালী। মাহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে ২০১১ সালে ওয়াংখেড়েতে বিশ্বকাপ জিতে সেটি আরেকবার প্রমাণ করেছিল তাঁরা। এবার রোহিত শর্মা কি পারবেন ভারতের এক দশক ধরে কোনো আইসিসি শিরোপা না জেতার দুঃখ গোছাতে। ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ রাঙাতে পারবেন তো আধুনিক ক্রিকেটের দুই বরপুত্র বিরাট কোহলি ও সাকিব আল হাসান? শিরোপার সঙ্গে সর্বোচ্চ রানে একজন আরেকজনকে টপকে যাওয়ার যুদ্ধটাও যে হবে তাঁদের মধ্যে।
এই লড়াইয়ে চ্যাম্পিয়ন যে-ই হোক, সত্যিকারে জয়ী হতে হবে ওয়ানডে ক্রিকেটের! ধুন্ধুমার টি-টোয়েন্টির আমলে ওয়ানডের অস্তিস্ত্ব টিকিয়ে রাখতে হলে দারুণ একটা টুর্নামেন্ট হওয়া চাই-ই চাই।
বছরখানেক আগেও ওয়ানডে ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে কম কথা হয়নি। টি-টোয়েন্টির সর্বগ্রাসিতার যুগে এক দিনের ক্রিকেটকে নিয়ে শঙ্কা জাগবে, সেটিই স্বাভাবিক। কিন্তু ঐতিহ্য ও ইতিহাসের বইয়ে ধুলো জমলেও যে তা কালের সাক্ষী! এত আলোচনা ও ব্যস্ত সূচির ফাঁকে গত কয়েক বছরে ক্রিকেট নবরূপেও হাজির হয়নি? দুনিয়াজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের আধিপত্যের মধ্যেও ফুরিয়ে যায়নি টেস্ট ও ওয়ানডের আবেদন। আর কে না জানে, ক্রিকেটের আসল বিশ্বকাপটি ৫০ ওভারের।
চার বছরের অপেক্ষা শেষে ভারতের ১০ ভেন্যুতে ১০ দল নিয়ে আজ শুরু এই আসল বিশ্বকাপ। গত বিশ্বকাপে লর্ডসের ফাইনালে ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ডের ম্যাচটি যেখানে শেষ হয়েছিল, শুরুটাও হচ্ছে সেখান থেকে। তবে আহমেদাবাদে উদ্বোধনী ম্যাচে কিউইরা পাচ্ছে না কেন উইলিয়ামসনকে। পুরোপুরি সুস্থ না হলেও অধিনায়ককে দলে রেখেছে নিউজিল্যান্ড। অভিজ্ঞতার মূল্যটা দিতে জানে তারা। চোটে থাকলেও কেনের সমান সর্বোচ্চ চার বিশ্বকাপ খেলা পেসার টিম সাউদিকেও রেখেছে স্কোয়াডে।
তবে এবার মুছবে তো কিউইদের চোখের জল? ক্রিকেটে কুলীন হলেও গত দুই বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেও শিরোপার স্বাদ পাওয়া হয়নি তাদের। তাদের চেয়ে আর এতবার হৃদয় ভেঙেছেই-বা কাদের? ক্রিকেটের সবচেয়ে দুঃখী দলের তালিকা করলে কিউইদের পাশে থাকবে দক্ষিণ আফ্রিকাও। ফাইনাল কখনো খেলেনি ঠিক, তবে পরাক্রমশালী দল হলেও ‘চোকার’ নামের প্রমাণ দিতে যেন বড় মঞ্চে উঠেপড়ে লাগে প্রোটিয়ারা। জ্যাক ক্যালিস, এবি ডি ভিলিয়ার্সের মতো কিংবদিন্তরা ক্রিকেটকেই বিদায় জানিয়েছিলেন ফাইনালে খেলতে না পারার দুঃখ নিয়ে।
তবে নিউজিল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা ধৈর্যের শিক্ষা নিতে পারে ইংলিশদের কাছ থেকে। ‘ক্রিকেটের জনক’দের বিশ্বকাপ জিততেই যে লাগল ৪৪ বছর! তার আগে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইংলিশদের সামনে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কবিতার মতো বিশ্বকাপে ‘লাঠি-লজেন্স দেখিয়ে দেখিয়ে চুষেছে লস্করবাড়ির ছেলেরা’। সেই ‘লস্কর’ আর কেউ নয়, অস্ট্রেলিয়া। একসময় নির্বাসিত ডাকু-আসামিদের বসতি হয়ে ওঠা অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে সফল দল। এবার কি ফুটবলে ব্রাজিলের মতো এই চিরহলুদেরও ‘হেক্সা’ মিশন ইম্পসিবল থেকে যাবে, নাকি প্যাট কামিন্সরা ভারত মহাসাগর পাড়ি দেবেন হাসতে হাসতে?
এমন অনেক প্রশ্নের উত্তর মিলবে প্রায় দেড় মাসের যুদ্ধ শেষে। বিশ্বকাপে আসলে ফেবারিট বেছে নেওয়া মুশকিল। তার পরও সাবেক ক্রিকেটার, ধারাভাষ্যকারেরা এমন জ্যোতিষচর্চাই করেন—অমুক অমুক ফাইনাল খেলবে। চ্যাম্পিয়ন হবে অমুক দল। সম্ভাব্য ফাইনালিস্ট হিসেবে সবচেয়ে বেশি শোনা গেছে স্বাগতিক ভারত ও ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের নাম। আর সম্ভাব্য সেমিফাইনালিস্ট ইংল্যান্ড, ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তান।
তবে অঘটন ঘটতেই-বা কতক্ষণ! বিশ্বকাপ বলেই সেটি আরও বেশি করে ভাবাচ্ছে। সরাসরি বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়া বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান যে কারও মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠতে পারে। তেমনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো দুবারের চ্যাম্পিয়নদের দর্শক বানিয়ে ১২ বছর পর বিশ্বকাপ খেলতে আসা নেদারল্যান্ডসও চমকে দিতে পারে নিজেদের দিনে। টানা দুই এশিয়া কাপের ফাইনালে শ্রীলঙ্কা যতই সোনালি সময় হারিয়ে ধুঁকতে থাকুক না কেন, কোনো সময় ফেবারিটের তালিকায় না থাকলেও বিশ্বকাপে এলে পুরোপুরি পাল্টে যায় তারা।
এশীয়ই হোক কিংবা অএশীয়—ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল চান না এমন ক্রিকেটপ্রেমী নেই বললেই চলে। শুরুতে না যাওয়ার হুমকি-ধমকির পর ভিসা জটিলতা কাটিয়ে প্রায় সাত বছর পর পাশের দেশে আতিথেয়তা নিচ্ছেন পাকিস্তানিরা। তবে ভারতের মাটিতে ওয়ানডে খেলার অভিজ্ঞতা নেই বাবর আজমদের কারও। ঘরের মাটিতে ভারত সব সময় শক্তিশালী। মাহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে ২০১১ সালে ওয়াংখেড়েতে বিশ্বকাপ জিতে সেটি আরেকবার প্রমাণ করেছিল তাঁরা। এবার রোহিত শর্মা কি পারবেন ভারতের এক দশক ধরে কোনো আইসিসি শিরোপা না জেতার দুঃখ গোছাতে। ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ রাঙাতে পারবেন তো আধুনিক ক্রিকেটের দুই বরপুত্র বিরাট কোহলি ও সাকিব আল হাসান? শিরোপার সঙ্গে সর্বোচ্চ রানে একজন আরেকজনকে টপকে যাওয়ার যুদ্ধটাও যে হবে তাঁদের মধ্যে।
এই লড়াইয়ে চ্যাম্পিয়ন যে-ই হোক, সত্যিকারে জয়ী হতে হবে ওয়ানডে ক্রিকেটের! ধুন্ধুমার টি-টোয়েন্টির আমলে ওয়ানডের অস্তিস্ত্ব টিকিয়ে রাখতে হলে দারুণ একটা টুর্নামেন্ট হওয়া চাই-ই চাই।
শিরোপার সুবাস আগেই পাচ্ছিল সিলেট। অপেক্ষা ছিল শুধু সময়ের অপেক্ষা। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আজ তারা শিরোপার স্বাদ পেল প্রথম সেশনেই। ন্যাশনাল ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) ইতিহাসে এটা প্রথম শিরোপা।
৪২ মিনিট আগেমোস্তাফিজুর রহমান-রিশাদ হোসেন গতকাল আইপিএলের নিলামে উঠলেও আগ্রহ দেখায়নি কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি। শুধু তাঁরাই নন, দল পাননি নিলামে নাম তোলা বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটারই।
২ ঘণ্টা আগেকথায় আছে, ‘ওয়াইন যত পুরোনো হয়, তার স্বাদ তত ভালো হয়’। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো যেন সেই পুরোনো ওয়াইন। যতই বয়স হচ্ছে, বাড়ছে স্বাদ। এ মৌসুমেই দেখুন না হলে! সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে করেছেন ১৮ গোল ও ৪ অ্যাসিস্ট।
৫ ঘণ্টা আগেদেশের ফুটবলে ২০১৩ সালে আগমন বসুন্ধরা কিংসের। সে হিসাবে ক্লাবটির বয়স খুব বেশি নয়। তবে এই সময়ের মধ্যে প্রিমিয়ার লিগে রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে দলটি। তাদের উত্থানে পেছনে চলে যায় একসময় দাপট দেখানো ঐতিহ্যবাহী
৬ ঘণ্টা আগে