একাডেমির ফুটবলারদের নিলামে তুলছে বাফুফে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৪ আগস্ট ২০২৩, ১৭: ৫৫
Thumbnail image

বেশির ভাগ শুক্রবারেই সাধারণত কার্যক্রম থাকে না বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ভবনে। কোনো অনুষ্ঠান থাকলেও সেটা সীমিত আকারে। কিন্তু আজ পুরোপুরি ভিন্ন দৃশ্য। ডেভেলপমেন্ট কমিটির সভা ঘিরে সাজ সাজ রব বাফুফেতে। 

ডেভেলপমেন্ট কমিটির ২৮ সদস্যের ২৬ জনই আজ উপস্থিত ছিলেন আজকের সভায়। সভাপতি আতাউর রহমান মানিকের পাশে বসে ছিলেন ডেপুটি চেয়ারম্যানও। ডেপুটি চেয়ারম্যান কী করেন, নাম কী সেটা বলতে পারলেন না বাফুফের কর্মকর্তারাও। সভা শেষে জানা গেল ডেভেলপমেন্ট কমিটির তরুণ ডেপুটি চেয়ারম্যানের নাম খন্দকার মুহতাসিম ওমর।

বাফুফে ভবনে আজ ডেভেলপমেন্ট কমিটির সভায় মূল বিষয় ছিল বাফুফে এলিট একাডেমির ফুটবলাররা। আগামী মৌসুমের জন্য চলমান দলবদলে এই অ্যাকাডেমির ফুটবলারদের দলে চাইছে প্রিমিয়ার লিগের তিন দল মোহামেডান, শেখ রাসেল ও ব্রাদার্স ইউনিয়ন। শেখ রাসেলের প্রায় শেষ, দল গুছিয়ে এনেছে মোহামেডানও। এক মৌসুম বিসিএল খেলে আবারও বিপিএলে উঠে এসেছে ব্রাদার্স। দল গোছানোর জন্য মূলত তাদেরই তাড়া বেশি। একাডেমির ১৪ ফুটবলারকে এবার দলে নিতে চাইছে গোপীবাগের দলটা। 

এবারের দলবদলে দেশি ফুটবলারদের চাহিদা বেশ চড়া। গত মৌসুমে ৬ লাখ পারিশ্রমিক পাওয়া ফুটবলারও এবার দলবদল করেছেন ৮০ লাখ টাকায়। একাডেমির ফুটবলারদের জন্য অবশ্য তিন ক্লাবের প্রস্তাব খুব বেশি নয়। তাই আজকের ডেভেলপমেন্ট কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত এসেছে একাডেমির ফুটবলারদের নিলামে তোলার। আগামী সপ্তাহে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে হতে পারে একাডেমির ফুটবলারদের নিলাম। আপাতত একাডেমির ১০ ফুটবলারকে নিলামে তোলার পরিকল্পনা বাফুফের। নিলামের ভিত্তিমূল্য ধরা হয়েছে ৬ লাখ ২০ হাজার টাকা। নিলাম থেকে প্রাপ্ত অর্থের ৬০ শতাংশ পাবে বাফুফে, ৪০ শতাংশ পাবেন খেলোয়াড়। বাফুফের ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান ও সহসভাপতি আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক বলেছেন, ‘যেহেতু ক্লাবগুলো একাডেমির খেলোয়াড়দের চাইছে, তাই আমরা ঐকমত্যে এসেছি যে এভাবে আমরা খেলোয়াড়দের না দিয়ে উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে দেব। যারা সর্বোচ্চ দাম হাঁকাবে তারাই খেলোয়াড় পাবে।’ 

গতবারও একাডেমির ফুটবলারদের ক্লাবের কাছে ধারে বিক্রি করেছিল এলিট একাডেমি। মোহামেডানের কাছে এক খেলোয়াড়কে ১০ লাখ টাকায় বিক্রি করে সেই খেলোয়াড়কে দেওয়া হয়েছিল দেড় লাখ। পরে মায়ের চিকিৎসার জন্য আবেদন করে আরও ৫০ হাজার টাকা নিতে পেরেছিলেন সেই খেলোয়াড়। এবারও তেমন কিছু ঘটবে কি না, সেই প্রশ্নের জবাবে মানিক বললেন, ‘সেই ফুটবলার আমাদের একাডেমির ফুটবলার ছিল। সে আমাদের একটা ফোন দিলেই পারত। আমরা ব্যবস্থা করে দিতে পারতাম।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত