দুর্ভাগ্য বদলের ভয়ংকর ‘সুন্দর’ চ্যালেঞ্জ কাবরেরার 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ১৯ জানুয়ারি ২০২২, ১৯: ৫২

কোচ এসেছেন, কোচ গেছেন। কিন্তু বাংলাদেশের মান যেখানে ছিল সেখান থেকে নেমে গেছে আরও। সাফল্য খরায় ভুগতে ভুগতে র্যাঙ্কিং এখন ১৮৬। এমন একটা দলের র্যাঙ্কিংয়ের উন্নতি আর বাংলাদেশের দুর্ভাগ্য বদলের কঠিন চ্যালেঞ্জ নিচ্ছেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের ২৩ তম বিদেশি কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। 

ব্রিটিশ কোচ জেমি ডের উত্তরসূরি হয়ে গত শনিবার ঢাকায় এসেছেন ৩৭ বছর কাবরেরা। আজ আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। হয়েছে চুক্তি স্বাক্ষরও। আগামী ডিসেম্বরের বড় দিন পর্যন্ত জামাল ভূঁইয়াদের কোচ হিসেবে ডাগআউটে থাকবেন বার্সেলোনা একাডেমির সাবেক এই কোচ। 

একাধিক একাডেমিতে কাজের অভিজ্ঞতা থাকলেও প্রথমবারের মতো কোনো জাতীয় দলের দায়িত্ব পেয়েছেন কাবরেরা। মাত্র ১১ মাসে তলানির একটা দলকে নিয়ে ভালো কিছু উপহার দিতে হবে এই স্প্যানিশকে। জাতীয় দলের কোচ হিসেবে নিজের প্রথম সংবাদ সম্মেলনে বড় কিছুর আশা অবশ্য দিচ্ছেন না কাবরেরা। তার কাছে বড় রকমের প্রত্যাশাও করছে না বাফুফে। জাতীয় দল কমিটির চেয়ারম্যান ও বাফুফে সহসভাপতি কাজী নাবিল আহমেদ জানালেন, গত সর্বশেষ কয়েক টুর্নামেন্টে শেষ কয়েক মিনিটের ভরাডুবি এড়াতে কোচকে বিশেষ মনোযোগী হতে বলেছেন তারা। 

কাবরেরা অবশ্য বলছেন প্রায় অচেনা একটা দেশের নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে পুরোপুরি প্রস্তুত তিনিও, ‘কঠিন সুন্দর একটা চ্যালেঞ্জ। আমার ইচ্ছা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক একটা দল গড়া। ভালো পারফরম্যান্সের জন্য চেষ্টা করব যেখানে যতটা সম্ভব একটা কাঠামো তৈরি করতে। স্বাধীনতা কাপ ও ফেডারেশন কাপে আমি জাতীয় দলের ফুটবলারদের খেলা দেখেছি। সাফের খেলাও দেখেছি। এই দলে কয়েকজন প্রতিভাবান ফুটবলার আছে। আমার মনে হয় আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ দল গড়তে পারব।’ 

বাংলাদেশের কোচ হিসেবে ২৪ জানুয়ারি ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে অভিষেক হওয়ার কথা ছিল কাবরেরার। কিন্তু ফুটবলারদের দুই ডোজ টিকা না নেওয়ায় এই সফর বাতিল হয়েছে। কাজী নাবিল আহমেদ বলছেন আগামী মার্চের ফিফা উইন্ডোতে চেষ্টা থাকবে এক বা একাধিক দলের বিপক্ষে ম্যাচ আয়োজনের। তবে জামালদের কোচ হিসেবে কাবরেরার বড় চ্যালেঞ্জ হবে আগামী জুনে এশিয়া কাপের বাছাইপর্ব। জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের পরখ করে দেখতে কয়েকটি ক্লাবে যাওয়ার কথা আছে তার। বললেন, ‘আপাতত মার্চের ম্যাচ নিয়েই ভাবছি। ম্যাচ ধরে ধরে এগোতে চাই। এরপর না হয় এশিয়া কাপ নিয়ে ভাবব। তবে এতটুকু বলতে চাই, যেখানেই খেলি লড়াই যেন থাকে। সাফ কিংবা ফিফা, যে পর্যায়ের ম্যাচই হোক না কেন, আমরা লড়তে চাই। যদি ভালো একটা দল গড়তে না পারি তাহলে এত পরিশ্রম বৃথা।’ 

তরুণ নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকায় বাংলাদেশ থেকেও প্রতিভা খুঁজে বের করতে চান কাবরেরা, ‘আমি সাফে বাংলাদেশের খেলা দেখেছি। আমার কাছে মনে হয়েছে খেলোয়াড়েরা আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভুগেছে। মূল বিষয় হলো অনুশীলন। আর এখানেই পরিকল্পনার বিষয়টি আসে। খেলোয়াড় গড়ে তুলতে পারাটা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তরুণ ফুটবলার নিয়ে অনেক দিন কাজ করেছি। একই সঙ্গে এটাও মাথায় রাখতে হবে যে এই ফুটবলাররা যেন পেশাদার পর্যায়ে পারফরম্যান্স দেখাতে পারে। সুতরাং আমাদের মূল চেষ্টা থাকবে তাদের পারফরম্যান্স বাড়ানো।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত