বিসিবির নির্বাচন অক্টোবরে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১১: ৫০

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ১১তম বোর্ড সভাটাকে বলা হচ্ছিল ‘নির্বাচনী’ সভা। সভার পর গতকাল বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও জানিয়েছেন, বিসিবির নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ। ক্রিকেটারদের কেন্দ্রীয় চুক্তিও চূড়ান্ত হয়েছে এ সভায়।

গত ২৬ আগস্ট বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) শেষে বিসিবি সভাপতি জানিয়েছিলেন এই বোর্ড সভায় নির্ধারিত হতে পারে নির্বাচনের তারিখ। নির্বাচনের তারিখ নিয়ে পাপন গতকাল জানালেন, ‘আমরা চাচ্ছি অক্টোবরে, মানে (টি-টোয়েন্টি) বিশ্বকাপ আছে সামনে। তার আগেই নির্বাচন শেষ করে নতুন বোর্ডের কাছে হস্তান্তরের (দায়িত্ব) চিন্তাও করা হচ্ছে।’

পাপন গত মাসে এজিএম শেষেই জানিয়েছেন, তিনি সভাপতি হিসেবে আর নাও থাকতে পারেন। কাল সভাপতি হিসেবে নির্বাচন করা না-করা নিয়ে আরেকটু পরিষ্কার করলেন তিনি, ‘এখানে দুটো বিষয় আছে। নির্বাচন করা এবং বোর্ড সভাপতি হওয়া। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, বোর্ড সভাপতির যে কাজগুলো আছে সেটি তিন ভাগে ভাগ করা যায়। একটা হলো প্রতিদিনের ব্যবস্থাপনা। এখানে বোর্ড সভাপতির কিছু করার থাকে না। এটা সিইও (প্রধান নির্বাহী) করতে পারে, এখানে বোর্ড সভাপতি পরামর্শ দিতে পারে।’

পাপনের কথায় পরিষ্কার ইঙ্গিত থাকল আবারও বিসিবির সভাপতি হওয়ার আগ্রহটা কমে গেছে তাঁর। কেন আগ্রহ নেই, সেটার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, ‘আমার সমস্যাটা হচ্ছে, এখন সভাপতি হিসেবে কাজের চাপটা এত বেশি, সেটা আমি নিতে চাচ্ছি না। আমি এটা উপভোগ করি কিন্তু সামনে এখানে পুরো সময় দেওয়া প্রায় অসম্ভব। যদি সময় না দিই তবে বোর্ড ভুগবে, সেটা আমি চাই না। তবে সবাই যদি আমাকেই থাকতে বলে, তবে আমার একটা প্রস্তাব থাকবে, দায়িত্ব ভাগ করে নেওয়ার।’

আইসিসির বড় ইভেন্টগুলো আয়োজনে বাংলাদেশ কোন পথে এগোবে, বোর্ড সভায় সেটি আলোচনা হয়েছে। বিসিবি সভাপতি বলেছেন, ‘আইসিসির বিভিন্ন বিষয়ে আমাদের অভিমত আইসিসির কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে কি না, প্রতিফলিত হচ্ছে কি না, এটি করতে তাদের সঙ্গে বনিবনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আইসিসির সহযোগী দেশগুলোর সঙ্গে ভালো যোগাযোগ তৈরি করাটা জরুরি। আইসিসির টুর্নামেন্টগুলো কোথায় হবে, এতগুলো দেশ এখন আগ্রহী। এখানে (এশিয়ায়) আসলে তো ভারতই পায়, পৃষ্ঠপোষকেরাও (ভারতকে) চায়। এর মাঝে থেকে বাংলাদেশে খেলা আনা একটা চ্যালেঞ্জ।’

সভার আলোচনার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ক্রিকেটারদের কেন্দ্রীয় চুক্তি। বছরের আট মাস পেরিয়ে নয় মাস হলেও এখনো ক্রিকেটারদের কেন্দ্রীয় চুক্তি প্রকাশ করতে পারেনি বিসিবি। কেন্দ্রীয় চুক্তি চূড়ান্ত হয়েছে জানিয়ে পাপন বললেন, ‘ক্রিকেটারদের কেন্দ্রীয় চুক্তি চূড়ান্ত হয়ে গেছে। মে থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত চুক্তি করা হবে।’

যেহেতু মাহমুদউল্লাহ টেস্ট থেকে অবসর নিয়েছেন আর তামিম ইকবাল স্বেচ্ছায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে থাকতে চাননি, দুজনকে দুই সংস্করণের চুক্তি থেকে বাদ দিচ্ছে বিসিবি। মাহমুদউল্লাহ থাকছেন না টেস্ট চুক্তিতে। আর তামিম টি-টোয়েন্টিতে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত