নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চোখ ফেললেই এখনো বিশ্বকাপের আমেজ টের পাওয়া যাচ্ছে। সুপার টুয়েলভ পর্বের শেষ দিনের একদিন আগেও যে সেরা চারের লাইনআপ ঠিক হয়নি! এসব আমেজে কতটা গা ভাসাতে পারল বাংলাদেশ? এই মুহূর্তে প্রশ্নটা বাতুলতা ছাড়াই কিছুই না। সবার আগে সবার চেয়ে বাজেভাবে টুর্নামেন্টকে বিদায় বলে এসেছে বাংলাদেশ।
মাঠে বিশ্লেষণ অযোগ্য পারফরম্যান্সের মতো মাঠের বাইরেও বিশ্লেষণ অযোগ্যভাবে এরই মধ্যে সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ। এ জন্য কোনো ট্রফির ব্যবস্থা থাকলে কোনো সমীকরণ ছাড়াই সেটা বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়া যেত। সাকিব-মাহমুদ-উল্লাহদের আসল বিশ্বকাপ মিশন শেষ হয়েছে গত বুধবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। তবে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের পর থেকে কথার আগুনে একে অপরকে ঝলসে দেওয়ার যে খেলা শুরু হয়েছিল, সেটা নিভে এলেও, ধ্বংসাবশেষ এখনো রয়ে গেছে।
নিজেদের বিশ্বকাপ মিশন শেষ হতে না হতেই শুরু হয়ে গেছে বোর্ডের ‘তাৎক্ষণিক বুঝ’ দেওয়ার রীতি। ধ্বংসাবশেষ রয়ে যাওয়ার এই অংশে বরাবরের মতো লক্ষ্যবস্তু খেলোয়াড়েরা। বোর্ডের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না এলেও খেলোয়াড়রাই যে বলির পাঁঠা হচ্ছেন, এই আশঙ্কার কথা আগেই জানিয়েছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। সর্বশেষ গত বছর শেষবার জাতীয় দলের জার্সি গায়ে পরেছিলেন মাশরাফি। এর পর থেকেই বোর্ডের বিরুদ্ধে উচ্চকণ্ঠ হতে দেখা গেছে তাঁকে।
খেলোয়াড়ি জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে মাশরাফি নিজের আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন এভাবে, ‘অতীত অভিজ্ঞতা থেকে বলে দেওয়া যায়, সামনে কী হবে। হয়তো কাউকে বাদ দেওয়া হবে, কারও ওপর অদৃশ্য রাগ ঝাড়া হবে, রিয়াদকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দায় এড়ানোর চেষ্টা করা হবে। সমর্থকেরা যে ক্রিকেটারকে পছন্দ করছে না, তার ওপর ঝাল মিটিয়ে সমর্থকদের শান্ত করা হবে।’ মাশরাফির আগাম জানিয়ে দেওয়া পথেই যে বোর্ড এগোচ্ছে, গত দুই দিনে সেটারই ইঙ্গিত মিলেছে।
মাশরাফির মতো আশঙ্কা নয়, বোর্ডের সমালোচনায় সবাইকে টেক্কা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাংসদ সাবের হোসেন চৌধুরী। হাঁটি হাঁটি পা পা থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেটকে ক্রিকেটের কুলীন জগতের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার পথটার সারথি ছিলেন সাবেক এই বোর্ড সভাপতি। গত নয় বছর নাজমুল হাসান পাপনের নেতৃত্বাধীন বোর্ডের বিরুদ্ধে সরব ছিল তাঁর কণ্ঠ। বিশ্বকাপের মঞ্চে দলের এভাবে অতলে তলিয়ে যাওয়াটা অনেকের মতো তিনিও মেনে নিতে পারেননি। ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেছেন, ‘জনাব পাপনের অধীনে বাংলাদেশ এই নিয়ে ৪টি বিশ্বকাপ খেলে ফেলল। পারফরম্যান্স খারাপ থেকে খারাপতম হয়েছে। সবচেয়ে বেশি সময় কাটানো সভাপতি সবচেয়ে অযোগ্যও।’
জয়ের ভাগ সবার, পরাজয়ের গ্লানি শুধুই খেলোয়াড়দের—বাংলাদেশ ক্রিকেট এই চেনা পথে হাঁটছে বহুদিন। এই কথাটা আরেকবার মনে করিয়ে দিয়েছেন সাবের হোসেন, ‘অন্যের ওপর দোষ চাপাতে চাপাতে তিনি (পাপন) আমাদের ক্রিকেটকে মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছেন। এটা দুঃখজনক যে, আমাদের একটা নির্লজ্জ ক্রিকেট বোর্ড আছে।’
বাংলাদেশ দলের মলিন পারফরম্যান্সে হতাশা ছুঁয়ে গেছে নাসের হুসেন-হার্শা ভোগলেদের মতো জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকরদেরও। তাঁরা বোর্ডের দিকে তীর না ছুড়লেও, কোনো রাখঢাক না রেখেই সেটি করেছেন ওয়াসিম আকরাম। পাকিস্তানের এই কিংবদন্তি ক্রিকেটার বোর্ডের সঙ্গে সমালোচনার তীরে বিদ্ধ করেছেন দর্শকদের, ‘বাংলাদেশের দর্শক, এমনকি ক্রিকেট বোর্ড পর্যন্ত মনে করে, তারা সবাই একেকজন বিশেষজ্ঞ। আমি বলব, আপনারা উদ্ভট। আপনারা ক্রিকেট চালাতে পারেন, কিন্তু ক্রিকেটে বিশেষজ্ঞ হতে পারেন না। আপনাদের বোর্ডে বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দিতে হবে, শুধু কোচ নিয়োগ দিলেই চলবে না।’
সব মিলিয়ে একটু ঘুরিয়ে আপনি সেই কথাটা বলতেই পারেন, উদ্ভট উটের পিঠে চলছে বাংলাদেশের ক্রিকেট।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চোখ ফেললেই এখনো বিশ্বকাপের আমেজ টের পাওয়া যাচ্ছে। সুপার টুয়েলভ পর্বের শেষ দিনের একদিন আগেও যে সেরা চারের লাইনআপ ঠিক হয়নি! এসব আমেজে কতটা গা ভাসাতে পারল বাংলাদেশ? এই মুহূর্তে প্রশ্নটা বাতুলতা ছাড়াই কিছুই না। সবার আগে সবার চেয়ে বাজেভাবে টুর্নামেন্টকে বিদায় বলে এসেছে বাংলাদেশ।
মাঠে বিশ্লেষণ অযোগ্য পারফরম্যান্সের মতো মাঠের বাইরেও বিশ্লেষণ অযোগ্যভাবে এরই মধ্যে সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ। এ জন্য কোনো ট্রফির ব্যবস্থা থাকলে কোনো সমীকরণ ছাড়াই সেটা বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়া যেত। সাকিব-মাহমুদ-উল্লাহদের আসল বিশ্বকাপ মিশন শেষ হয়েছে গত বুধবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। তবে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের পর থেকে কথার আগুনে একে অপরকে ঝলসে দেওয়ার যে খেলা শুরু হয়েছিল, সেটা নিভে এলেও, ধ্বংসাবশেষ এখনো রয়ে গেছে।
নিজেদের বিশ্বকাপ মিশন শেষ হতে না হতেই শুরু হয়ে গেছে বোর্ডের ‘তাৎক্ষণিক বুঝ’ দেওয়ার রীতি। ধ্বংসাবশেষ রয়ে যাওয়ার এই অংশে বরাবরের মতো লক্ষ্যবস্তু খেলোয়াড়েরা। বোর্ডের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না এলেও খেলোয়াড়রাই যে বলির পাঁঠা হচ্ছেন, এই আশঙ্কার কথা আগেই জানিয়েছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। সর্বশেষ গত বছর শেষবার জাতীয় দলের জার্সি গায়ে পরেছিলেন মাশরাফি। এর পর থেকেই বোর্ডের বিরুদ্ধে উচ্চকণ্ঠ হতে দেখা গেছে তাঁকে।
খেলোয়াড়ি জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে মাশরাফি নিজের আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন এভাবে, ‘অতীত অভিজ্ঞতা থেকে বলে দেওয়া যায়, সামনে কী হবে। হয়তো কাউকে বাদ দেওয়া হবে, কারও ওপর অদৃশ্য রাগ ঝাড়া হবে, রিয়াদকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দায় এড়ানোর চেষ্টা করা হবে। সমর্থকেরা যে ক্রিকেটারকে পছন্দ করছে না, তার ওপর ঝাল মিটিয়ে সমর্থকদের শান্ত করা হবে।’ মাশরাফির আগাম জানিয়ে দেওয়া পথেই যে বোর্ড এগোচ্ছে, গত দুই দিনে সেটারই ইঙ্গিত মিলেছে।
মাশরাফির মতো আশঙ্কা নয়, বোর্ডের সমালোচনায় সবাইকে টেক্কা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাংসদ সাবের হোসেন চৌধুরী। হাঁটি হাঁটি পা পা থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেটকে ক্রিকেটের কুলীন জগতের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার পথটার সারথি ছিলেন সাবেক এই বোর্ড সভাপতি। গত নয় বছর নাজমুল হাসান পাপনের নেতৃত্বাধীন বোর্ডের বিরুদ্ধে সরব ছিল তাঁর কণ্ঠ। বিশ্বকাপের মঞ্চে দলের এভাবে অতলে তলিয়ে যাওয়াটা অনেকের মতো তিনিও মেনে নিতে পারেননি। ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেছেন, ‘জনাব পাপনের অধীনে বাংলাদেশ এই নিয়ে ৪টি বিশ্বকাপ খেলে ফেলল। পারফরম্যান্স খারাপ থেকে খারাপতম হয়েছে। সবচেয়ে বেশি সময় কাটানো সভাপতি সবচেয়ে অযোগ্যও।’
জয়ের ভাগ সবার, পরাজয়ের গ্লানি শুধুই খেলোয়াড়দের—বাংলাদেশ ক্রিকেট এই চেনা পথে হাঁটছে বহুদিন। এই কথাটা আরেকবার মনে করিয়ে দিয়েছেন সাবের হোসেন, ‘অন্যের ওপর দোষ চাপাতে চাপাতে তিনি (পাপন) আমাদের ক্রিকেটকে মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছেন। এটা দুঃখজনক যে, আমাদের একটা নির্লজ্জ ক্রিকেট বোর্ড আছে।’
বাংলাদেশ দলের মলিন পারফরম্যান্সে হতাশা ছুঁয়ে গেছে নাসের হুসেন-হার্শা ভোগলেদের মতো জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকরদেরও। তাঁরা বোর্ডের দিকে তীর না ছুড়লেও, কোনো রাখঢাক না রেখেই সেটি করেছেন ওয়াসিম আকরাম। পাকিস্তানের এই কিংবদন্তি ক্রিকেটার বোর্ডের সঙ্গে সমালোচনার তীরে বিদ্ধ করেছেন দর্শকদের, ‘বাংলাদেশের দর্শক, এমনকি ক্রিকেট বোর্ড পর্যন্ত মনে করে, তারা সবাই একেকজন বিশেষজ্ঞ। আমি বলব, আপনারা উদ্ভট। আপনারা ক্রিকেট চালাতে পারেন, কিন্তু ক্রিকেটে বিশেষজ্ঞ হতে পারেন না। আপনাদের বোর্ডে বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দিতে হবে, শুধু কোচ নিয়োগ দিলেই চলবে না।’
সব মিলিয়ে একটু ঘুরিয়ে আপনি সেই কথাটা বলতেই পারেন, উদ্ভট উটের পিঠে চলছে বাংলাদেশের ক্রিকেট।
২০২৪-২৫ মৌসুমের আবুধাবি টি-টেন বাংলা টাইগার্স শুরু করেছিল জোড়া হারে। সেখান থেকে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বাধীন টাইগার্স। মরুর দেশে টানা দুই ম্যাচ সাকিবরা জিতলেন হেসেখেলে।
৫ ঘণ্টা আগেখেলা, ক্রিকেট, বাংলাদেশ ক্রিকেট, টেস্ট ক্রিকেট, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট
৬ ঘণ্টা আগেঅ্যান্টিগায় বাংলাদেশের বোলাররা তো চেষ্টার ত্রুটি রাখেননি। তাসকিন আহমেদ, মেহেদী হাসান মিরাজদের বোলিংয়ে একটু হলেও চাপে পড়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটাররা। কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাটিং-বোলিং দুটিই একসঙ্গে ‘ক্লিক’ খুব কম সময়েই করে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে হতাশ করেছেন
৬ ঘণ্টা আগেঅ্যান্টিগা টেস্টে ১৮১ রানে পিছিয়ে থেকেও গতকাল ৯ উইকেটে ২৬৯ রানে ইনিংস ঘোষণা করে দেয় বাংলাদেশ দল। তারপরই অনেক আলোচনা-সমালোচনা টিম ম্যানেজমেন্টের এই সিদ্ধান্তে। তাসকিন আহমেদ ১১ ও শরীফুল ইসলাম ছিলেন ৫ রানে অপরাজিত। অনেকেই মনে করেছেন, বাংলাদেশ শেষ উইকেটে হয়তো আরও কিছু রান যোগও করতে পারত।
৭ ঘণ্টা আগে