দেশে প্রথম ‘স্পোর্টস ইনস্টিটিউট’ নির্মাণের ঘোষণা আসিফের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ১৮ আগস্ট ২০২৪, ১৬: ০২
আপডেট : ১৮ আগস্ট ২০২৪, ১৭: ৪৩

দেশের কঠিন পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকারে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। দায়িত্ব নেওয়ার পর গত ১০ দিনে বিভিন্ন সময়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন। জানিয়েছেন ক্রীড়াঙ্গনে সংস্কারের কথা। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেকে গুছিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এলেন আজই। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গুরুত্বপূর্ণ কিছু উদ্যোগ ও পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন।

দেশের ক্রীড়াঙ্গনের সংস্কার ও উন্নয়নে ‘সেন্টার অব এক্সিলেন্স’ স্লোগানে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো স্পোর্টস ইনস্টিটিউট নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছেন আসিফ মাহমুদ, ‘বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে যুগান্তকারী এক সিদ্ধান্তের দ্বারপ্রান্তে আছি আমরা, যা এ দেশের ক্রীড়াক্ষেত্রে প্রথম। শুধু তা–ই নয়, খেলোয়াড়, কোচ কিংবা ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে সম্পৃক্তদের কাছে তা হবে বিশেষায়িত এক স্থান। নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার উপলক্ষ এবং লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক মাধ্যম। দক্ষ ক্রীড়াবিদ তৈরি, ভালো ফল পাওয়াই এর লক্ষ্য।’ 

বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) থাকতে কেন এই স্পোর্টস ইনস্টিটিউট? উপদেষ্টা বললেন, ‘বিকেএসপিতে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত আছে। কিন্তু সর্বোচ্চ পারফরম্যান্সের জন্য কোনো প্রতিষ্ঠান নেই। তার জন্যই এই স্পোর্টস ইনস্টিটিউট করা।’

খেলাধুলার সঙ্গে বিজ্ঞানের সামঞ্জস্য তৈরি করতে চান আসিফ। ক্রীড়াঙ্গনকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য ক্রীড়া উপদেষ্টার ‘খেলাধুলা এবং বিজ্ঞানের মেলবন্ধন ঘটিয়ে ক্রীড়াক্ষেত্রে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে ইউকে, ইউএসএ, চীন, ফ্রান্সসহ উন্নত অনেক রাষ্ট্র। বাংলাদেশ স্পোর্টস ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে সে লক্ষ্যে পৌঁছাতে চায় বাংলাদেশও।’ 

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের প্রায় সব ক্রীড়া ফেডারেশন অনেকটা নেতৃত্বশূন্যতা কিংবা নির্জীব সময় পার করছে। অনেক পরিচালক দেশের বাইরে চলে গেছেন। দ্রুতই এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বললেন আসিফ মাহমুদ, ‘দেশের বেশির ভাগ ক্রীড়া ফেডারেশনের শীর্ষ নেতৃত্ব অনুপস্থিত। আমরা এসব বিষয়ে আলোচনা করে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেব। ক্রীড়া ফেডারেশনগুলোয় সর্বোচ্চ রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা কমিয়ে আনার চেষ্টা করব।’

কোনো ক্রীড়া ফেডারেশনে একনায়কতন্ত্র চর্চার সুযোগ থাকবে না, গণতন্ত্র ফেরানোর কথা বললেন ক্রীড়া উপদেষ্টা, ‘আমাদের পরিকল্পনা করছি যারা অপকর্মে লিপ্ত তাদের জবাবদিহির আওতায় নিয়ে আসা। ক্রীড়া ফেডারেশনগুলোয় গণতন্ত্র চর্চার বাস্তবায়ন করা। যেন কেউ একনায়কতন্ত্র চর্চার সুযোগ না পায়।’

আগামী পরশুর মধ্যে আইসিসিকে জানাতে হবে মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করতে পারবে কি না বাংলাদেশ। এ প্রসঙ্গে আসিফ মাহমুদ বলেছেন, ‘এটা আয়োজন করতে পারা আমাদের জন্য একটা ভালো মাইলফলক হবে। যেহেতু বাংলাদেশ একটা সংকটকাল পার করছে, একই সঙ্গে যারা আমাদের মেহমান হয়ে আসবে, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও আমাদের দায়িত্ব। সবকিছু বিবেচনায় এটা শুধু ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই; রাষ্ট্রীয় বিষয়। ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্যার আছেন, নতুন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আছেন, সবার সঙ্গে কথা বলে আমরা একটা সিদ্ধান্ত নেব। এ ব্যাপারে আইসিসির সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলমান আছে। আশা করি, দ্রুতই এ বিষয়ে একটা সিদ্ধান্ত জানাতে পারব।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত