শাহরিয়ার নাফীস
আজ আবারও সেই মাহেন্দ্রক্ষণ! ২০১৯ বিশ্বকাপের দুই ফাইনালিস্ট আজ মুখোমুখি হচ্ছে ক্রিকেটের ছোট সংস্করণের সেমিফাইনালে। সেই বিশ্বকাপে শেষ হাসি এইউন মরগান হাসলেও, আজ কে হাসবেন তা বলা কঠিন। দুই দলই ভিন্ন পরিকল্পনায় এগোচ্ছে। ইংল্যান্ড মানেই যেন ধ্বংসযজ্ঞ। আগ্রাসনই মরগানের দলের শেষ কথা। প্রতিপক্ষকে কোনো সুযোগই দেব না—এমন বার্তা।
আর নিউজিল্যান্ড যেন খেলছে ক্যালকুলেটরে হিসেব কষে। দলে যেমন মার্টিন গাপটিলের মতো আগ্রাসী ব্যাটার আছে, আবার আছে কেন উইলিয়ামনসনের মতো ঠান্ডা মস্তিষ্কও। পাকিস্তানের বিপক্ষে হারার পর নিউজিল্যান্ড যেভাবে ভারত ও আফগানিস্তানের সঙ্গে স্মার্ট ক্রিকেট খেলল, তাদের সঙ্গে যায় শুধু ‘দুর্দান্ত’ শব্দটি।
দুই দলের বোলিং প্রয়োগের ক্ষেত্রেও কিছুটা ভিন্নতা আছে। নিউজিল্যান্ডের বোলিং বিভাগ খুবই অভিজ্ঞ। টিম সাউদি-ট্রেন্ট বোল্টরা সুইংনির্ভর। বিপরীতে ইংল্যান্ডের বোলিং লাইনআপ জোরের ওপর নির্ভরশীল।
পার্থক্যের উল্টোদিকে আছে সাদৃশ্যও। দুটি দলই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রতিষ্ঠিত। এই দুই দলের মধ্যে একটিকে এগিয়ে রাখা এই বিশ্বকাপে কঠিন। আমার কাছে মনে হয় খুব ভালো ফাইট হবে। ম্যাচের আগে তাই কাউকে ফেবারিট বলতে পারছি না।
সেমিফাইনালের আগে জেসন রয়ের মতো দুর্দান্ত ক্রিকেটারকে হারানো ইংল্যান্ডের জন্য একটু হলেও ধাক্কা। দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্ম নেওয়া ইংল্যান্ডের এই ব্যাটার আবার সেমিফাইনাল এলে একটু বেশিই যেন জ্বলে ওঠেন। সেই ‘সেমিফাইনাল স্পেশালিস্টকে’ পাচ্ছে না মরগানরা। তবে ইংল্যান্ড যেহেতু বেশ ভারসাম্যপূর্ণ দল, সেখানে রয়ের মতো দুরন্ত কাউকে হারালেও খুব বেশি যে পার্থক্য তৈরি হবে তা বলা যাচ্ছে না। জস বাটলার, জনি বেয়ারোস্টো, মরগান, মঈন আলী, লিভিংস্টোন—ইংল্যান্ডের ব্যাটিং গভীরতা একবার দেখুন।
এরপরও একটা বিষয় নিয়ে ইংল্যান্ডকে ভাবতে হবে। ২০১৯ বিশ্বকাপে কিন্তু দুই দলের মধ্যে পার্থক্যটা গড়ে দিয়েছিলেন বেন স্টোকস আর জোফরা আর্চার। সেই দুই তারকাই তো নেই ইংল্যান্ডের সাজঘরে! নিউজিল্যান্ড নিশ্চয়ই এই সুযোগটা কাজে লাগাতে চাইবে।
আমার কাছে মনে হচ্ছে আজকের ম্যাচটি মর্যাদার লড়াইও। টেস্টের চ্যাম্পিয়নের বিপক্ষে ওয়ানডের শিরোপাধারীদের লড়াই। যে দল জিতবে, তারা বলতে পারবে টি-টোয়েন্টিতে আমরাই এগিয়ে। অবশ্যই বিশ্বকাপের মঞ্চে বেশ ভালো খেলে নিউজিল্যান্ড। ইংল্যান্ড তো সাদা বলের ক্রিকেটের নতুন পরাশক্তি। দর্শক হিসেবে আশা করব—দুর্দান্ত একটি ম্যাচ হবে।
প্রতিযোগিতাও দুই ‘মাস্টার ক্যাপ্টেনের’। দুই অধিনায়কই দলকে আগলে রাখতে জানেন। মরগান তো ইংল্যান্ডের সাদা বলের ক্রিকেটে বিপ্লব এনে দিয়েছেন। আর উইলিয়ামসন হলেন সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া নেতা। খেলার আড়ালে লড়াইটা থাকবে দুই অধিনায়কেরও। দুই অধিনায়কের হাতেই এখন একটি করে শিরোপা আছে। আজ একজনের এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ।
আজ আবারও সেই মাহেন্দ্রক্ষণ! ২০১৯ বিশ্বকাপের দুই ফাইনালিস্ট আজ মুখোমুখি হচ্ছে ক্রিকেটের ছোট সংস্করণের সেমিফাইনালে। সেই বিশ্বকাপে শেষ হাসি এইউন মরগান হাসলেও, আজ কে হাসবেন তা বলা কঠিন। দুই দলই ভিন্ন পরিকল্পনায় এগোচ্ছে। ইংল্যান্ড মানেই যেন ধ্বংসযজ্ঞ। আগ্রাসনই মরগানের দলের শেষ কথা। প্রতিপক্ষকে কোনো সুযোগই দেব না—এমন বার্তা।
আর নিউজিল্যান্ড যেন খেলছে ক্যালকুলেটরে হিসেব কষে। দলে যেমন মার্টিন গাপটিলের মতো আগ্রাসী ব্যাটার আছে, আবার আছে কেন উইলিয়ামনসনের মতো ঠান্ডা মস্তিষ্কও। পাকিস্তানের বিপক্ষে হারার পর নিউজিল্যান্ড যেভাবে ভারত ও আফগানিস্তানের সঙ্গে স্মার্ট ক্রিকেট খেলল, তাদের সঙ্গে যায় শুধু ‘দুর্দান্ত’ শব্দটি।
দুই দলের বোলিং প্রয়োগের ক্ষেত্রেও কিছুটা ভিন্নতা আছে। নিউজিল্যান্ডের বোলিং বিভাগ খুবই অভিজ্ঞ। টিম সাউদি-ট্রেন্ট বোল্টরা সুইংনির্ভর। বিপরীতে ইংল্যান্ডের বোলিং লাইনআপ জোরের ওপর নির্ভরশীল।
পার্থক্যের উল্টোদিকে আছে সাদৃশ্যও। দুটি দলই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রতিষ্ঠিত। এই দুই দলের মধ্যে একটিকে এগিয়ে রাখা এই বিশ্বকাপে কঠিন। আমার কাছে মনে হয় খুব ভালো ফাইট হবে। ম্যাচের আগে তাই কাউকে ফেবারিট বলতে পারছি না।
সেমিফাইনালের আগে জেসন রয়ের মতো দুর্দান্ত ক্রিকেটারকে হারানো ইংল্যান্ডের জন্য একটু হলেও ধাক্কা। দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্ম নেওয়া ইংল্যান্ডের এই ব্যাটার আবার সেমিফাইনাল এলে একটু বেশিই যেন জ্বলে ওঠেন। সেই ‘সেমিফাইনাল স্পেশালিস্টকে’ পাচ্ছে না মরগানরা। তবে ইংল্যান্ড যেহেতু বেশ ভারসাম্যপূর্ণ দল, সেখানে রয়ের মতো দুরন্ত কাউকে হারালেও খুব বেশি যে পার্থক্য তৈরি হবে তা বলা যাচ্ছে না। জস বাটলার, জনি বেয়ারোস্টো, মরগান, মঈন আলী, লিভিংস্টোন—ইংল্যান্ডের ব্যাটিং গভীরতা একবার দেখুন।
এরপরও একটা বিষয় নিয়ে ইংল্যান্ডকে ভাবতে হবে। ২০১৯ বিশ্বকাপে কিন্তু দুই দলের মধ্যে পার্থক্যটা গড়ে দিয়েছিলেন বেন স্টোকস আর জোফরা আর্চার। সেই দুই তারকাই তো নেই ইংল্যান্ডের সাজঘরে! নিউজিল্যান্ড নিশ্চয়ই এই সুযোগটা কাজে লাগাতে চাইবে।
আমার কাছে মনে হচ্ছে আজকের ম্যাচটি মর্যাদার লড়াইও। টেস্টের চ্যাম্পিয়নের বিপক্ষে ওয়ানডের শিরোপাধারীদের লড়াই। যে দল জিতবে, তারা বলতে পারবে টি-টোয়েন্টিতে আমরাই এগিয়ে। অবশ্যই বিশ্বকাপের মঞ্চে বেশ ভালো খেলে নিউজিল্যান্ড। ইংল্যান্ড তো সাদা বলের ক্রিকেটের নতুন পরাশক্তি। দর্শক হিসেবে আশা করব—দুর্দান্ত একটি ম্যাচ হবে।
প্রতিযোগিতাও দুই ‘মাস্টার ক্যাপ্টেনের’। দুই অধিনায়কই দলকে আগলে রাখতে জানেন। মরগান তো ইংল্যান্ডের সাদা বলের ক্রিকেটে বিপ্লব এনে দিয়েছেন। আর উইলিয়ামসন হলেন সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া নেতা। খেলার আড়ালে লড়াইটা থাকবে দুই অধিনায়কেরও। দুই অধিনায়কের হাতেই এখন একটি করে শিরোপা আছে। আজ একজনের এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ।
ডিসেম্বরে মধ্যে ফ্লাডলাইট বাদে বাকি কাজ শেষ হয়ে যাবে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের। তবে পরিপূর্ণভাবে পেতে আগামী জুন পর্যন্ত লেগে যেতে পারে। সে জন্য সাফ অনূর্ধ্ব-২০ আয়োজনে বিকল্প ভেন্যু হিসেবে কক্সবাজারকে পছন্দ বাফুফের।
৪ মিনিট আগেপার্থে সকালে শুরু হয়েছে অস্ট্রেলিয়া-ভারত প্রথম টেস্ট। রাতে সিরিজের প্রথম টেস্টে খেলতে নামছে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের প্রথম টেস্ট। ফুটবলে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর আল নাসরের ম্যাচ রয়েছে। এক নজরে দেখে নিন টিভিতে কী কী খেলা রয়েছে।
২৩ মিনিট আগেখেলা, ক্রিকেট, বাংলাদেশ ক্রিকেট, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট, টেস্ট ক্রিকেট
৩৯ মিনিট আগেটি-টোয়েন্টিতে ২০২৪ সাল ভারতের কেটেছে অসাধারণ। ক্রিকেটের রাজকীয় সংস্করণ টেস্টেও তাদের শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। তবে বছরের শেষভাগে এসে টেস্টে হোঁচট খাচ্ছে এশিয়ার দলটি। সুদূর অস্ট্রেলিয়াতে এসেও বেকায়দায় পড়েছে ভারত।
১ ঘণ্টা আগে