নিউজিল্যান্ড মানেই যেন সৌম্য সরকার। সেটা ঘরের মাঠে তাদের (নিউজিল্যান্ড) বিপক্ষে সিরিজই হোক বা নিউজিল্যান্ডের মাঠে—সৌম্য চলে আসেন সিরিজের জন্য ঘোষিত বাংলাদেশের দলে। তা তিনি যতই অফ ফর্মে থাকুন না কেন। এবারও নিউজিল্যান্ড সফরে সাদা বলের সিরিজে আছেন বাংলাদেশের এই বাঁহাতি ব্যাটার।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সৌম্যর পথচলা শুরু ২০১৪-এর ডিসেম্বরে। বাংলাদেশের জার্সিতে ক্যারিয়ার শুরুর পর প্রথম বছরটা তাঁর ভালো গেছে ঠিকই। কিন্তু এরপর থেকে তিনি আছেন আসা-যাওয়ার মধ্যে। ঘরোয়া ক্রিকেট, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট—কোথাও তিনি ধারাবাহিক পারফর্ম করতে পারছেন না। যতই সৌম্য আসা-যওয়ার মধ্যে থাকুন না কেন, অভিষেকের পর থেকে নিউজিল্যান্ড সফর তাঁর মিস হয়নি তেমন একটা। এখন পর্যন্ত টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি—তিন সংস্করণ মিলে ২০ ম্যাচের ২৩ ইনিংস ব্যাটিং করেছেন তিনি। ২৭.৫২ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ৬৩৩ রান। নিউজিল্যান্ডের মাঠে সর্বোচ্চ ১৪৯ রানের ইনিংস খেলেছেন তাদের (নিউজিল্যান্ড) বিপক্ষে ২০১৯ সালে টেস্টে। টেস্টে ৫৩.৩৩ গড় থাকলেও সীমিত ওভারের ক্রিকেটে নিউজিল্যান্ডে বিবর্ণ সৌম্য। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে তাঁর গড় ১৫.৪৪ ও ২১.৭৫। 

ডানেডিনে আগামীকাল বাংলাদেশ সময় ভোর ৪টায় শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড ওয়ানডে সিরিজ। সেই সিরিজের আগে আজ বাংলাদেশ দল অনুশীলন করেছে। সৌম্যর ব্যাটিং অনুশীলন কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করেছেন বাংলাদেশের প্রধান কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে। ম্যাচের আগের দিন আজ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। সৌম্য প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তাঁর (সৌম্য) অলরাউন্ড পারফরম্যান্স নিয়ে কথা বলেন শান্ত। ৬৩ ওয়ানডেতে সৌম্য নিয়েছেন ১১ উইকেট। নিউজিল্যান্ডের মতো কন্ডিশনে তাঁর (সৌম্য) মিডিয়াম পেস বোলিং কার্যকর হতে পারে বলে মনে করেন শান্ত, ‘সৌম্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর ব্যাটিংয়ের সঙ্গে বোলিংটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু সাকিব ভাই নেই। ব্যাটিংয়ের সঙ্গে বোলিংটাও যেহেতু গুরুত্বপূর্ণ, টিম ম্যানেজমেন্ট, নির্বাচকেরা তাকে (সৌম্য) দলের সঙ্গে নিয়েছেন। সঙ্গে অভিজ্ঞতাও রয়েছে।’ 
 
নিউজিল্যান্ডের মাঠে বাংলাদেশ এর আগে তিন সংস্করণ মিলে খেলেছে ৩৫ ম্যাচ। একমাত্র জয় বাংলাদেশ পেয়েছে গত বছর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে। সেই সফরের প্রায় দুই বছর পর আবার নিউজিল্যান্ড সফরে গেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, তাসকিন আহমেদদের মতো তারকা ক্রিকেটাররা কেউ নেই। ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক শান্তর দলে আছেন তাওহীদ হৃদয়, শরীফুল ইসলামের মতো তরুণ তুর্কিরা। অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের মধ্যে আছেন মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজরা। শান্ত যেন নতুন কিছু করারই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, ‘অবশ্যই। আমার মনে হয়, এর আগে কোনো দলই করতে পারেনি। বাংলাদেশ দল যতবারই এসেছে। তবে কোনো না কোনো গ্রুপকে তা করতে হবে। সবাই বিশ্বাস করে, এই গ্রুপটার সেই সামর্থ্য আছে। সবাই বিশ্বাস করে, এ বছর ভিন্ন ফল হবে।’