বাংলাদেশের বোলারদের পিটিয়ে ভারতের অবিশ্বাস্য রেকর্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক, কানপুর থেকে 
প্রকাশ : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫: ২২
আপডেট : ০১ অক্টোবর ২০২৪, ০০: ২৩

কানপুরে এখন কী চলছে? টি-টোয়েন্টি নাকি টি-টেন—এই প্রশ্নটা অনেকের কাছে অদ্ভুতুড়ে মনে হতে পারে। কারণ, গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামে তো সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট খেলছে বাংলাদেশ-ভারত। কিন্তু যাঁরা টিভিতে খেলা দেখছেন, তাঁরা বুঝেছেন সাদা পোশাকে ভারতীয় ব্যাটাররা বাংলাদেশের বোলারদের ওপর কীভাবে তাণ্ডব চালাচ্ছেন। ওলটপালট হয়েছে রেকর্ড বইয়ের পাতা।

চার-ছক্কা ছাড়া ভারতীয় ব্যাটাররা এখন যেন কিছুই বুঝছেন না। নাজমুল হোসেন শান্ত যাঁকেই বোলিংয়ে আনছেন, তিনিই খাচ্ছেন বেধড়ক পিটুনি। ৬১ বলে ১০০ করে টেস্ট ইতিহাসে দ্রুততম দলীয় সেঞ্চুরির রেকর্ডটা গড়ে ফেলল বাংলাদেশের বিপক্ষেই। এর আগে ক্রিকেটের রাজকীয় সংস্করণে দ্রুততম দলীয় সেঞ্চুরির রেকর্ডটা ছিল ভারতেরই। ত্রিনিদাদে গত বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৭৪ বলে সেঞ্চুরি করেছিল ভারত।

ঢাকঢোল–ভুভুজেলায় যশস্বী জয়সওয়াল–রোহিত শর্মাদের মারকাটারি ব্যাটিংয়ে তালে গ্রিন পার্কের গ্যালারিতে শুরু হলো উন্মাদনা। সবচেয়ে বড় ঝড়টা গেছে ইনিংসের তৃতীয় ওভার বোলিংয়ে আসা পেসার খালেদ আহমেদের ওভারে। কানপুর টেস্টে খালেদের করা প্রথম ওভারের তৃতীয় বলে লং অনের ওপর দিয়ে বিশাল ছক্কা মারলেন রোহিত। বল গিয়ে পড়ল একতলা গ্যালারির অস্থায়ী কাপড়ের ছাদে। সেখান থেকে বল উদ্ধার করতে হলো বাঁশ ও কাঠের সাহায্য নিয়ে। এমন ছক্কা দেখে রীতিমতো তাজ্জব বনে গেলেন ধারাভাষ্যকার দিনেশ কার্তিক। ধারাভাষ্য কক্ষ থেকে কার্তিক বলে উঠলেন, ‘কেউ রোহিতকে বলুন যে সে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছে।’

রোহিত যেখানে খালেদকে পেটানো শেষ করেছেন, সেখান থেকেই আবার শুরু করলেন জয়সওয়াল। খালেদের করা ওভারের চতুর্থ বলে ছক্কা মারলেন জয়সওয়াল। ভারতীয় বাঁহাতি ব্যাটার শেষ দুই বলে মারলেন দুটি চার। ৩ ওভারে ফিফটি করে টেস্ট ইতিহাসে দ্রুততম দলীয় ফিফটির রেকর্ডটাও নিজেদের নামে করে নেয় ভারত।

পেসারদের এমন ম্যাড়মেড়ে বোলিংয়ে তাই পরিবর্তন আনতে বাধ্য হন নাজমুল হোসেন শান্ত। দুই পাশ থেকেই মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলামকে দিয়ে বোলিং শুরু করান। তাতেই মেলে সফলতা। যেখানে চতুর্থ ওভারের চতুর্থ বলে মেহেদী হাসান মিরাজ এলবিডব্লিউর আবেদন করেন রোহিতের বিপক্ষে। আম্পায়ার সাড়া না দেওয়ায় রিভিউ নেন শান্ত। ইমপ্যাক্ট আউটসাইড লেগ হওয়াতে নষ্ট হয় বাংলাদেশের রিভিউ। ঠিক তাঁর পরের বলেই রোহিতকে অসাধারণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড করেন মিরাজ। ১১ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় ২৩ রান করেন ভারতীয় টেস্ট অধিনায়ক।

রোহিতের বিদায়ে ৩.৫ ওভারে ১ উইকেটে ৫৫ রানে পরিণত হয় ভারত। তিনে ব্যাটিংয়ে নামেন শুবমান গিল। ৬৩ বলে ৭২ রানের জুটি দ্বিতীয় উইকেটে গড়েন যশস্বী জয়সওয়াল ও গিল। যেখানে ১৫তম ওভারের দ্বিতীয় বলে জয়সওয়ালকে বোল্ড করেন হাসান। ৫১ বলে ১২ চার ও ২ ছক্কায় ৭২ রান করেন জয়সওয়াল। ১৬ ওভারে ২ উইকেটে ১৩৮ রানে থেকে চা পানের বিরতিতে গেল ভারত। গিল ৩০ বলে ৩৭ রানে অপরাজিত। পন্ত ব্যাটিং করছেন ৫ বলে ৪ রানে। 

ইনিংসের প্রথম ওভারে হাসানকে হ্যাটট্রিক চার মেরে শুরু করেন জয়সওয়াল। ব্যক্তিগত ১২ রানে রোহিত অবশ্য আউট হতে পারতেন। হাসানের বলে রোহিত কাট করার পর বল জমা হয় উইকেটরক্ষক লিটন দাসের হাতে। তবে কেউ জোরালো আবেদন করেননি। স্নিকোমিটারে দেখা যায় এজ হয়েছে।

টেস্টে দ্রুততম দলীয় সেঞ্চুরি

বল                দল               প্রতিপক্ষ             সাল               ভেন্যু
৬১             ভারত              বাংলাদেশ           ২০২৪             কানপুর
৭৪             ভারত             ওয়েস্ট ইন্ডিজ        ২০২৩           ত্রিনিদাদ 
৮০             শ্রীলঙ্কা              বাংলাদেশ          ২০০১            কলম্বো
৮১              ইংল্যান্ড          দক্ষিণ আফ্রিকা       ১৯৯৪        দ্য ওভাল, লন্ডন
৮২              বাংলাদেশ        ওয়েস্ট ইন্ডিজ        ২০১২             মিরপুর

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত