এবারের প্রিমিয়ার লিগ চিনিয়েছে যাঁদের

নিজস্ব প্রতিবেদক
Thumbnail image

ঢাকা: অনূর্ধ্ব–১৯ বিশ্বকাপেই নিজেকে চিনিয়েছিলেন মাহমুদুল হাসান জয়। ২০২০ যুব বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করে বাংলাদেশকে ফাইনালে তুলেছিলেন তিনি। এরপর ভারতকে কাঁপিয়ে আকবর আলীদের বিশ্বজয়।

বড় মঞ্চে আলো ছড়ানোর পর হঠাৎ হারিয়ে যাওয়ার উদাহরণ এ দেশের ক্রিকেটে কম নেই। মাহমুদুল যে সঠিক কক্ষপথেই আছেন, তারই প্রমাণ যেন এই ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল)। সাকিব–তামিম–মুশফিকদের ছাপিয়ে লিগে মাহমুদুল দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক। ১২ ইনিংসে ৪৩.৫৫ গড়ে করেছেন ৩৯২ রান।

শুধু মাহমুদুল হাসান নয়, চমক দেখিয়েছেন যুব বিশ্বকাপে তাঁর সতীর্থ শামীম হোসেনও। ডিপিএলে নিজেকে আরও ভালোভাবে চিনিয়ে ২০ বছরের তরুণ প্রথমবারের মতো জায়গা করে নিয়েছেন বাংলাদেশ টি–টোয়েন্টি দলে। শামীমকে নিয়ে গত সাত–আট মাস ধরে অনেক আলোচনা। পেশিশক্তির জোরে বল সীমানার বাইরে ফেলার সামর্থ্যে তকমা পেয়ে গেছেন ‘হিটম্যান’ হিসেবে! চিতাবাঘের মতো ক্ষিপ্রগতির ফিল্ডিং তো তাঁর আছেই। সঙ্গে বাড়তি পাওনা শামীমের অফ স্পিন। বিসিবির প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন কদিন আগে বলেছেন, ‘ফিনিশিং’ সামর্থ্যের কারণেই শামীমকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

ধারাবাহিক ভালো করেছেন মাহমুদুল হাসান জয়মুনীম শাহরিয়ার, মিজানুর রহমান, হাসানুজ্জামান, ইমরান উজ্জামানও আলো ছড়িয়েছেন প্রিমিয়ার লিগে। বোলিংয়ে ধারাবাহিক ভালো করেছেন তানভীর ইসলাম, রাকিবুল হাসান আর তানজিম হাসান সাকিব। বিশেষ করে মুনীম শাহরিয়ার—বড় শট খেলতে পারেন, আছে লম্বা ইনিংস খেলার সামর্থ্যও। ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে ভবিষ্যতে দেশের ক্রিকেটে বড় সম্পদ হতে পারেন এই তরুণও। দেশের দ্বিতীয় দ্রুততম টি–টোয়েন্টি সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছেন হাসানুজ্জামান।

দীর্ঘদিন সীমিত ওভারের ক্রিকেটে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে কোনো বাঁহাতি স্পিনার জুটি গড়তে পারছেন না। এমন ঘোর আঁধারে আশার আলো দেখাচ্ছেন তানভীর ইসলাম ও রাকিবুল হাসান। ১১ ম্যাচে ২০ উইকেট নিয়েছেন তানভীর। টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটে শাইনপুকুরের এই স্পিনারের ইকোনমি রেট খুবই আকর্ষণীয়—৪.৭৯। উইকেট সংখ্যায় তানভীরের চেয়ে কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও (১৬) রাকিব ব্যাটসম্যানদের কঠিন পরীক্ষায় ফেলছেন নিয়মিত। গতি আর আগ্রাসনে নজর কেড়েছেন অনূর্ধ্ব–১৯ বিশ্বকাপজয়ী পেসার তানজিম হাসান সাকিব। নতুন মুখ না হলেও এবার ডিপিএলে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে চিনিয়েছেন অন্যভাবে। ১৬ ম্যাচে ২৬ উইকেট নিয়ে হয়েছেন টুর্নামেন্টের সেরা উইকেটশিকারি।

আলো ছড়িয়েছেন, এখন পথ না হারিয়ে ফেলাটাই হবে শামীম–জয়দের বড় চ্যালেঞ্জ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত