আইসিসির নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরার পর সব বৈশ্বিক আসরে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপেও প্রোটিয়ারা সহজেই জায়গা করে নেবে—এমনটা হয়তো ভেবে রেখেছিলেন ক্রিকেট অনুরাগীরা। 

কিন্তু বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা। করোনাকালে বারবার সিরিজ পিছিয়ে নিজেদের বিপদ বাড়িয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সেটা এতটাই যে, সরাসরি ২০২৩ বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে তৈরি হয়েছে শঙ্কা। 

২০২৩ বিশ্বকাপ হবে ২০১৯-এর নিয়মেই। মানে, খেলবে ১০ দল। তাদের মধ্যে স্বাগতিক ভারতসহ আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগের শীর্ষ ৮ দল খেলবে সরাসরি, বাকি ২ দলকে ডিঙাতে হবে বাছাই পর্বের বাধা। 

এখানেই পিছিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৩ দলের সুপার লিগ প্রতিযোগিতায় এই মুহূর্তে ১১ নম্বরে রয়েছে তারা। বেহাল অবস্থার মধ্যেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ না খেলে পূর্ণ পয়েন্ট ছেড়ে দিতে চলেছে প্রোটিয়া বোর্ড (সিএসএ)। তাতে বিশ্বকাপে সরাসরি জায়গা করে নেওয়ার সম্ভাবনা আরও শঙ্কার মুখে পড়তে যাচ্ছে। 

আগামী ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট সিরিজ শেষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলার কথা ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। এই সিরিজ সুপার লিগের অংশ। কিন্তু সিএসএ নিজেদের নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগ শুরু করবে ঠিক সেই সময়ে। 

বেশ কয়েক দফা পিছিয়ে আলোচিত সেই টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টকে অবশেষে আলোর মুখ দেখাতে চলেছে প্রোটিয়া বোর্ড। এই টুর্নামেন্ট কোনোভাবেই পেছাতে চায় না তারা। বরং গত মাসে তারা ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে (সিএ) অনুরোধ করে ওয়ানডে সিরিজটি পিছিয়ে দিতে, কিন্তু নিজেদের ঘরোয়া মৌসুমের ঠাসা সূচিতে নতুন করে সময় বের পারছে না সিএ। এক বিবৃতিতে তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ আয়োজন করা সম্ভব নয়। 

আগামী বছরের মে মাসে নির্দিষ্ট সময়সীমার (কাট অব টাইম) আগে যেহেতু সিরিজ আয়োজন করা যাচ্ছে, তাই অস্ট্রেলিয়াকে পূর্ণ পয়েন্ট দিতে রাজি হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। আইসিসি যেকোনো সময় অজিদের পয়েন্ট যোগ করতে পারে। 

সুপার লিগে দক্ষিণ আফ্রিকার পরের দুই সিরিজ পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ দল ইংল্যান্ড ও শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে। অধিকাংশ সিনিয়র খেলোয়াড়ের অবসরের পর পুনর্গঠনের মধ্য দিয়ে যাওয়া প্রোটিয়া দল ওই দুই সিরিজের একটিতে হারলেই বাছাই পর্বের মারপ্যাঁচে পড়ে যাবে।