প্রশ্ন: কদিন ধরে হোটেলবন্দী, সময় কীভাবে কাটছে?
মুমিনুল হক: সেই কোয়ারেন্টিনের মতো লাগছে।
প্রশ্ন: কোয়ারেন্টিনের সময়ে তো ইন্টারনেট ছিল!
মুমিনুল: এই আড্ডা-গল্পে সময় পার। যে যেভাবে সময়টা ব্যবহার করতে পারে আরকি! ভালোভাবে করতে পারলে ভালো...।
প্রশ্ন: প্রস্তুতিতেও একটু বিরতি পড়ল।
মুমিনুল: (গত পরশু যখন কথা হচ্ছিল) প্রস্তুতি এখন মাথায়। (হেসে) সব কি আর মাথায় রেখে হয়? প্রস্তুতি আমরা আগে থেকেই শুরু করেছিলাম। চার-পাঁচ দিন ধরে বন্ধ, প্রস্তুতি ম্যাচ একটা বাতিল হলো।
প্রশ্ন: জনজীবন ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। আপনারাও আবার আগের কার্যক্রমে ফিরবেন। চার মাস পর আপনিও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরবেন। বছরের বাকি পাঁচ মাসে ৬টা টেস্ট। চ্যালেঞ্জ যেমন আছে, টেস্টে নিজেদের একটু ওপরে নেওয়ারও বড় সুযোগ কি না?
মুমিনুল: অনেক টেস্ট আছে, অনেক প্রত্যাশা কইরেন না। বাংলাদেশ যত বছর ক্রিকেট খেলেছে বা খেলবে, আন্ডারডগ হয়ে খেলবে।
প্রশ্ন: আন্ডারডগ হয়ে!
মুমিনুল: তাই তো মনে হচ্ছে! যখন মানুষ বেশি প্রত্যাশা করে, তখন এত বাজে খেলে দল! যখন প্রত্যাশা করে না, তখন ভালো খেলে।
প্রশ্ন: এখন আপনাদের নিয়ে কেমন প্রত্যাশা হওয়া উচিত?
মুমিনুল: জানি না।
প্রশ্ন: এ বছর বাকি সময়ে বেশির ভাগই অ্যাওয়ে টেস্ট সিরিজ। কোন সিরিজটা বেশি কঠিন মনে হয়?
মুমিনুল: টেস্টে সব প্রতিপক্ষই কঠিন। আমাদের সামনে যে চারটা সিরিজ আছে, তিন রকম বলে খেলা। একেকটা একেক ধরনের চ্যালেঞ্জ। পাকিস্তানে খেলব কোকাবুরায়। ভারতে এসজি বলে। বাংলাদেশে (দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে) আবার কোকাবুরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজে ডিউক বলে। ডিউক বলে সুইং বেশি; নতুন বলের চেয়ে পুরোনো বলে বেশি সুইং। এসজি বল অনেকটা এক, তবে কিছুটা বাউন্স বেশি। কোকাবুরাতে সিম হয়, রিভার্স হয় বেশি। ডিউক বলে রিভার্স না, সুইং বেশি। এসজিতে টার্ন করে, সোজাও যায়। ডিউক বলে সোজা যায়, টার্ন করে আবার বল লাফও দেয়। বল পুরোনো হলে স্পিনাররা বেশি সুবিধা পায় এসজিতে। বলের আকার কিছুটা ছোট থাকায় স্পিনাররা ভালোভাবে ধরতে পারে, টার্নও পায় দারুণ।
প্রশ্ন: আগস্টে পাকিস্তান সফর, ওখানে রানের উইকেট বলেই জানি।
মুমিনুল: সবাই বলছে...কিন্তু রানের উইকেট হলেই তো হয় না। অনেক চ্যালেঞ্জ থাকে। রিভার্স, বাউন্সারের চ্যালেঞ্জ থাকে। ওদের ফাস্ট বোলিং আক্রমণ অনেক ভালো। ও ধরনের উইকেটে ৩০০ রান করলেও সেফ না। ৪০০–৫০০–৫৫০ রান করতে হয়। পাঁচ দিনে অন্তত আড়াই দিন আপনাকে দাপট দেখিয়ে খেলতে হবে। তাহলে ম্যাচটা আপনার পক্ষে থাকবে। একেকটা সিরিজ একেক ধরনের চ্যালেঞ্জ। টেস্ট ক্রিকেটে সব প্রতিপক্ষের সঙ্গে খেলাই চ্যালেঞ্জিং। এখানে কাউকে সহজ প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখা যায় না।
প্রশ্ন: কদিন আগে নাজমুল হোসেন শান্ত বলেছেন, রিশাদ হোসেন এখনই টেস্টের জন্য তৈরি নন। এটা কি একজন তরুণ ব্যাটারের জন্যও প্রযোজ্য নয়? কিংবা বাংলাদেশ ক্রিকেটে কি সব জায়গায় এই তত্ত্বের প্রয়োগ ঘটে?
মুমিনুল: প্রশ্নটা নিজেকেই করেন না! তাহলেই উত্তর পেয়ে যাবেন।
প্রশ্ন: এই যে একজন খেলোয়াড়কে তৈরি করা, সময় নিয়ে পরিচর্যা করা—এই সময় কি পর্যাপ্ত দেওয়া হয় বাংলাদেশে?
মুমিনুল: সময় তো দেনই না... (সংবাদমাধ্যমের) প্রশ্নটা এখন করাই তো ঠিক না যে রিশাদকে টেস্ট খেলাবেন কি না। সে মাত্র খেলা শুরু করেছে। বিশ্বকাপ ভালো খেলেছে। ও যত ভালো খেলবে, তত চ্যালেঞ্জ আসবে। আসামাত্রই টেস্ট ক্রিকেট খেলিয়ে দেওয়া...২০ ওভারের ক্রিকেটের চ্যালেঞ্জ আর টেস্ট ক্রিকেটের চ্যালেঞ্জ এক হলো? টি-টোয়েন্টিতে যে কড়া ফিল্ডিং সম্ভব, টেস্টে তা করা যায়? টেস্টে সারা দিন ভালো খেলতে হয়। আমরা কোনো কিছু গভীরভাবে চিন্তা করি না বলেই আমাদের ক্রিকেট এত পিছিয়ে।
প্রশ্ন: আপনার ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স প্রসঙ্গে আসি। সবশেষ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চার ইনিংসে করলেন ৫, ৮৭*, ৩৩ ও ৫০। সেট হয়েছেন, একটাতে শেষ পর্যন্ত অপরাজিতও ছিলেন। তবে সুন্দর একটার ইনিংসে পরিণতি বা আপনার মতো টপ অর্ডার ব্যাটারের কাছে আরও লম্বা ইনিংস কি পাওনা নয়?
মুমিনুল: সিলেট টেস্টে তো শেষ পর্যন্ত খেললাম (দ্বিতীয় ইনিংসে)। হ্যাঁ, চট্টগ্রামে যেটা ৫০ করেছি, ওটা ১৫০–২০০ করা উচিত ছিল। আমি যদি ১৫০ রানও করতাম, টেস্টই জিতে যেতাম (৫১১ রানের লক্ষ্য ছিল)। উইকেট ফ্ল্যাট ছিল। সিলেটের উইকেটটা চ্যালেঞ্জিং ছিল। টেস্টে ৫০০ রান না করলে জেতা কঠিন। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স নয়, আমাকে দলকে এগিয়ে নিতে হবে।
প্রশ্ন: ইম্প্যাক্টফুল ইনিংস খেলার কথাই তো বলছেন?
মুমিনুল: টেস্টে ওপরের ব্যাটারদের কাছ থেকে ১৫০-২০০-২৫০-৩০০ রান না এলে খুব একটা ইম্প্যাক্ট পড়ে না আসলে। ওয়ানডেতেই এখন ডাবল সেঞ্চুরি হয়ে যায়!
প্রশ্ন: কদিন ধরে হোটেলবন্দী, সময় কীভাবে কাটছে?
মুমিনুল হক: সেই কোয়ারেন্টিনের মতো লাগছে।
প্রশ্ন: কোয়ারেন্টিনের সময়ে তো ইন্টারনেট ছিল!
মুমিনুল: এই আড্ডা-গল্পে সময় পার। যে যেভাবে সময়টা ব্যবহার করতে পারে আরকি! ভালোভাবে করতে পারলে ভালো...।
প্রশ্ন: প্রস্তুতিতেও একটু বিরতি পড়ল।
মুমিনুল: (গত পরশু যখন কথা হচ্ছিল) প্রস্তুতি এখন মাথায়। (হেসে) সব কি আর মাথায় রেখে হয়? প্রস্তুতি আমরা আগে থেকেই শুরু করেছিলাম। চার-পাঁচ দিন ধরে বন্ধ, প্রস্তুতি ম্যাচ একটা বাতিল হলো।
প্রশ্ন: জনজীবন ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। আপনারাও আবার আগের কার্যক্রমে ফিরবেন। চার মাস পর আপনিও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরবেন। বছরের বাকি পাঁচ মাসে ৬টা টেস্ট। চ্যালেঞ্জ যেমন আছে, টেস্টে নিজেদের একটু ওপরে নেওয়ারও বড় সুযোগ কি না?
মুমিনুল: অনেক টেস্ট আছে, অনেক প্রত্যাশা কইরেন না। বাংলাদেশ যত বছর ক্রিকেট খেলেছে বা খেলবে, আন্ডারডগ হয়ে খেলবে।
প্রশ্ন: আন্ডারডগ হয়ে!
মুমিনুল: তাই তো মনে হচ্ছে! যখন মানুষ বেশি প্রত্যাশা করে, তখন এত বাজে খেলে দল! যখন প্রত্যাশা করে না, তখন ভালো খেলে।
প্রশ্ন: এখন আপনাদের নিয়ে কেমন প্রত্যাশা হওয়া উচিত?
মুমিনুল: জানি না।
প্রশ্ন: এ বছর বাকি সময়ে বেশির ভাগই অ্যাওয়ে টেস্ট সিরিজ। কোন সিরিজটা বেশি কঠিন মনে হয়?
মুমিনুল: টেস্টে সব প্রতিপক্ষই কঠিন। আমাদের সামনে যে চারটা সিরিজ আছে, তিন রকম বলে খেলা। একেকটা একেক ধরনের চ্যালেঞ্জ। পাকিস্তানে খেলব কোকাবুরায়। ভারতে এসজি বলে। বাংলাদেশে (দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে) আবার কোকাবুরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজে ডিউক বলে। ডিউক বলে সুইং বেশি; নতুন বলের চেয়ে পুরোনো বলে বেশি সুইং। এসজি বল অনেকটা এক, তবে কিছুটা বাউন্স বেশি। কোকাবুরাতে সিম হয়, রিভার্স হয় বেশি। ডিউক বলে রিভার্স না, সুইং বেশি। এসজিতে টার্ন করে, সোজাও যায়। ডিউক বলে সোজা যায়, টার্ন করে আবার বল লাফও দেয়। বল পুরোনো হলে স্পিনাররা বেশি সুবিধা পায় এসজিতে। বলের আকার কিছুটা ছোট থাকায় স্পিনাররা ভালোভাবে ধরতে পারে, টার্নও পায় দারুণ।
প্রশ্ন: আগস্টে পাকিস্তান সফর, ওখানে রানের উইকেট বলেই জানি।
মুমিনুল: সবাই বলছে...কিন্তু রানের উইকেট হলেই তো হয় না। অনেক চ্যালেঞ্জ থাকে। রিভার্স, বাউন্সারের চ্যালেঞ্জ থাকে। ওদের ফাস্ট বোলিং আক্রমণ অনেক ভালো। ও ধরনের উইকেটে ৩০০ রান করলেও সেফ না। ৪০০–৫০০–৫৫০ রান করতে হয়। পাঁচ দিনে অন্তত আড়াই দিন আপনাকে দাপট দেখিয়ে খেলতে হবে। তাহলে ম্যাচটা আপনার পক্ষে থাকবে। একেকটা সিরিজ একেক ধরনের চ্যালেঞ্জ। টেস্ট ক্রিকেটে সব প্রতিপক্ষের সঙ্গে খেলাই চ্যালেঞ্জিং। এখানে কাউকে সহজ প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখা যায় না।
প্রশ্ন: কদিন আগে নাজমুল হোসেন শান্ত বলেছেন, রিশাদ হোসেন এখনই টেস্টের জন্য তৈরি নন। এটা কি একজন তরুণ ব্যাটারের জন্যও প্রযোজ্য নয়? কিংবা বাংলাদেশ ক্রিকেটে কি সব জায়গায় এই তত্ত্বের প্রয়োগ ঘটে?
মুমিনুল: প্রশ্নটা নিজেকেই করেন না! তাহলেই উত্তর পেয়ে যাবেন।
প্রশ্ন: এই যে একজন খেলোয়াড়কে তৈরি করা, সময় নিয়ে পরিচর্যা করা—এই সময় কি পর্যাপ্ত দেওয়া হয় বাংলাদেশে?
মুমিনুল: সময় তো দেনই না... (সংবাদমাধ্যমের) প্রশ্নটা এখন করাই তো ঠিক না যে রিশাদকে টেস্ট খেলাবেন কি না। সে মাত্র খেলা শুরু করেছে। বিশ্বকাপ ভালো খেলেছে। ও যত ভালো খেলবে, তত চ্যালেঞ্জ আসবে। আসামাত্রই টেস্ট ক্রিকেট খেলিয়ে দেওয়া...২০ ওভারের ক্রিকেটের চ্যালেঞ্জ আর টেস্ট ক্রিকেটের চ্যালেঞ্জ এক হলো? টি-টোয়েন্টিতে যে কড়া ফিল্ডিং সম্ভব, টেস্টে তা করা যায়? টেস্টে সারা দিন ভালো খেলতে হয়। আমরা কোনো কিছু গভীরভাবে চিন্তা করি না বলেই আমাদের ক্রিকেট এত পিছিয়ে।
প্রশ্ন: আপনার ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স প্রসঙ্গে আসি। সবশেষ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চার ইনিংসে করলেন ৫, ৮৭*, ৩৩ ও ৫০। সেট হয়েছেন, একটাতে শেষ পর্যন্ত অপরাজিতও ছিলেন। তবে সুন্দর একটার ইনিংসে পরিণতি বা আপনার মতো টপ অর্ডার ব্যাটারের কাছে আরও লম্বা ইনিংস কি পাওনা নয়?
মুমিনুল: সিলেট টেস্টে তো শেষ পর্যন্ত খেললাম (দ্বিতীয় ইনিংসে)। হ্যাঁ, চট্টগ্রামে যেটা ৫০ করেছি, ওটা ১৫০–২০০ করা উচিত ছিল। আমি যদি ১৫০ রানও করতাম, টেস্টই জিতে যেতাম (৫১১ রানের লক্ষ্য ছিল)। উইকেট ফ্ল্যাট ছিল। সিলেটের উইকেটটা চ্যালেঞ্জিং ছিল। টেস্টে ৫০০ রান না করলে জেতা কঠিন। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স নয়, আমাকে দলকে এগিয়ে নিতে হবে।
প্রশ্ন: ইম্প্যাক্টফুল ইনিংস খেলার কথাই তো বলছেন?
মুমিনুল: টেস্টে ওপরের ব্যাটারদের কাছ থেকে ১৫০-২০০-২৫০-৩০০ রান না এলে খুব একটা ইম্প্যাক্ট পড়ে না আসলে। ওয়ানডেতেই এখন ডাবল সেঞ্চুরি হয়ে যায়!
জসপ্রীত বুমরা, মোহাম্মদ শামি ও হার্দিক পান্ডিয়াকে রেখেই আজ আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দল ঘোষণা করেছে ভারত। এই তিন ক্রিকেটার একই সঙ্গে ভারতীয় ওয়ানডে দলে সবশেষ খেলেছিলেন ঘরের মাঠে ২০২৩ বিশ্বকাপে।
১ ঘণ্টা আগেঅনেক দিন ধরেই জাতীয় দলের বাইরে জামাল ভূঁইয়া। প্রিমিয়ার লিগে পাননি কোনো দলও। শেষ পর্যন্ত ডেনমার্কেই ফিরে যান। সেখানে লম্বা সময় ছুটির আমেজে থাকলেও অনুশীলন ছাড়েননি জামাল, ‘এত দিন আমি ডেনমার্কে ছিলাম, ওখানে স্থানীয় পর্যায়ে খেলেছি ক্লাবে অনুশীলন করেছি।’
১ ঘণ্টা আগেনেপালকে ৫ উইকেটে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দারুণ শুরু পেয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলা নেপালের বিপক্ষে ব্যাটিংটা ততটা ভালো না হলেও বোলিং ও ফিল্ডিংয়ে অসাধারণ ছিল বাংলাদেশ। টস জিতে নেপালকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান বাংলাদেশ অধিনায়ক সুমাইয়া আক্তার।
১ ঘণ্টা আগেওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে কিংসটাউনে সিরিজের দ্বিতীয় টোয়েন্টিতে চোটে পড়েন সৌম্য সরকার। ফিল্ডিং করার সময় ডান তর্জনী কেটে মারাত্মক চোট পেয়েছিলেন, লেগেছিল পাঁচটি সেলাইও। চার সপ্তাহের জন্য মাঠের বাইরে থাকতে হবে, তখনই বিসিবির চিকিৎসা বিভাগ জানিয়েছিল। সৌম্য এখন সুস্থতার দিকে। চলছে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া।
৪ ঘণ্টা আগে