বোরহান জাবেদ
ঢাকা: দুই বছরে ৯ দলের প্রতিযোগিতা শেষে অবশেষে আসল ক্ষণটা এসে গেছে—আজ শুরু হচ্ছে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল। সাউদাম্পটনের রোজ বোলে শিরোপার লড়াইয়ে নামছে ভারত-নিউজিল্যান্ড। কে জিতবে প্রথম টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা—শুধু কোটি নয়, এটি এখন সাড়ে ১৩ কোটি টাকার প্রশ্ন!
আসলেই তো। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ বিজয়ী দলকে আইসিসি প্রাইজমানি দিচ্ছে সাড়ে ১৩ কোটি টাকা। শুধুই কি আর্থিক পুরস্কার, এই ট্রফির মর্যাদাই যে অন্যরকম।
ক্রিকেটের কঠিন সংস্করণে এই মুহূর্তে সেরা দল যে নির্ধারণ হচ্ছে এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে। শিরোপার লড়াইয়ে কেউ এগিয়ে রাখছেন কেন উইলিয়ামসনের নিউজিল্যান্ডকে। কারও চোখে বিরাট কোহলির ভারতই ফেবারিট।
আমি ভারতের পক্ষেই ভোট দেব। বোলিং-ব্যাটিং দুই বিভাগে বিরাট কোহলিরা দারুণ ভারসাম্যপূর্ণ দল। সাউদাম্পটনের আবহাওয়াও ভারতের পক্ষে। যত দ্রুত পিচের কাভার সরিয়ে নেওয়া হবে ভারতীয় স্পিনাররা ভালো করবে
সুনীল গাভাস্কার
সাবেক ভারত অধিনায়ক
সুনীল গাভাস্কার নিজের ভোট স্বাভাবিকভাবেই ভারতের পক্ষে দিয়েছেন। তবে ভারতীয় কিংবদন্তি মনে করেন, ফাইনালের চাপ যে দল ভালো সামলাতে পারবে, তাদের হাতেই উঠবে শিরোপা। সেই চাপটা কি ভারতের দিকেই একটু বেশি? ভালো করলে কোহলিদের যেমন বাহবা জুটবে, খারাপ করলে সমালোচনার তির ছুটে যাবে অবিরত।
নিউজিল্যান্ডের অবশ্য দর্শক–সমর্থকদের চাপ ঠিক এ পর্যায়ের নয়। রাগবির দেশ নিউজিল্যান্ডে ক্রিকেট জনপ্রিয়তার নিক্তিতে একটু পিছিয়েই থাকে। দর্শকদের চাপ তাই উইলিয়ামসনদের খুব একটা নিতে হবে না।
প্রস্তুতিও একেবারে মনমতোই হয়েছে নিউজিল্যান্ডের। কয়েক দিন আগেই যে ইংল্যান্ডের মাটিতে সিরিজ জিতেছে কিউইরা। ২২ বছর পর ইংলিশদের মাটিতে ইংলিশদের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জিতে স্বাভাবিকভাবেই আত্মবিশ্বাসটা উঁচুতে নিয়ে গেছেন বোল্ট–সাউদিরা।
আমার বাজি নিউজিল্যান্ড। উইলিয়ামসনদের প্রস্তুতিটা আমাকে আশাবাদী করেছে। সাউদাম্পটনে ফাইনালের আগে ইংল্যান্ডেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ খেলা এটা দারুণ ব্যাপার। আর সিরিজ জেতা আরও দারুণ ব্যাপার
ক্রেগ ম্যাকমিলান
সাবেক নিউজিল্যান্ড ব্যাটসম্যান
চোটে পড়ে এজবাস্টনে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে উইলিয়ামসকে পায়নি নিউজিল্যান্ড। তবে ফাইনালের আগে সেই দুশ্চিন্তা কিছুটা কেটেছে কিউইদের। নিয়মিত অধিনায়ক ফেরায় স্বস্তি শুধু নিউজিল্যান্ডের নয়, দর্শকদেরও। সময়ের সেরা দুই ব্যাটসম্যানের জমজমাট লড়াই দেখার অপেক্ষায় তারাও।
মার্চে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের পর আর কোনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেননি কোহলিরা। এ সময় ভারতীয় ক্রিকেটাররা ব্যস্ত ছিলেন আইপিএলে।
মাঝপথে আইপিএল স্থগিতের পর ফাইনালের প্রাথমিক প্রস্তুতি কোহলিরা নিয়েছিলেন দেশেই। গত মাসে ইংল্যান্ডে এসে কোয়ারেন্টিন–পর্ব শেষ করে নিজেদের মধ্যে ভাগ হয়ে তৈরি হয়েছেন ফাইনাল খেলতে। কোহলি-পূজারারা প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছেন কাউন্টির দ্বিতীয় সারির দুটি দলের বিপক্ষেও। অভিজ্ঞদের সঙ্গে তারুণ্যের দারুণ মিশ্রণ—ভয়ডরহীন ভারতীয় ব্যাটিং লাইনআপের গভীরতা যেকোনো অধিনায়কের মাথা ব্যথার কারণ। জাসপ্রিত বুমরাহ-মোহাম্মদ শামিদের অসাধারণ পেস বোলিং আক্রমণ তো আছেই।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, আগামী পাঁচ দিনে ভালো আবহাওয়ার দেখা মিলবে। আবহাওয়া যদি ক্রিকেটবান্ধব হয়, তাহলে আর কী? অসাধারণ এক ফাইনাল দেখতে প্রস্তুত হোন।
ঢাকা: দুই বছরে ৯ দলের প্রতিযোগিতা শেষে অবশেষে আসল ক্ষণটা এসে গেছে—আজ শুরু হচ্ছে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল। সাউদাম্পটনের রোজ বোলে শিরোপার লড়াইয়ে নামছে ভারত-নিউজিল্যান্ড। কে জিতবে প্রথম টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা—শুধু কোটি নয়, এটি এখন সাড়ে ১৩ কোটি টাকার প্রশ্ন!
আসলেই তো। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ বিজয়ী দলকে আইসিসি প্রাইজমানি দিচ্ছে সাড়ে ১৩ কোটি টাকা। শুধুই কি আর্থিক পুরস্কার, এই ট্রফির মর্যাদাই যে অন্যরকম।
ক্রিকেটের কঠিন সংস্করণে এই মুহূর্তে সেরা দল যে নির্ধারণ হচ্ছে এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে। শিরোপার লড়াইয়ে কেউ এগিয়ে রাখছেন কেন উইলিয়ামসনের নিউজিল্যান্ডকে। কারও চোখে বিরাট কোহলির ভারতই ফেবারিট।
আমি ভারতের পক্ষেই ভোট দেব। বোলিং-ব্যাটিং দুই বিভাগে বিরাট কোহলিরা দারুণ ভারসাম্যপূর্ণ দল। সাউদাম্পটনের আবহাওয়াও ভারতের পক্ষে। যত দ্রুত পিচের কাভার সরিয়ে নেওয়া হবে ভারতীয় স্পিনাররা ভালো করবে
সুনীল গাভাস্কার
সাবেক ভারত অধিনায়ক
সুনীল গাভাস্কার নিজের ভোট স্বাভাবিকভাবেই ভারতের পক্ষে দিয়েছেন। তবে ভারতীয় কিংবদন্তি মনে করেন, ফাইনালের চাপ যে দল ভালো সামলাতে পারবে, তাদের হাতেই উঠবে শিরোপা। সেই চাপটা কি ভারতের দিকেই একটু বেশি? ভালো করলে কোহলিদের যেমন বাহবা জুটবে, খারাপ করলে সমালোচনার তির ছুটে যাবে অবিরত।
নিউজিল্যান্ডের অবশ্য দর্শক–সমর্থকদের চাপ ঠিক এ পর্যায়ের নয়। রাগবির দেশ নিউজিল্যান্ডে ক্রিকেট জনপ্রিয়তার নিক্তিতে একটু পিছিয়েই থাকে। দর্শকদের চাপ তাই উইলিয়ামসনদের খুব একটা নিতে হবে না।
প্রস্তুতিও একেবারে মনমতোই হয়েছে নিউজিল্যান্ডের। কয়েক দিন আগেই যে ইংল্যান্ডের মাটিতে সিরিজ জিতেছে কিউইরা। ২২ বছর পর ইংলিশদের মাটিতে ইংলিশদের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জিতে স্বাভাবিকভাবেই আত্মবিশ্বাসটা উঁচুতে নিয়ে গেছেন বোল্ট–সাউদিরা।
আমার বাজি নিউজিল্যান্ড। উইলিয়ামসনদের প্রস্তুতিটা আমাকে আশাবাদী করেছে। সাউদাম্পটনে ফাইনালের আগে ইংল্যান্ডেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ খেলা এটা দারুণ ব্যাপার। আর সিরিজ জেতা আরও দারুণ ব্যাপার
ক্রেগ ম্যাকমিলান
সাবেক নিউজিল্যান্ড ব্যাটসম্যান
চোটে পড়ে এজবাস্টনে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে উইলিয়ামসকে পায়নি নিউজিল্যান্ড। তবে ফাইনালের আগে সেই দুশ্চিন্তা কিছুটা কেটেছে কিউইদের। নিয়মিত অধিনায়ক ফেরায় স্বস্তি শুধু নিউজিল্যান্ডের নয়, দর্শকদেরও। সময়ের সেরা দুই ব্যাটসম্যানের জমজমাট লড়াই দেখার অপেক্ষায় তারাও।
মার্চে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের পর আর কোনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেননি কোহলিরা। এ সময় ভারতীয় ক্রিকেটাররা ব্যস্ত ছিলেন আইপিএলে।
মাঝপথে আইপিএল স্থগিতের পর ফাইনালের প্রাথমিক প্রস্তুতি কোহলিরা নিয়েছিলেন দেশেই। গত মাসে ইংল্যান্ডে এসে কোয়ারেন্টিন–পর্ব শেষ করে নিজেদের মধ্যে ভাগ হয়ে তৈরি হয়েছেন ফাইনাল খেলতে। কোহলি-পূজারারা প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছেন কাউন্টির দ্বিতীয় সারির দুটি দলের বিপক্ষেও। অভিজ্ঞদের সঙ্গে তারুণ্যের দারুণ মিশ্রণ—ভয়ডরহীন ভারতীয় ব্যাটিং লাইনআপের গভীরতা যেকোনো অধিনায়কের মাথা ব্যথার কারণ। জাসপ্রিত বুমরাহ-মোহাম্মদ শামিদের অসাধারণ পেস বোলিং আক্রমণ তো আছেই।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, আগামী পাঁচ দিনে ভালো আবহাওয়ার দেখা মিলবে। আবহাওয়া যদি ক্রিকেটবান্ধব হয়, তাহলে আর কী? অসাধারণ এক ফাইনাল দেখতে প্রস্তুত হোন।
২০২৪-২৫ মৌসুমের আবুধাবি টি-টেন বাংলা টাইগার্স শুরু করেছিল জোড়া হারে। সেখান থেকে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বাধীন টাইগার্স। মরুর দেশে টানা দুই ম্যাচ সাকিবরা জিতলেন হেসেখেলে।
১২ ঘণ্টা আগেখেলা, ক্রিকেট, বাংলাদেশ ক্রিকেট, টেস্ট ক্রিকেট, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট
১২ ঘণ্টা আগেঅ্যান্টিগায় বাংলাদেশের বোলাররা তো চেষ্টার ত্রুটি রাখেননি। তাসকিন আহমেদ, মেহেদী হাসান মিরাজদের বোলিংয়ে একটু হলেও চাপে পড়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটাররা। কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাটিং-বোলিং দুটিই একসঙ্গে ‘ক্লিক’ খুব কম সময়েই করে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে হতাশ করেছেন
১৩ ঘণ্টা আগেঅ্যান্টিগা টেস্টে ১৮১ রানে পিছিয়ে থেকেও গতকাল ৯ উইকেটে ২৬৯ রানে ইনিংস ঘোষণা করে দেয় বাংলাদেশ দল। তারপরই অনেক আলোচনা-সমালোচনা টিম ম্যানেজমেন্টের এই সিদ্ধান্তে। তাসকিন আহমেদ ১১ ও শরীফুল ইসলাম ছিলেন ৫ রানে অপরাজিত। অনেকেই মনে করেছেন, বাংলাদেশ শেষ উইকেটে হয়তো আরও কিছু রান যোগও করতে পারত।
১৪ ঘণ্টা আগে