নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ব্যাটাররা যে পুঁজি এনে দিলেন, পাল্লেকেলের মাঠে তাতে নির্ভর করে সুফল নিয়ে আসতে অসাধারণ কিছুই করতে হতো বাংলাদেশের বোলারদের। তাসকিন আহমেদ-সাকিব আল হাসানরাও চেষ্টার কমতি রাখেননি। শ্রীলঙ্কার টপ অর্ডারকে দ্রুত ড্রেসিংরুমে ফিরিয়ে ভালো কিছুর আভাসও দিয়েছিলেন শুরুতে।
তৃতীয় উইকেটে জুটিতে সাদিরা সামারাবিক্রমা ও চরিত আসালাঙ্কার সাবধানী ব্যাটিংয়ে জয়টা মাত্র সময়ের ব্যাপার হয় শ্রীলঙ্কার। এরপরে দ্রুত কয়েকটি উইকেট নিলেও স্বাগতিকদের জয়ের পথে বাধা হতে পারেনি সেটি। ৬৬ বল হাতে রেখেই এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ ৫ উইকেটে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের দেওয়া ১৬৫ রানের লক্ষ্য ৩৯ ওভারে তাড়া করে তারা।
পাল্লেকেল স্টেডিয়ামে সাম্প্রতিক ওয়ানডে ম্যাচগুলোয় বড় স্কোরই হয়েছিল। সেটি বুঝেই হয় তো টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব। দেশে যেভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন ব্যাটাররা, তাতে তাঁদের কাছে বড় ইনিংস ছিল প্রত্যাশা। যার সৌজন্যে শ্রীলঙ্কার সামনে বড় লক্ষ্য ছুড়ে দেবে বাংলাদেশ।
এর কিছুই হলো না। কোনোরকম দেড় শ পার করল বাংলাদেশ। মাতিশা পাতিরানার তোপ এবং মহীশ তিকশানার ঘূর্ণি জাদুতে ৪২.৪ ওভারে ১৬৪ রানেই গুটিয়ে গেছে সাকিবের দল। ব্যাটিং ব্যর্থতার দিনে এক নাজমুল হোসেন শান্তই লড়ে গেলেন। ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিলে তিনি পৌঁছে গিয়েছিলেন সেঞ্চুরির কাছে।
তিকশানার দারুণ এক ডেলিভারিতে ৮৯ রানে আউট হয়ে, সেঞ্চুরির আক্ষেপ নিয়ে ফেরেন শান্ত। ১২২ বলের ইনিংসে ছিল সাতটি চারের বাউন্ডারি। বাংলাদেশের সাত ব্যাটারই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি।
১৬৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শ্রীলঙ্কার শুরুটাও বাংলাদেশের নড়বড়ে হলো। ১৫ রানেই দুই ওপেনারের উইকেট হারায় তারা। তাসকিন আহমেদ, শরীফুল ইসলাম ও সাকিব আল হাসানের একটি করে শিকারে ৪৩ রানেই ড্রেসিংরুমে ফিরল স্বাগিতকদের টপ অর্ডার।
প্রথম দুই ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ১৩ রান তোলে শ্রীলঙ্কা। দিমুথ করুণারত্নে ও পাতুম নিসাঙ্কার উদ্বোধনী জুটি আর বড় হতে দেননি তাসকিন। তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে ফুল লেংথ বল ফ্লিক করতে গিয়ে বোল্ড হয়েছেন করুণারত্নে। ৩ বলে ১ রান আসে তাঁর ব্যাট থেকে।
চতুর্থ ওভারেই শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং অর্ডারে দ্বিতীয় আঘাত হানেন শরীফুল। চতুর্থ ওভারের তৃতীয় বলে শরীফুলকে কাট করতে গিয়েছিলেন নিশাঙ্কা। আউটসাইড এজ হওয়া বল ডাইভ দিয়ে দুর্দান্তভাবে ক্যাচ ধরলেন মুশফিকুর রহিম। ১৩ বলে ১৪ রানে ফেরেন নিসাঙ্কা।
শুরুর ধাক্কা সামলাতে তৃতীয় উইকেটে সাবধানী ব্যাটিং করছিলেন কুশল মেন্ডিস ও সাদিরা সামারাবিক্রমা। তাঁদের জুটি বড় হওয়ার পথে বাধা হলেন সাকিব। দুর্দান্ত আর্ম ডেলিভারিতে কুশল মেন্ডিসকে বোল্ড করলেন সাকিব। ২১ বলে ৫ রান ফিরলেন মেন্ডিস।
৪৩ রানে ৩ উইকেট পড়ার চাপ সামলে ঘুরে দাঁড়ায় শ্রীলঙ্কা। চতুর্থ উইকেটে ১১৯ বলে ৭৮ রানের জুটি গড়েন সামারাবিক্রমা ও আসালাঙ্কা। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি তুলে নিলেন সামারাবিক্রমা। সামারাবিক্রমাকে ফিরিয়েই জুটি ভাঙেন শেখ মেহেদী হাসান। ৩০ তম ওভারের প্রথম বলে মেহেদীকে ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে গিয়ে বলের লাইন মিস করেন সামারাবিক্রমা। স্টাম্পিং করলেন উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিম। ৭৭ বলে ৫৪ রান আসে সামারাবিক্রমার ব্যাট থেকে। তখন শ্রীলঙ্কার স্কোর ১২১, জয়টা কেবল সময়ের ব্যাপার।
তবে পরের ওভারে ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে বোল্ড করে শ্রীলঙ্কার ওপর চাপ তৈরি করেন সাকিব। অধিনায়ক দাসুন শানাকা ও আসালাঙ্কার ব্যাটে সেই চাপ উড়েই গেল। নবম ওয়ানডে ফিফটি করে ৯২ বলে ৬২ রানে অপরাজিত রইলেন আসালাঙ্কা।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে দুটি উইকেট নিলেন সাকিব। তাতেই ওয়ানডেতে বাঁহাতি স্পিনারদের মধ্যে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি তালিকায় নিউজিল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেটার ড্যানিয়েল ভেট্টরিকে ছাড়িয়ে দুই নম্বরে উঠে এলেন তিনি। ২৭৭ ইনিংসে ভেট্টরির ওয়ানডে উইকেট ৩০৫। সাকিবের ২৩০ ইনিংসে ৩০৬ উইকেট। তালিকায় শীর্ষে আছেন শ্রীলঙ্কার সাবেক অলরাউন্ডার সনাথ জয়সুরিয়া। ৩৬৮ ইনিংসে ৩২৩ উইকেট তাঁর।
পাল্লেকেলের উইকেট ব্যাটারদের জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল না। সমস্যা ছিল শট নির্বাচনে। চোটে ছিটকে যাওয়ায় অভিজ্ঞ বোলিং আক্রমণ ছিল না শ্রীলঙ্কার। কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাটাররা সেই সুযোগ ব্যবহার করতে একদমই ব্যর্থ হলেন। মোহাম্মদ নাঈম, মুশফিকুর রহিম ও তাওহীদ হৃদয় দুই অঙ্কের ফিগার পার হলেও ইনিংস বড় করতে পারলেন না।
পাওয়ার প্লেতে মাত্র ৩৪ রান তুলল বাংলাদেশ। ২৫ রানের মধ্যেই ড্রেসিংরুমে ফিরলেন দুই ওপেনার–নাঈম ও তানজিদ হাসান তামিম। ওয়ানডে অভিষেকটা রাঙানো হলো না জুনিয়র তামিমের। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামেন যুব বিশ্বকাপজয়ী এই ক্রিকেটার। কিন্তু আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
তিকশানার ঘূর্ণিতে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন তামিম। ২ বল মোকাবিলা করে, রানের খাতা খোলার আগেই ড্রেসিংরুমে ফিরেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। অষ্টম ওভারের চতুর্থ বলে ধনঞ্জয়াকে বড় শট খেলতে গিয়ে আউট হন নাঈম। পয়েন্টে সহজ ক্যাচ ধরেছেন পাথুম নিশাঙ্কা। ২৩ বলে ১৬ রান আসে তাঁর ব্যাট থেকে। পরিস্থিতি অনুযায়ী ওই শট ছিল নিরর্থক। পারতেন নিচু শটে ইনিংসটা বড় করতে।
ব্যাটিংয়ে ওয়ানডে অধিনায়কত্বের দ্বিতীয় ধাপের শুরুটা ভালো হলো না সাকিবের। মাতিশা পাতিরানার বাইরের শর্ট ডেলিভারি কাট করতে গিয়েছিলেন, বল-ব্যাটের সংযোগটা ভালো না হয়নি, দুর্দান্ত ডাইভে শ্রীলঙ্কান উইকেটকিপার কুশল মেন্ডিস বল হাতে জমা করেন। ১১ বলে ৫ রান আসে সাকিবের ব্যাট থেকে।
তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা শান্ত হাত খুলে না খেলতে পারলেও তাওহীদ হৃদয়কে নিয়ে প্রাথমিক চাপটা সামলানোর চেষ্টা করলেন। চতুর্থ উইকেটে শান্ত-হৃদয় জুটি ৮০ বলে ৫৯ রান যোগ করেন।
২৪ তম ওভারের শেষ বলে হৃদয়কে এলবিডব্লিউ করে আবেদন করেছিলেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দাসুন শানাকা। আম্পায়ার সেই আবেদনে সাড়া দেননি। পরে লঙ্কান অধিনায়ক রিভিউ নিয়ে হৃদয়কে আউট করেছেন। কোনো বাউন্ডারি ছাড়া ৪১ বলে ২০ রানের ইনিংস খেলেছেন বাংলাদেশের মিডল অর্ডার ব্যাটার। এরপর মুশফিকও ফিরলেন ১৩ রানে। কোনো ব্যাটারই আর ভালো ইনিংস খেলতে পারেননি।
শ্রীলঙ্কান বোলারদের মধ্যে পাতিরানা ৩২ রান দিয়ে ৪ উইকেট এবং তিকশানা ১৯ রান দিয়ে নিলেন ২ উইকেট।
ব্যাটাররা যে পুঁজি এনে দিলেন, পাল্লেকেলের মাঠে তাতে নির্ভর করে সুফল নিয়ে আসতে অসাধারণ কিছুই করতে হতো বাংলাদেশের বোলারদের। তাসকিন আহমেদ-সাকিব আল হাসানরাও চেষ্টার কমতি রাখেননি। শ্রীলঙ্কার টপ অর্ডারকে দ্রুত ড্রেসিংরুমে ফিরিয়ে ভালো কিছুর আভাসও দিয়েছিলেন শুরুতে।
তৃতীয় উইকেটে জুটিতে সাদিরা সামারাবিক্রমা ও চরিত আসালাঙ্কার সাবধানী ব্যাটিংয়ে জয়টা মাত্র সময়ের ব্যাপার হয় শ্রীলঙ্কার। এরপরে দ্রুত কয়েকটি উইকেট নিলেও স্বাগতিকদের জয়ের পথে বাধা হতে পারেনি সেটি। ৬৬ বল হাতে রেখেই এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ ৫ উইকেটে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের দেওয়া ১৬৫ রানের লক্ষ্য ৩৯ ওভারে তাড়া করে তারা।
পাল্লেকেল স্টেডিয়ামে সাম্প্রতিক ওয়ানডে ম্যাচগুলোয় বড় স্কোরই হয়েছিল। সেটি বুঝেই হয় তো টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব। দেশে যেভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন ব্যাটাররা, তাতে তাঁদের কাছে বড় ইনিংস ছিল প্রত্যাশা। যার সৌজন্যে শ্রীলঙ্কার সামনে বড় লক্ষ্য ছুড়ে দেবে বাংলাদেশ।
এর কিছুই হলো না। কোনোরকম দেড় শ পার করল বাংলাদেশ। মাতিশা পাতিরানার তোপ এবং মহীশ তিকশানার ঘূর্ণি জাদুতে ৪২.৪ ওভারে ১৬৪ রানেই গুটিয়ে গেছে সাকিবের দল। ব্যাটিং ব্যর্থতার দিনে এক নাজমুল হোসেন শান্তই লড়ে গেলেন। ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিলে তিনি পৌঁছে গিয়েছিলেন সেঞ্চুরির কাছে।
তিকশানার দারুণ এক ডেলিভারিতে ৮৯ রানে আউট হয়ে, সেঞ্চুরির আক্ষেপ নিয়ে ফেরেন শান্ত। ১২২ বলের ইনিংসে ছিল সাতটি চারের বাউন্ডারি। বাংলাদেশের সাত ব্যাটারই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি।
১৬৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শ্রীলঙ্কার শুরুটাও বাংলাদেশের নড়বড়ে হলো। ১৫ রানেই দুই ওপেনারের উইকেট হারায় তারা। তাসকিন আহমেদ, শরীফুল ইসলাম ও সাকিব আল হাসানের একটি করে শিকারে ৪৩ রানেই ড্রেসিংরুমে ফিরল স্বাগিতকদের টপ অর্ডার।
প্রথম দুই ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ১৩ রান তোলে শ্রীলঙ্কা। দিমুথ করুণারত্নে ও পাতুম নিসাঙ্কার উদ্বোধনী জুটি আর বড় হতে দেননি তাসকিন। তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে ফুল লেংথ বল ফ্লিক করতে গিয়ে বোল্ড হয়েছেন করুণারত্নে। ৩ বলে ১ রান আসে তাঁর ব্যাট থেকে।
চতুর্থ ওভারেই শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং অর্ডারে দ্বিতীয় আঘাত হানেন শরীফুল। চতুর্থ ওভারের তৃতীয় বলে শরীফুলকে কাট করতে গিয়েছিলেন নিশাঙ্কা। আউটসাইড এজ হওয়া বল ডাইভ দিয়ে দুর্দান্তভাবে ক্যাচ ধরলেন মুশফিকুর রহিম। ১৩ বলে ১৪ রানে ফেরেন নিসাঙ্কা।
শুরুর ধাক্কা সামলাতে তৃতীয় উইকেটে সাবধানী ব্যাটিং করছিলেন কুশল মেন্ডিস ও সাদিরা সামারাবিক্রমা। তাঁদের জুটি বড় হওয়ার পথে বাধা হলেন সাকিব। দুর্দান্ত আর্ম ডেলিভারিতে কুশল মেন্ডিসকে বোল্ড করলেন সাকিব। ২১ বলে ৫ রান ফিরলেন মেন্ডিস।
৪৩ রানে ৩ উইকেট পড়ার চাপ সামলে ঘুরে দাঁড়ায় শ্রীলঙ্কা। চতুর্থ উইকেটে ১১৯ বলে ৭৮ রানের জুটি গড়েন সামারাবিক্রমা ও আসালাঙ্কা। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি তুলে নিলেন সামারাবিক্রমা। সামারাবিক্রমাকে ফিরিয়েই জুটি ভাঙেন শেখ মেহেদী হাসান। ৩০ তম ওভারের প্রথম বলে মেহেদীকে ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে গিয়ে বলের লাইন মিস করেন সামারাবিক্রমা। স্টাম্পিং করলেন উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিম। ৭৭ বলে ৫৪ রান আসে সামারাবিক্রমার ব্যাট থেকে। তখন শ্রীলঙ্কার স্কোর ১২১, জয়টা কেবল সময়ের ব্যাপার।
তবে পরের ওভারে ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে বোল্ড করে শ্রীলঙ্কার ওপর চাপ তৈরি করেন সাকিব। অধিনায়ক দাসুন শানাকা ও আসালাঙ্কার ব্যাটে সেই চাপ উড়েই গেল। নবম ওয়ানডে ফিফটি করে ৯২ বলে ৬২ রানে অপরাজিত রইলেন আসালাঙ্কা।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে দুটি উইকেট নিলেন সাকিব। তাতেই ওয়ানডেতে বাঁহাতি স্পিনারদের মধ্যে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি তালিকায় নিউজিল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেটার ড্যানিয়েল ভেট্টরিকে ছাড়িয়ে দুই নম্বরে উঠে এলেন তিনি। ২৭৭ ইনিংসে ভেট্টরির ওয়ানডে উইকেট ৩০৫। সাকিবের ২৩০ ইনিংসে ৩০৬ উইকেট। তালিকায় শীর্ষে আছেন শ্রীলঙ্কার সাবেক অলরাউন্ডার সনাথ জয়সুরিয়া। ৩৬৮ ইনিংসে ৩২৩ উইকেট তাঁর।
পাল্লেকেলের উইকেট ব্যাটারদের জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল না। সমস্যা ছিল শট নির্বাচনে। চোটে ছিটকে যাওয়ায় অভিজ্ঞ বোলিং আক্রমণ ছিল না শ্রীলঙ্কার। কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাটাররা সেই সুযোগ ব্যবহার করতে একদমই ব্যর্থ হলেন। মোহাম্মদ নাঈম, মুশফিকুর রহিম ও তাওহীদ হৃদয় দুই অঙ্কের ফিগার পার হলেও ইনিংস বড় করতে পারলেন না।
পাওয়ার প্লেতে মাত্র ৩৪ রান তুলল বাংলাদেশ। ২৫ রানের মধ্যেই ড্রেসিংরুমে ফিরলেন দুই ওপেনার–নাঈম ও তানজিদ হাসান তামিম। ওয়ানডে অভিষেকটা রাঙানো হলো না জুনিয়র তামিমের। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামেন যুব বিশ্বকাপজয়ী এই ক্রিকেটার। কিন্তু আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
তিকশানার ঘূর্ণিতে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন তামিম। ২ বল মোকাবিলা করে, রানের খাতা খোলার আগেই ড্রেসিংরুমে ফিরেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। অষ্টম ওভারের চতুর্থ বলে ধনঞ্জয়াকে বড় শট খেলতে গিয়ে আউট হন নাঈম। পয়েন্টে সহজ ক্যাচ ধরেছেন পাথুম নিশাঙ্কা। ২৩ বলে ১৬ রান আসে তাঁর ব্যাট থেকে। পরিস্থিতি অনুযায়ী ওই শট ছিল নিরর্থক। পারতেন নিচু শটে ইনিংসটা বড় করতে।
ব্যাটিংয়ে ওয়ানডে অধিনায়কত্বের দ্বিতীয় ধাপের শুরুটা ভালো হলো না সাকিবের। মাতিশা পাতিরানার বাইরের শর্ট ডেলিভারি কাট করতে গিয়েছিলেন, বল-ব্যাটের সংযোগটা ভালো না হয়নি, দুর্দান্ত ডাইভে শ্রীলঙ্কান উইকেটকিপার কুশল মেন্ডিস বল হাতে জমা করেন। ১১ বলে ৫ রান আসে সাকিবের ব্যাট থেকে।
তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা শান্ত হাত খুলে না খেলতে পারলেও তাওহীদ হৃদয়কে নিয়ে প্রাথমিক চাপটা সামলানোর চেষ্টা করলেন। চতুর্থ উইকেটে শান্ত-হৃদয় জুটি ৮০ বলে ৫৯ রান যোগ করেন।
২৪ তম ওভারের শেষ বলে হৃদয়কে এলবিডব্লিউ করে আবেদন করেছিলেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দাসুন শানাকা। আম্পায়ার সেই আবেদনে সাড়া দেননি। পরে লঙ্কান অধিনায়ক রিভিউ নিয়ে হৃদয়কে আউট করেছেন। কোনো বাউন্ডারি ছাড়া ৪১ বলে ২০ রানের ইনিংস খেলেছেন বাংলাদেশের মিডল অর্ডার ব্যাটার। এরপর মুশফিকও ফিরলেন ১৩ রানে। কোনো ব্যাটারই আর ভালো ইনিংস খেলতে পারেননি।
শ্রীলঙ্কান বোলারদের মধ্যে পাতিরানা ৩২ রান দিয়ে ৪ উইকেট এবং তিকশানা ১৯ রান দিয়ে নিলেন ২ উইকেট।
৩, ২, ০, ১, ১৩, ৭, ০, ০, ০, ১০, ০—এই হলো ডারবান টেস্টে শ্রীলঙ্কার ব্যাটারদের প্রথম ইনিংসের রান। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের সামনে এক সেশনও টিকতে পারেনি সফরকারীরা। আজ দ্বিতীয় দিনে মধ্যাহ্নভোজের পর ব্যাটিংয়ে নেমে লঙ্কানরা অলআউট হয়েছে মাত্র ৪২ রানে! যার মধ্যে আবার ৬ রানই এসেছে অতিরিক্ত থেকে।
১ ঘণ্টা আগেঅ্যান্টিগায় ২০১ রানে হেরে টেস্ট সিরিজে ১–০ ব্যবধানে পিছিয়ে বাংলাদেশ। ক্যারিবীয়রা নিজেদের মাঠে টেস্ট খেলছে, অথচ গ্যালারি খাঁ-খাঁ করছে। টেস্টে এমনি দর্শক কম হয়, তাই বলে ৫০ জন দর্শকও কি মাঠে আসবে না? জ্যামাইকায় পরশু শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় টেস্ট। আয়োজকেরা স্যাবাইনা পার্কে সুলভ মূল্যে
৩ ঘণ্টা আগেশিরোনাম দেখে মনে হতে পারে, ওলি রবিনসনের যমজ ভাই ক্রিকেট খেলতে শুরু করেছেন কি না। আসলে ব্যাপারটি তা নয়। নতুন ওলি রবিনসনের সঙ্গে আগের ওলি রবিনসনের কোনো সম্পর্ক নেই।
৪ ঘণ্টা আগে