ক্রীড়া ডেস্ক
ক্রিকেট মহাকাশে গত ৪ মার্চ আচমকা অঝোর বৃষ্টি নামে। অবিশ্বাস আর হৃদয় ভাঙার যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকে বিশ্ব। খেলাটির অন্যতম উজ্জ্বল নক্ষত্র শেন ওয়ার্ন সেদিন সবাইকে চমকে দিয়ে নীরবে-নিভৃতে খসে পড়েন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে হাজার উইকেটের মালিক, লেগ স্পিন শিল্পের সবচেয়ে নিখুঁত শিল্পী ওয়ার্ন ৫২ বছর বয়সে মৃত্যুদূতের ফ্লিপারে হন বোল্ড। সেটিও নিজ জন্মভূমি অস্ট্রেলিয়া থেকে ৭ হাজার কিলোমিটার দূরের দেশ থাইল্যান্ডের কোহ সামুই দ্বীপে।
মৃত্যুর দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও ওয়ার্নকে নিয়ে চর্চা অব্যাহত। তিনি যে ছিলেন ‘ক্রিকেটের ডিয়েগো ম্যারাডোনা’! মাঠের চেয়ে মাঠের বাইরের কর্মকাণ্ডেই খবরের শিরোনাম হয়েছেন বেশি।
তবে ওয়ার্ন সবকিছুর ঊর্ধ্বে রেখেছেন ক্রিকেটকে। এই খেলাটাই তো তাঁকে জগদ্বিখ্যাত বানিয়েছে। যা দিয়ে গড়েছিলেন ৪৩২ কোটি ৭২ লাখ টাকার সম্পদ। বিলাসবহুল জীবন যাপন আর শখ-আহ্লাদ পূরণে আর কী চাই?
কয়েক কদম হেঁটে থামার পর আস্তে বল ছুড়লেও দ্রুত গতিতে গাড়ি চালাতে পছন্দ করতেন শৌখিন ওয়ার্ন। বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ডের গাড়ি কিনে নিজের গ্যারেজ ভরানো ছিল তাঁর শখ। ওয়ার্ন একবার জানিয়েছিলেন, তাঁর গ্যারেজে ২০টি গাড়ি আছে। কোটি টাকার সিলভার মার্সিডিজ, এফ-টাইপ হোয়াইট জাগুয়ার, রেঞ্জ রোভার, ব্ল্যাক ল্যাম্বরগিনি, ভোক্সওয়াগেনের বুগাত্তি ভেইরন, দুটি বিএমডব্লিউ, বেন্টলে কন্টিনেন্টাল ও ফেরারি—কী ছিল না তাঁর সংগ্রহে?
ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে গাড়িগুলো ব্যবহার করতেন ওয়ার্ন। আর এই গাড়ি নিয়েই ‘নারী পটানোর’ কাজ করতেন।
২০১০ সালে লিজ হার্লির সঙ্গে সম্পর্ক থাকা অবস্থাতেই অন্য নারীর প্রতি আকৃষ্ট হন ওয়ার্ন। অস্ট্রেলিয়ার রাস্তায় একদিন ঘুরতে ঘুরতে সোনালি চুলের এক নারীর দেখা পান। সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি থামান তিনি। ওই নারী শুরুতে ওয়ার্নকে চিনতে না পারলেও গাড়ির জানালা খুলতেই বিস্ময়ের হাসিতে ফেটে পড়েন। পরে তাঁকে পাশের আসনে বসিয়েই ছাড়েন চালক ওয়ার্ন।
সেদিনের ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে ওয়ার্নের বন্ধু ও বর্ষীয়ান সাংবাদিক মাইকেল পারকিনসন বলেছেন, ‘ওর মতো ধুরন্ধর মানুষ খুব কম আছে। আমার তো মনে হয়, অকাজে (নারীদের আকৃষ্ট করতে) ওর জুড়ি মেলা ভার। গাড়ি থামিয়ে ওই স্বর্ণকেশীকে সে বলল, তুমি দেখতে মনোমুগ্ধকর। আমার সাহায্য চাই।’
মাঝ রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে এ রকম কাণ্ড অহরহ ঘটিয়েছেন ওয়ার্ন। ক্রিকেট কিংবদন্তি হওয়ায় মেয়েরাও ‘না’ বলতে পারেননি।
শুধু বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ডের দামি কারই নয়, মোটরসাইকেল চালাতেও পছন্দ করতেন ওয়ার্ন। সময় পেলেই ছেলে জ্যাকসনের সঙ্গে বাইক নিয়ে ঘুরতে বেরোতেন। যদিও গত বছরের নভেম্বরে বাইকই ‘বাপ-বেটা’কে তিক্ত অভিজ্ঞতার স্বাদ দিয়েছিল। চাকা পিছলে যাওয়ায় বাঁধে বিপত্তি। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ১৫ মিটার ছেঁচড়ে যান তাঁরা। দুর্ঘটনায় ছেলে জ্যাকসনকে নিতে হয়েছিল হাসপাতালে। ওয়ার্ন পায়ে ও কোমরে সামান্য ব্যথা পান। সপ্তাহখানেক খুঁড়িয়ে চলতে হয় তাঁকে।
সে দিন অল্পের জন্য রক্ষা পেলেও গত মাসে বিলাসী বাংলোতে এসে মৃত্যুদূত নিয়ে গেছেন লেগ স্পিন দূতের প্রাণ।
কিংবদন্তি ওয়ার্নকে শ্রদ্ধা জানাতে শেষকৃত্য সম্পাদনকারী প্রতিষ্ঠান ‘অ্যালিসন মঙ্কহাউজ’ও তাঁর মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সের বদলে এনেছিল গাড়িতে করে।
ক্রিকেট মহাকাশে গত ৪ মার্চ আচমকা অঝোর বৃষ্টি নামে। অবিশ্বাস আর হৃদয় ভাঙার যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকে বিশ্ব। খেলাটির অন্যতম উজ্জ্বল নক্ষত্র শেন ওয়ার্ন সেদিন সবাইকে চমকে দিয়ে নীরবে-নিভৃতে খসে পড়েন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে হাজার উইকেটের মালিক, লেগ স্পিন শিল্পের সবচেয়ে নিখুঁত শিল্পী ওয়ার্ন ৫২ বছর বয়সে মৃত্যুদূতের ফ্লিপারে হন বোল্ড। সেটিও নিজ জন্মভূমি অস্ট্রেলিয়া থেকে ৭ হাজার কিলোমিটার দূরের দেশ থাইল্যান্ডের কোহ সামুই দ্বীপে।
মৃত্যুর দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও ওয়ার্নকে নিয়ে চর্চা অব্যাহত। তিনি যে ছিলেন ‘ক্রিকেটের ডিয়েগো ম্যারাডোনা’! মাঠের চেয়ে মাঠের বাইরের কর্মকাণ্ডেই খবরের শিরোনাম হয়েছেন বেশি।
তবে ওয়ার্ন সবকিছুর ঊর্ধ্বে রেখেছেন ক্রিকেটকে। এই খেলাটাই তো তাঁকে জগদ্বিখ্যাত বানিয়েছে। যা দিয়ে গড়েছিলেন ৪৩২ কোটি ৭২ লাখ টাকার সম্পদ। বিলাসবহুল জীবন যাপন আর শখ-আহ্লাদ পূরণে আর কী চাই?
কয়েক কদম হেঁটে থামার পর আস্তে বল ছুড়লেও দ্রুত গতিতে গাড়ি চালাতে পছন্দ করতেন শৌখিন ওয়ার্ন। বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ডের গাড়ি কিনে নিজের গ্যারেজ ভরানো ছিল তাঁর শখ। ওয়ার্ন একবার জানিয়েছিলেন, তাঁর গ্যারেজে ২০টি গাড়ি আছে। কোটি টাকার সিলভার মার্সিডিজ, এফ-টাইপ হোয়াইট জাগুয়ার, রেঞ্জ রোভার, ব্ল্যাক ল্যাম্বরগিনি, ভোক্সওয়াগেনের বুগাত্তি ভেইরন, দুটি বিএমডব্লিউ, বেন্টলে কন্টিনেন্টাল ও ফেরারি—কী ছিল না তাঁর সংগ্রহে?
ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে গাড়িগুলো ব্যবহার করতেন ওয়ার্ন। আর এই গাড়ি নিয়েই ‘নারী পটানোর’ কাজ করতেন।
২০১০ সালে লিজ হার্লির সঙ্গে সম্পর্ক থাকা অবস্থাতেই অন্য নারীর প্রতি আকৃষ্ট হন ওয়ার্ন। অস্ট্রেলিয়ার রাস্তায় একদিন ঘুরতে ঘুরতে সোনালি চুলের এক নারীর দেখা পান। সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি থামান তিনি। ওই নারী শুরুতে ওয়ার্নকে চিনতে না পারলেও গাড়ির জানালা খুলতেই বিস্ময়ের হাসিতে ফেটে পড়েন। পরে তাঁকে পাশের আসনে বসিয়েই ছাড়েন চালক ওয়ার্ন।
সেদিনের ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে ওয়ার্নের বন্ধু ও বর্ষীয়ান সাংবাদিক মাইকেল পারকিনসন বলেছেন, ‘ওর মতো ধুরন্ধর মানুষ খুব কম আছে। আমার তো মনে হয়, অকাজে (নারীদের আকৃষ্ট করতে) ওর জুড়ি মেলা ভার। গাড়ি থামিয়ে ওই স্বর্ণকেশীকে সে বলল, তুমি দেখতে মনোমুগ্ধকর। আমার সাহায্য চাই।’
মাঝ রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে এ রকম কাণ্ড অহরহ ঘটিয়েছেন ওয়ার্ন। ক্রিকেট কিংবদন্তি হওয়ায় মেয়েরাও ‘না’ বলতে পারেননি।
শুধু বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ডের দামি কারই নয়, মোটরসাইকেল চালাতেও পছন্দ করতেন ওয়ার্ন। সময় পেলেই ছেলে জ্যাকসনের সঙ্গে বাইক নিয়ে ঘুরতে বেরোতেন। যদিও গত বছরের নভেম্বরে বাইকই ‘বাপ-বেটা’কে তিক্ত অভিজ্ঞতার স্বাদ দিয়েছিল। চাকা পিছলে যাওয়ায় বাঁধে বিপত্তি। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ১৫ মিটার ছেঁচড়ে যান তাঁরা। দুর্ঘটনায় ছেলে জ্যাকসনকে নিতে হয়েছিল হাসপাতালে। ওয়ার্ন পায়ে ও কোমরে সামান্য ব্যথা পান। সপ্তাহখানেক খুঁড়িয়ে চলতে হয় তাঁকে।
সে দিন অল্পের জন্য রক্ষা পেলেও গত মাসে বিলাসী বাংলোতে এসে মৃত্যুদূত নিয়ে গেছেন লেগ স্পিন দূতের প্রাণ।
কিংবদন্তি ওয়ার্নকে শ্রদ্ধা জানাতে শেষকৃত্য সম্পাদনকারী প্রতিষ্ঠান ‘অ্যালিসন মঙ্কহাউজ’ও তাঁর মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সের বদলে এনেছিল গাড়িতে করে।
সাফজয়ী মেয়েদের বরণের জন্য বাফুফের প্রস্তুত রাখা ছাদখোলা বাসেও চড়বেন না কোচ পিটার বাটলার। আজ সকালে নেপাল থেকে হোয়াটসঅ্যাপে আজকের পত্রিকার এই প্রতিবেদককে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।
২৮ মিনিট আগেযত কাণ্ড কাঠমান্ডুতে-গোয়েন্দা চরিত্র ফেলুদার এই গল্পের নামটাই এখন আপনাদের বেশি করে মনে পড়বে। কারণ সেই কাঠমাণ্ডুতে টানা দুইবার বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল জিতল সাফের শিরোপা। দুইবারই টুর্নামেন্ট সেরা গোলরক্ষক হয়েছেন বাংলাদেশের রূপনা চাকমা।
১ ঘণ্টা আগেহতাশাজনক এক সময় পার করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। দেশে কিংবা দেশের বাইরে কোথাও জয়ের দেখা পাচ্ছে না নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। এমন সময়ে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল জিতল সাফের শিরোপা। সাবিনা খাতুনদের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দে উদ্বেলিত বাংলাদেশের ক্রিকেটাররাও।
২ ঘণ্টা আগে‘তোরা সব জয়ধ্বনি কর’—সময় এখন সাবিনাদের জয়ধ্বনি করার। দেশের অন্যান্য খেলায় যখন হার আর হার, যখন হতাশার সাগরে ভাসছে ক্রিকেটও। তখন মেয়েদের ফুটবল ভেসেছে সাফল্যের উচ্ছ্বাসে।
১০ ঘণ্টা আগে