তাসনীম হাসান, ঢাকা
টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে সাত ম্যাচের ছয়টিতেই জয়। সেই সাফল্যের পিঠে চড়ে এসেছে পূর্ণাঙ্গ সফরে তিন সংস্করণেই প্রথমবারের মতো সিরিজ জয়ের আনন্দও। জিম্বাবুয়েতে সবই পাওয়ার এই সফরের ওপর আলো ফেললে মিলবে ব্যক্তিগত অর্জন, ফিরে আসার গল্প, আবির্ভাবেই রাঙানো—কত কিছু!
জিম্বাবুয়ে সফরে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্টকে সবচেয়ে বেশি তৃপ্তি দেবে তরুণদের ধারাবাহিক ভালো খেলা। গত এক দশকে বাংলাদেশ দলের সাফল্য অনেকটাই সিনিয়র ক্রিকেটারনির্ভর হয়ে গেছে। সাকিব-তামিম-মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ নিষ্প্রভ থাকলেই চিত্রটা ধূসর হয়ে যায়। সিনিয়রদের সঙ্গে এবার জিম্বাবুয়ে সফরে তরুণেরা ব্যাটিং-বোলিংয়ে সমান হাল ধরেছেন। সফরের একমাত্র টেস্টে মাহমুদউল্লাহ-মুমিনুলের পাশাপাশি লিটন-নাজমুল-সাদমানরা দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন। দেশের মাঠে ধারালো, বিদেশে নির্বিষ—এই ধারণা বেশ বদলেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। অফ স্পিন বোলিংয়ে হারারে টেস্টে নিয়েছেন ৯ উইকেট, দেশের বাইরে এটি বাংলাদেশের সেরা বোলিং। গত আট মাসে ধারাবাহিক ভালো করা তাসকিন এই সফরেও ঝলক দেখিয়েছেন।
বিশ্বকাপের সুপার লিগের হিসাব থাকায় এখন প্রতি ওয়ানডে জেতা মানেই মূল্যবান ১০ পয়েন্ট পাওয়া। এখানে বাংলাদেশের অর্জন ষোলো আনা। ওয়ানডেতে সিরিজের তিন ম্যাচ জয়ে বাংলাদেশ এখন ৮০ পয়েন্ট নিয়ে আছে তালিকার দুইয়ে। সেই সাফল্যে সাকিব-তামিমের অবদান তো আছেই। সমান রাঙিয়েছেন লিটন-সোহান-আফিফরাও।
টি-টোয়েন্টি সিরিজটা বলতে গেলে বাংলাদেশ জিতেছে তরুণদের হাত ধরেই। বিশেষ করে সৌম্য সরকার ও শামীম হোসেন পাটোয়ারী। পুরো সিরিজে ব্যাটে-বলে দারুণ নৈপুণ্যে পুরোনো সৌম্যকে ফিরে পাওয়া গেল এই সফরে। প্রথমবারের মতো সিরিজসেরা হয়েছেন বাঁহাতি ওপেনার। অভিষেক সিরিজেই শামীম দিয়েছেন নিজের আগমনী বার্তা। মোস্তাফিজুর রহমানের অনুপস্থিতি বুঝতে না দিয়ে সাদা বলের দুই সিরিজেই দারুণ বোলিং করেছেন শরিফুল ইসলাম।
তবে এখনই তাসকিন-শরিফুলদের ভালো ‘নম্বর’ দিতে রাজি নন সারোয়ার ইমরান। দেশের ক্রিকেটের অন্যতম অভিজ্ঞ কোচ আজকের পত্রিকাকে বললেন, ‘বোলাররা অনেক সময় ভালো বোলিং করেছে। তবে এই খর্বশক্তির জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলার পর নম্বর দেওয়া ঠিক হবে না। বড় দলগুলোর বিপক্ষে ধারাবাহিক ভালো করতে হবে। বোলিংয়ে আরও নিখুঁত ও বৈচিত্র্য বাড়াতে হবে, কার্যকর ইয়র্কার-স্লোয়ার দেওয়া শিখতে হবে।’
নাজমুল আবেদিন ফাহিম মনে করেন, জিম্বাবুয়ে থেকে পাওয়া সাফল্য বাংলাদেশ দলের সামনে এগিয়ে যাওয়ার সিঁড়ি হিসেবে কাজ করবে। এ স্বনামধন্য ক্রিকেট বিশ্লেষক বলেছেন, ‘কন্ডিশনটা ছিল একেবারেই আলাদা। সেখানে আমাদের ছেলেরা ভালো করেছে। এই সাফল্য আমাদের আস্থা ও সাহস দেবে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ যখন অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলতে যাবে, আগের চেয়ে ভালো করতে পারবে।’
তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য আলাদা প্রশংসা বরাদ্দ রেখেছেন নাজমুল আবেদিন। বললেন, ‘এই সফরে আমরা কখনো তামিমকে, কখনো মুশফিক-মোস্তাফিজকে পাইনি।
তরুণদের ওপর নির্ভর করতে হয়েছে। সেখানে তাঁরা দারুণ করেছেন। বিশেষ করে শামীমের কথা বলব। অভিষেক সিরিজেই তার ভয়ডরহীন ব্যাটিং অন্য তরুণদেরও সাহস দেবে। সে অন্যদের (তরুণদের) ওপর থেকে চাপটা কমিয়েছে। অন্য তরুণ খেলোয়াড়েরা ভাবা শুরু করবে নতুন একজন যদি এভাবে খেলতে পারে, আমরা কেন পারব না!’
এত প্রাপ্তির মধ্যে ছোট্ট আফসোসও আছে। পুরোনো রোগ বাজে ফিল্ডিং তো আছেই। টপ অর্ডারের ধস নিয়মিতই দেখা গেছে এই সফরে। টেস্টের প্রথম ইনিংস, প্রথম দুই ওয়ানডে এবং শেষ দুই টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি ভেঙেছে ১০ ওভারেই। নাজমুল আবেদিন তাই বলছেন, ‘জিম্বাবুয়ে সফরের সাফল্য নিয়ে আত্মতুষ্টিতে ভোগা ঠিক হবে না। আমাদের তাকাতে হবে সামনে।’
সামনে অস্ট্রেলিয়া সিরিজ। আগস্টের প্রথম সপ্তাহে হতে যাওয়া পাঁচ ম্যাচের এই টি-টোয়েন্টি সিরিজে সৌম্য-শামীমরা ভালো করতে চাইবেন জিম্বাবুয়ে থেকে পাওয়া আত্মবিশ্বাস থেকে।
টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে সাত ম্যাচের ছয়টিতেই জয়। সেই সাফল্যের পিঠে চড়ে এসেছে পূর্ণাঙ্গ সফরে তিন সংস্করণেই প্রথমবারের মতো সিরিজ জয়ের আনন্দও। জিম্বাবুয়েতে সবই পাওয়ার এই সফরের ওপর আলো ফেললে মিলবে ব্যক্তিগত অর্জন, ফিরে আসার গল্প, আবির্ভাবেই রাঙানো—কত কিছু!
জিম্বাবুয়ে সফরে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্টকে সবচেয়ে বেশি তৃপ্তি দেবে তরুণদের ধারাবাহিক ভালো খেলা। গত এক দশকে বাংলাদেশ দলের সাফল্য অনেকটাই সিনিয়র ক্রিকেটারনির্ভর হয়ে গেছে। সাকিব-তামিম-মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ নিষ্প্রভ থাকলেই চিত্রটা ধূসর হয়ে যায়। সিনিয়রদের সঙ্গে এবার জিম্বাবুয়ে সফরে তরুণেরা ব্যাটিং-বোলিংয়ে সমান হাল ধরেছেন। সফরের একমাত্র টেস্টে মাহমুদউল্লাহ-মুমিনুলের পাশাপাশি লিটন-নাজমুল-সাদমানরা দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন। দেশের মাঠে ধারালো, বিদেশে নির্বিষ—এই ধারণা বেশ বদলেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। অফ স্পিন বোলিংয়ে হারারে টেস্টে নিয়েছেন ৯ উইকেট, দেশের বাইরে এটি বাংলাদেশের সেরা বোলিং। গত আট মাসে ধারাবাহিক ভালো করা তাসকিন এই সফরেও ঝলক দেখিয়েছেন।
বিশ্বকাপের সুপার লিগের হিসাব থাকায় এখন প্রতি ওয়ানডে জেতা মানেই মূল্যবান ১০ পয়েন্ট পাওয়া। এখানে বাংলাদেশের অর্জন ষোলো আনা। ওয়ানডেতে সিরিজের তিন ম্যাচ জয়ে বাংলাদেশ এখন ৮০ পয়েন্ট নিয়ে আছে তালিকার দুইয়ে। সেই সাফল্যে সাকিব-তামিমের অবদান তো আছেই। সমান রাঙিয়েছেন লিটন-সোহান-আফিফরাও।
টি-টোয়েন্টি সিরিজটা বলতে গেলে বাংলাদেশ জিতেছে তরুণদের হাত ধরেই। বিশেষ করে সৌম্য সরকার ও শামীম হোসেন পাটোয়ারী। পুরো সিরিজে ব্যাটে-বলে দারুণ নৈপুণ্যে পুরোনো সৌম্যকে ফিরে পাওয়া গেল এই সফরে। প্রথমবারের মতো সিরিজসেরা হয়েছেন বাঁহাতি ওপেনার। অভিষেক সিরিজেই শামীম দিয়েছেন নিজের আগমনী বার্তা। মোস্তাফিজুর রহমানের অনুপস্থিতি বুঝতে না দিয়ে সাদা বলের দুই সিরিজেই দারুণ বোলিং করেছেন শরিফুল ইসলাম।
তবে এখনই তাসকিন-শরিফুলদের ভালো ‘নম্বর’ দিতে রাজি নন সারোয়ার ইমরান। দেশের ক্রিকেটের অন্যতম অভিজ্ঞ কোচ আজকের পত্রিকাকে বললেন, ‘বোলাররা অনেক সময় ভালো বোলিং করেছে। তবে এই খর্বশক্তির জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলার পর নম্বর দেওয়া ঠিক হবে না। বড় দলগুলোর বিপক্ষে ধারাবাহিক ভালো করতে হবে। বোলিংয়ে আরও নিখুঁত ও বৈচিত্র্য বাড়াতে হবে, কার্যকর ইয়র্কার-স্লোয়ার দেওয়া শিখতে হবে।’
নাজমুল আবেদিন ফাহিম মনে করেন, জিম্বাবুয়ে থেকে পাওয়া সাফল্য বাংলাদেশ দলের সামনে এগিয়ে যাওয়ার সিঁড়ি হিসেবে কাজ করবে। এ স্বনামধন্য ক্রিকেট বিশ্লেষক বলেছেন, ‘কন্ডিশনটা ছিল একেবারেই আলাদা। সেখানে আমাদের ছেলেরা ভালো করেছে। এই সাফল্য আমাদের আস্থা ও সাহস দেবে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ যখন অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলতে যাবে, আগের চেয়ে ভালো করতে পারবে।’
তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য আলাদা প্রশংসা বরাদ্দ রেখেছেন নাজমুল আবেদিন। বললেন, ‘এই সফরে আমরা কখনো তামিমকে, কখনো মুশফিক-মোস্তাফিজকে পাইনি।
তরুণদের ওপর নির্ভর করতে হয়েছে। সেখানে তাঁরা দারুণ করেছেন। বিশেষ করে শামীমের কথা বলব। অভিষেক সিরিজেই তার ভয়ডরহীন ব্যাটিং অন্য তরুণদেরও সাহস দেবে। সে অন্যদের (তরুণদের) ওপর থেকে চাপটা কমিয়েছে। অন্য তরুণ খেলোয়াড়েরা ভাবা শুরু করবে নতুন একজন যদি এভাবে খেলতে পারে, আমরা কেন পারব না!’
এত প্রাপ্তির মধ্যে ছোট্ট আফসোসও আছে। পুরোনো রোগ বাজে ফিল্ডিং তো আছেই। টপ অর্ডারের ধস নিয়মিতই দেখা গেছে এই সফরে। টেস্টের প্রথম ইনিংস, প্রথম দুই ওয়ানডে এবং শেষ দুই টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি ভেঙেছে ১০ ওভারেই। নাজমুল আবেদিন তাই বলছেন, ‘জিম্বাবুয়ে সফরের সাফল্য নিয়ে আত্মতুষ্টিতে ভোগা ঠিক হবে না। আমাদের তাকাতে হবে সামনে।’
সামনে অস্ট্রেলিয়া সিরিজ। আগস্টের প্রথম সপ্তাহে হতে যাওয়া পাঁচ ম্যাচের এই টি-টোয়েন্টি সিরিজে সৌম্য-শামীমরা ভালো করতে চাইবেন জিম্বাবুয়ে থেকে পাওয়া আত্মবিশ্বাস থেকে।
শিরোপার সুবাস আগেই পাচ্ছিল সিলেট। অপেক্ষা ছিল শুধু সময়ের অপেক্ষা। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আজ তারা শিরোপার স্বাদ পেল প্রথম সেশনেই। ন্যাশনাল ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) ইতিহাসে এটা প্রথম শিরোপা।
১৮ মিনিট আগেমোস্তাফিজুর রহমান-রিশাদ হোসেন গতকাল আইপিএলের নিলামে উঠলেও আগ্রহ দেখায়নি কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি। শুধু তাঁরাই নন, দল পাননি নিলামে নাম তোলা বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটারই।
২ ঘণ্টা আগেকথায় আছে, ‘ওয়াইন যত পুরোনো হয়, তার স্বাদ তত ভালো হয়’। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো যেন সেই পুরোনো ওয়াইন। যতই বয়স হচ্ছে, বাড়ছে স্বাদ। এ মৌসুমেই দেখুন না হলে! সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে করেছেন ১৮ গোল ও ৪ অ্যাসিস্ট।
৪ ঘণ্টা আগেদেশের ফুটবলে ২০১৩ সালে আগমন বসুন্ধরা কিংসের। সে হিসাবে ক্লাবটির বয়স খুব বেশি নয়। তবে এই সময়ের মধ্যে প্রিমিয়ার লিগে রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে দলটি। তাদের উত্থানে পেছনে চলে যায় একসময় দাপট দেখানো ঐতিহ্যবাহী
৫ ঘণ্টা আগে